শালুক ফুলের লাজ নাই

শালুক ফুলের লাজ নাই !! Part- 10

সারারাত ধরে শালুক চটপট করে কাটিয়েছে।কি হচ্ছে ধ্রুবর রুমে,কে জানে!ধ্রুবর কি ভীষণ কষ্ট হচ্ছে?
আজ আর শালুককে সকাল বেলায় ডেকে হয়রান হতে হয় নি কারো।
শালুক নিজেই উঠে গেছে সাত সকালে।
ধ্রুব বের হলো একটা হলুদ টি-শার্ট পরে।শালুকের সাথে ধ্রুবর দেখা হলো সকালে নাশতার টেবিলে। বিপরীত চেয়ারে বসে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করলো ধ্রুবকে।
হাসনা বেগম চা দিতে দিতে ধ্রুবকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, “এ কি অবস্থা তোর ধ্রুব?এসব কি?”
ধ্রুব ঘাড় চুলকে জবাব দিলো, “কি জানি চাচী,বুঝতেছি না।সারারাত এতো পিপড়া কামড়েছে কেনো জানি।”
শালুক দেখলো ধ্রুবর সারা শরীর লাল হয়ে গেছে পিপড়ার কামড়ে।দুচোখ দিয়ে আপনাতেই জল চলে এলো।
আদনান আর আশা ও এসে যোগ দিয়েছে নাশতার টেবিলে।
শালুকের চোখে পানি দেখে আদনান বললো, “কি রে,ফেলটুস।কাঁদছিস কেনো?”
শালুক দ্রুত চোখ মুছে নিলো।ধ্রুব এক নজর সেদিকে তাকিয়ে আবারও খেতে লাগলো।
আশা হেসে বললো, “শালুক,তোমাকে কেমন মনমরা লাগছে আজকে।”
শালুক জবাব দিলো না। তার আগেই আদনান হাসতে হাসতে বললো, “গিয়ে দেখো,কোনো পরীক্ষায় ফেইল করে বসে আছে। ওর পিছনে অযথা টাকা পয়সা ওয়েস্ট করা হচ্ছে। গাধা দিয়ে তো আর হালচাষ হয় না।ওরে দিয়েও আর পড়ালেখা হবে না।তুমি আমাদের আকিফকে আসার পর থেকে দেখেছো শালুকের মতো করতে?দুজনেই সেইম ক্লাসে পড়ে। আকিফকে তো পড়ার টেবিল থেকে নড়ানোই যায় না।আর শালুককে দেখো,যেখানে যাবে সেখানেই দেখবে শালুক হাজির নিজের এই বোঁচা নাক নিয়ে। ”
শালুক শক্ত হয়ে বসে রইলো। ধ্রুব বিরক্ত হয়ে আদনানের দিকে তাকালো। আদনান ধ্রুবর সেই দৃষ্টিকে পাত্তা দিলো না। বরং আশার সামনে কিছু বলতে পেরে খুশি হলো।
শালুকের এসব কিছুই কানে গেলো না।সে ভাবছে ধ্রুবর কথা।ধ্রুবর তো গতকাল এমনিতে মন খারাপ ছিলো। মনের কষ্টে হয়তো শরীরের এই কষ্টকে সে পাত্তা দেয় নি।
কেনো এমন একটা কাজ করলো শালুক!
এতো বোকা কেনো সে?
ভেবে পেলো না শালুক।
হাসনা এসে জিজ্ঞেস করলো, “বসে আছিস যে,স্কুলে যেতে হবে না?”
শালুক জবাব দেয়ার আগে আবারও আদনান বললো, “ওর আর স্কুলে গিয়ে কি লাভ চাচী!এরকম নিরেট গাধা কি আর এই দেশে আছে?
ওর মাথা সিটিস্ক্যান করে দেখা দরকার এই মাথায় আসলে কি আছে?
