বস বয়ফ্রেন্ড Season-4

বস বয়ফ্রেন্ড Season-4 ! পর্ব- ২

রাদ- হাত বাড়িয়ে দিলাম।

নিরব- আরে আরে কিভাবে পরলি?? হাত ধরে
উঠালাম।

রাদ- ছেলেটাকে দেখে আমি হাত সরিয়ে
নিয়ে চলে আসলাম।
আদর- না কিছুনা।
চল।
টেবিল এ গিয়ে বসলাম।
সবাই প্রশ্ন করছে কিভাবে পরেছি।
আমি একটা বানিয়ে উত্তর দিয়ে দিলাম।

রাদ- মিটিং করতে করতে ওই মেয়েটার
দিকে চোখ গেল।

দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যেই
আমি তাকিয়েছি ওমনি মুখ ভেংচি
দিল।
আর মুখ ঘুরিয়ে নিল।

আমি মিটিং এ মোনোযোগ দিলাম।

আদর- ( মনে মনে) আমাকে বারবোখ বলা আর
সে কি? ? জংলি একটা।
চুল গুলা ঘাড় পর্যন্ত রেখেছে।
হুহ।
মেয়েদের মত বড় বড়।
জংলি একটা।
মিস্টার জংলি।)

রাদ- মিটিং শেষ করে তাকিয়ে দেখি ওরা
চলে গেছে।
আমি গাড়ি তে করে ড্যানির সাথে বাসায়
চলে এলাম।

গিটার নিয়ে খাটের পাশে বসে হেলাম
দিয়ে বসলাম।
মেয়েটার গাওয়া গানের সুর টা গিটারে
বাজানো র চেস্টা করলাম কিন্তু হচ্ছেনা।
কিছুতেই।
তারপর কখন ঘুমিয়ে গেছি কে জানে।
সকালে-
ড্যানি – স্যার স্যার! !!!
স্যার ৭ টা বেজে গেছে। আজ জগিং এ
যাবেন না? ?

রাদ- কি ৭ টা বাজে? ? ৬ টায় ডাক দেওনি
কেন? ?
বাইকে করে আমি আর ড্যানি বেরিয়ে
পরলাম।বাইক থেকে নেমে সেই গানের গলার
অপেক্ষা ককরতে লাগলাম।
আল্লাহ আল্লাহ করছি যাতে আজ মেয়েটা
আসে।
আমি আর ড্যানি জগিং শুরু করলাম।
কিছুক্ষন পর।
ড্যানি- স্যার আমি আর দৌড়াতে পারছিনা।

রাদ- ওকে তুমি বস।
আমি যাওয়া সময় তোমাকে ফোন দিব।

ড্যানি- yes sir.
.
রাদ- সাড়ে ৮ টা বাজে।
এখন বাসায় ব্যাক করতেই হবে।
নাহলে অফিসে লেট হয়ে যাবে।

ড্যানি কে ফোন দিয়ে বাইকের সামনে
যেতে বললাম।
আর আমি আজ ও হতাশ হয়ে ব্যাক করছিলাম
তখন ই সেই গলা, সেই একি সুর কানে ভেসে
এল।
আমাকে আর পায় কে।
আজ মেয়েটাকে খুজতেই হবে।খুজে
বের করতেই হবে মেয়েটাকে।
আশে পাশে খুজে যাচ্ছি।
এত মানুষ এর মাঝে পাচ্ছি ই না।
হঠাত কারও সাথে ধাক্কা খেলাম।সরি সরি

আদর-ধাক্কায় আমার হাতের ফোন টা নিচে
পরে গেল।ফোন উঠাতে উঠাতে এই ছেলে
চোখে দেখনা? ?
চোখ কি আকাশে থাকে।

রাদ- আমি সরি বলছি ত আর আপনি কথা
বাড়াচ্ছেন বলেই দেখি
আরে মিস চারচোখ।

আদর- কি কি কি বললেন আপনি? ?? আবার
আমাকে চার চোখ বললেন? ? আর আপনি
কি? ? মিস্টার জংলি.

রাদ- ওই কি বললা আমি জংলি? ?

আদর- তা নয় ত কি? ? মেয়েদের মত বড় বড় চুল
রাখলে ত জংলি ই বলব।

রাদ- মিস চারচোখ এটা স্টাইল ।
সেটা তোমার বুঝার কথা না।

আদর- আপনি! ! আপনি! !!

রাদ- কি কি আমি কি ??

ড্যানি- স্যার আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে।
রাদ- হ্যা চল।
তোমাকে পরে দেখে নিব।

আদর- হ্যা দেখব নে।
কে কাকে দেখে।
জংলি একটা।
রাদ- কানে হেডফোন লাগিয়ে বাইকে উঠে
গেলাম।
উফফ আজ এই মেয়ের জন্য ওই মেয়েটাকে
পেলাম না খুজে।
দুর।

বাসায় এসে রেডি হয়ে অফিস চলে এলাম।
ফোনের ফ্রান্ট ক্যামেরা ওপেন করে
নিজেকে দেখছিলাম।
লম্বা চুলে কি আমাকে আসলেই খারাপ
লাগে? ?চুল গুলা ধরে ধরে দেখছিলাম।

লিলি- may i come in sir.
.
raad- yes.
.
লিলি- স্যার নিউ প্রজেক্ট এর ফাইল টা।

রাদ- রেখে দেও।
আচ্ছা লিলি শুনো।

লিলি- জি স্যার।

রাদ- লম্বা চুলে!! না থাক যাও।

লিলি- ওকে।

রাদ- উফফ এখন আমি ওই মেয়ের কথায় আমার
এত সাধের চুল গুলা নিয়ে সন্দেহ করছি? ?
দুর।

কাজ শেষ এ বাসায় আসলাম।

রিমি (house maid)- স্যার বড় স্যার আপনাকে
খেতে ডাকছে।

রাদ- যাও।
আসছি।

ড্যাড – রাদ নিউ প্রজেক্ট এর ফাইল
দেখেছ? ?কি বুঝলে। ইনভেস্ট করা যায়??

