ভালোবাসার অন্যরুপ

ভালোবাসার অন্যরুপ ! Part- 30

” আঁধার ভাইয়া গালে হাত দিয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর আমরা সবাই মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছি। ”
বাসার বাইরে আঁধার ভাইয়া আকাশি আপু কে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুতেই ভিতরে আসছেন না। আঁধার ভাইয়ার মনে হচ্ছে আম্মু ওনাকে দেখে খুশি হবেন না। আমাদের সবার জোরাজুরি তে ভিতরে এসে আকাশি আপু কে সোফায় শুইয়ে দিলেন। নিজে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই ওনার গালে সজোরে একটা থাপ্পড় পরলো।
আমান– আম্মু এটা তুমি কি করলে??
অর্নিল– আম্মি তু..
আম্মু– চুপপপপ!! আমি তোদের একটা কথাও শুনতে চাই না। (ধমক দিয়ে)
” আঁধার ভাইয়া গালে হাত দিয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন। আর আমরা সবাই মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছি। ” আম্মুর মুখের উপর আমান ও কথা বলে না আর আমিও বলিনা।
আম্মু– কেনো ফিরে এসেছিস তুই?? কি জন্য ফিরে এসেছিস??
আঁধার ভাইয়া এখনো নীচের দিকে তাকিয়ে আছে, চোখ দিয়ে পানি পরছে, সেই ভাবেই বললো।
আঁধার– আমি ফিরে আসতে চাইনি ম…(একটু থেমে) আমি শুধু আকাশি কে দিতে এসেছিলাম।
আম্মু– তোর জন্যই তো হয়েছে এসব কিছু। তারপরও তুই আশা করছিস তোকে শাস্তি না দিয়ে আমি ছেড়ে দেবো??
আঁধার– কি শাস্তি দিতে চান বলুন। আমি মাথা পেতে নে, আহহহহ!
আম্মু– মাথা পাততে হবে না কান পাতলেই হলো (আঁধার ভাইয়ার কান মূলে দিয়ে)
আঁধার– আহহহহ! মাআআ লাগছেএএ!!
আম্মু– ছোটোবেলা থেকেই এটা তোর ওষুধ। মা বলতে গিয়ে থেমে যাওয়া?? বাসায় না এসে তুমি চলে যাচ্ছিলে?? যাওয়াচ্ছি দাঁড়াও।
আঁধার– আরেহহ আরেহহ!! আর বলবো না কান টা ছাড়ো, কান ছিড়ে গেলে বিয়ে হবে না আমার।
আম্মু– (কান ছেড়ে দিয়ে) কাকে বিয়ে করবি তুই?? না স্যরি তোর মতো বাঁদরকে কে বিয়ে করবে?? 🤨
আমান– তোমার পাতানো বড়ো মেয়ে।
আম্মু– হায় আল্লাহ! (কপালে হাত দিয়ে বসে পড়ল)
শবনম– কি হলো আন্টী??
আম্মু– ভাবছি তোর মতো একটা নিরীহ, বুদ্ধিমতি মেয়ের কপালে এমন বেয়াদোপ, বেআক্কেল ছেলে লেখা ছিলো??
শবনম– সবই কপাল আন্টী 😑
আম্মু– কি বললি?? (রেগে)
শবনম– ক..ক..কি ব..বললাম?? (ঘাবড়িয়ে)
আম্মু– মা বলবি। এবার থেকে।
আঁধার– আহাহা যতো দরদ ওর প্রতি তাই না?? আমার যে কান টা লাল হয়ে গেলো বলি সেদিকে কি কাওর খেয়াল আছে??
আম্মু– কোথায় দেখি!! (আরেকটা কান মূলে)
আঁধার– মাআআ ইটস নট ফেয়ার। ভাইদের সামনে আমাকে বেজ্জত করছো তুমি। ছাড়ো না লাগে তো??
আম্মু– (কান ছেড়ে) এতদিন ফিরিসনি কেনো বাবা?? কতো খুঁজেছি তোকে জানিস?? (চোখে পানি নিয়ে)
আঁধার– স্যরি মা। আমি চাচ্চুর কথায় ভাই কে ভুল বুঝেছিলাম। (জড়িয়ে ধরে)
আমান– সেই জন্য ওর চুলের মুটি ধইরা ঘুরায় দাও আম্মু আমার হইয়া।
আঁধার– কি কইলি?? 😡
আমান– ঠিকই কইসি।
অর্নিল– 🤣🤣
আঁধার অর্নিলের মাথায় গিয়ে ঠাস করে একটা বারি মারলো।
অর্নিল– আরিব্বাবা মারতাসিস ক্যান আম্রে??
