না চাইলেও তুই আমার !! Part- 21
মিরা আর মিহানকে ওদের মম বরন করে ঘরে নিয়ে যায়।আজ ছুটির দিন বলে অনু আর ওদের পাপা বাড়িতে আছে।মিরা আর মিহান ওদের সাথে গল্প করার পরে মিহান আর মিরাকে ওদের রুমে গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলে ওদের মম। মিরা মিহানের রুমে গিয়ে ঘুরে ঘুরে সব কিছু দেখছে। মিহান বেডে সাথে হেলান দিয়ে মিরাকে বলে।
মিহান : পছন্দ হয়েছে রুম? যদি পছন্দ না হয় তাহলে তোমার মনের মত করে সাজিয়ে নিতে পারো।
মিরা : পছন্দ না হওয়ার কি আছে। তাছাড়া আমার রুমটা পছন্দ হয়েছে।
মিহান : এদিকে একটু শোনো।
মিরা হেঁটে মিহানের পাশে এসে দাঁড়ালে মিহান টান দিয়ে মিরাকে নিজের উপর ফেলে দেয়। হঠাৎ করে এমন হওয়ায় মিরা ভয় পেয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে নিতে বলে।
মিরা : কি হলো এমন করলেন কেনো?
মিহান মিরার চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দিতে দিতে বলে।
মিহান : তেমন কিছু না। শোনো ঢাকা থেকে চাঁদপুর যেতে চার পাঁচ ঘন্টা সময় লাগে। যদি বিকেলে রওনা দেই তাহলে রাত দশটার মধ্যে মিথিদের বাড়ি থাকবো। কিন্তু আমি এত তাড়াতাড়ি যেতে চাচ্ছি না। আমরা রাত দশটার বাসে রওনা দিবো।
মিরা : বাসে কেনো আমাদের তো গাড়ি আছে। আর তাড়াতাড়ি গেলেই বা কি হবে?
মিহান : তুমি আমার চাচাতো ভাই বোনদের চিনো না। ওখানে গেলে তোমাকে আমার কাছে এক মিনিট ঘেঁষতে দেবে না। তাই আমি যেতো দেরি করে যাবো ততো তোমাকে আমার কাছে পাবো। বাসে যাবো কারণ আমি তোমার সাথে প্রেম করতে করতে যাবো তাই।
মিরা মিহানের কথা শুনে হেসে দিয়ে বলে।
মিরা : তা না হয় বুঝলাম কিন্তু আপনার কথা মত তো আমরা রাত তিনটার দিকে চাঁদপুর পৌঁছে যাবো। তখন ওতো রাতে আমরা কি করবো?
মিহান : পদ্মা নদীতে পাড়ে তোমাকে নিয়ে ঘুরবো।পদ্মা নদীর পাড়ে আমার পরিচিত একটা রেস্টুরেন্ট আছে সারারাত খোলা থাকে। সেখানে তোমাকে পদ্মা নদীর তাজা ইলিশ মাছের রেসিপি খাওয়াবো। ভোর তোমার সাথে পদ্মার পাড়ের সকল দেখে তারপর চাচাদের বাড়ি যাবো। বুঝলে এবার কি করবো।
মিরা : বুঝলাম কিন্তু এত কিছুর কি দরকার ছিলো?