রাদ- yes dad.
প্রফিট অনেক হবে।

ড্যাড- আরেক টা কথা। চুল গুলা এবার কাট।
ফুল বিজনেস ম্যান হয়ে যাও।
এখন তুমি সেই কলেজ বয় নেই।

রাদ- হায় রে।
ওই মেয়ে আমার চুলে কুফা লাগাইছে।
) ওকে ড্যাড।

মা- আদর কি হয়েছে তোর? ? এমন করে বসে
আছিস কেন? ?
আদর- আম্মু ভাবছি এবার জব করব? ?

আম্মু- তোর কোনো ইচ্ছাতে কি আমি বাধা
দিয়েছি?? কিন্তু হঠাত।

আদর- মা আমি যেটা করছি সেটা আমার
passion. আমার profession না।( কি কাজ করে সেটা পরে জানতে পারবেন)
ওইটা আমি মনের সুখের জন্য করি।
আর পড়া লেখাও ত শেষ বসে থেকে কি করব
বল।

আম্মু- হ্যা।
তাও ঠিক।
তুই যা ভাল মনে করিস কর।


সকালে-
রাদ- আজ সকালে ঘুম ভেংগে দেখি
আলরেডি ৯ টা।

রেডি হয়ে নাস্তা না করে বের হয়ে গেলাম।
আজ আর বাইক না নিয়ে গাড়ি তে উঠে
গেলাম।
ড্যাড আজ খুব বকবেরে রাদ।
তোর আজ খবর আছে।

ড্যানি- স্যার আপনাকে এমন দেখাচ্ছে
কেন? ?

রাদ- তুমি জানোই ড্যাড কেমন।
টাইমের কাজ টাইমে না হলে কত রাগ হয়।

ড্যানি- don’t worry sir.
রাদ- হুম।
এর মধ্যে ড্রাইভার জোরে ব্রেক করল।

রাদ- what the hell is this u idiot.এখনি ত
accident হয়ে যেত।

ড্রাইভার – আমি কি করব স্যার।
এই মেয়ে টা সামনে এসে পরল।

রাদ- গাড়ি থেকে বের হলাম।
কোন মেয়ে দেখি।
আরে চারচোখ।

আদর- ওই ওই আপনি আবার আমাকে চার চোখ
বললেন।
জংলি একটা।

রাদ- ( ওর জংলি কথায় আমার মনে পরল আজ
চুল কাটানোর কথা ছিল)
ওই ওই তুমি কি বললা?? আমি… আমি জংলি।
।আদর- হ্যা তাই ই।
জংলি জংলি জংলি।

রাদ- ওই মেয়ে তোমার সাথে কথা বলার
টাইম নাই।
তুমি একটা কানা ও বটে
আচ্ছা বার বার আমার গাড়ি র নিচেই কেন
তোমার আসতে হয়।
মরার জন্য আর গাড়ি পাওনা? ?

আদর- মরুক আমার দুশমন।
আমি মরতে যাব কেন।
এখন ত আমি বাচ্চা।

রাদ- উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখলাম।
তুমি বাচ্চা? ? কোন দিক দিয়া তুমি বাচ্চা।
এত দিনে বিয়ে দিলে ত তোমার ৪ টা বাচ্চা
থাকত।

আদর- ওই ওই কি বললা??

রাদ- ঠিকি বলেছি।

ড্যানি- sir we r getting late.
pls hurry up.
.
রাদ- চারচোখ একটা।
বলে গাড়ি তে উঠে চলে এলাম।

আদর- জংলি, পাজি।
চশমা পরি বলে কি আমি চার চোখ।

দুর।
সকাল টাই খারাপ।
রাদ- অফিসে এসে বাবার কিছু ভাল ভাল
কথা শুনলাম। যা আপনাদের বলা যাবেনা।

কেবিন এ গেলাম।
লিলি!! লিলি!!!

লিলি- জি স্যার।

রাদ- তুমি আমার পি.এ ।
তোমার কাজ হচ্ছে আমাকে সব কিছুর জন্য
আপডেট দেওয়া।
সব কিছু মনে করিয়ে দেওয়া।
কিন্তু আজ পর্যন্ত তুমি এই কাজ টাই করতে
পারলে না।
u r fired.
just get lost ( ড্যাড এর রাগ ওর উপর ঝারা
আরকি)

আহিল- স্যার আসব? ?

রাদ- no.
later.
.
হ্যা হয়ে দাড়িয়ে আছ কেন? ? ম্যানেজার
কে বলে দিচ্ছি তোমার একাউন্ট ক্লিয়ার
করে দিবে।

লিলি- বাট স্যার।
রাদ- get the hell out of here.
right now.
i said leave.
.
লিলি- বেরিয়ে আসলাম।
এসে দেখি বাইরে সবাই জমা হয়ে আছে।

আহিল- স্যার কে এত রাগ এর আগে দেখিনি।
স্যার এত কঠোর হতে পারে আজ নিজেত
চোখে না দেখলে জানতাম ই না।
চলবে
.

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *