বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১৯

মেঘ – কাল কে তোমার সাথে কি হতে
চলেছে তা তুমি নিজেও জানোনা তারা।
আজকের রাত টা ঘুমিয়ে নেও শান্তি তে।
কাল কে থেকে ঘুম হারাম হবে তোমার।
হাহাহা।

সকালে –
তারা- সকালে উঠে দেখি বাবা তোড়জোড়
শুরু করে দিয়েছে।
মিলি আনটি ও এসেছে।
তারা ২ জন মিলে সব করছে।

বাবা- তুই দুপরেই হিয়াকে চলে আসতে বলিস।

তারা- হুম। আমি ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি।
হিয়া কে ফোন করে জানিয়ে দিলাম।
বিকালে হিয়া চলে আসল।
হিয়া আমাকে রেডি করে দিচ্ছিল।
তারা- হিয়া শুধু কাজল দিয়ে দে।
আর কিছু দরকার নাই।

বাবা- তারা হয়ে গেছে কি? ? ছেলেরা চলে
এসেছে।
আমি ওদের দেখি হিয়া ওকে ডাকলে নিয়ে
আসিস।

তারা- বুকের ভিতরে ধুক ধুক করছে।
অজানা এক ভয় চেপে ধরেছে।
হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
হিয়ার হাত শক্ত করে চেপে ধরলাম।

হিয়া- এত ভয় পাচ্ছিস কেন?
আমরা তো আছি।

তারা- আমার কেমন যেন ভয় লাগছেরে।
বাবার ডাক শুনতে পেলাম।
হিয়া আমি যাব না।

হিয়া- ওই তুই কি বলছিস? ? নিজে কি শুনতে
পাচ্ছিস কি বলছিস।
।চল চল।

তারা- হিয়া টেনে টেনে রুম থেকে বের
করল।
আমি হিয়ার পিছন পিছন সামনের রুমের
দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
মনে হচ্ছে ভয়ে আমি জমে যাচ্ছি।
আমি হাটতেও পারছিনা।

হিয়া- ঠেলতে ঠেলতে তারা কে সামনের রুম
পর্যন্ত আনলাম।
সামনের রুমে যেয়ে ছেলে কে দেখে আমি
আকাশ থেকে পরলাম এটা তারার হবু বর? ???
তারাকে খুঁচা দিলাম।

তারা- কি হল ( মিন মিন করে)

হিয়া- সামনে তাকিয়ে দেখ।

তারা- ভয়ে ভয়ে আস্তে আস্তে সামনের
দিকে চাইলাম।
“আপনিইইইইইইইইই”
পাশে মামনি বসা।
আমি বাবার দিকে তাকালাম।

বাবা – হ্যা। কাল কে এটাই তো বলতে
চেয়েছিলাম।
তুই ত বলতে দিলিনা।

মামনি -এখানে এসে বস আমার পাশে।

তারা- আমি বাবা কে নিয়ে অন্য রুমে
গেলাম।
।বাবা আমি এই বিয়ে করবনা

বাবা – দেখ তারা এটা এখন সম্ভব না।
তুই কাল কে মানা করলে আমি ওদেএ মানা
করে দিতাম।
কিন্ত ওরা এখন চলে এসেছে
আমি এখন কিছু করতে পারব না। এটা অদের
অপমান করা হবে।
তাছাড়া মেঘ খুব ভাল ছেলে।ও তোকে খুব
সুখে রাখবে।

তারা- কিন্তু বাবা! ?

বাবা – আমি কিছু শুনতে চাইনা।
চল।

তারা- মামনির পাশে বাবা বসিয়ে দিল।
আমি মাথা নিচু করে বসে ছিলাম।
মামনি আংগুল এ রিং পড়িয়ে দিল।
পরে আমি চলে আসলাম।

মেঘ – মা আমি তারার সাথে দেখা করে
আসি। তোমরা কথা বল।

তারার রুমে যেতেই দেখলাম তারা হাত
থেকে চুড়ি গুলা খুলে মেঝেতে ফেলছে।
রিং টা খুলার ট্রাই করছে।

একদম ওটা খুলবে না।

হিয়া- স্যারের কথা শুনে আমি রুম থেকে
বেরিয়ে গেলাম।

মেঘ – আমি দরজা টা লাগিয়ে দিলাম।

তারা- কি করছেন দরজা লাগাচ্ছেন কেন??
খুলুন বলছি।

মেঘ – ওর হাত নিয়ে রিং টা আবার ঠিক করে
দিলাম।

তারা- ১ ঝটকায় হাত সরিয়ে নিলাম।তার
দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম।ব্যপার
তা হল কি? ?? এত রাগ লাগছিল কথারা যেন
ভাষা হারিয়ে ফেলেছে

মেঘ -হ্যা হ্যা বুঝতে পারছি খুব রাগ লাগছে।
কিন্ত তুমি তোমার ভুলের জন্যই ফেঁসেছ।
যাক ফ্লাশ বেক টা শুন।
তুমি চলে যাওয়ার পর আমি বাসায় যাই।
তারপর-(
মেঘ – মা আমি কিছু তোমাকে বলতে চাই।

