বস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব- ৩

রাদ- আজ থেকে আমি ড্যাড এর মত কঠোর
হবো।
নিজেকে একেবারে চেঞ্জ করে ফেলব।
কাজে আর অনিয়ম করব না।
নিজেকে একদম ড্যাড এর মত কঠোর বিজনেস
ম্যান করে ফেলব।
আহিল!!!আহিল!!!

আহিল- ওরে বাবা স্যার এইভাবে ডাকছেন
কেন? ??
মনে হচ্ছে খুব রেগে আছেন।

আহিল- জি স্যার।

রাদ- আমার নিউ পি.এ লাগবে।
তার ব্যবস্থা কর।

আহিল- জি স্যার।

২ দিন কেটে গেছে।
রাদ এখন পুরাই strict হয়ে গেছে।
অফিসের সবাই দেখলে ওকে ভয়ে কাপতে
থাকে।
২ দিনেই মানুষ কত চেঞ্জ হতে পারে রাদ
কে না দেখলে ওরা জানতই না
এর মাঝে রাদ সেই মেয়েটার কথা ভুলেই
গেছে।
যার গলার সুর রাদ কে অস্থির করে তুলত।

রাদ- আহিল!!!

আহিল- yes sir.
.
রাদ- তোমাকে যে কাজ দিয়েছিলাম
হয়েছে।

আহিল- জি স্যার অনেক সি.ভি জমা পরেছে।

রাদ- এর মধ্যে বেস্ট ১৫ জন সিলেক্ট করে
ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা কর।
সেটা কাল্কেই।এর মধ্য থেকে ৩ জন সিলেক্ট
করে রেখে ওদের সি.ভি আমার কাছে দিবে।
আহিল- স্যার ইন্টারভিউ তে আপনি থাকবেন
না? ?
রাদ- না থাকব না।কাল কে আমার কাজ
আছে।
আর হ্যা
make it fast.বোর্ড ম্যাম্বার দের সাথে নিয়ে
তুমি ইইন্টারভিউ টা সেরে ফেলবে।
আমি পরশু দিন যেন আমার টেবিলে বেস্ট ৩
টা সি.ভি দেখতে পাই।
আর না হলে তোমার কি হবে বুঝতেই পারছ???

আহিল- জি স্যার।
স্যার আরেক টা কথা ছিল।
আমাদের নিউ প্রজেক্ট এর জন্য যে লোকেশন
তা দেখেছিলেন সেটা তে কিছু
কমপ্লিকেশন দেখা দিয়েছে।
জমির মালিক আপনাকে সেখানে যেতে
বলেছে।

রাদ- ওকে।
ড্যানি কে সাথে নিয়ে গাড়ি তে বেরিয়ে
পরলাম লোকেশন এ যাওয়ার জন্য।
জমির মালিকের সাথে সব কাজ মিটিয়ে
গাড়ি তে উঠলাম।
এর মাঝে ড্যাড এর ফোন।
রাদ- yes dad!!
.
dad- রাদ তাড়াতাড়ি অফিসে আসো।
urgent কাজ আছে।

রাদ- im on my way dad.
driver make it fast.
কিছুদুর যেতেই গাড়ি থেমে গেল।
।কি হল ড্রাইভার? ?
ড্রাইভার – স্যার গাড়ির তেল শেষ।
raad- wht the hell??? রাস্তায় বের হয়ার আগে
চেক করোনি।
এই রাস্তায় এমনিতেও কিছু পাওয়া যায়না।
এখন কি হবে??

আদর- উফফ ওই ফাযিল নিরব টাকে
বলেছিলাম ওর বাইকে আমাকে নিয়ে যেতে।
বাট ফাযিল টা আমাকে রেখেই চলে গেল।
তাই আমাকে এখন সাইকেল চালিয়ে যেতে
হচ্ছে।

রাদ- ড্যানি আশে পাশে কিছু পাও কিনা
দেখো।
ড্যাড বার বার ফোন দিচ্ছে।

ড্যানি- জি স্যার।
আমি একটু সামনে এগিয়ে দেখছি।

সামনে এগিয়ে দাড়িয়ে আছি।
কিন্তু গাড়ি ত দুরের কথা একটা পোকাও
চোখে পরছেনা।
এর পরেই দেখলাম একটা মেয়ে সাইকেল
চালিয়ে আসছে।

এই মেয়ে এই মেয়ে একটু থামো।
( যেহেতু ড্যানি আদর কে ভাল মত খেয়াল
করেনি ওর মুখ ভাল মত দেখেনি আর তার উপর
আদর মাথায় ক্যাপ পরে আছে তাই ড্যানি
ওকে চিনতে পারেনি।আর আদর ও ড্যানিকে
সেইভাবে দেখেনি।)

আদর- হুম বলুন।

ড্যানি- আমাদের একটু সাহায্য করুন প্লিজ।
আমার স্যার এর আর্জেন্টলি এক জায়গায়
যেতে হবে।
কিন্তু আমাদের গাড়ি র তেল শেষ আর
এইখানে কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা।
আপনি যদি …

আদর- আপনার স্যার কি সাইকেল চালাতে
পারে? ?

ড্যানি- হ্যা হ্যা সার সব পারে।

আদর- ওকে কই আপনার স্যার? ? আমি সাইকেল
থেকে নেমে হাটতে হাটতে সামনে এগুতে
লাগলাম লোক টার সাথে।

কই আপনার স্যার।

ড্যানি- ওই যে গাড়ি তে হেলান দিয়ে
দাড়িয়ে আছে।

আদর- ফেস ত দেখা যাচ্ছেনা।

ড্যানি – আপনি দাড়ান আমি ডেকে আনি।

স্যার স্যার একটা সাইকেল এর ব্যবস্থা
করেছি।
আর কিছু এইখানে পাওয়া সম্ভব না।

রাদ- এটাতেই হবে।
ড্যাড বার বআআর ফোন দিচ্ছে।
মিটিং শুরু হয়ে যাবে
আমাকে তাড়াতাড়ি যেতেই হবে।

ড্যানি- স্যার একটা সমস্যা আছে।
রাদ- কি।??

ড্যানি- সাইকেল টা একটা মেয়ের।

রাদ- তাতে কি সমস্যা। টাকা দিয়ে দেও।
আমি সাইকেল নিয়ে নিচ্ছি।
বলে আমি সামনে গেলাম।

আদর-আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল এই জংলি
আবারর!!”!!””

রাদ- এই মেয়ে তুমি? ????
( উফফ দুনিয়াতে আর কেউ ছিল না)
ড্যানি ড্যানি!!

ড্যানি- স্যার ওর কথাই বলেছিলাম

রাদ- তুমি আর কাউকে পাওনি এই মেয়ে
ছাড়া।
আমি যাব না ওর সাইকেল এ।

আদর- আমার ও শখ নেই।
আপনার মত জংলি কে আমার সাইকেল এ
তোলা।
হুহ।

রাদ- এই মেয়ে! !!

ড্যানি- স্যার স্যার।
একগন এই রাস্তায় কিছু পাবেন না।
স্যার প্লিজ কথা বাড়াবেন না।
বড় স্যার বার বার ফোন দিচ্ছে।

রাদ- ওকে
।।।
আচ্ছা এই চারচোখ কে টাকা দিয়ে দেও।

আদর- টাকা মানে? ?

ড্যানি- মানে আপনি আপনার সাইকেল টা
স্যার কে দিয়ে দেন।
আমি ডাবল পে করে দিচ্ছি।

আদর- কিহ? ? জিবনেও না।
আমি আমার সাইকেল কখনই বেচব না।তাও
আবার এই জংলি কে? ?