মিহান : দরকার ছিলো না মানে? শোনো আমি যা বলছি তাই হবে। না হলে কিন্তু আমি রোমান্টিক মিহান হতে বেশি সময় লাগবে না।
মিরা কিছু বলবে তার আগে অনু এসে বলে।
অনু : তোকে এখন আর রোমান্টিক হতে হবে না। এখন ভাবীকে ছার আমি ভাবীর সাথে গল্প করবো।
মিহান অনুর কথা বলে মিরাকে ভালো করে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে বলে।
মিহান : যা তো এখন পরে যাবে জান।
মিহানের কথা শুনে মিরা তো ভিষন লজ্জায় পরে যায়। মিরা মিহানকে আস্তে করে বলে।
মিরা : মিহান ছাড়ুন।আমি কি আর সাধে আপনাকে পাগল ডাক্তার বলি।আপনার ছোট বোনের সামনে এসব বলতে লজ্জা করে না।
মিরার কথা শুনে অনু বলে।
অনু : ভাবী ও একটা নিলজ্জ মানুষ।ওকে বলেও কিছু হবে না।তুমি চলো আমার সাথে।
এই বলে অনু মিহানের থেকে মিরাকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। আর মিহান একা একা বিড়বিড় করে বলতে থাকে।
মিহান : আমার বোনের যন্ত্রণায় তো বউয়ের সাথে একটু প্রেমো করতে পারবো না।
সারাদিন আনন্দের মধ্যেই কেটে যায়। রাত মিহানের মম জোর করে মিহান আর মিরাকে খাবার খাইয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেয়। বাসে বসে মিহান মিরাকে ওর চাচা আর ফুপিদের সম্পর্কে সব বলে। মিহানের দাদার চার ছেলে মেয়ে দুই ছেলে আর দুই মেয়ে। বড় মিহানের পাপা মানে আকাশ চৌধুরী।তারপর বড় ফুপি তনু চৌধুরী তার স্বামী রায়হান মির্জা বড় ছেলে তানভীর মির্জা, ছোট ছেলে রাফি মির্জা, তানভীরের স্ত্রী রিয়া মির্জা। চাচা আমান চৌধুরী, স্ত্রী আয়েশা চৌধুরী, মেয়ে মিথি চৌধুরী, ছেলে আশিক চৌধুরী। ছোট ফুপি কথা চৌধুরী, স্বামী তামিম খান, মেয়ে ইরা খান, ছেলে নিশান খান।মিহান সব কাজিনদের মধ্যে মিহান বড়। মিহানের দাদা দিদি অনেক আগেই মারা গেছে। মিহানের পাপা ওর মমকে বিয়ে ঢাকায় চলে আসে ব্যবসার জন্য।চাচারাও দাদা দাদি মারা গেলে চাঁদপুরে চলে যায়।পরিবারের কোনো অনুষ্ঠান আর দুই ঈদে ছাড়া তেমন কারো সাথে দেখা হয় না। ঈদে সবাই মিলে মিহানের দাদার বাড়ি ময়মনসিংহ অনেক মজা করে।মিহান কথা বলতে বলতে খেয়াল করে মিরা এক হাত জড়িয়ে ধরে কাদে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে। মিহান একটু হেসে মিরাকে ভালো করে বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়।
মিহান মিরাকে নিয়ে বাস থেকে নেমে প্রথমে রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়।মিহান ইলিশের নানা রকমের রেসিপি অডার করে।মিরা ভালো ভাবে কাটা বাছতে পরে না বলে মিহান মিরাকে কাটা বেছে খাইয়ে দেয়। মিরা শুধু মিহানের দিকে তাকিয়ে থাকে।মিহান ওকে ঠিক কতটা ভালোবাসে তা বুঝতে চায়।খেয়ে হাটতে হাটতে পদ্মার পড়ে যেতে যেতে খেয়াল করে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করে। মিহান মিরাকে নিজের সাথে জড়িয়ে রেখেছে।মিহান মিরার কোমর হাত দিয়ে হাঁটতে থাকে আর কোথায় কি আছে সব দেখাচ্ছে।পদ্মার পাড়ে সকাল উপভোগ করতে থাকে।মিরা মিহানের বুকে মাথা রেখে, মিরার ডান হাত মিহানের হার্টের উপর রেখে নদীর দিকে তাকিয়ে সকালটা উপভোগ করতে থাকে। মিহান মিরার কোমরে হাত দিয়ে আছে। এই মুহুর্তে মিহান নিজের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখি মানুষ মনে হচ্ছে।
