ভালোবাসব যে তোকে

রুমে এসে মৌ এর কেমন যেনো অস্বস্তি অনুভুতি হচ্ছে। মনের ভিতর খচখচ করছে। মনে হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় একটা ভুল

মৌ বিরক্তি নিয়ে বললো, “যা বলার প্লিজ তাড়াতাড়ি বলুন।আমি চাচ্ছি না যে কোনো সমস্যা হোক।” আয়ান আর কিছু না বলে

রাহাতের হাত কে মুচড়ে ধরেছে এটা দেখার জন্য মৌ চোখ তুলে তাকালো।সে আয়ানকে দেখতে পেলো।আয়ানের চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট। এদিকে

রাগে আয়ানের মাথার রগ ফুটে উঠেছে।এমন হুট করে সবার সামনে দিয়ে হাত ধরে নিয়ে আসার জন্য মৌ এরও রাগ লাগছে।

মৌ নিজেকে ছাড়ানোর জন্য ছটফট করছে। অন্ধকারে সামনে থাকা ব্যক্তিটাকে দেখতেও পারছে না সে। শুধু এ টুকু বুঝতে পারছে যে

ধীরে ধীরে সব মেহমান রা আসা শুরু করলো।কিছুক্ষনের মধ্যেই অনুষ্ঠান ও শুরু হয়ে গেলো। আয়ানের জন্য প্রথম থেকেই মৌ এর

আয়ান টেনশন করতে করতে মনে হয় শেষই হয়ে যাবে।আরো তার আম্মু আর শাশুড়ি মায়ের কান্না তার টেনশনের পরিমান দ্বিগুন বাড়িয়ে

এই ঘটনার পর থেকে মৌ অনেক চুপচাপ হয়ে যায়। খুব প্রয়োজন ছাড়া সে রুম থেকে বের হয় না। কারন এই

সকালের মিষ্টি রোদ চোখে মুখে পরায় ঘুম ভেঙে যায় মৌ এর।আয়ানের বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে সে।খুব ভালো লাগছে এভাবে