রাদ- রাগে আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিল।
মনে হচ্ছিল ড্যানির কাছে থাকা পিস্তল টা
নিয়ে ওর মাথার খুলি টা উরিয়ে দেই।

এই মেয়ে কত টাকা চাই বল।

আদর- ( তোমাকে আজ শিক্ষা দিয়ে ছাড়ব।
দারাও চান্দু)
আমি আপবাকে লিফট দিতে পারি।

রাদ- মানে তুমিও আমার সাথে যাবে? ?

আদর- ofcourse.আমিও যাব।
যেহেতু আমার সাইকেল।
আপনি যদি পরে ফেরত না দেন।

রাদ- ওকে ডান।

আদর- আরে আরে কই উঠছেন ?? কথা বাকি
আছে।

রাদ- কি কথা।

আদর- আগে সরি বলেন? ?
রাদ- এবার পায়ের রক্ত মাথায়।
কি বললা তুমি? ? তোমাকে সরি বলব? ? তাও
আবার আমি? ?
আদর- হ্যা আপনাকেই বলছি।
আর কাকে বলব।

রাদ- ওকে কুছু বলতে যাব তখনি ড্যাড এর
ফোন এল।
।dad im coming.
ড্যানি- স্যার আর কথা না বারিয়ে চলে যান।
দেখছেন ত কোনো গাড়ি পাওয়া যাচ্ছেনা।

রাদ- (damn it. আচ্ছা পরে ওকে দেখে নিব।
এখন ত যাই)

আচ্ছা সরি।

আদর- কি বললেন শুনিনি।
রাদ-দাতে দাত রেখে সরি।

আদর- কিহ? ? আরেক টু জোরে।

রাদ- সরিইইইইইইইইইইই।

আদর- আরে আরে আমি বয়রা না।
আস্তে বললেই হত।

আচ্ছা নিন উঠুন।
রাদ- আমি উঠে বসলাম।
আদর আমার সামনে বসল।
ড্যানি গাড়ি সেড়ে বাসায় চলে যেও।

ড্যানি- জি স্যার।

আদর- ( মনে মনে বিজয়ের হাসি দিলাম।
পাজি জংলি আমার সাথে পাংগা? ?? এবার
বুঝ ঠেলা।
কত ধানে কত চাল)

রাদ- কলেজ লাইফে সাইকেল চালিয়েছি
অনেক। কিন্তু প্রব্লেম হচ্ছে এই মেয়ের চুল
বার বার আমার মুখে উড়ে আসছে।

চুল গুলা বেধে রাখতে পারোনা।

আদর- আমার চুল আমার ইচ্ছা আপনার কি।?

রাদ- অন্য সময় হলে মেয়ের ১৬ টা বাজাতাম।
আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে চুল গুলা হাত দিয়ে
ধরে রাখো। আমার অসুবিধা হচ্ছে।
পরে accident হয়ে যেতে পারে।
আদর- ( ঠিকি ত বলেছে।
আবার কিছু হয়ে গেলে হাত পা ভাংলে
?
)

রাদ- মেয়েটা দেখলাম হাত দিয়ে চুল গুলা
ধরে রেখেছে।
এখন আর সমস্যা হচ্ছেনা।
আমি অফিসের সামনে না নেমে কিছুটা দুরে
নামলাম। না হলে অফিসের কেউ দেখলে কি
বলবে রাহাত খান এর ছেলে সাইকেলে? ?
নেমে দ্রুত চলে এলাম।

আদর- যাহ বাবা একটা থ্যক্স ও দিল না।
ওই জংলি ওই ওই।
ওই কই যান? ?
আর অফিস কই? ?
দুর ছাতা আমার কি?
ফোন এল এর মাঝে।

নিরব- ওই তুই কইরে? ?

আদর- দাড়া আসছি।
আজ তোর একদিন কি আমার।
ফোন রাখ পাজি।

রাদ- অফিস শেষ এ বাবার গাড়ি তে বাবার
সাথে বাসায় এলাম।

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *