Childhood marriage

Childhood marriage 2 ! Part- 07

এদিকে সায়নের বাড়িতে সবাই সায়নের দাদীর রুমে বসে আছে,দেখেই বোঝা যাচ্ছে সিচুয়েশন বেশ গম্ভীর
মাঃ আপনার কি মনে হয় মা,খোকা কি আসবে?
দাদীঃ বৌমা…আমার দাদুভাইকে তুমি এখনও চিনতে পারলে না!আমি অসুস্থ আর ও আসবে না!হতেই পারে না…
বাবাঃ এটা অবশ্য তুমি ঠিকই বলেছো মা,আর যাই হোক সায়ন কিন্তু তোমাকে কে অনেক ভালোবাসে…
মাঃ সেতো বুঝলাম।কিন্তু মা,একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না?
বাবাঃ হ্যাঁ মা আমারও কিন্তু মনে হচ্ছে একটু বেশিই হয়ে গেল।সায়ন এসে যখন দেখবে সব মিথ্যা,তুমি একদম ঠিক আছো তখন কি হবে একবার ভেবে দেখেছো?
দাদীঃ তখন যা হবে দেখা যাবে
মাঃ কিন্তু মা…
দাদীঃ থাক..আর কোন কথা না..আমি যা করেছি একদম ঠিক করেছি।আমারতো আফসোস হচ্ছে কাজটা আরও অনেক আগেই করা উচিত ছিল।আজ ছয় বছর হল আমি আমার দাদুভাইকে দেখি না।ইদানিং আমার শরীরটাও খুব একটা ভাল যাচ্ছে মা,আমারওতো ইচ্ছে করে মরার আগে একবার…
বাবাঃ মা…
দাদীঃ আমি আর কোন কথা শুনতে চাই না,সায়ন আসুক তারপর দেখা যাবে কি করা যায়
মাঃ কিন্তু মা,আপনিতো আপনার নাতির রাগ চেনেন তাই বলছিলাম কি…
দাদীঃ সেসব আমি বুঝবো।আচ্ছা বৌমা,তোমার কি তোমার ছেলেকে দেখতে ইচ্ছে করে না?
মাঃ সে আর করবে না!এতগুলো বছর খোকাকে না দেখে যে কিভাবে থেকেছি সে একমাত্র আমিই জানি…
দাদীঃ তাহলে আর কোন কথা না,তোমার ছেলে আসছে তাড়াতাড়ি সব ব্যবস্থা কর
মাঃ হ্যাঁ মা যাই..এই ফুলি,রহিম..কই গেলি তোরা…
(তখনই ছোঁয়া ওখানে আসলো)
ছোঁয়াঃ মা আমি আসছি…
মাঃ কি রে মা,কোথায় যাচ্ছিস?
ছোঁয়াঃ ও মা..আজকে কলেজে একটু তাড়াতাড়ি যেতে হবে,একটা কাজ আছে
মাঃ কিন্তু..আজকেতো…
বাবাঃ আসমা…ওকে যেতে দাও

মাঃ কিন্তু…
বাবাঃ কোন কিন্তু না,ছোঁয়া মা…
ছোঁয়াঃ আচ্ছা বাবা…
(ছোঁয়া চলে যাচ্ছিল,আবার ফেরত আসলো)
বাবাঃ কি রে মা?
ছোঁয়াঃ তোমরা সবাই এমন সিরিয়াস মুডে আছো কেন?মনে হচ্ছে খুব টেনশনে আছো
বাবাঃ কই নাতো
ছোঁয়াঃ কিছু কি হয়েছে?
মাঃ কি আবার হবে কিছুইতো হয়নি
ছোঁয়াঃ দাদী..তোমার শরীর ঠিক আছেতো?জ্বর টর আসেনিতো?আর তোমার প্রেসার..একটু দাঁড়াও আমি এক্ষুণি মেপে দেখছি
দাদীঃ আরে নাতবৌ,এত ব্যস্ত হচ্ছিস কেন?আমি একদম ঠিক আছি,তোদেরকে এত সহজে ছাড়ছি না বুঝেছিস?
