বউ রাণী

বউ রাণী ! পর্ব–০৪

আরে তুমি তোমার শ্বশুড়কে এমন ভাবে
পানিতে
চোবাচ্ছো কেন? ওনার নিশ্বাষ নিতে
কষ্ট হচ্ছে
তো? ওনি মরে যাবে তো? (আম্মু)
(সোনালীকে আম্মু অনেক গুলা কথা
জিজ্ঞেস
করেছে তার কোন উত্তর দেয়নি। বরং
সোনালী আব্বুকে চোবাচ্ছে আর উঠাচ্ছে)
আমি:- সোনালী তুমি কি করছো ছারো
বলে
ছারিয়ে ঠাস করে একটা থাপ্পর দিয়ে
ওকে টেনে
উপরে তুলে নিলাম। সোনালী গালে হাত
দিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে, আর কান্না করতেছে।
আব্বু:- সোহরাব ওকে মারতে গেলি কেন
এমনিতে মেয়েটা ভয় পেয়ে গেছে।
আমি:- আপনার সাথে কেমন একটা খারাপ
কাজ করছে
তাও আপনি ওর সাপুট করেন।
আব্বু:- ও বুঝতে পারেনি।
আমি:- আব্বু কত দিন বুঝবেনা বিয়ে হয়ছে
প্রায় এক
বছর হয়ছে এখনো স্বামি সংসার কি কিছুই
বুঝেনা
নিজের মনে যা আসে তাই করে।
সোনালীকে
আরো কিছু কথা বলে আমি দুরে চলে
আসলাম।
এসে কাপর চেন্জ করে আমি ভাবির
সাথে কথা
বলতেছি এমন সময় আব্বুকে সাথে করে
আমার
কাছে এসেছে সোনালী।
সোনালী:- আমাকে ক্ষমা করে দেন আর
এমনটা
করবো এই কান ধরেছি এই উঠ বস করতেছি
আপনি
আমার সাথে কথা বলেন।
আমি:- তোমার সাথে আমি আর কোন কথা
বলবোনা তুমি যাও গিয়ে সবার সাথে
বলো আমি
তোমাকে থাপ্পর দিয়েছি।
সোনালী:- আপনি কান ধরে বলেছিলেন
আমাকে
কোন সময় থাপ্পর দিবেন না কিন্ত
আমাকে আপনি
আবার থাপ্পর দিয়েছেন। আব্বাজান
ওনাকে বলেন
না আমার সাথে কথা বলতে।
আব্বু:- সোহরাব দেখ # বউ_রানী কত করে
তোর কাছে ক্ষমা চাচ্ছে তুই ওকে ক্ষমা
করে
দে।
আমি:- ঠিক আছে আজকের মত ক্ষমা করে
দিলাম
আর যদি এমন বোকামি করে তাহলে আমি
ওকে
সোজা ওদের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিব।
সোনালী:- এই জন্য বলছি আমার একটা
বাচ্ছা দরকার
তাহলে আমাকে আর বাড়ীতে পাঠিয়ে
দিতে
পারবেনা।
আমি:- আব্বু দেখছেন এখন কিন্তু আবার শুরু
করেছে এই বার কিন্তু সত্যি ওকে
বাড়ীতে
নিয়ে রেখে আসবো।
আব্বু:- অনেক ঝগড়া হয়ছে তুই এখন ওকে
সাথে
করে নিয়ে কাপর চেন্জ করিয়ে আন তানা
হলে ও
কাপর চেন্জ করবেনা দেক কখন ধরে
বেজা
কাপড় পরে আছে।
আমি:- থাকলে আমার কি?
