হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 22
.
মিস্টার জাফর শেখের কথা শুনে আরহান চৌধুরী বেশ রেগে গেলেন ইস্পেসালি ফারহার কথা তোলায় তবু ও মিস্টার শেখ কে রাগ না দেখিয়ে কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি লাউড স্পিকারে মিউজিক বেজে উঠলো সাথে সাথে সব গেস্ট রা নিজেদের কান চেপে ধরে দারিয়ে আছে……………….
এই সব কি হচ্ছে নেহাল কোথায় ..?? ওর আজ আমি চাকরি টা খেয়ে নিবো …
রেগে বলতে থাকলো আরহান চৌধুরী কিন্তু হঠাৎ করে মিউজিক অফ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কালারফুল আলো গুলো জ্বলে সব গেস্ট রা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আরহান চৌধুরী গেস্টদের দিকে তাকিয়ে দেখলো তারা অবাক হয়ে কিছু দেখছে আরহান চৌধুরী বুজতে না পেরে সামনে তাকিয়ে যা দেখলো তাতে আরহান চৌধুরীর চোখ দুটো বেরিয়ে আসতে চায়ছে কারন মেঘ আর ফারহা দুজনে হাত ধরে সিরি থেকে নামছে আর সবাই ওদের দেখছে আরহান চৌধুরী বেশ বুজতে পারলো ফারহা মরে নি বরং ওর লোক ওকে বোকা বানিয়েছে ……
– মেঘ এ মেয়েটার সাথে কেনো আর এ মেয়েটা এখানে কি করছে ..??ওকে তো মেরে ফেলার কথা আর ওই হারামি*** বললো ওকে মেরে ফেলেছে তাহলে এখানে এলো কি করে 😠😠(আরহান চৌধুরী)
মেঘ আর ফারহা কে একসাথে নামতে দেখে গেস্টরা বেশ খুশি হয় কারন এর আগে মেঘ সবার সামনে এনাউন্সমেন্ট করেছিলো নেক্টস পার্টি দেওয়ার কথা আর কথা মতো পার্টি টা দিয়েছে তবে পার্টিতে থাকা ইয়াং থেকে বুড়ো লোক পর্যন্ত ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে আর থাকবে না কেনো সিবলেস ওয়াইড কালার জরজেট গাউন এক হাতে ডাইমন্ডের বেজলেট হাতে ডাইমন্ডের রিং কানে ডাইমন্ডের রিং চুল গুলো কার্লি করে ছেড়ে দেওয়া মুখে হালকা মেকাপ ঠোটে হালকা গোলাপি গ্লোসি লিপষ্টিক এক কথায় ফারহা কে কোন প্রিন্সেসের থেকে কম লাগছে না তবে মেঘ কে ও অসাধারন লাগছে আজ ওয়াইড শার্ট য়ের সাথে ব্লাক কোট প্যান্ট ব্লাক সু হাতে ব্রান্ডের ওয়াচ চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা আর সব থেকে বড় কথা মেঘের নীল সমুদ্রের মতো দুচোখ যে কোন মেয়ে মেঘের দিকে তাকাতে বাধ্য ,,,৷ সবাই মেঘ ফারহা কে শুভেচ্ছা জ্বানাতে ব্যাস্ত সেখানে আরহান চৌধুরী নতুন প্লান করা অলরেডি শুরু করে দিলো……
— মিস্টার এন্ড মিসেস চৌধুরি Congratulations …( মিস্টার জাফর শেখ)
– Thank you মিস্টার শেখ প্লিজ ইনজয় টু দ্যা পার্টি…(মেঘ)
– ইয়াহ শিওর ….বাট তার আগে আপনাদের একটা কাপল ডান্স হয়ে যাক কি বলেন মিসেস চৌধুরি ….( মিস্টার শেখ)
– শিওর মিস্টার শেখ….(ফারহা)
– লেডিস এন্ড জেন্টেলমানস আজ এই পার্টির মধ্যমনি মিস্টার এন্ড মিসেস চৌধুরীর একটা কাপল ডান্স দিয়ে পার্টি শুরু হোক …(মিস্টার শেখ)
মিস্টার শেখের কথায় সবাই ক্লাব করে এদিকে আরহান চৌধুরী কি করবে দিশা না পেয়ে ছোট বারে বসে ওয়াইন খেতে থাকে …….
জানপাখি হাতটা ফারহার দিকে বারিয়ে দিয়ে মেঘ ফারহার সম্মতি চায় ডান্স করার ফারহা মুচকি হেসে মেঘের দিকে হাত বারিয়ে দিতে মিউজিক বেজে ওঠে…….
*** ইস্ক মে মারজাবা ………
মে দেখু তুঝে
দিন মে সো মারতাবা
এহে আগার ইস্ক হেই
তো হেই বে ইনতেহান….