ছোঁয়াঃ সত্যি বলছো তো
দাদীঃ হ্যাঁ রে বাবা,তুই নিশিন্তে কলেজে যা,তোর আবার দেরি হয়ে যাচ্ছে
ছোঁয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে
(ছোঁয়া চলে গেল)
মাঃ ওকে কলেজে যেতে দিলে কেন?আজ সায়ন আসবে আর তুমি…
বাবাঃ দেখ সায়নের মা,আমরা সবাই জানি সায়ন আর ছোঁয়ার বিয়েটা…তুমিতো জানোই সায়নের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রধান কারণও এটাই ছিল তাই…
মাঃ আমি জানি কিন্তু…
বাবাঃ দেখ আসমা,সায়ন ছয় বছরে একবারও ছোঁয়ার সাথে দেখা করাতো দূরে থাক কথাও বলেনি।সায়নতো আগে থেকেই এই বিয়েটা মানতো না আর ছোঁয়া?বিয়ে কি জিনিস তাই ঠিকমত বুঝতো না তাই বিয়েটাকে মানার প্রশ্নই উঠে না।আমারতো মনে হয় ও ভুলেই গেছে যে ওর সায়নের সাথে বিয়ে হয়েছে
মাঃ হ্যাঁ কিন্তু ওরা না মানলেইতো আর সত্যিটা মিথ্যে হয়ে যায় না
বাবাঃ দেখো সায়নের মা,আমি চাই না মেয়েটার উপর কেউ কোন প্রেশার দিক।আমি চাই না তোমার ছেলে আবারও…
তাই বলছি ওকে ওর মত থাকতে দাও
মাঃ আচ্ছা তাই হবে…

(কিছুক্ষণ পর)
রিক্সা থেকে নেমেই বাড়ির দিকে ছুটলো সায়ন,ঢোকার মুখেই রহিমের সাথে দেখা হয়ে গেল।
রহিমঃ আরে সায়ন ভাইজান,আপনে দেহি চইলা আইছেন..চাচী..ও চাচী…
সায়নঃ রহিম ভাই,দাদী কই?এখন কি অবস্থা?
রহিমঃ না মানে ভাইজান দাদীতো…
সায়নঃ দাদীর রুমেতো?
(রহিমকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই সায়ন দাদীর রুমের দিকে চলে গেল)
সায়নঃ দাদী…দাদী…
দাদীঃ (মুচকি হেসে)এইতো দাদুভাই আমি এখানে
সায়নঃ দাদী…কেমন আছো তুমি?
দাদীঃ আমার আবার কি হবে?আমিতো ঠিকই আছি..
সায়নঃ কিন্তু আমার কাছে যে ফোন এসেছিল তুমি…ওহ বুঝেছি সব মার বুদ্ধি,জাস্ট আনবিলিভেবল…
দাদীঃ না না দাদুভাই,বৌমার কোন দোষ নেই,আমিই রহিমকে বলেছিলাম…
সায়নঃ How could you do this to me!জানো খবরটা শুনে আমার কি অবস্থা হয়েছিল?সারারাত জেগে,কতটা দুশ্চিন্তা নিয়ে আমি এখানে এসেছি ভাবতে পারো?
দাদীঃ আমি জানি দাদুভাই,কিন্তু আমিই বা কি করব বল,তুই ছয় বছর ধরে বাড়ি আসিস না।আমি বুড়ো মানুষ কখন কি হয়ে যায় বলাতো আর যায় না,আমারওতো ইচ্ছে করে মরার আগে তোকে একটাবার দেখে যাই…

সায়নঃ তাই বলে এভাবে!
দাদীঃ কি করব বল,তুইতো আমাদের কথা ভুলেই গিয়েছিলি।এমনটা না করলে কবে আসতি কে জানে…
সায়নঃ উফ দাদী,ব্যাপারটা কিন্তু খুব খারাপ হয়ে গেল।আমি আসছি,এক্ষুণি ফিরে যাব…
দাদীঃ দাদুভাই আমার কথাটা একবার শোন..এভাবে রাগ করে চলে যাবি!দাদুভাই…
(সায়ন চলে যেতে নিল,তখনই সায়নের মা চলে আসলো)
মাঃ খোকা…তুই এসেছিস?এতদিন পরে আমাদের কথা মনে পড়লো!কেন চলে গিয়েছিলি আমাকে ছেড়ে?মার কথা কি একবারও মনে পড়েনি?