ও পড়ে কি হবে আর?পড়ালেখা বন্ধ করে মতির মায়ের সাথে কাজে লাগিয়ে দাও।”
ধ্রুবর প্রচন্ড রাগ হলো এসব শুনে।তবে শালুকের সামনে কিছু বললো না।শালুক এবার ভীষণ কষ্ট পেলো।এই লোকটা যখন তখন শালুককে ক্রিটিসাইজ করে কথা বলে। সব সময় সব দুষ্টুমি, মশকরা মানুষের হজম হয় না।যখন মন বিক্ষিপ্ত থাকে তখন এসব কথা গায়ে ভীষণ লাগে।
শালুকের ও লাগলো ভীষণ।আদনানের জন্য যেই অনুভূতি আগে হতো তার ছিটেফোঁটাও এখন আর মনে নেই।বরং আদনানকে শালুকের ভীষণ স্বার্থপর মনে হয়। সেদিন আফিফাকে কিভাবে ধমকেছে শালুক তা দেখেছে।
লেখাপড়ার জন্য ধ্রুব ও তো তাকে বকাঝকা করে, তা তো কখনো এমন হয় না যে শালুকের মনে আঘাত লাগে।
উঠে দাঁড়িয়ে শালুক আদনানকে বললো, “আমার মাথায় কি আছে সেটা নিয়ে না ভেবে নিজের কুৎসিত মনটাকে আগে পরিষ্কার করো।”
ধ্রুবর ভীষণ ভালো লাগলো শালুকের এই প্রতিবাদ। মাথা নিচু করে ধ্রুব মুচকি হাসতে লাগলো।
বাহিরে অন্ধকার হয়ে এসেছে। বৃষ্টি হবে যেকোনো মুহুর্তে।শালুক উপরে চলে গেলো।
আশা হেসে বললো, “ছোটদের সাথে আন্তরিক ব্যবহার করতে হয় আদনান। তোমার মধ্যে আমি সেই আন্তরিকতা দেখি নি কখনো। ওদের কে ভালোবেসে বুঝিয়ে কথা বলতে হয়।তুমি সবসময় শালুককে হার্ট করে কথা বলো। ধ্রুব ও কিন্তু শালুকের ব্যাপারে কনসার্নড।ইভেন সেদিন স্কুলে গিয়ে টিচারদের ও রিকুয়েস্ট করে এসেছে শালুককে যেনো একটু স্পেশাল কেয়ার নেওয়া হয়।
তুমি কেনো এমন বিহেভ করো আদনান? ”
আদনান জবাব দিতে পারলো না। কিছুটা রুষ্ট হলো আশার কথায়। সারাক্ষণ আশা ধ্রুবর প্রশংসা করে আদনানের তা সহ্য হলো না।
শালুক ঝড়ের বেগে উপরে গিয়ে স্কুল ড্রেস পরে ব্যাগ নিয়ে নেমে এলো। কোনোদিকে না তাকিয়ে হনহন করে বের হয়ে গেলো। টিফিনের টাকাও আজকে নিলো না শালুক।
ধ্রুব চেয়ার থেকে উঠে শালুককে ডাকলো কিন্তু শালুক দাঁড়ালো না।
আদনানের দিকে তাকিয়ে ধ্রুব বললো, “কথা বলার সময় ভেবে বলিও।শালুককে নিয়ে এরকম ফাজলামি যখন তখন করো না।সুন্দর করে কথা বলতে না পারলে তোমার কথা বলার দরকার নেই শালুকের সাথে।”
ধ্রুব দ্রুত উপরে গেলো।নিজের রুমে গিয়ে ছাতা নিয়ে বের হয়ে আসতেই আশা পথ আটকালো ধ্রুবর।জিজ্ঞেস করলো, “কোথায় যাবে?আমি ও যাবো চলো।”
ধ্রুব উদ্বিগ্ন স্বরে বললো, “শালুককে ছাতা দিয়ে আসতে হবে।বৃষ্টির পানিতে শালুকের এলার্জি আছে। যেকোনো সময় বৃষ্টি নামবে।”
ধ্রুব না দাঁড়িয়ে বের হয়ে গেলো, ধ্রুবর পিছু পিছু আশাও বের হয়ে গেলো। আদনান বসে বসে আশার ছুটে যাওয়া দেখলো।
আকাশ আরো অন্ধকার হয়ে আসছে।কেমন গুড়গুড় শব্দ হচ্ছে। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে ঘনঘন। আশাকে ফেলে ধ্রুব ছুটে গেলো। শালুককে থামাতে হবে যেকোনো মূল্যে।
মেঘের ডাককে শালুক প্রচন্ড ভয় পায়। সেই ছোট বেলা থেকেই।একা থাকলে শালুক মারাত্মক ভয় পেতে পারে ভেবে ধ্রুব দৌড়াতে লাগলো। রাগের মাথায় হয়তো শালুক বৃষ্টিতে ভিজবে।
শালুক রেগে গিয়ে দ্রুত হাটছে,ধ্রুব দৌড়ে এসে শালুকের মাথায় ছাতা ধরতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো।
আল্লাহকে কৃতজ্ঞতা জানালো ধ্রুব বৃষ্টি এই মুহুর্তে দেয়ায়।আর এক মুহুর্ত আগে হলেও শালুক ভিজে যেতো।