সোনালী:- আমার কিছু হলে আপনার
কিছুনা তাই
তো তাহলে ঠিক আছে আমিও আজকে
কাপর
চেন্জ করবোনা।
আমি:- না করলে নাই, অনেক হয়ছে তুমি
থাকো
আমি গেলাম। তোমার সাথে থেকে
আমার
জীবনের সব শখ আল্লাদ মাটি হয়ে
যাচ্ছে। আব্বু
অনেক হয়ছে এখন বাসায় চলেন। সোনালীর
দিকে তাকিয়ে দেখি রেগে মেগে
চোখ লাল
করে আছে। সোনালীকে আব্বু অনেক
বুঝিয়ে কাপড় চেন্জ করাতে রাজি
করেছে।
সোনালী:- আব্বাজান আপনি আমাকে
ক্ষমা করে
দিয়েন আসলে আমি ঠিক বুঝতে
পারিনি।
আব্বু:- ঠিক আছে চলো এখন বাসায় যায়,
সকাইকে
সাথে বাসায় চলে আসলাম আমি একটা
কথাও বলিনি
সোনালীর সাথে। আজকে মনে হয়
সোনালী
কষ্ট কি জিনিস তা বুঝতে পারছে।
আম্মু:- সুফিয়া সব রান্না করে রাখছে
সবাই খেয়ে
তারপর রুমে যাবে একে বারে।
আমি:- আমার খিদে নেয় আমি রুমে
গেলাম, খিদা
লাগলে আমি পরে এসে খেয়ে নেব।
সোনালী:- আম্মাজান আমিও খাবোনা
আমার
খেতে ইচ্ছে করছেনা আমি রুমে চলে
যায়।
আম্মু:- মা #বউ_রানী তুমি আমার কথায়
কোন কষ্ট
নিওনা আমি তো তোমার মায়ের মত
তোমাকে
আমি নিজের মেয়ে মনে করি। এখন তুমি
না
খেলে আমার খারাপ লাগবে।
সোনালী:- আম্মাজান আমি রাগ করে
বলছিনা আর
আপনি অনেক ভালো আমার মা এমন ভাবে
আমাকে
সাশন করে। আমার খিদা লাগলে আমি
পরে এসে
খেয়ে নেব।
আমি:- আম্মু বাদ দাও যার খেতে মন
চাইনা তাকে এত
সাদার কি আছে, আমি এখন খাবো
আমাকে খেতে
দাও। আমার এমন কথা শোনে সোনালী
আমার
দিকে তাকিয়ে উপরে চলে গেছে।
আব্বু:- সোহরাব হঠাত করে তোর কি হলো
কেন এমন করতেছিস মেয়েটার সাথে?
আমি:- যে যেমন তার সাথে এমনটা করা
উচিত। এখন
আমি উঠলাম খেতে ইচ্ছে করছেনা বলে
চলে
আসতেছি,,
আম্মু:- কিরে এই না বলছিস খাবার খাবি
এখুনি ওঠে
যেতেছিস?
আমি:- (সোনালী খায়নি আমি খাবো কি
করে)
খেতে মন চাচ্ছেনা বলে চলে আসলাম
রুমে
এসে দেখি সোনালী খাঠের উপর শুয়ে
কান্না
করতেছে। আমি কিছু বলিনি চাদর আর
বালিঁশ নিয়ে
নিচে ফ্লোরে শুয়ে পরেছি।
সোনালী:- আজকে আপনি নিচে ঘুমাবেন
তাহলে
আমি কার বুকের উপর মাথা রেখে
ঘুমাবো?
আমি:- জানিনা তোমার যা মন চাই তা
করো?
সোনালী:- ঠিক আছে আমিও তাহলে
নিচে
ঘুমাবো বলে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে
শুয়ে
পরেছে।
আমি:- সোনালী ছারো আমাকে আর
তোমার
শরীল এত গরম কেন?
সোনালী:- আপনাকে ছারতে পারবোনা
ভাবি
বলেছে যতদিন বাজবো ততদিন আপনার
বুকের
উপর মাথা রেখে আপনাকে আন্জাদা থুক্কু
জড়িয়ে
ধরে ঘুমাতে।
আমি:- তুমি এইটা কি করেছো থু থু দিলে
কেন?
সোনালী:- এই রে ভূল হয়ে গেছে আমাকে
ক্ষমা করে দেন।
আমি:- ঠিক আছে আজকের মত করলাম এমন
বোকা
কাজ আর কথা বলবেনা কাওকে মনে
থাকবে?
সোনালী:- হ্যা থাকবে আমি আপনাকে
আদর করি?