সায়নঃ উফ মা,কান্নাকাটি বন্ধ করতো।এমনিতেও আমি এক্ষুণি চলে যাব তাই যাওয়ার আগে এসব কান্নাকাটি একদমই অসহ্য লাগছে…
মাঃ সায়ন…বাবা তুই এখানেই বোস আমি তোর জন্যে নাস্তা রেডি করছি
সায়নঃ লাগবে না মা
মাঃ বললেই হল?কতটা পথ জার্নি করে এসেছিস!জানিস বাবা,আজ সব তোর পছন্দের নাস্তা বানিয়েছি।চালের রুটি,কলিজা ভুনা,বেগুন ভর্তা,দেশি মুরগির ঝাল ভুনা,আলু ভাজি আর তারসাথে তোর ফেভারিট পোলাও চালের পায়েশ।তুই ফ্রেশ হয়ে নে,আমি এক্ষুণি নিয়ে আসছি…
সায়নঃ (চিৎকার করে)বললামতো লাগবে না,একবার বললে বোঝ না নাকি?
দাদীঃ দাদুভাই!মায়ের সাথে এটা কেমন ব্যবহার?
সায়নঃ সরি বাট…
মাঃ না না মা আমি কিছু মনে করিনি।ফুলি…কই রে…তাড়াতাড়ি নিয়ে আয়…
সায়নঃ আমি আসছি
মাঃ আসছি মানে?কোথায় যাচ্ছিস?
সায়নঃ এক কথা আর কতবার বলব?বললামতো এক্ষুণি ফেরত চলে যাব কাল একটা ইম্পর্টেন্ট ক্লাস আছে সো…
মাঃ সায়ন ফাযলামি বন্ধ কর
সায়নঃ আমি মোটেও ফাযলামি করছি না।আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে,আমি আসছি…
মাঃ সায়ন..বাবা যাস না,আমার কথাটা একবার শোন।সায়ন…সায়ন…

সায়ন মায়ের কোন কথা না শুনেই দাদীর রুম থেকে বেরিয়ে গেল,সায়নের মা আর দাদী পেছন পেছন ছুটে গেল ওকে আটকানোর জন্য কিন্তু পারলো না।সায়ন এত দ্রুত হাঁটছে যেন অলিম্পিক রেসে দৌঁড়াচ্ছে,মুহুর্তের মধ্যেই বাড়ির বাইরের গেটে পৌঁছে গেল।বাড়ির বাইরে পা বাড়াতে যাবে তখনই কারোর সাথে ধাক্কা লেগে সবকিছু নিয়েই মাটিতে পড়ে গেল।কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই বুকের উপর ভারী কিছু একটা পড়ল।চোখ মেলে তাকাতেই দেখলো ওটা কোন জিনিস না,একটা মেয়ে!মেয়েটার চুলগুলো একেবারে মুখের উপর এসে পড়েছে তাই ভাল করে দেখা যাচ্ছে না)
সায়নঃ What rubbish!আপনি…
(সায়ন আর কিছু বলতে পারল না কারণ মেয়েটা ততক্ষণে উঠে বসেছে আর ওর মুখের দিকে তাকাতেই যেন সব ভাষা হারিয়ে গেল)
– ওই মিয়া দেখে চলতে পারেন না?চোখ কি হাতে নিয়ে ঘোরেন নাকি?ইশ রে আমার কোমড়টাই মনে হয় ভেঙ্গে গেল!ইয়া আল্লাহ এইগুলাকে কেন চোখ দিছো?এর থেকে একটা অন্ধ মানুষকে চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে,তাহলে অন্তত আমার কোমড়টা বেঁচে যেত।দূর ছাই কিচ্ছু ভাল্লাগে না,ইয়া আল্লাহ উঠায় নেও আমারে না এই কানাটাকে…
(সায়ন অবাক হয়ে ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে আছে,ও কি বলছে না বলছে কিছুই যেন ওর কানে ঢুকছে না,সবকিছুই যেন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে)
– ও হ্যালো,আপনাকেই বলছি।একটাবার সরিতো বলতে পারেন নাকি?প্লিজ এটা আবার বলবেন না যে চোখের সাথে সাথে আপনার বাকশক্তিও নেই…হ্যালো..শুনতে পাচ্ছেন?