আঁধার– ভেটকাস ক্যান তুই??
আমান– ফাজিল কোথাকার।
তিন ভাই মিলে ঝগড়া করছে আর আমরা সবাই হাসছি। তখন চাচি আর দিয়া ঢুকলো, দিয়া কে একটা ছেলের কোলে দেখে আমরা প্রথমে অবাক হলেও পরে বুঝলাম এটাই দিয়ার “মেঘরোদ্দুর”।
আঁধার– আরেহ মেঘ তুমি এখানে??
মেঘ– তোমার বোনের কোলে চড়ার শখ হয়েছিলো তাই আসতেই হলো।
অর্নিল– হিংসুটিইইইই।
দিয়া– তুই চুপ থাক উচ্চিঙ্ড়ে!
আম্মু– ওহ হো এসেই খালি ঝগড়া করছে। শান্ত হয়ে বস তো সবাই।
সবাই আমরা বসার পর আম্মু চাচি কে মেঘের পরিচয় জিজ্ঞেস করলো তখন চাচি বলার আগেই আঁধার ভাইয়া বললো।
আঁধার– মা ও দিয়ু কে অনেক ছোটো থেকে ভালোবাসে। মাঝে ওর আব্বুর কাজের জন্য ওকে এই দেশে আসতে হয়েছিল। আর আমরা তো লন্ডন ছিলাম। ওর পুরো নাম মে..
আমান– মেঘালয় আহমেদ রৌদ্র।
অর্নিল– আন্ডারকভার এজেন্ট।
আঁধার– তোরা?? (অবাক হয়ে)
আমান– কেমন আছিস রৌদ্র!
মেঘ– একদম ফাটাফাটি!
অর্নিল– বায় দ্য ওয়ে তুই এখানে এইবার পুরোপুরি ফিক্সড তো?? নাকি আবার লন্ডন যাবি??
মেঘ– উমম, এখানেই ফিক্সড বাট একবারের জন্য লন্ডন যেতে হবে। আব্বু বললো দরকার আছে।
আঁধার– ওহ ইটস মিন তোরা তিনজন তিনজনকে চিনিস??
আমান– হ্যাঁ চেনার কথা নয় বলছিস??
মেঘ– অ্যাকচুয়লী আমার আর অর্নিলের সেম এজ। আমরা ক্লাসমেট ছিলাম। অর্নিল যখন একজন ক্রিমিনাল কে মার্ডার করে তখন আমি ওখানে গিয়ে পৌঁছাই। ক্রিমিনালটাকে এনকাউন্টার করার অর্ডার ছিলো। আমি ভাবতেই পারিনি অর্নিল সেটা করবে কজ আমি জানতাম ও জাস্ট একজন ভার্সিটির স্টুডেন্ট। এরপর আমান ভাইয়ের সাথে আলাপ দ্যান ওখান থেকেই পরিচয়।
আম্মু– বাহ তারমানে সব কয়টা গুলি-গোলাবাজ আমার এই মাসুম বাচ্চিদের কপালে জুটসে??
অর্নিল– সবাই মাসুম মেনে নিলেও এই সাদি পাদি খাদি মোটেও মাসুম না। পাক্কা সাইকো মার্ডারর। না জানি কখন আম্রে বলি দিয়া দেয়।
দিয়া– তোর ভেজা উরায় দিমু গুলি দিয়া, বলি দিমু না।
অর্নিল– দেখসো আম্মি।😒
সবাই– 🤣🤣🤣
চাচি– আচ্ছা আপা তুমি কি জানতে আরহান ভাইকে কে খুন করেছে?? নাকি আঁধার মেরেছে বিশ্বাস করেছিলে??
আম্মু– সেইদিন রাতে আমি বাসায় ছিলাম না। আদিত্য (চাচ্চু) সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ছিলো। আরহানের শরীর ভালো না থাকায় ও ঘরে ছিলো। আমি যখন বাসায় ফিরি তখন সোজাসুজি আরহানের ঘরে যাই, গিয়ে ওকে ওভাবে মাটিতে পরে থাকতে দেখি আর আমানের হাতে ছুরি। একমূহুর্তের জন্য চোখ ঝাপসা হয়ে এসেছিল, সব কিছু অন্ধকার লাগছিল। সেই সময় অর্নিল এসে আমাকে বলে যে আঁধার নাকি আরহান কে মেরে পালিয়ে গেছে। প্রথমে বিশ্বাস করলেও পরক্ষণে যখন আমানকে দেখি ছুরি হাতে নিয়ে বসে থাকতে তখন অর্নিল কে আবার জিজ্ঞেস করতেই ও সাফ বলে দেয়। আদিত্য ওদের কে গিয়ে বলে আঁধার আরহান কে ছুরি মেরে পালিয়েছে। তারপর ওরা যখন এখানে আসে তখন আমান কে দিয়ে জোর করে ছুরি টা বের করায়। তখনই আমি পুরোপুরি বুঝে যাই এসব আদিত্যর প্লান। ছুরি টা আমি গায়েব করে দিয়ে পুলিশ কে ফোন করি নাহলে আমার আমান ফেঁসে যেতো শুধু শুধু।
মীরা– এসব কথা থাক না আম্মু। এখন তো আমরা সবাই একসাথে থাকবো তাই না??
আমান– একদম। আমি আর অতীত টা মনে করতে চাই না। (আঁধারের কাঁধে হাত রেখে)
ইসমি– সবাই আছে, কিন্তু তুর্য কোথায়??
আঁধার– আসছে।
মীরা– আমান! তুমি বলেছিলে তুর্য তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড?? আগে কেনো জানাওনি ব্যাপারটা??
আমান– আমি তো জানতামই না ও কোথায়। নীতা আমাকে যখন তোমাকে আর তুর্যকে একসাথে দেখায় তখন এক মূহুর্তের জন্য আমি অবাক হয়ে যাই কিন্তু পরক্ষণে নিজেকে সামলে নিই। তুর্যের কাজকর্মের উপর অভিমান থাকায় আমি আর কিছু বলিনি।
তুর্য– আর কিছু বলিস ও না ভাই আমার। তুই যা করেছিস আমার বউয়ের সাথে তাতে ও “আ” উচ্চারণ করতেও ভয় পায়। ভাগ্যিস আমার নাম টা “আ” দিয়ে নয়।
মীরা– তোর বউ মানে??
ইসমি– জিজু তোর বউ কে কি করেছে??
তুর্য– ভিতরে এসো!! সবাই তোমাকে দেখতে চায়।
তুর্যের কথানুযায়ী একটা মেয়ে ভিতরে এলো, মেয়েটাকে দেখে আমি আর সুমি চোখ বড় বড় করে একে অপরের দিকে তাকিয়ে একসাথে বললাম।
মীরা এবং ইসমি– নীতাআআ!!!!
আমান– হমম নীতা। নীতা আর তুর্য একে অপরকে ভালোবাসে।
মীরা– তুমি এটা জানতে আমান?? আর জানার পরেও?? (রেগে)
আমান আমার কথা শুনে আঁধার ভাইয়ের কোমরে এক আঙুল দিয়ে খোঁচা মারলো।
আঁধার– খোঁচাস কেনো??
আমান– নীতার কেস টাও বলে দিয়েছিস??
আঁধার– বলেছি কি রে?? আমি তো ভিডিও দেখায় দিসি একেবারে 😑
আমান– ভাইয়া রে ভাইয়া রে তুই অপরাধী রে, আমার বউয়ের হাতে মার খাওয়ানোর জন্য তুই বড়ো দায়ি রে 🙂
আঁধার– হা হা হা হা হা 🤣🤣
আঁধার ভাইয়া হঠাৎ করে জোরে হেসে উঠলো, এদিকে আমান কাঁচুমাচু মুখ করে একবার আঁধার ভাইয়ার দিকে তাকায় আর একবার আমার দিকে তাকিয়ে অসহায় লূক দেয়। আঁধার ভাইয়া তো হেসেই চলেছে সমানে।
তুর্য– ভাইয়া তুমি কি থামবে না?? থামবে না তুমি??
