শালুক ফুলের লাজ নাই

দিগন্ত জুড়ে মেঘ জমেছে। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে ভীষণ। এই বুঝি বর্ষণ শুরু হবে। শীতল হাওয়া ছেড়েছে প্রকৃতি। শালুকের মনটা উদাস হয়ে

আজ আফিফার বিয়ে। বিয়ে বাড়ির সকল আনন্দ চাপা পড়ে আছে সবার মন খারাপের আড়ালে। সবাই কেমন রোবটের ন্যায় চলছে। হাসি

পুরো বাড়ি গিজগিজ করছে মেহমানে।এতো বড় বাড়ি হওয়ার পরেও যেনো জায়গায় কুলুচ্ছে না।আজকে আফিফার গায়ে হলুদ। শুরুতে কিছুক্ষণ বাকবিতন্ডা হলো

সকাল থেকেই ঝলমলে রোদ।গাছের পাতায় সূর্যের আলো পড়তেই কেমন চকচক করছে সোনার মতো। শালুকদের বাড়িতে আজ রান্নার আয়োজন হচ্ছে বাবুর্চি

নুরুল ইসলাম সাহেব হজ্জ করে ফিরেছেন সবেমাত্র এক সপ্তাহ হলো।এখনো গ্রামের মানুষজন তার সাথে দেখা করতে আসেন।তিনি সবার সাথে গল্প

আদনানের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। আদনান নিজেও বুঝতে পারছে না সে এতো অস্থির হয়ে আছে কেনো।কেনো এমন কু ডাক ডাকছে

সারারাত ধরে শালুক চটপট করে কাটিয়েছে।কি হচ্ছে ধ্রুবর রুমে,কে জানে!ধ্রুবর কি ভীষণ কষ্ট হচ্ছে? আজ আর শালুককে সকাল বেলায় ডেকে

অলস বিকেলটা কেমন খাপছাড়া লাগছে আজকে।রোদ পড়ে গেছে,সন্ধ্যা নেমে আসবে ধরনীর বুকে।পলক চলে গেছে বিশ মিনিট আগে।আস্তে আস্তে চারদিক অন্ধকার

নিস্তব্ধ রাত,আফিফা ফুপিয়ে কেঁদে চলেছে। আকাশে মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে একটু পর পর।আফিফার কলিজা ছিড়ে যাবার মতো ব্যথা হচ্ছে। একে-তো

আফিফা বসে আছে আজাদ সাহেবের সামনে। আজাদ সাহেবের চেহারা রক্তিম হয়ে আছে।যেকোনো সময় মেয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বেন এরকম একটা ভাব