হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 20 +21
হ্যালো স্যার কাজ হয়ে গেছে…
গুড কেউ বেচে নেই তো..(আরহান চৌধুরী )
-না স্যার গাড়িটাকে এমন ভাবে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছি যে গাড়ির ভিতর যে থাকুক না কেনো সে আর যাই হোক বাচতে পারবে না….
– গুড জব ,তোরা আজি গা ঢাকা দে পুলিশ কেইস হবে , পুলিশ তোদের যেনো ধরতে না পারে তার আগে অন্য শহরে পালিয়ে যা আর তোদের টাকা তোদের কাছে ঠিক সময়ে পৌছে যাবে…(আরহান চৌধুরী )
– ওকে স্যার…
কল ডিসকানেক্ট করে আরহান চৌধুরী জিতের হাসি হাসতে থাকে ….
হু হা হা হা কি ভেবেছিলে ফারহা এই আরহান চৌধুরী তোমার মতো দু আঙ্গুলের মেয়ের কাছে হেরে যাবে ইমপসেবল কারন এই আরহান চৌধুরী কখনো হারতে শেখেনি ৷ প্রথম বার তোকে মারতে পারি নি তবে দ্বিতীয় বার এই টর্গেট মিস হলো না শেষ ফারহা শেষ৷ আজ হয়তো মেঘ খবর টা শুনে কষ্ট পাবে দুদিন কাদবে ও কিন্তু তারপর সে আগের মেঘ কে আমি ফিরে পাবো আর সে আনন্দে কাল পার্টি হবে যে পার্টিটা তোদের জন্য নষ্ট হয়ে ছিলো কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আমার হাত ছাড়া হয়ে গেলো সব মেঘের বোকামির জন্য,,হা মেঘ মেঘ কোথায়..?? অফিস আওয়ার তো শেষ তাহলে মেঘ কেনো ফিরছে না এখনো..??
আরহান চৌধুরী বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন তখনি নেহাল কে কল করে ….
-হ্যালো নেহাল মেঘ কোথায়..???(আরহান চৌধুরী)
– স্যার ছোট স্যার তো আদঘন্টা আগে বের হয়ে গেলেন কিন্তু স্যার কে দেখে সুস্থ মনে হলো না ,,না মানে কেমন যেনো হেলে দুলে চলছিলো যে কেউ দেখলে বলবে মেঘ স্যার হয়তো নেশ করে অফিসে এসেছে…..(নেহাল)
– ওহহ শিট নেহাল এখুনি মেঘ কে খুজে বের করো সেটা যে ভাবে হোক…(আরহান চৌধুরী )
– ওকে স্যার ….
মেঘ এই অবস্তায় কোথায় যেতে পারে ও সব টা জেনে যায়নি তো .!! নাহ তা কি করে সম্ভব ফারহা কে মারার প্লানিং টা তো মেঘ জানে না তাহলে মেঘ গেলো কোথায়?? …(আরহান চৌধুরী)
!
!
!
!
!
-আর ইউ ওকে ফারহা.?..(আগুন)
– ইয়াহ আ’ম ওকে তুই ঠিক আছিস তো ..?(ফারহা)
– হুম ,তবে আজ তোর সাহস দেখে সত্যি আমি খুব সারপ্রাইজড হয়েছি ফারহা..(আগুন)
***একঘন্টা আগে……………
দুটো ট্রাক দু দিক থেকে আসতে আগুন ফারহা ভয় পেয়ে যায় কিন্তু এই ভয়ের মাঝে ও ফারহা ওর মাথা ঠান্ডা রেখে বলে…..
আগুন কোন কথা না বলে তোর গান টা বের কর …(ফারহা)
ফারহার কথা শুনে বিনা তর্কে আগুন ডেক্স থেকে গান টা বের করে ফারহার হাতে দেয় ফারহা গাড়ি থেকে নেমে সামনে দ্রুত গতিতে ট্রাক টার সামনের চাকায় ফারহা শুট করে সাথে সাথে ট্রাকটা কয়েক টা উল্টি খেয়ে খাদে পরে যায় এটা দেখে পিছুনের ট্রাক টা দ্রুত থেমে যায় লোক টা গাড়ি নিয়ে ব্যাক করতে যাবে ঠিক তখনি ফারহা ওই ট্রাক টার ও একি অবস্তা করে ফারহা সামনের চাকায় সুট করে দিয়ে দৌড়ে ড্রাইবার কে ধরে ফেলে ফারহা…..
– ম্যাডাম আমারে ছাইড়রা দেন আমি কিছু করি নাই…(ড্রাইবার)
– আমি কখন বললাম তুই কিছু করেছিস .! এখন ভালোই ভালো বল কে তোদের পাঠিয়েছে .? নয়লে তোর মাথায় এই গানের একটা বুলেট তোর মাথার এফোর ওফোর করে দিবে এটা কি তুই জানিস..??(ফারহা)
– ম্যা ,,,,ম্যা,,,ম্যাডাম মারবেন না দয়া করে আমি বলছি সব বলছি আর,,,আরহান চৌধুরীর অর্ডারে সব করেছি….(ড্রাইবার)
– ঠিক আছে তোকে আমি ছেড়ে দিবো তবে একটা শর্তে ..!(ফারহা)
– আমি আপনার সব শর্তে রাজি ম্যাডাম কন কি করমু..?(ড্রাইবার)
– আরহান চৌধুরী যেনো কোন ভাবে না জানে যে আমরা বেচে আছি তুই ফোন করে বলবি আমাদের এক্সিডেন্ট হয়ছে আমরা বেচে নেই ৷ মনে থাকবে..??(ফারহা)
– হো ম্যাডাম আপনি যা কইবেন তাই হইবো …(ড্রাইবার)
– ওকে তাহলে যা আর এ শহরে তোকে যেনো না দেখি মনে থাকে যেনো…..
ফারহার থ্রেট শুনে ড্রাইবার দ্রুত গাড়ি নিয়ে চলে যায় আর ফারহা গাড়িতে ফিরে আসে…..
– আগুন দ্রুত তোর বাড়িতে চল এখন আমাদের অনেক কাজ বাকি আছে…
– হ্যা চল …..
****বাড়িতে…………
– হা সাহস , এই সাহস টা যদি ঠিক সময়ে দেখাতাম তাহলে হয়তো আজ আমার বোন টা বেচে থাকতো….(ফারহা)
– পুরনো কথা ভেবে কষ্ট পাশ না ফারহা এখন ভাব কি করে আরহান চৌধুরী কে জানে শেষ করবি..(আগুন)
– কে বললো তোকে আমি আরহান চৌধুরী কে জানে শেষ করবো..??(ফারহা)
– মানে,,কি বলতে চাস তুই …(আগুন)
– হু আরহান চৌধুরী কে জানে শেষ করবো না তবে এমন অবস্তা করবো মরতে ও পারবে না আর না পারবে ভালো করে বাচতে ওর সব প্রোপার্টি অলমোষ্ট আরমান চৌধুরীর কাছে আর বাকি টুকু দিয়ে মার্কেটের ধার পরিশোধ করতে হিমসিম খাবে৷ আর বাকি রইল মেঘ আর মিহু ,মেঘের এমন অবস্তা হবে যে সে বিজনেস কেনো নিজে কে ভুলে যাবে…(ফারহা)
— আর মিহু..???(আগুন)
— মিহু হা হা হা ওর জন্য তো ইস্পেসাল কিছু ভেবে রেখেছি ….(ফারহা)
– বাই দ্যা ওয়ে মেঘ এখন কেমন আছে..?? রাস্তায় যে ভাবে হাট ছিলো আর একটু হলে আমার গাড়ির সাথে এক্সিডেন্ট করতো লাক ভালো ছিলো যে গাড়িতে আমরা ছিলাম(আগুন)
– হু এখন ওসব কথা বলে লাভ নাই এটা মেডেসিনের ইফেক্ট ছিলো ৷ আগুন ওকে নিয়ে আমার আর কোন টেনশন নেই .তবে এখন আমাকে ওর কাছে যেতে হবে লাস্ট মেডেসিন টা দিতে হবে …
ফারহা চলে যেতে আগুন দীর্ঘ শ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করে সোফায় গা এলিয়ে দেয় ……
!
!
!
!
!
মেঘ কোথায় নেহাল..(আরহান চৌধুরী)
স্যার ছোট স্যারের কোন খোজ পাই নি তবে আমাকে একটা মেসেজ করে দিয়ে জানিয়েছে রাতে ফিরবে আপনার ফোন অফ থাকায় আমাকে আপনাকে ইনফ্রম করতে বলা হয়েছে…(নেহাল)
নেহালের কথা শুনে আরহান চৌধুরী এক সস্থির নিশ্বাস ফেলে সারবেন্ট দের পার্টির আয়োজন করতে বলে মিহু কে কল করে….
–হ্যালো মিহু মামুনি তুমি বি ডে কবে আসবে ..??
— ড্যাড আমি কাল ব্যাক করতে পারছি না আরো দুদিন সময় লাগবে এখানে ডিল টা করে তবেই বিডি তে ফিরবো ৷ড্যাড এখন আমার একটা ইমপ্রটেন্ট মিটিং আছে রাখছি পরে কথা হবে …(মিহু)
– ওকে মামুনি নিজের খেয়াল রেখো রাখছি…
মিহু কলটা ডিসকানেক্ট করতে ওর হাত থেকে ফোনটা ছিনিয়ে নেয় আদিল …….
– ওয়াও বেবি তুমি তো খুব ভালো মিথ্যে কথা বলতে পারো ৷ আমিতো যাষ্ট স্পিচলেস হয়ে গেলাম….(আদিল)
– আ,,আদিল প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেও আমি কি অপরাধ করেছি যে আমাকে এভাবে এখানে বেধে টর্চার করছো..???(মিহু)
– অপরাধ হা অপরাধ তুমি করো নি করেছে তোমার বাবা আরহান চৌধুরী তার করা পাপের শাস্তি তো সন্তানকে পেতে হয় এটা নিশ্চয় জানো..??(আদিল)
– তা,,তার মানে ড্যা,,ড্যাড অপরাধ করেছে আর তার শাস্তি তুমি আমাকে দিচ্ছো বাট হোয়াই আদিল হোয়াই..(মিহু)
– যাষ্ট স্যাটআপ মিহু যাষ্ট স্যাটআপ (মুখ চেপে ধরে )কোন কথা না তোমার ড্যাড যা যা করেছে আমার পরিবারের সাথে তা আমি মেনে নি কি করে বলো আর হাত দিয়েছে কোথায় জানো আমার কলিজায় আমার ফারু আপার দিকে তাকে ভেবে আমার ছোট আপা কে খুন করেছে তোমার ড্যাড ৷…..কথাটা বলে একটু দম নিলো আদিল মিহু কে দেখে যেনো ওর রাগ সপ্তমে উঠে যাচ্ছে কিন্তু খুব কষ্ট করে নিজের রাগ টা দমন করছে আদিল যাতে ওর হাত দিয়ে বাজে কিছু না ঘটে…….
– এই সব কি বলছো আদিল আমার ড্যাড খুনি এটা কখনো হতেই পারে না তুমি ভুল করছো প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেও প্লিজ আদিল….( মিহু)
– কি বললি তোর ড্যাড কিছু করে নি তাই না (চুলের মুঠি ধরে)তাহলে এগুলো কি …
আদিল কতো গুলো ছবি মিহুর মুখে ছুড়ে মারে ছবি গুলো সব মাটিতে ছড়িয়ে পরে মিহু খুব ভালো করে খেয়াল করে দেখল প্রত্যেক টা ছবিতে ফারহা কে মৃত অবস্তায় দেখা যাচ্ছে সাথে সাথে শরীলে প্রত্যেকটা আঘাতের চিন্ত স্পষ্ট ….মিহু অবাক হয়ে আদিলের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ তারপর জানতে চাইলো ,,,,,,
– আদিল ফারহা মারা গেছে তাহলে আমাদের বাড়িতে যে আছে সে কে..???(মিহু)
– ভুল তোমাদের এই ভুলের জন্য আজ আমার বোনটা শেষ হয়ে গেলো .তোমার ড্যাড যাকে ফারহা ভেবে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে সে আর কেউ নয় সে ফারহা আপার জমজ বোন ফারিহা …..(আদিল)
– আদিলের মুখে কথাটা শোনা মাত্র মিহুর হাত পা কাপতে থাকে মিহু ভাবতে পারেনি তার ড্যাড এমন কিছু করবে ধর্ষন করে খুন ৷মিহুর কেমন যেনো পুরো গা গুলিয়ে উঠছে আদিল মিহুর অবস্তা দেখে তারা তারি মিহুর হাত পায়ের বাধন খুলে দিয়ে ওয়াসরুমে নিয়ে যায় …………….
ওয়াসরুমের বাইরে দারিয়ে আছে আদিল মিহুর বের হওয়ার অপেক্ষায় …..
– আমি জানি মিহু তুমি আমাকে ভালোবাসো কিন্তু আমার কাছে তুমি শুধুমাত্র একজন খুনির মেয়ে যে কিনা আমার বোন কে খুন করেছো আর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমি ঠিক তোমার ভালোবাসা ইমোশন টাকে কাজে লাগিয়ছি মাত্র ৷ কাল তুমি তোমার ভাই মেঘ চৌধুরী আর তোমার ড্যাড আরহান চৌধুরীর জীবনে এক ভয়ঙ্কর কালো অর্ধায় শুরু হতে চলেছে ………….
কথাটা বলতে বলতে আদিল এক পৌশাচিক হাসি দিলো……
!
!
!
!
!
-ওহ মাই গড মিস্টার চৌধুরী এতো সুন্দর করে পার্টির এরেন্জমেন্ড করেছেন দেখে মনে হচ্ছে কোনো বলিউডের পার্টিতে এসেছি ….(মিস্টার জাফর শেখ)
– যাষ্ট এতোটুকু দেখে আপনার এই অবস্তা মিস্টার শেখ এখনতো পার্টি শুরু হলো না আর তা না দেখে এতো এক্সসাইটেড…(মিস্টার চৌধুরী)
– তা তো হবেই আচ্ছা মিস্টার চৌধুরি মেঘ মিহু কোথায় ওদের তো দেখছি না পার্টিতে …?? এখানে তো সবাই আছে বড় বড় বিজনেসম্যান ফরয়েইনার বাট যাদের থাকার কথা তারা কোথায় মানে আপনার পুত্রবধূ মিসেস চৌধুরী ..???
মিস্টার জাফর শেখের কথা শুনে আরহান চৌধুরী বেশ রেগে গেলেন ইস্পেসালি ফারহার কথা তোলায় তবু ও মিস্টার শেখ কে রাগ না দেখিয়ে কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি লাউড স্পিকারে মিউজিক বেজে উঠলো সাথে সাথে সব গেস্ট রা নিজেদের কান চেপে ধরে দারিয়ে আছে……………….
*
*
*
*
*
#চলবে…….