সকল আটটার দিকে মিহান মিরাকে নিয়ে ওর চাচা বাড়ি পৌঁছায়।বারান্দা থেকে মিহানের চাচাতো ভাই আশিক দেখে মিহান আর মিরাকে আসতে দেখে এক চিৎকার দিয়ে পুরো বাড়ি মাথায় তুলে ফেলে। আশিকের চিৎকার শুনে সবাই হল রুমে চলে আসে। আশিক কাউকে কিছু না বলে ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দেয়। সবাই মিহান আর মিরাকে দেখে মিরাকে টেনে সবার মাঝে নিয়ে যায়।মিহানকে কেউ পাত্তাই দিচ্ছে না।মিহান গাল ফুলিয়ে সোফার উপর পা উঠিয়ে বসে পরে।
মিথি : ভাবী জানো বড় মমের কাছে তোমার ছবি দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু মম বলেছিল সামনা সামনি দেখিস দেখে চোখ ফেরাতে পারবি না।বড় মম সত্যি বলেছিল।
ইরা : আপু তুই সর তো আমি একটু ভাবীর সাথে কথা বলেনি।
তামিম : ভাবী তোমাকে দেখে তো আমি ক্রাশ খাইছি।
ছেলে মেয়েদের চিৎকার চেঁচামেচির কারনে বড়রা হল রুমে এসে মিহান মিরা এসে গেছে। মিহান ওর চাচিকে দেখে বলে।
মিহান : ছোট মম তোমার বাড়িতে আসতে পারলাম না তার আগেই আমাকে আমার বউয়ের থেকে দূরে করে দিয়েছে তুমি কিছু বলো ওদের।
বড় ফুপি : ঐ তোরা কি শুরু করেছিস। ছেলে মেয়ে দুই আসতে পারলো না তার আগেই তোদের বাঁদরামো শুরু হয়ে গেছে।
ছোট মম : মিরা তুমি এদিকে আসো তো। তোমার বিয়ে করার জন্য আমার ছোট বাবা তো পাগল হয়ে গেছিল। খুব মিষ্টি দেখতে হয়েছে আমার ছোট বাবার বউ।
সবাই মিরার সাথে আরো অনেক কথা বলে।পরে ওদের ব্রেকফাস্ট করিয়ে বিশ্রাম নিতে রুমে পাঠিয়ে দেয়। দুপুরের দিকে মিরা মিহান ঘুম থেকে উঠে সবার সাথে আড্ডা দেয়। সন্ধ্যার পর সবাই রেডি হতে চলে যায়। মিরার জন্য মিহান আগেই হলুদ রঙের লেহেঙ্গা কিনে রেখেছিল হলুদ অনুষ্ঠানের জন্য। মিহান সেটাই মিরাকে পড়তে বলেছে। মিহান রেডি হয়ে আগেই বাগানে চলে আসে যেখানে গায় হলুদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিরা রেডি হয়ে মিথিদের সাথে বাগানে আসে। মিথির বর আর মিথির একসাথে গায় হলুদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হলে মিরা বাড়ির ভিতরে চলে এত লোকজন ভালো লাগছিলো না বলে ভিতরে গিয়ে মিহানের বড় ফুপির সাথে কথা বলতে থাকে। দশটার দিকে মিহান মিরাকে খুঁজতে খুঁজতে বাড়ির ভিতরে এসে দেখে মিরা বড় ফুপির সাথে কথা বলতে।
মিহান : মিরা তুমি এখানে কি করছো অনুষ্ঠান ছেড়ে?
মিরা : এত লোকজন ভালো লাগছিল না তাই চলে এসেছি।
মিহান : আচ্ছা চলো মিথি তোমাকে ডাকছে হলুদ দেবার জন্য।
মিরা : আমি এখানে ফুপির সাথে থাকি প্লিজ।
বড় ফুপি : মিরা একবার গিয়ে হলুদ দিয়ে এসো তারপর তোমাকে আর কেউ জোর করবে না।
মিরা : আচ্ছা ফুপি।
মিহান মিরাকে নিয়ে মিথিকে হলুদ লাগাতে গেলে বাইরে থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ আসছে।অনুষ্ঠানে ঐখানে এসে মিহান ইরাকে জিজ্ঞাসা করে।
মিহান : ইরা ওখানে কি হয়েছে রে?
ইরা : ভাইয়া মিথি আপুর হবু শ্বশুরের গায়ে একজন ভুল করে জুস ফেলে দিয়েছে। তাই নিয়ে রাগারাগি করছে।
মিরা : মিহান আমি একটু ওখানে যেতে চাই।
মিহান : তোমার ওখানে যাওয়ার দরকার নেই।
মিরা : একটা মানুষ ভুল করে গায়ে জুস ফেলছে। এনিয়ে এত রাগারাগির কি আছে। আসুন তো আমার সাথে।
মিরা ঐখানে গিয়ে দেখে মিথির হবু শ্বশুর সবার সাথে রাগারাগি করছে। অনেকে তাকে শান্তো হতে বলছে। মিরা অনেকক্ষণ মিথির হবু শ্বশুরের দিকে তাকিয়ে থেকে হেটে গিয়ে মিথির হবু শ্বশুরের সামনে গিয়ে কিছু না বলে মিথির হবু শ্বশুরের বাম গালে জোরে একটা চিমটি দিয়ে ডান হাত কামড়ে ধরে। মিরার এমন কাজে সবাই চোখ বড় বড় করে মিরার দিকে তাকিয়ে আছে।
মিথির বাবা : বৌমা কি করছো ছাড়ো ওনাকে।
মিথির হবু শ্বশুরি : এই মেয়ে তুমি কি করছো ছাড়ো ওকে।
মিহান : তুমি কি করছো ওনাকে কামড়াছো কেনো? ছাড়ো ওনাকে।
মিরা হাত ছেড়ে দিয়ে মিথির হবু শ্বশুরের দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলে।
মিরা : রাগ কমছে না আর একটা দিতে হবে?
মিথির হবু শ্বশুর মিরার দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে বলে।
মিথির হবু শ্বশুর : ছোট মা!
মিরা মিষ্টি হাসি দিয়ে মাথা নেড়ে হ্যা বলে। মিথির শ্বশুর মিরাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলে।
মিথির হবু শ্বশুর : আমার ছোট মা কত বড় হয়ে গেছে। তুই কেমন আছিস? ভাইয়া কেমন আছে? তোদের কি আমাদের কথা একবারও মনে পড়ে না।
মিরা মজা করে বলে।
মিরা : পিচ্চি মামা নবীন মামা বোকা মামা পিচ্চিদের মত খালি কান্না করে। কান্না থামাও নাইলে আমি সবাইকে বলে দিবো তুমি নানুর আচারের বোয়ম ভাঙ্গাছিলে বলে তোমাকে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছিল।
মিথির হবু শ্বশুর মিরাকে ছেড়ে দিয়ে বলে।
মিথির হবু শ্বশুর : ঐ আমি পিচ্চি না তুই পিচ্চি? আর তুই কি বলবি? সবই তো বলে দিয়েছিস সবার সামনে।
মিরা চারদিকে তাকিয়ে দেখে সবাই অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।
মিহান : মিরা এই তোমার নবীন মামা মানে পিচ্চি মামা।
মিরা : হ্যা এটা তো আমার পিচ্চি বাবু। মামা মিথির হবু বর তোমার ছেলে?
মামা : হ্যা।
মিরা : মামা তুমি তো বড্ড খারাপ মানুষ। তোমার গার্লফ্রেন্ড গুলোর সাথে মিট করতে গেলে আমাকে নিয়ে যেতে আর আমাকে ছাড়াই বিয়েটা করে ফেললে। আচ্ছা যাই হোক করছো করছো তোমার কয় নাম্বার গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ে করছো গো। আমি তো লাস্ট গার্লফ্রেন্ড নিহা কে দেখে গেছিলাম তারপর কে কে ছিলো আমি জানি না। কিন্তু মামা তোমার ঐ গার্লফ্রেন্ড টা ছিলো না কি জানি নাম? ও হ্যা মনে পড়ছে বৃষ্টি সে তোমাকে খুব ভালোবাসতো খুব সুন্দরও ছিলো দেখতে।
মামা : ঐ তুই কি আমার কখনো পিছনে লাগা ছাড়বি না।এত বছর পর দেখা হয়েছে আগে আমি কেমন আছি জানতে চাইবি তা না প্রতিবারের মত আমার ভান্ডা ফাটানো লাগবেই তো। আমি তো বড়ো তার উপরে তোর মামা আমাকে একটু সম্মান দিয়ে কথা বল।
মিরা : তুমিতো আমার পিচ্চি মামা, আমার পিচ্চি বাবু তোমাকে আবার সম্মান দেবো।বেশি কথা বলবা মামির কাছে তোমার কথা ফাস করে দেবো।
মামা আবার কান্না করে বলে।
মামা : জানিস তোর এই গুন্ডামি। আমাকে ব্লাকমেইল করা। আমাকে শাসন করা।তোকে বাইকে নিয়ে ঘোরা, আমার রাগ উঠলে তুই আমাকে বাম গালে চিমটি, ডান হাত কামড়, তুই আমার সাথে রাগ করলে তোকে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে আইসক্রিম, চকলেট কিনে দেওয়া, তোর পুতুল কে আমার সাথে বিয়ে দেওয়া, আমার বুকের উপর উঠে আমার মাথায় জুটি করে দেওয়া।আমি এগুলো সব কিছু মিস করছি।
মিরা হেসে দিয়ে বলে।
মিরা : চিন্তা করো না এখন থেকে তোমাকে সব সময় দৌড়ের উপর রাখবো।
মামা : আসমা,শুভো, নিশু,মিশু তোমাদের আমি আমার ছোট মার কথা বলছিলাম না।এই আমার ছোট মা। মিরা আসমা তোর মামি, শুভ তোর ভাই আর নিশু,মিশু এরা দুজন তোর বোন।
মামি : আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম তোমার মত রাগি মানুষকে কে আবার কামড়ে দিলো?
