প্রেমের পাঁচফোড়ন

তো আমি একদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে দেখলাম সামনে দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যাচ্ছে আমি কি ভয়টা না পেয়েছিলাম

সকাল ১১টা বাজে,,মেহমানে ভর্তি পুরো বাড়ি,আর কেউ আসা বাকি নেই কারণ সবাইকে বলা হইসে ৯টায় চলে আসতে যেখানে এখন ১১টা

“আমাকে একবার তাদের সামনে দিয়ে আসেন,আমি তাদের কাছ থেকে সন্তানের অধিকার চাইবো না শান্ত,আমি শুধু একবার তাদের ছুঁয়ে দেখতে চাই”

অথচ কয়েক মাস আগে যখন সে মোহনগঞ্জ থেকে চলে গিয়েছিলো তখন তারা দুজনেই মনের দিক দিয়ে অচেনা ছিল আর আজ

রুপার পাশে চুপ করে বসে আছে আহানা,শরীর খারাপ করছে তাও মুখে ফুটে বলা বারণ,এসব জানলে শান্ত অনেক চিন্তা করবে তার

শান্ত ডোন্ট ওয়ারি,আমার রক্তের গ্রুপ “এ পজিটিভ” আমি রক্ত দিব আহানাকে,সমস্যা নেই . নওশাদের কথায় শান্তর কিছুটা স্বস্তি হলো,কপাল কুঁচকে

“আফসোস এই দিনটা মাকে দেখাতে পারলাম না” . শান্ত গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো,তখনই নওশাদ কল দিয়ে বললো ওদের বাসার ছাদে

আহানা চুপ করে থেকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো শান্তর দিকে শান্ত টিভি দেখায় মন দিয়ে আছে তার মানে এখন মিথ্যা বললেও

কিছু কিছু মেয়ে জেলাস হতে হতে শেষ হয়ে যাচ্ছে,আহানাকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে যাচ্ছে তারা তবে এই আহানার আর

“ওহ!কতদিনের জন্য যাবেন??” . “৭দিন” . আহানা মুখটা ফ্যাকাসে করে চেয়ার টেনে বসলো,চুপচাপ খেয়ে যাচ্ছে সে শান্ত মুখে খাবার দিয়ে