বৃষ্টি বেশ জোরেশোরে হচ্ছে দেখে ধ্রুব শালুকের হাত ধরে একটা বন্ধ দোকানের সামনে নিয়ে দাঁড়ালো। অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য ছাতা খুলে শালুকের সামনে দিয়ে রাখলো যাতে সামনের দিক থেকে বৃষ্টির ছিঁটেফোঁটা না আসে শালুকের গায়ে।
ভিজতে ভিজতে আশা এগিয়ে এলো। আশার ভীষণ ভালো লাগছে ভিজতে।ধ্রুবকে ডেকে আশা বললো, “ভিজবে ধ্রুব?আসো।”
ধ্রুব হেসে বললো, “এখন না আশা।শালুক ভয় পেতে পারে। ”
হঠাৎ করেই বিকট শব্দে মেঘ ডাকলো,শালুক ভয়ে কুঁকড়ে গেলো। ধ্রুব শালুকের হাত শক্ত করে চেপে ধরে বললো, ” শালুক শোন কি হয়েছে একবার।আমাদের ভার্সিটির একটা গল্প বলি তোকে।”
শালুকের হঠাৎ করেই হাসি পেলো। মাথামোটা শালুক কিছু না বুঝলেও এটুকু বুঝে গেলো ধ্রুব ভাই আসলে গল্পটা বলতে চাইছে শালুক যেনো মেঘের গর্জনের ব্যাপারটা ভুলে যায়।
যার সাথে কথা বলতে গেলেও বিরক্ত হয়ে যায় সে কি-না এখন নিজ থেকেই শালুকের সাথে কথা বলছে অনবরত, শালুক ভয় পাচ্ছে দেখে দুই হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে।
একটা মানুষ তার ব্যাপারে এতো কিছু ভাবে অথচ সে কি-না তাকে এভাবে কষ্ট দিলো?
কিভাবে পারলো শালুক এরকম করতে?
ধ্রুব বললো, “আচ্ছা তোকে একটা কৌতুক বলি শোন।রেলওয়েতে ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবাই একটু বাজিয়ে নিতে চাইলেন।
: ধরো, একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। কী করবে তুমি?
– ট্রেন থামাতে লাল নিশান ওড়াব।
: যদি রাত হয়?
– লাল আলো দেখাব।
: লাল আলো যদি না থাকে?
– তা হলে আমার বোনকে ডাকব।
: বোনকে! কেন?
– ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট দেখবে!”
আশা হেসে উঠলো শব্দ করে, শালুক মুচকি হাসলো।
ধ্রুব কিছুক্ষণ পর শালুককে বললো, “শালুক,লেখাপড়া ব্যাপারটা এমন কঠিন কিছু না।মানুষ চাইলেও পারে কিন্তু।মানুষের চেষ্টার কাছে অসাধ্য কিছু নেই।মানুষকে এজন্যই তো আশরাফুল মাখলুকাত বলা হয় শালুক।সৃষ্টির সেরা জীব।তবে তুই কেনো এতো অবহেলা করছিস বল?
লেখাপড়া শুধু নিজের জন্য হয়।সব কিছু সবাইকে দেওয়া যায়,মানুষ ছিনিয়ে নিতে পারে। পারে না শুধু কারো জ্ঞানকে ছিনিয়ে নিতে। তুই তো এমন ছিলি না শালুক।ছোট বেলায় আমার হাত ধরেই তোর পড়ালেখায় হাতেখড়ি হয়েছিল। তবে কেনো দিনেদিনে লেখাপড়ার ব্যাপারে এতো উদাসীন হয়ে যাচ্ছিস তুই?
তোর না স্বপ্ন ছিলো শালুক টিচার হবি।সেই স্বপ্ন নিয়ে একবার ভেবে দেখ।নিজেকে নিজে জিজ্ঞেস কর কেনো এমন করছিস।এখনো সময় আছে শালুক।বাকী জীবন পড়ে আছে সামনে। ”
শালুক কিছু বললো না। আসলে ও শালুক জানে না ঠিক কিভাবে কিভাবে সে লেখাপড়ায় এতো পিছিয়ে পড়েছে। কেনো এতো অবহেলা পড়ালেখার ব্যাপারে তার!
হুট করেই শালুক সিদ্ধান্ত নিলো তাকে পড়তে হবে।বেশ ভালো করে পড়তে হবে।যাতে কেউ তাকে লজ্জা দিয়ে কথা বলতে না পারে।
মুহুর্তেই শালুকের মন ভালো হয়ে গেলো। সব কিছু ভালো লাগতে শুরু করলো। এই যে একটু দূরে আশা দাঁড়িয়ে আছে, আশাকে ও এখন শালুকের ভীষণ ভালো লাগছে।
ধ্রুব ভাইকে ভীষণ ভীষণ ভালো লাগছে।
এই যে এখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে তাও ভালো লাগছে শালুকের।
বৃষ্টি একটু কমতেই শালুক ছাতা নিয়ে স্কুলের দিকে গেলো। ধ্রুব আর আশা বাড়ির দিকে পা বাড়ালো।
কিছু দূর যাওয়ার পর আশা বললো, “ধ্রুব,শালুককে ভীষণ ভালোবাসো তুমি, না?”