আমি:- করো আচ্ছা তোমার শরীল এত গরম
কেন দেখি আরে তোমার তো জ্বর এসে
গেছে দেখি চলো সোনালীকে কোলে
নিয়ে খাঠের উপর শুয়ে দিলাম। সোনালী
তুমি
থাকো আমি কিছু খাবার নিয়ে আসি
খেয়ে তারপর
ঔষু্ধ খেয়ে নিবে।
সোনালী:- আমাকে কোলে নিয়ে নিচে
যান
আমি নিচে বমে খাবো।
আমি:- ঠিক আছে চলো সোনালীকে
কোলে
করে নিয়ে ওর কপালে কিসস করেছি
এমনি
সোনালীর মুখে সেই হাসিটা ফিরে
এসেছে।
সোনালীকে কোলে নিয়ে নিচে
নামতেছি
চেয়ে দেখি সব লাইট বন্ধ শুধু বাহিরের
লাইট দিয়ে
ভীতরে একটু আলো আসতেছে।
সোনালী:- লাইট গুলো জ্বালিয়ে দেন।
আমি:- না থাক সবাই সজাগ হয়ে যাবে,
সোনালীকে
টেবিলে বসিয়ে আমা মোবাইলের ফ্লাস
দিয়ে
খাবার নিয়ে এসে সোনালীকে খায়িয়ে
দিতেছি।
সোনালী:- আপনি আমাকে রেখে খেয়ে
ফেলছেন আমাকে আপনি একটুও মায়া
করেন না?
আমি:- সোনালী আমি তোমাকে অনেক
ভালোবাসি তোমাকে রেখে আমি কি
করে
খাবো বলো?
সোনালী:- তাহলে আমাকে শুধু খেতে
দিতেছেন আপনি তো কিছু খেতেছেন না
দেন
আমি আপনাকে খায়িয়ে দেয়।
আমি:- তুমি আমাকে খায়িয়ে দিবে ঠিক
আছে দাও।
সোনালী আমাকে খায়িয়ে দিতেছে আর
আমি
সোনালীকে তখনি সব লাইট জ্বলে গেছে
চেয়ে দেখি সবাই হাসা হাসি
করতেছে।
ভাবি:- বউকে এত রাগ দেখিয়ে কি লাব
হলো
সেইতু নিজের হাতে খায়িয়ে দিতে
হলো। আমরাও
কেও কিছু খায়নি আমাদের সবাইকে
রেখে
তোমরা দুজনে খেয়ে নিতেছো?
আমি:- কি তোমরা কেও কিছু খাওনি?
ভাইয়া:- তুই না খেয়ে চলে গেছিস
তাহলে আমরা
খাবো কি করে আর আব্বু তো ওনার
#বউ_রানী
না খেয়ে চলে গেছে তাই ওনিও না
খেয়ে
চলে গেছে।
আমি:- ঠিক আছে সবাই কাছে সরি আমার
জন্য সব কিছু
হয়ছে। সবাইকে সাথে নিয়ে খাবার শেষ
করে
সোনালীকে ঔষুধ খায়িয়ে দিলাম।
সোনালী
রুমে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,,
সোনালী:- রোমান্স করবেন আমার
রোমান্স
করতে মন চাচ্ছে।
আমি:- তাহলে তো রোমান্স করতে হয় যা
হবারর
হবে আজকে রোমান্স করতে হবে তবে এখন
তোমার শরীল খারাপ এখন ঘুমিয়ে পরো।
সোনালী এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে
বলে,,
সোনালী:- আচ্ছা রোমান্স কিভাবে করে?
আমি:- এই যে তুমি আমার বুকের উপর ঘুমাও
এইটা
রোমান্স।
সোনালী:- তাহলে ঠিক আছে উম্মা এখন
ঘুমায়
কেমন।
আমি:- হ্য্ ঘুমাও, দুজনে দুষ্টুমি করতে
করতে কখন
ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেয়। সকালে ঘুম
থেকে
উঠে দেখি সোনালী আমার মুখের উপর ওর
চুলের পানি দিয়ে রাখছে। আরে তুমি
কি করছো
এমন করতেছো কেন?
