Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 98
রুহীর চোখজোড়ার কোনা বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
রোয়েনকে খুব বেশি মনে পড়ছে ওর।খুব জড়িয়ে ধরতে মন চাইছে।জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে।তার ঠোঁটের ছোঁয়া পেতে মন চাইছে।
পেটে কারোর নড়াচড়া অনুভব হচ্ছে।একটু একটু করে নড়ছে কেউ।ছোট্ট একটা হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব হচ্ছে।পেটে দুহাত রাখে রুহী।হাতে যেন ছোট্ট দুটো পায়ের ছোঁয়া লাগছে রুহীর।হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে
রুহী জোর করে বালিশে মাথা চেঁপে চোখ বুজে শুয়ে থাকে।
-আপনি ঘুমাননি আমি জানি।বলে উঠে একটা মেয়ে।
-আমি কারোর সাথে কথা বলতে চাইনা।ভালো লাগছেনা।কাঁদতে কাঁদতে বলে রুহী।
-আমার ও খারাপ লাগছে আপনার জন্য।কিন্তু কিছু করতে পারছিনা।আমার যে হাত পা বাঁধা।বলে উঠে মেয়েটা।
কিছু খাবেন?বলে উঠে মেয়ে টা?
-মাথা নাড়ায় রুহী।
-আপনাকে যে অবস্থায় আনা হয়ে প্রনয় খানের এই বাসায় আমাকে অানা হয়েছিলো আমার বিয়ের দিন।আমি ফ্লোরিডায় ছিলাম।সেখানকার একটা লোকের সাথে সম্পর্ক হয় আমার।প্রথমত বন্ধুত্ব তারপর প্রেম।তারপর একদিন ঠিক করি বিয়ে করবো।কিন্তু সেটা হলোনা।প্রনয় খান চার্চে গিয়ে আমার হাসবেন্ডকে হত্যা করে।
আমাকে তুলে এনে রেপ করে।প্রত্যেকদিন টানা দুই তিনবার রেপ করতো।
৭বছর ধরে তার হাতে অত্যাচারিত হয়ে আসছি।আমার শরীরটা কে প্রতিনিয়ত খুবলে খেয়েছে সে।বাংলাদেশে ফিরে আসার সময় ও আমাদের নিয়ে আসে জোর করে।প্রনয় খানের এক দিনে একটা মেয়ে দিয়ে হয়না।প্রত্যেকদিন দুতিনটে মেয়ে লাগে ওনার।
রুহী উঠে বসতে গেলে মেয়েটা ওকে ধরে বসায়।তারপর আবার বলে তোমার জন্য খারাপ লাগছে।আমি জানি এসময়ে একটা মেয়ের তার হাসবেন্ড তার ফেমিলির সাপোর্ট অনেক বেশি দরকার পড়ে।
প্লিজ কিছু খেয়ে নিন।গড চাইলে আপনি আপনার বেবি বাঁচতে পারে প্রনয় খানের হাত থেকে বাঁচতে পারে।
আমি অবাক প্রনয় খান আজ একবার ও এলোনা কেন?না আসুক।লোকটা ভীষন খারাপ।
মেয়েটার কথায় চোখ ভরে আসে রুহীর।তারপর মেয়েটার সাদা হাত দুটো ধরে।আমি তোমাকে হেল্প করবো।কাঁদো গলায় বলে রুহী।
যদি হেল্প করতে চান তাহলে প্রনয় খানকে কঠিন মৃত্যু দেয়াবেন আপনার হাসবেন্ডকে দিয়ে।আপনার হাসবেন্ড অনেক বড় একজন মাফিয়া লর্ড।এমন দশ বারোটা প্রনয় তার কাছে কিছুনা।
মেয়েটার কথায় রুহী হাসে,তার মনোবল অনেক।আমি ও প্রনয় খানের লাশ দেখতে চাই।চাই তাকে আমার সামনে হত্যা করা হোক।সে এতোটাই কষ্ট পাক যতোটা কষ্ট মেয়েদের দিয়ে আসছে সে।মেয়েটা আবেগে আপ্লুত হয়ে রুহীকে জড়িয়ে ধরলো।
তারপর সামনে এসে বলল কিছু খেয়ে নিন।রুহী মাথা নাড়ে ভালো লাগছেনা।আমার হাসবেন্ড আসলে তার হাতেই খাবো।হঠাৎ গোলাগুলির শব্দ পায় রুহী।
রোয়েন বনানীর কাছে আসতেই সামনে সাজিদ রায়হানের গাড়ি দেখতে পায়।গাড়ি থেকে বেরিয়ে রোয়েনের গাড়ির কাছে এসে দাঁড়ান সাজিদ রায়হান। রোয়েন দরজা খুলে দিলো।সাজিদ রায়হান ওর পাশে বসে পড়লেন।কারোর মুখে কোন কথা নেই।
প্রনয় খানকে শপিং করাতে এনেছে রুপন্তী।লাল একটা ব্লেজারে হাত রাখলো রুপন্তী,তারপর বলল
-আই থিংক ইউ উইল লাইক ইট।
-আই লাইক রেড। তুমি কি করে জানলে আমার লাল পছন্দ।
রুপন্তী হাসে।আপনার মেয়ে তো এতোটুকু জানতেই পারি।বাহ বাবা হিসেবে মেনে নিলে তাইলে?বলে উঠেন প্রনয় খান।আই কান্ট চেঞ্জ দিস ট্রুথ।একদিন না একদিন তো আপনাকে মানতেই হতো।
-গুড গার্ল।রুপন্তীর গালে হাত রাখে প্রনয় খান।রুপন্তী হেসে সরে আসে।
গোলাগুলির আওয়াজে বুক ধুক করে উঠে রুহীর। এই যেন প্রনয় খান চলে এলো।
কিন্তু ভয় লাগলোনা ওর।বসেই থাকলো আগের মতো।
প্রায় সব গার্ডকে মারছিলো রোয়েন।আর সাজিদ রায়হান সন্তানকে দেখেই যাচ্ছেন।
হঠাৎ রোয়েন খেয়াল করলো একটা লোক সাজিদ রায়হানকে মারার জন্য ছুড়ি নিয়ে এগিয়ে আসছে।রোয়েন সাজিদ রায়হানের কাছে গিয়ে পিছন থেকে ছুড়িটা চেঁপে ধরলো।ছুড়ি বেয়ে রোয়েনের হাত থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে।রোয়েন টেকনিক করে ছুড়িটাকে ঘুরিয়ে লোকটার গলায় ঢুকিয়ে দিলো।তারপর সাজিদ রায়হানের সামনে এসে দাঁড়ায়, আর ইউ ওকে?জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
মাথা ঝাঁকায় সাজিদ রায়হান।তারপর রোয়েনের কেঁটে যাওয়া হাত চেঁপে ধরে পরনের শার্ট দিয়ে।
-ব্যাথা লাগছে সোনা বাবা?জিজ্ঞেস করেন সাজিদ রায়হান।
রোয়েন হাত সরায়।ভিতরে আরো কেউ আছে কিনা দেখতে হবে।চলুন।রোয়েন সামনে হাঁটতে লাগে।
প্রনয় খান বলেন আজ লোক গুলো একবার ও কল দিলোনা।
রুপন্তি বলে উঠে,হয়ত সব ঠিক আছে।হতে পারে।বলে।উঠেন প্রনয় খান।
রুহী আর মেয়েটা কারোর পায়ের শব্দ পাচ্ছে।কেউ যেন দৌড়ে আসছে।অর্পি দুটো মেয়ের সাথে গল্প করছিলো।হঠাৎ রোয়েনকে দেখে ওর সামনে এসে দাঁড়ায়,
-কি হিরো?কি চাও?
-রোয়েন দাঁতে দাঁত চেঁপে মেয়েটাকে সরিয়ে সামনে চলো যায় সাজিদ রায়হানকে নিয়ে।
দরজায় জোরে শব্দ লাগায় মেয়েটা ভয় পায়।প্রনয় খান ওকে এখানে দেখলে রক্ষা নেই ওর।আমি কি করবো রুহী?প্রনয় খান আমাকে এখানে পেলে মেরে ফেলবে ফিসফিসিয়ে বলে মেয়েটা।
টেনশন করোনা সে আজ কি করতে পারে দেখবো।মুখ শক্ত করে বলে রুহী।
হঠাৎ দরজা খুব জোরে বাড়ি দেয় কেউ।দরজা ভেঙ্গে যায়।রুহী মাথা বাঁকা করে দেখার চেষ্টা করে কে আসলো।চোখ জ্বলজ্বল করে উঠে রুহীর।রোয়েন ধীরে রুমে ঢুকে।মেয়েটা
য়েন থেকে চোখ সরিয়ে রুহীকে দেখে।কান্নার মাঝে ও মুখে হাসি রুহীর।মেয়েটা বুঝলো এই তাহলে রোয়েন চৌধুরী রুহীর হাসবেন্ড।
রোয়েন কে দেখে রুহী দাঁড়ায়।রোয়েন এসে বুকে জড়িয়ে নেয় রুহীকে।শব্দ করে কেঁদে উঠে রুহী।মেয়েটা একটু হেসে বেরিয়ে দরজা চাঁপিয়ে দিয়ে যায়।রোয়েন রুহীর কাঁধে অনবরত চুমো দিচ্ছে।রুহীকে সামনে এনে ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবায় রোয়েন।রুহী শক্ত করে জড়িয়ে আছে রোয়েনকে।আজ ভালোবাসাটা বেশ গভীর লাগছে রুহীর কাছে।রুহীর ঠোঁট ছেড়ে ওর গালে কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে আবার ও বুকে টেনে নেয় রোয়েন।
রুহীকে ছেড়ে সামনে আসে রোয়েন।রুহীর চুলের ভিতর হাত ঢুকায় রোয়েন।
♦♦♦♦
রুহী চোখ বুঁজে নেয়।সাজিদ রায়হান রুমে আসতেই রোয়েন রুহীর চুলের ভিতর থেকে হাত সরায়।
-আমাদের দ্রুত বের হতে হবে রোয়েন।নাহলে প্রনয় খান চলে আসবে।
সাজিদ রায়হান বের হতে নিবে তখনই রোয়েন বলে উঠে,বাবা!!!!!
সাজিদ রায়হান থমকে যান।রোয়েনের মুখে বাবা ডাক শুনে।পিছনে ঘুরে তাকান সাজিদ রায়হান।রোয়েন সাজিদ রায়হানের সামনে এসে দাঁড়ান।তারপর ওনাকে জড়িয়ে ধরে।
-থ্যাংকস বাবা।
সাজিদ রায়হানের চোখে অশ্রু মুখে হাসি।সন্তান কে জড়িয়ে ধরেন।রুহী হাসছে।পেটে হাত রেখে বলে দেখ সোনা তোর বাবা দাদা এক হয়ে গেছে।
সাজিদ রায়হান রোয়েনকে ছেড়ে রুহীর কাছে আসেন।
ভালো থাকিস মা।বৌনা আমার মেয়ে তুই।রুহীর মাথায় হাত বুলান।রোয়েন বাবা ভালো রাখিস আমার মেয়েটাকে।বেস্ট ফাদার বেস্ট হাসবেন্ড হবি।বলে উঠেন সাজিদ রায়হান।রুহী রোয়েন আর সাজিদ রায়হান বেরিয়ে আসতে নিলে রুহী থেমে যায়।তার মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে।তুমি ও আসো আমাদের সাথে।বলে উঠে রুহী।
নাহ রুহী।এখানেই থাকবো।প্রনয় খানা মারা গেলে আমি ফ্লোরিডায় চলে যাবো।বলে উঠে মেয়েটা।কথা শেষ করে রুহী কে নিয়ে রোয়েন চলে আসে।
রুহী গাড়িতে বসে রোয়েনকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে।
রোয়েন স্ত্রীকে শক্ত করে জড়িয়ে রাখে।প্রনয় খানকে কঠিন শাস্তি দাও রোয়েন।খুব কঠিন শাস্তি দাও।মেয়েদের সাথে যা করছে যতোটা কষ্ট দিয়েছে তার দ্বিগুন কষ্ট দাও প্লিজ।
কাঁদতে কাঁদতে বলে রুহী।দিবো শাস্তি।সে তার উপযুক্ত শাস্তি পাবে।বলে উঠে রোয়েন।
হঠাৎ রোয়েনের ফোনে রুপন্তীর কল আসে।ফোন হাতে নিয়ে কল রিসিভ করে রোয়েন।রুহীর চোখ রোয়েনের হাতে পড়তেই মন টা খারাপ হয়ে যায়।কানে ফোন রাখে রোয়েন।
-হ্যালো জিজু।আপি ঠিক আছে তো?বলে উঠে রুপন্তী।
-হুম।প্রনয় খান কি করছে।জিজ্ঞেস করে রোয়েন।
-পার্লারে ফেসিয়াল করছে।বলে হাসে রুপন্তী।
-জন্মের মতো সাজুক আজ।বলে উঠে রোয়েন।
-ওকে।রুপন্তি হেসে দেয়।
-বিকেয়ারফুল রুপন্তী।বলে কল কাঁটে রোয়েন।রুহী রোয়েনের হাত টেনে নেয়।তারপর কেঁদে দিয়ে বলে ফাস্ট এইড বক্স কই?
রোয়েন হেসে ফাস্ট এইড বক্স রুহীর হাতে দেয়।রুহী রোয়েমের হাতে ঔষধ লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়।
রুহীকে নিয়ে রোয়েন একটা খাবার দোকানে ঢুকে।তারপর ভাত মাছ ডাল কিনে নিজ হাতে খাইয়ে দিলো রুহীকে।
তারপর রুহীকে নিয়ে বাসায় আসে রোয়েন।আজিজ রায়হান মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠে।সবার সাথে দেখা করে রুহী ঘরের চারদিকে চোখ বুলায়।এতো সাজ বাসায়।আজ কি রোয়েন?জিজ্ঞেস করে রুহী।রোয়েন বাঁকা হেসে বলে প্রনয় খানের খাতিরদারি করবো।নির্দিষ্ট সময়ে প্রনয় খান রুপন্তী আর আনিলা বেগম চলে আসে।বাকি সব গেস্টরাও চলে এসেছে।রুহীর রুমে আসে রোয়েন রুপন্তীকে নিয়ে।প্রনয় খানের কাছ থেকে একটু সরেছিলো রুপন্তী এখানে আসার পর থেকে।রুপন্তীকে দেখে কেঁদে দেয় রুহী।একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ওরা।
কিছুক্ষন পর পার্টি শুরু হয়ে যায়।হোস্ট রোয়েন।স্টেজে আসে রোয়েন।মাইক হাতে বলে আজ একা না আরেকজন হোস্ট আছে আমার সাথে।তবে সে পরে আসবে।
সবাই একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করছে।আজ এই পার্টির উদ্দেশ্য হলো প্রনয় খান।তিনি দয়ালু ভীষন।ভালো মানুষ ও বটে।তিনি আমার চাচা আজিজ রায়হানের বদনাম করিয়েছেন রাসেল মানে আজিজ রায়হানের পিএস দিয়ে।আবার চাকরী হারানো সম্মান ফিরিয়ে ও দিয়েছেন।এমন মানুষ আজ কাল পাওয়া যায়না।চলুন আমরা প্রনয় খানের লাইফ হিস্ট্রী দেখে শুনি।ওনি হচ্ছেন স্করপিয়ন লর্ড।যৌবনে মিস আনিলা বেগমের সাথে তার রিলেশন ছিলো যার পরিনতি আমাদের রুপন্তী। একবার এ ঘরে তিনি আর প্রনয় খান একে অপরের সাথে শারীরিক মেলামেশায় ব্যাস্ত ছিলো।সে সময়ে আমার শাশুড়ী অফিস থেকে ফিরে তার বোন আর অপরিচিত একজন লোককে এই অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে যান।
দুবোনের মাঝে কথা কাঁটা কাঁটি হয়।প্রনয় খান আমার শাশুড়ীর গলায় বেল্ট চেঁপে ধরেন।শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।পাঁচমাস বয়সী বাঁচ্চাটার ওপর এতোটুকু ময় হয়নি তাদের।আমার শাশুড়ী রুবীনা রায়হান চৌধুরীর লাশ তারা ফ্যানে ঝুলিয়ে ওনার মৃত্যুটাকে সুইসাইড হিসেবে দেখান।আমার শ্বশুর মনে করেন তার ওয়াইফ সুইসাইড করেছেন।প্রনয় খানের মেয়েদের নেশা প্রচুর।প্রমান তার বনানীর বাসা।সেখানে অনেক মেয়ে আছে যাদের নেশায় মেতে থাকেন তিনি।আমার সাড়ে পাঁচমাস বয়সী গর্ভবতী স্ত্রীকে ও কিডন্যাপ করে ইনি শয্যাসঙ্গী করার জন্য।গেস্টরা কানাকানি করছে।রুহী!!!ডেকে উঠে রোয়েন।