মেঘ ফারহার কমর ধরে উচু করে ঘুড়িয়ে আবার নামিয়ে দিয়ে হাত দিয়ে নিজের চারপাশ ঘুড়াতে থাকলো…
তু আগার মাংলে
জানে দেদু আভি
তু আগার বল দে
খুদ কো কর দুন ফানা..
মেঘ ফারহা কে কোলে তুলে নিয়ে কাপালের সাথে কপাল লাগিয়ে গানটার লিপ দিতে থাকে..আর ফারহা মুচকি হেসে মেঘের গালে স্লাইট করতে থাকে ….
আ তুজ মে খাতাম কার দু
এ.. সাসেইন মেরি
ইসস ইস্ক মেই মারজাবা
তু জো কাহে ও কার জাবা ওহহো….
ফারহা মেঘের চারপাশে ঘুড়ে হাত নেরে নেরে বলতে থাকে…..
এ রাজ হেই দিল কা মেরি
কারো ক্যায়া বায়ান
মেহফুজ হে এ্যব হেই মুজমেইন
শুনলে জারা
বেহ খোব ছা
আব তু রেহনা ইয়াহহ
বান কে রেহো ছায়া তেরা
ইসস ইস্ক মে মারজাবা
তু জো কাহে ও কার জাবা ওহহো……
মেঘ ফারহার নাচ শেষ হতেই সবাই খুব প্রশংসা করলো শুধু করলো না আরহান চৌধুরী মেঘ মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলে….
লেডিস এন্ড জেন্টেলমানস আপনাদের রিকুয়েস্টে আমি আর ফারহা পারফামেন্স করলাম এখন আমি আপনাদের আমাদের কিছু সুন্দর মুহূর্ত দেখাতে চাই আই হোপ আপনারা সবাই ইনজয় করবেন….
একটা প্রজেক্টর সেট করে তাতে আসতে আসতে ফারহার আড়ালে তোলা ছবি গুলো ভেষে উঠতে থাকে ৷ কালো শাড়ি পড়া একটা ছবিতে ফারহার বিরক্তি খুব ভালো ভাবে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে , ফারহা ছবিটা দেখে মনে পরে কলেজে হুট করে শাড়ির কুচি গুলো ঢিলে হয়ে যায় এমনিতে শাড়ি পরতে পারি না তার উপর কুচি গুলো ঢিলে হয়ে যাওয়া এখন যদি কুচি গুলো খুলে যায় তাহলে আর মানসন্মান থাকবে না তখনি ফারহা একরাশ বিরক্তি নিয়ে তিন্নি কে চার পাশে খুজতে থাকে……..
ফারহা কথা গুলো ভেবে মুখে হাসি ফোটে ,,,একে একে সব ফারহার ছবি পর্দায় ভেষে উঠছে সাথে কোথায় আর কি অবস্তায় তোলা তা সবটা নিচে লেখা ভেষে উঠছে ৷ হঠাৎ করে মেঘ গেস্টদের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় খুব লজ্জা আর ঘৃনা নিয়ে তাকিয়ে আছে প্রজেক্ট আর মেঘের দিকে মেঘ প্রথমে বুজতে না পারলেও পরে বুজতে পারে প্রজেক্টোরের দিকে তাকিয়ে ….
প্রজেক্টোরে ফারহার ছবি শেষ হতেই মিহুর বাজে কিছু ছবি দেখা যাচ্ছে আর সব ছবিতে মিহুর সাথে অনেক গুলো ছেলে অন্তরগ্ন ভাবে আছে মেঘ ছবি গুলো দেখে রাগে ওর মাথা ছিড়ে যাচ্ছে এটা ভেবে যাচ্ছে ছবি গুলো এখানে কি করে এলো আর ওদিকে আরহান চৌধুরীর হাতে থাকা ওয়াইনের বোতল ছুড়ে মারে প্রজেক্টোরের দিকে সাথে সাথে প্রজেক্টোর নিচে পরে ভেঙ্গে দু টুকরো হয়ে যায় এদিকে সব গেস্টরা আরহান চৌধুরী কে ছিঃ ছিঃ বলতে থাকে…..
– ছিঃ ছিঃ ছিঃ আরহান চৌধুরীর মেয়ে মিহু চৌধুরী কিনা এমন নোংরা কাজ করে ছিঃ…
– করবে না কেনো বড় লোক বাবার একমাত্র মেয়ে কিনা বোঝেন তো সব কিছু এদের হাতের মোয়া কিনা..( আরেক জন বলে ওঠে)
আরহান চৌধুরী সহ্য না করতে পেরে সবাই বলে পার্টি এখানে শেষ প্লিজ আপনারা এখন চলে যান …
আরহান চৌধুরী কথা শোনা মাত্র কয়েক জন গেষ্ট তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে বললো….