সায়নঃ চমকে উঠে মেয়েটার দিকে তাকালাম
– মনে হয় কানেও শুনতে পায় না,এক কাজ করি সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজ করি
সায়নঃ মেয়েটা ভেবেছে আমি কথা বলতে পারিনা তাই সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজ করছে।আমার অনেক মজা লাগছে তাই চুপ করে দেখছি
– হায় আল্লাহ আমিতো সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ জানিনা।কি বোঝাতে কি বোঝাচ্ছি কে জানে?আচ্ছা উনি কে?এখানে কি কোন কাজে এসেছে?আচ্ছা আরেকবার ইশারা করে দেখি
সায়নঃ মেয়েটা এমন একটা ইশারা করল যে না হেসে পারলাম না
– কি আশ্চর্য!আচ্ছা বেহায়া লোকতো,একেতো আমি এত কষ্ট করে উনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি আর উনি দাঁত বের হাসছেন!
সায়নঃ হাসিটা কিছুতেই আটকাতে পারছি না
– কি আশ্চর্য!ওই মিয়া চুপ করেন বলছি নাহলে কিন্তু…দূর ছাই আজকেতো আমার দিনটাই খারাপ,একেতো সকাল সকাল কলেজে যেতে হল তারপর আবার তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হোমওয়ার্কটাই বাসায় রেখে গেলাম!আর এখন,এই লোকটা..এই লোকটার জন্যে সব ডকুমেন্ট এলোমেলো হয়ে গেল আর এই লোকতো এমনভাবে বসে আছে যেন ভাজা মাছটাও উল্টে খেতে পারে না!
সায়নঃ এই মেয়েতো দেখি পুরাই পাগল,একা একা কেউ এত কথা বলে?
– আজিবতো বাংলা ছবি দেখে নাই নাকি কখনো?বোবা হলেও এই অবস্থায় যে আমাকে কাগজপত্রগুলো গোছানোতে হেল্প করা উচিত এটাতো বোঝার কথা
সায়নঃ মেয়েটার কথা শুনে কাগজগুলো গোছাতে লাগলাম
– থ্যাঙ্ক গড শেষ মেষ এইটুকুতো বুঝতে পেরেছে।এখন ভালই ভালই ক্লাস শুরু হওয়ার আগে কলেজে পৌঁছাতে পারলেই হয় নাহলে যে কি হবে…কার মুখ দেখে যে ঘুম থেকে উঠেছিলাম!আমি আসলেই একটা স্টুপিড নাহলে আজকেই আমাকে হোমওয়ার্কটা রেখে যেতে হবে?
সায়নঃ হায় হায় এই মেয়ে দেখি নিজেই নিজেকে গালি দিচ্ছে!পাগল নাকি?আবারও হাসতে শুরু করলাম
– এই বেটা দেখি আবার হাসে!বেটা বেয়াদব,ইচ্ছে করছে থাপড়ে দাঁতগুলো ফেলে দেই
সায়নঃ আচ্ছা আপনি কি সবসময়ই এমন পাগলামি করেন?
– আ..পনি..আপনি কথা বলতে পারেন!
সায়নঃ অফকোর্স

– সর্বনাশ!তাহলেতো এতক্ষণ যা যা বলেছি সব শুনে ফেলেছে…(মনে মনে)
সায়নঃ ওহ হ্যলো,আবার কোথায় হারিয়ে গেলেন?আমার জবাবটাতো দিন…
– কত্ত বড় শয়তান!এতক্ষণ আমাকে জ্বালিয়ে এখন মজা নেয়া হচ্ছে!(মনে মনে)
সায়নঃ এই যে মিস..মিসেস..হোয়াট এভার,এই যে..শুনতে পাচ্ছেন?
– (চমকে উঠে)কি আশ্চর্য!এত জোরে জোরে চিল্লাচ্ছেন কেন?আমি কি আপনার মত বয়রা নাকি?
সায়নঃ আমিও কিন্তু বয়রা না
– (রেগে গিয়ে)তাহলে এতক্ষণ চুপ করে ছিলেন কেন?আমি যে এতক্ষণ এত চেষ্টা করছিলাম আপনাকে আমার কথা বোঝানোর,তখন বললেন না কেন যে আপনি…
সায়নঃ আমাকে কিছু বলার সুযোগ দিলেতো আমি বলব।By the way আমি বোবা এই চিন্তাটা আপনার মাথায় আসলো কিভাবে?
– কিভাবে আবার?আপনি কথা বলছিলেন না তাই…
সায়নঃ তো কারো যদি আপনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে না করে তাই চুপ করে থাকে তাহলে কি তাকেও আপনি বোবা ভেবে বসবেন?
– তা কেন করতে যাব?আমি কি গাধা নাকি?
সায়নঃ একটু আগেতো গাধার মতই কাজ করলেন
– সেটাতো আপনি…
সায়নঃ ঠিক আছে এটা নাহয় মাফ করলাম কিন্তু এতক্ষণ যে আমাকে এত আজেবাজে কথা বললেন তারজন্যে অন্তত একটা সরিতো বলা উচিত তাই না?
– সরি মাই ফুট।যা করেছি বেশ করেছি,আরও করব কি করবেন শুনি?
সায়নঃ কি আর করব,সরি না বলা পর্যন্ত আপনাকে ছাড়ছি না।এখানেই আটকে রাখব
– কেন আমি কেন সরি বলতে যাব?আমাকে ধাক্কা দেয়ার জন্য কি আপনি সরি বলেছেন?
সায়নঃ আমি মোটেও ধাক্কা দেইনি তবুও আপনার যদি এতই সরির দরকার হয় তাহলে I’m sorry…Now It’s your turn
– How rude…এইভাবে কেউ কখনও সরি বলে?
– আপনার ক্লাসের কিন্তু সময় হয়ে যাচ্ছে
– ওহ শিট!Okey fine,I’m sorry.এখন প্লিজ সরেন আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে,আবারও ক্লাসে যেতে হবে
সায়নঃ দ্যাটস বেটার বাট আমি কি জানতে পারি আপনি কে?
– এক্সকিউজ মি,আপনাকে কেন বলতে যাব?May I know who you are…
সায়নঃ হোয়াট!আমি!!!ওহ হ্যালো…
(তখনই সায়নের মায়ের কণ্ঠ শোনা গেল)
মাঃ কিরে তুই কখন এলি?তোর না একেবারে বিকেলে আসার কথা…
– হ্যাঁ মা,আসলে আমি হোমওয়ার্কটা বাসায় রেখে গেছিলাম আর ওটা না নিয়ে গেলে স্যার ক্লাসেই ঢুকতে দেবে না তাই
মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে,এসেই যখন পড়েছিস,নাস্তাটা করে যা
– না মা,একদম সময় নেই।এই লোকটার জন্যে…না মানে এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে
মাঃ কিন্তু তাই বলে একেবারে না খেয়ে থাকবি?
– না খেয়ে কেন থাকব?ক্যান্টিন থেকে কিছু একটা খেয়ে নিব,তুমি বরং এক কাজ কর যা যা রান্না করেছো সব ফ্রিজে রেখে দাও,আমি এসে সব সাবাড় করব
মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে যা

– আচ্ছা টা টা,আমি গেলাম বাই
(সায়নের দিকে একটা অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে মেয়েটা বেরিয়ে গেল)
মাঃ সায়ন..বাবা আমার এভাবে চলে যাস না,তোর দাদী বুড়ো মানুষ অনেক কষ্ট পাবে…
(সায়ন এখনও মেয়েটার দিকেই তাকিয়ে আছে,মায়ের বলা কথাগুলো কানে ঢুকেছে কিনা সন্দেহ আছে)
মাঃ খোকা…কিছু একটাতো বল,এভাবে চুপ করে থাকিস না…সায়ন…
সায়নঃ (চমকে উঠে)কিছু বলছিলে?
মাঃ শোন বাবা,তুই বরং হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নে,আমি খাবার দিচ্ছি
সায়নঃ আচ্ছা..(কে ও?ঠিক চিনতে পারলাম নাতো…আচ্ছা ও…না না শিওর হতে হবে।মাকে জিজ্ঞেস করব?কিন্তু…)
(মা ভেতর বাড়ির দিকে চলে গেল,সায়নও তার পিছু পিছু হাঁটতে লাগল মনে মনে হাজারো হিসেব নিকেশ কসতে কসতে)
সায়নঃ মা..একটা কথা বলব?
মাঃ কি কথা?বল…
সায়নঃ ওই মেয়েটা…
মাঃ কোন মেয়েটা?
সায়নঃ একটু আগে যেই মেয়েটা…
চলবে…
#বলেছিলাম না,আজকেই ছোঁয়ার দেখা মিলবে।আমি কিন্তু আমার কথা রেখেছি এবার আপনাদের পালা।সায়ন আর ছোঁয়াকে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না কিন্তু…