সোনালী:- আমি একটা ছবিতে দেখছি বউ
তার
বরের সকালের ঘুম এভাবে ভাঙায়।
আমি:- তাহলে ঠিক আছে এখন উঠি অফিস
যেতে
হবে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে
আসলাম।
চেয়ে দেখি সোনালী আম্মুর সাথে
রান্না
করতেছে বাহা সোনালী দেখি এখন
কিছুটা
পরিবর্তন হয়ছে।
ভাবি:- সোহরাব আজকে রাত বারোটা
তোমাদের
বিয়ের এক বছর পরুন হবে।
আমি:- আচ্ছা ভাবি সোনালীকে কি
দেওয়া যায়।
ভাবি:- একটা ফুলের তোরা আর একটা
নেকলেছ
দামি দেখে কিনে আনবে আজকে কিন্তু
সোনালী আগের মত কথা বাত্রা কিছু
বলছেনা।
আমি:- হ্যা কেমন একটা পরিবর্তন হয়ছে,
আচ্ছা ঠিক
আছে তাহলে আমি তাই করবো। সোনালী
তুমি
একটু এদিকে আসবে, আমি অফিসে চলে
যেতেছি।
সোনালী:- হ্যা আসতেছি আপনি একটু
গিয়ে বাইকটা
বের করেন।
আমি:- (আজকে কিস করবেনা নাকি এতটা
পরিবর্তন
তো আমি চাইনি যে আমাকে কিস
করবেনা অফিসে
যাওয়ার সময়! মনে মনে কথাটা ভেবে
ভেবে
বাহিরে এসেছি) বাইকটা বের করবো
তখনি
সোনালী আমার কাছে এসে আমার
কপালে গালে
কিস করে বলে,,
সোনালী:- আই লাভ ইউ হানি, এখন থেকে
আমি
আর আপনি যা করবো তা কাওকে
দেখাবোনা আর
বলবোনা কেমন।(হঠাত করে সোনালীর
কি
হলো ওর শরীল ঠিক আছে তো)
আমি:- সোনালী তোমার শরীল ভালো
আছে
তো নাকি এখনো ঠিক হয়নি বলে ওর
কপালে আর
গলায় হাত দিয়ে দেখতেছি।
সোনালী:- হ্যা ঠিক আছে আম্মাজান
আমাকে সবব
কিছু ভালো করে শিখিয়ে দিতেছে
আমি এখন
অনেক ভালো রান্না করতে পারি আচ্ছা
এখন আমি
যাই।
আমি:- ঠিক আছে সোনালীর কথা শোনে
আমি
পুরাই ফিদা হয়ে গেলাম। মনে কি আনন্দ
লাগছে
আমার #বউ_রানী সব কিছু বুঝতে শিখে
গেছে।
বাইক চালিয়ে অফিসে এসেছি সাড়া
দিনে মাত্র তিনবার
ফোন করেছে সোনালী, আজকে খারার
নিয়েও আসেনি কি হলো ওর। যাক কাজ
গুলা করে
সন্ধায় মার্কেটে গিয়ে একটা দামি
নেকলেছ আর
ফুলের তোরা কিনে বাসায় এসেছি রাত
১১টা দিকে।
নেকলেছ আর ফুলের তোরা লুকিয়ে
রাখছি সবাই
ঘুমিয়ে গেলে এর পরে সোনালীকে দিব।
ভাবি:- সোহরাব তুমি এত দেরি করেছো
কেন যাও
রুমে যাও তারা তারি করে।
আমি:- রুমে যাবো কিন্তু কি হয়ছে?
ভাবি:- গেলে বুঝতে পারবে এখন যাও।
আমি:- হ্যা যেতেছি তারা তারি করে
রুমে গিয়ে
দেখি সাড়া রুম ক্যান্ডি লাইট আর
গোলাপ ফুল দিয়ে
সাজানো কিন্তু রুমে কেও নেয়।
মোনালী
কোথায় আর এই রুমটা সাজিয়েছে কে?
সোনালী:- আগে তো আমি গিয়ে বসে
থাকবো বাসর ঘরে আপনি ঢুকছেন কেন?
আমি:- কিসের বাসর ঘর, আরে সোনালী
তোমাকে তো ধারুন লাগছে কে
সাজিয়েছে
এমন সুন্দর করে?
সোনালী:- আম্মাজান, আপনি বাহিরে
যান আমি
ভীতরে বসে আপনার জন্য অপেক্ষা করবো
তার কিছুক্ষন পর আপনি আসবেন।
আম্মাজান বলছে
আজকে আমাদের বাসর হবে, এখন বের হয়ে
যান
তানা হলে আমি আম্মাজানকে বলবো
আপনি রুমে
আগে এসেছেন।
আমি:- বাসর কি তুমি বুঝতে পারছো?
সোনালী:- একটু পর আমি আজকে আপনাকে
পুরা
মুভি দেখাবো বলে আমাকে ঘর থেকে
বের
করে দিয়েছে। আমি সোনালীর কথা
শোনে
একদম অবাক হচ্ছিনা খালি অনেক ভয়
পাচ্ছি রিতিমত।
আল্লাহ যানে আজ রাতে আমাকে
সোনালী
কোন মুভি দেখায়।

চলবে,,,,