আঁধার– ভাই আমার। আর হাসাস না। পেটে ব্যাথা হয়ে গেছে আমানের গান শুনে।
আমান– ভাইইইইই তুই চুপ কররররর
আঁধার– ওকে ওকে 🤫🤫

আমান– মীরা, ইসমি। আজ তোমাদের অনেক কিছু জানানোর আছে।
আঁধার– আমি বলছি। মাঝে যে সময় নীতা কে আমান বাসায় নিয়ে এসেছিল সেটা আমার প্লান। আমি এই প্লান করেছিলাম কারণ এতে কাওর ক্ষতি হতো না। চাচ্চু তুর্য কে ব্ল্যাকমেল করে ওর মায়ের অনেক ক্ষতি করেছিল পরে আমি সেটা জানতে পেরে তুর্য কে খুঁজে বার করি। আর তখনই জানতে পারি যে চাচ্চু আমার নাম করে কাজগুলো করেছে। জানতে পারি নীতা আর তুর্য একে অপরকে ভালোবাসে। তখন আমিই তুর্য কে বলি নীতা কে আমানের বাসায় পাঠাতে। মীরা কে বার করে জাস্ট দুই-ভাইয়ের কাছ থেকে সাইন নিয়ে আসতে। কাজটা করলে আমি ওর মা কে চাচ্চুর হাত থেকে বাঁচিয়ে আনবো। চাচ্চু ওর মা কে নিজের কব্জায় রেখেছিল কিছুতেই ছাড়ছিলো না আর তুর্যও খুঁজে পাচ্ছিল না। নীতাকে জেলে দিয়ে দেওয়ার আগেই আমি ওর তুর্যের আম্মু কে ফিরিয়ে দিই। চাচ্চু সেটা টের পর্যন্ত পায়নি। আই নৌ মীরা, ইসমি। নীতা কে তোমরা পছন্দ করো না বাট এতে ওর কোনো দোষ নেই। ও তোমাদের কখনই খারাপ চায়নি। যা করেছে তোমাদের ফুপ্পি মানে ওর মায়ের কথায়।
মীরা– ফুপ্পি??
ইসমি– ফুপি তো ওর নিজের মা তাহ…
অর্নিল– নাহ! নীতার নিজের কোনো বাবা-মা নেই।
মীরা– কিইইইই??
ইসমি– এসব তুমি কি বলছো নীল??
অর্নিল– হমম, নীতা কে ছোটো বেলায় একজন তোমাদের ফুপির বাসার সামনে ফেলে রেখে যায়। সে সময় তোমার ফুপি ফুপার কোনো সন্তান ছিলো না। তাই নীতা কে নিজের মেয়ে বলে মেনে নেয়। এটা তোমাদের আব্বু-আম্মু ও জানেন কিন্তু তোমাদের সেটা জানতে দেননি কোনদিন।
আঁধার– এই কারনেই মে বি নীতা তোমাদের ক্ষতি চাইত না। নীতা খুব ভালো ভাবেই জানতো যেই প্রপার্টির পেপারে ও সাইন করাচ্ছে সেই পেপারে সাইন করালে ও এক কানা কড়ি পাবে না। তবুও শুধুমাত্র তুর্যের কথা ভেবে কাজ টা করে গেছে। তোমাদের ফুপি জানতো যে নীতা আমান কে ভালোবাসে, তাই ওর সম্পত্তি ওর নামে করবে, বাট নীতা সেটা করেনি।
আমান– ফুপি নীতা কে ব্ল্যাকমেল করতো তোমাদের টর্চার করতে না চাইলে। তোমরা না জানলেও নীতা অনেক আগে থেকেই জানত ওর বাবা-মা নেই। ইউ নৌ মীরা আমি তোমার সব খবর কি করে পেতাম??
মীরা– কি করে??

আমান– নীতা জানাতো আমাকে। কিন্তু আমি সেটা জানতাম না। ও বারবার সিম চেঞ্জ করে আমাকে খবর দিতো তোমার ফুপি তোমাকে টর্চার করলে। আর তোমার নাম করে আমার কোম্পানি তে আসার উদ্দেশ্য ছিলো তুর্যের সাথে আমাকে দেখা করাবে।
সবটা শুনে আপনা আপনি চোখ থেকে পানি গড়াচ্ছে। আমি আর সুমি নীতার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ও মাথা-নীচু করে চোখের পানি ফেলছে। আমি ছুটে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। আমি ছাড়তেই সুমিও জড়িয়ে ধরলো।
মীরা– এখন থেকে আমরা তিন বোন। (নীতার হাত ধরে)
নীতা– আহহহহ!!
নীতা চিৎকার দিতেই আমি কটমট করে আমানের দিকে তাকালাম। আমান একটা ঢোঁক গিলে বলতে শুরু করলো।
আমান– বিশ্বাস করো মীরু আমি নীতার ব্যাপারে এতো কিছু আগে জানতাম না ও তোমার হাতে কফি ঢেলে দাওয়ায় এরম অবস্থা আমি আগে বলেছিলাম সবটা বলে দিতে কিন্তু তুর্যের ক্ষতি হবে বলে কিছু বলেনি এখানে আমার কোনো দোষ নেই আই অ্যাম ইনোসেন্ট। হাহ (একনাগাড়ে বলে নিশ্বাস ছাড়লেন)
আঁধার– গান টা আরেকবার গা ভাই। 🤣
অর্নিল– ওহ ভাইয়া এসে যাওয়ায় এখন তাকে গান শোনাচ্ছ?? আমি বাদ??
আমান– চুপ থাক!
সবাই– 🤣🤣🤣
আমান– 😒😒😒
অর্নিল– আই হ্যাভ আ গভীর প্রশ্ন 🤔
শবনম– নিশ্চই আমাকে নিয়ে??
অর্নিল– কি করে বুঝলে?? 😯
আঁধার– কি প্রশ্ন??
অর্নিল– কিউটিপাই এখানে এসে যেই কথাগুলো বলেছিল ওগুলো কি সত্যি??
আঁধার– হ্যাঁ সত্যি। শুধু টাইম টা চেঞ্জ করে দিয়েছি।
অর্নিল– মানে??
আঁধার– ঘটনাটা ওর সাথে ছোটো বেলায় ঘটেছিল। শবনমের চাচা ওকে আমাদের চাচ্চুর কাছেই বিক্রি করেছিল। আর আমানের লাইফ থেকে ও নিজে থেকেই সরে গেছিল আমিও জানতাম না।
অর্নিল– বাহ ভাইয়া বাহ! তোমার কাছে কি খালি মেয়েদের বিক্রি করতেই লোক যায়??
আঁধার– হুহ! কতো ভালো বল তো আমি। কতো গুড উইল আমার।
অর্নিল– গুড উইল না ছাই।
আঁধার– তাই না??

আম্মু– এই আরফা মেঘ আর দিয়া কে নিয়ে আয় তো আমার সাথে। আর তুর্য, নীতা তোরাও আয়। এরা ঝগড়া করুক।
আম্মুরা চলে গেলে আঁধার ভাই গিয়ে অর্নিলের একটা কান ধরে বলে।
আঁধার– কি বলছিলিস আবার বল??
অর্নিল– উহুহু ভাই ছেড়ে দে লাগছে।
আমান– গান শুনবি না তুই বলছিলি আয় গান শোনাই। (আরেকটা কান ধরে)
অর্নিল– আরে আরে তোরা কেমন ভাই?? এতোদিন পর একসাথে হয়েছিস, কোথায় হাগি-পাগি করবি, চুম্মা-চুম্মি খাবি তা না আমার কান মুলতাসিস।
আঁধার– আমাগো তার লিগা বউ আসে।
আমান– তোর ও তো বউ আসে যা গিয়া কর এসব।
অর্নিল– কষ্ট 🙂
আঁধার এবং আমান– কিসের??🤨
অর্নিল– তোগো বউরা মিষ্টি। একজন কিউটিপাই আরেকজন সুইটি। আমারটা ধানি লঙ্কা খাইলে ঝাল লাগে। 🥵
আঁধার– আচ্ছা তাই?? আয় তাইলে তোরে চুম্মা…
আমান– চুম্মি দি।
অর্নিল– ইয়াক ছিইইইই 🤢 আই অ্যাম নট আ গে। ভাগোওওওও 🏃‍♂️🏃‍♂️
অর্নিল দৌঁড় দিলো তার সঙ্গে সঙ্গে আঁধার ভাইয়া আর আমান ও ছুট দিলো ওকে ধরবে বলে। সারা বাসা দৌঁড়ে বেড়াচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে ওদের কথাগুলো মনে করে আমি সুমি আর আকাশি আপু তিনজন তিনজনের দিকে তাকালাম।
শবনম– বেহায়া।🙉
ইসমি– বেশরম।🙊
মীরা– নির্লজ্জ।🙈
তিনজনেই হেসে দিলাম।