রুহী এসে দাঁড়ায় সবার সামনে।প্রনয় খান ভয় পেয়ে যান রুহীকে দেখে।আনিলাকে নিয়ে বের হতে চাইলে আনিলা ওনার হাত ছেঁড়ে দেন।আনিলার কথা না শুনেই বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই রেহান ওনার কাছে এসে দাঁড়ায়।কই যান?খাতির দারি এখনো হয়নি।রোয়েন সকল গেস্টদের পাঠিয়ে দেয়।রোয়েন প্রনয় খানের পিছে এসে দাঁড়ায়।রাসেল এসে রোয়েনের পাশে দাঁড়ায়।ভাই ওনাকে যতোটা শাস্তি দিবেন কম হবে।সেটাই তো ভাবছি রাসেল।কি করা যায় বলোতো।বলে উঠে রোয়েন।
মেয়ে গুলোকে আনান।তারপর ওরা নিজেদের মনষ্কামনা পূরন করুক।রেহান আর সাইফ রাহমান প্রনয় খানকে সোফার সাথে বেঁধে ফেলে।আজিজ রায়হান রাসেলকে দেখে অবাক হয়ে গেছেন।মেয়ে গুলো কে ডেকে পাঠায় রোয়েন।সবাই প্রনয় খানকে ইচ্ছে মতো মারতে লাগলো।ওনার পুরুষাঙ্গে লাথি দিতে লাগলো সবাই।শেষে রুহী ওনার সামনে আসে।খুব জোরে চার পাঁচটা চড় লাগায়।কেঁদে উঠে রুহী মারতে মারতে।রোয়েন রুহীকে ধরে ওর কাছে আনে।তারপর বলে জান তোমার ইচ্ছে পূরন করবোনা সেটাকি হয়?রুহী রোয়েনের দিকে তাকায়।রোয়েন হেসে প্রনয় খানের বুকে ইচ্ছমতো শুট করতে থাকে।প্রনয় খানের বুক ঝাঁঝরা হয়ে গেছে।এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে আনিলা বেগম পালিয়ে যেতে চান।রুপন্তী হঠাৎ করে এসে ওনার বুকে দাঁ দিয়ে আঘাত করেন এটা বড় খালাকে মারার জন্য।রুপন্তী আমি তোর মা বলে উঠেন আনিলা বেগম।মা!!!ছিহ তুই মা না কাল নাগিনী তুই বলে আবারো আঘাত করে দাঁ দিয়ে আনিলার বুকে।
এটা আমার আপির জন্য।এতো কষ্ট দিয়েছিস তাকে।আবার ও আঘাত করে রুপন্তী,এটা বাবার জন্য।মিথ্যে বিয়েতে ফাঁসিয়েছিস।আনিলা বেগম প্রনয় খান দুজনেই মারা যান।সবাই এক সাথে হয়।রাসেল আজিজ রায়হানলর কাছে আসে, স্যার সেদিন যা করেছিলাম মাফ করে দিবেন।ঐদিন এগুলো না বললে এই লোক আমার ফেমিলি ধ্বংস করে দিতো।তার আগের দিন রাত রোয়েন স্যারকে আমি কল দেই।জানাই পর দিন কি করতে যাচ্ছি আমি।বলে উঠে রাসেল।আজিজ রায়হান ইটস ওকে,সরি বলতে হবেনা রাসেল।সবাই ভীষন খুশি।একসাথেই সময় কাঁটাতে থাকে তারা।আরো চারটা মাস পার হয়।
চলবে