ধ্রুব চমকালো ভীষণ। শালুক তার মনের মনিকোঠায় লুকিয়ে রাখা ভালোবাসার একমাত্র বোকা ফুলের নাম।যার কথা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না,কেউ বুঝে নি।যাকে সন্তর্পণে ধ্রুব লুকিয়ে রেখেছে নিজের মনে।
আশার প্রশ্নের জবাবে হেসে ফেললো ধ্রুব।তারপর বললো, “না তো,তেমন কোনো ব্যাপার না।”
আশা হাসলো।তারপর বললো, “আমি সাইকোলজি নিয়ে পড়ছি ধ্রুব।মানুষের মন খুব ভালো করে না পড়তে পারলে ও তোমার মনটা কিছুটা পড়তে পেরেছি। আমার মনে হচ্ছে আমি ভুল না।তুমি অস্বীকার করতে চাইলে করতে পারো।তবে আমি ৯৯.৯% শিওর।তোমার মনে শালুকের জন্য একটা সফট কর্ণার আছে।
তুমি শালুককে প্রচন্ডরকম ভালোবাসো যেমন, তেমন নিজের ভালোবাসাকে ভীষণ সতর্কতার সাথে চেপে রেখেছ নিজের মধ্যে। তোমাকে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে ধ্রুব।
তুমি আমার ফ্রেন্ড হবে?”
ধ্রুব হাসলো।হঠাৎ করে ভীষণ গম্ভীর স্বভাবের ধ্রুবর মনে হলো, কারো সাথে নিজের মনের কথাটা শেয়ার করে হালকা হওয়া দরকার। আশা অবশ্যই ভীষণ ভালো মেয়ে।তার সাথে শেয়ার করাই যায়,বিশেষ করে আশা যখন বুঝে গেছে ব্যাপারটা।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির জল হাতের মুঠোয় নিয়ে ধ্রুব বললো, “শালুককে আমি ভীষণ ভালোবাসি।ভীষণ মানে ভীষণ রকম। ঠিক যেমন করে ঝিনুক ভালোবেসে নিজের বুকের মধ্যে মুক্তোকে লুকিয়ে রাখে।তেমনই আমি ও মনের গোপনে শালুককে লুকিয়ে রেখেছি ভালোবেসে।”
আশা মুচকি হেসে বললো, “শালুক ভীষণ লাকি গার্ল।তাকে এরকম করে কেউ ভালোবাসে অথচ সে বুঝতেও পারছে না সেটা। ”
ধ্রুব বললো, “তুমি ও তো কম লাকি নও আশা।আদনান ভাইয়ের মতো একজন মানুষ পেয়েছ,আদনান ভাই ও তো তোমাকে অনেক ভালোবাসে।”
শুনে আশা হাসলো ভীষণ। তারপর বললো, “তোমার চোখে শালুকের জন্য যেমন ভালোবাসা প্রকাশ পায়,আদনানের চোখে আমি এখনো সেটা দেখি নি।যেদিন দেখবো সেদিন আমি নিজেই বলবো আমি ও লাকি।”
আদনান অস্থির হয়ে অপেক্ষা করছে আশা আর ধ্রুব ফিরে আসার। দুজন ভিজে বাড়ি ফিরলো অনেকক্ষণ পরে।আদনান দরজায় দাঁড়িয়ে দেখলো দুজন হেসে হেসে কথা বলছে।বৃষ্টিতে ভেজার কারণে আশার গায়ের সাথে ওর ফতুয়া লেপ্টে আছে।আশাকে ভীষণ কামনীয় লাগছে।
আদনানের ভীষণ রাগ লাগলো। ধ্রুব কি আশার প্রেমে পড়ে গেছে? আশা যে ধ্রুবর প্রেমে পড়েছে তা আদনান বুঝে গেছে।
যে করেই হোক ধ্রুবকে পথ থেকে সরাতে হবে।
আশা এসে আদনানকে হালকা একটা হাগ দিয়ে বললো, “দারুণ মজা লেগেছে আজকে জানো।এরকম বৃষ্টি তো আগে দেখি নি। ভীষণ এনজয় করেছি।”
আদনানের ইচ্ছে করলো একবার বলতে,”পুরুষ মানুষের সাথে রংঢং করেছিস বৃষ্টির মধ্যে, এনজয় তো করবি।”
কিন্তু বললো না। আশাকে এসব কিছু বলে হাতছাড়া করতে চায় না আদনান।
চলবে……
রাজিয়া রহমান