– মিস্টার চৌধুরি আপনি এটা আমাদের সাথে করতে পারেন না একবার ইনভাইট করেন আবার বাড়ি থেকে তারিয়ে দেন এটা তো বার বার হতে পারে না তাই এখন থেকে আপনার থ্রো করা কোন পার্টিতে আমরা আসবো না ৷ কি ভাইয়েরা ঠিক বলছি তো??
– হা ভাই ঠিক বলেছেন এরা বড় লোক বলে এমন নোংরামি করে আর আমাদের সামনে এসে পরলে আমাদের অপমান করে এটা আর হতে দেওয়া যায় না ….
মেঘ এবার ধর্য্যে ধরতে না পেরে চিৎকার করে বলে বলে উঠলো ….
এই মূহর্তে আপনারা যদি বেরিয়ে না জান তাহলে আমি সিকিউরিটি ডাকতে বাধ্য হবো…..(মেঘ)
মেঘের কথায় সবাই অপমান বোধ করায় দ্রুত বেরিয়ে গেলো এদিকে ফারহা গেস্টদের ভিরে চাদর মুরি দিয়ে ভিরে গেলো তারপর তাদের সাথে বেরিয়ে গেলো বাড়ি থেকে ৷
এদিকে মেঘ হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পরে যায় আরহান চৌধুরী দেখে দৌড়ে ছুটে আসে ছেলের কাছে ….
– মেঘ কি হয়েছে তোর চোখ খোল …নেহাল এখুনি এম্বুলেন্সে খবর দেও মেঘ কে হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে……(আরহান চৌধুরী)
!
!
!
!
!
– ফারু কাজ টা তো শেষ এখন মিহু কে নিয়ে কি করবি…(আদিল)
– ভাই মিহু কে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে আয় যা করার তা করে ফেলেছি ..(ফারহা)
– কিন্তু ফারু মেঘের সাথে যা করলি এটা কি ঠিক করলি…(আগুন)
– আমি যা করেছি ঠিক করেছি এবার শুধু দেখে যা চৌধুরী পরিবারের মান সন্মান কি করে ধুলোয় মিশে যায় আর পরে রইল আরহান চৌধুরী উনি একটু একটু করে এবার শেষ হবে যাকে বলে স্লো পয়জনিং হা হা হা হা …(ফারহা)
– ফারু মিহু কে তো গোটাউনে আটকে রেখেছি এখন কি ওকে ছেড়ে দিবো ..??? (আদিল)
– হা ভাই এখন ওকে ছেড়ে দে আর তোকে Thanks দিয়ে ছোট করবো না তুই আমার কাজিন হয়ে আমার জন্য যা করলি তার জন্য আমি সত্যি কৃতজ্ঞ তোর কাছে….(ফারহা)
– থাপ্পোর চিনোস পেতনি কি যাতা বলছিস শোন তুই আমার কলিজার বোন তোর জন্য আমি সব করতে পারি এই মিহু টিহু কে টেকেল করা তো আমার বা হাতের খেল…(আদিল)
– তোদের ভাই বোনের ঝগড়া পরে করিস এখন একটা ইমপ্রটেন্ট কথা শোন আমি আমাদের জন্য লন্ডনে যাওয়ার টিকিট কেটেছি কাল দুপুরে ফ্লাইট আমাদের তিন জন কে যেতে হবে আর ওখানে বসে যা করার করবো আমরা ….(আগুন)
– ওকে ডান …..(আদিল)
!
!
!
!
!
মেঘের জ্ঞান ফেরার পর মেঘ পাগলের মতো বিহেব করতে থাকে কোন ভাবে ডক্টর রা মেঘ কে সামলাতে পারছে না তাই ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে মেঘ কে ঘুম পারিয়ে রাখা হয়েছে ৷ ডক্টর বাইরে আসতে আরহান চৌধুরী ডক্টরের কাছে মেঘের কন্ডিশন জানতে চায় কিন্তু ডক্টরের কথা শোনা মাত্র আরহান চৌধুরী বুকে হাত দিয়ে বসে পরে আরহান চৌধুরী ভাবতে পারছে না তার ছেলের এতো বড় ক্ষতি কেউ এভাবে করতে পারে তাও তার চোখের সামনে দিয়ে হ্যা মেঘ পুরো পাগল হয়ে গেছে কাউ কে চিনতে পারছে না শুধু একটি নাম জপ করে যাচ্ছে জানপাখি ৷ডক্টর জানায় খুব কড়া ডোসের মেডেসিন কয়েক বার মেঘের শরীরে ইনজেক্ট করায় মেঘের আজ এই অবস্তা কোন শিওরিটি দিতে পারছে না ডক্টর আদো মেঘ সুস্থ হতে পারবে কিনা………………
.
.
.
.
(আজ অতিত শেষ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু হলো না তবে ইনশাআল্লাহ কাল শেষ হয়ে বর্তমান শুরু হবে ৷ ভূলট্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন )
#চলবে…………………….