মামা : ও ছাড়া আমার সাথে এরকম আর কেউ করতে পারে না।
মিরা : মামা তুমি থামো তো।মামি তুমি তো মামার গার্লফ্রেন্ড লিস্টে ছিলে না।তাহলে কি তোমাকে নানা নানু পছন্দ করছে?
মামি : হ্যা।
মিরা : বিয়ের পর মামা তোমাকে তার সম্পর্কে সব বলেছে?
মামি : না তেমন কিছু বলেনি।সব সময় রেগে থাকতো আমিও কিছু জিজ্ঞাসা করার সাহস পেতাম না।
মিরা : দেখছো আমি ছিলাম না দেখে তুমি কিছু জানতে পারোনি।
মামি : কি জানতে পারিনি?
মিরা : মামার কতটা গার্লফ্রেন্ড ছিলো?কে কে ছিলো?তোমাদের বাড়ির ডান পাশে যে বাড়িটা আছে না।জামালের মেয়ে কি জানি নাম ও মামা কি জানি নামটা?
মিশু : কাকুলি আন্টি?
মিরা : হ্যা কাকুলি আন্টি।তার সাথেও মামা পনের দিন প্রেম করেছে।তোমাকে এসব কিছু বলেনি?
মামি মামার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বলে।
মামি : না মা আমি এসব কিছু জানতাম না।
মামা : তুই কি আজ আমার ডিভোর্স টা করিয়েই ছাড়বি?
মিরা : তোমাকে একটু আগে বললাম না তোমাকে এখন থেকে দৌড়ের উপর রাখবো।আর মামি তুমি একদম চিন্তা করো না। আমি মামাকে সোজা করে দেবো। আর মামার গোপন কথা তোমাকে বলে দিবো।
মামা : এসব কথা ছাড় এখন বল বাংলাদেশে কবে এসেছিস? ভাইয়া কেমন আছে? ভাইয়া কি বাংলাদেশে? আর এখানে কি করছিস?
মিরা : মামু বাংলাদেশ এসেছে অনেক দিন হয়েছে। আমি বাংলাদেশ এসেছি দুই সপ্তাহ মত হবে। আর এখানে এসেছি আমার চাচাতো ননদের বিয়ে উপলক্ষে।
মামা অবাক হয়ে বলে।
মামা : তুই বিয়ে করে নিয়েছিস?
মিরা : কাল রাতে মামু জোর করে বিয়ে দিয়েছে মিহানের সাথে।
মামা মন খারাপ করে বলে।
মামা : আমাদের একবার জানালি না পর্যন্ত?
মিরা : ঐ ঐ নিজের বিয়েতে আমাকে জানিয়েছিলে? বিয়ের দাওয়াত ও দেওনি। তাহলে আমি কেনো দেবো? মামু কাল জোর করে বিয়ে দিয়ে বেশ করছে।একে তো নিজের বিয়ের দাওয়াত দেয়নি আবার আসছে আমার বিয়ের দাওয়াত খেতে। পেটুক কোথাকার জানি।
মিরার কথা শুনে বিয়ে বাড়ির সবাই হেসে দেয়।
চলবে… 🍁