মামনি – বলে ফেল।

মেঘ – আমি তারা কে বিয়ে করব।

মামনি – আমি কি কানে ভুল শুনছি।তুই ঠিক
আছিস? ? তুই আমার মেঘ ই তো নাকি ওর রুপে
অন্য কেউ।

মেঘ – উফফফ মা চুপ কর তো।ওর বাবাকে বলে
দেখো।
আর হ্যা আমি উত্তর টা হ্যা ই শুনতে চাই।
)
তারপর আর কি তোমার বাবার সাথে মা কথা
বলল।
কিন্তু তুমি রাজি শুনে আমার খটকা লাগল।
তাই রাতে তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম।
তোমার কথা শুনে বুঝলাম তুমি জানোনা
আমার কথা।
তাই পরে স্যার কে ফোন করে আমার কথা টা
বলতে মানাইই করে দিলাম।

তারা- আর আমি যদি মানা করতাম তখন?

মেঘ – তখন অন্য ব্যবস্থা করতাম।
তারা কে কাছে টেনে নিলাম। কানের
কাছে মুখ নিয়ে বললাম ” তোমাকে তুলে
নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকত না”
তারার চেহারা তখন দেখার মত ছিল।

তারা- ১ ধাক্কায় সরিয়ে দিলাম।

মেঘ – এইভাবে আর কত সরাবে বলতো।
শেষ মেশ তো আমার কাছেই যেতে হবে।
রেডি থাকো।
কিছুদিন পর ই আমাদের বিয়ে।
।বলে চলে আসলাম।

তারা- কি কিসমত আমার।
আমার ভাগের সুখ আল্লাহ লিখতে ভুলে
গেছে। না হলে ট্রাকের সামনে প্রে মারা
গেছে। লাশ টাও পেলাম না।
এএএএএএএএএ। এটা কি হল আমার সাথে।

মেঘ – রাতে তারাকে ফোন দিলাম।
মেয়েটা ফোন ধরছেনা।
খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছিল।
মেসেজ দিলাম ” জান ফোন টা ধর”

তারা” কে আপনার জান হ্যা”

মেঘ – কেন তুমি

তারা- মুরি খান হুহ

মেঘ – তুমি খাইয়ে দিয়ে যাও।

তারা- কেন হাত নেই

মেঘ – তোমার হাতে খাব।

তারা- আহ্লাদ এ আর বাচলাম না।

মেঘ – এই ফোন টা ধরনা প্লিজ
তারা- পারব না।

মেঘ – ধরবে না তো?
তারা- না।

মেঘ – ঠিক আছে। রেডি থাকো আমি আসছি।

তারা- এই না না না।
ধরছি ধরছি।
ফোন ধরে কি বলবেন বলেন।

মেঘ – তোমার কথা খুব শুনতে ইচ্ছে
কিরছিল।

তারা- শুনা হল তো এখন রাখি।

মেঘ – একবার ভালবাসি বলনা।

তারা- ফোন কেটে দিলাম।

উনি অনেক বার ফোন দিলেন আমি পরে ফোন
অফ করে রেখে দিলাম।
যাকে সহ্য হয়না তাকে আবার ভালবাসা হুহ।

সকালে –
কলিং বেল বাজছে এত সকালে কে দরজা
খুলে আপনিইইইইইই!!!!

মেঘ – তারার হাত ধরে টানতে টানতে ছাদে
নিয়ে গেলাম। এত সকালে ছাদে কেউ
থাকবেনা জানি।

দেওয়াল এর সাথে আটকালাম।

তারা- কি করছেন কি?

মেঘ – তারার মুখ চেপে ধরলাম – রাতে ফোন
অফ করে রেখেছিলে কেন? ?
তারা- হাত সরিয়ে )এমনি.

মেঘ – আমার কি অবস্থা হয়েছিল জানো
তুমি? ?
আমাকে কেন তুমি ভালবাসতে পারছনা??
তারা- উফফ ছাড়ুন আমাকে।

মেঘ – উত্তর না দিলে ছাড়ব না।

তারা- কি করছেন আমার ব্যথা লাগছে।

মেঘ -তারাকে ধরে ওর মুখ আমার
দিকে উচু করলাম তোমাকে আগেও বলেছি
এখনও বলছি তুমি শুধু আমার আর আমার ই
থাকবে।
তুমি সেটা পছন্দ কর আর না কর।
বিয়ে তো ঠিক হয়েই গেছে।
এখন শুধু বিয়ে টা হতে দেও
আমাকে না ভালবেসে কই যাও আমিও দেখব।

তারা-( হুহ আইছেরে প্রেসিডেন্ট)

মেঘ – চুলে ১ টা চুমু দিয়ে চলে আসলাম।

তারা- বাসায় ঢুকলাম।

বাবা – এত সকালে কই গেছিলি।

তারা- ইয়ে মানে ছাদে।
রুমে ঢুকে গেলাম।

সকালের নাস্তা শেষ করে বারান্দা তে
গেলাম।
বাবা- তারা রেডি হয়ে নে।
মেঘ আসছে। ফোন দিয়েছিল আমাকে।

তারা- ও কেন আসছে?

বাবা- আরে ও একা না তোর শাশুড়ি ও
আসছে।তোকে নিয়ে বিয়ের শপিং করবে।
তারা- আমি যযাব না ববলে দেও।
বলতে ববলতেই কলিং বেল বাজল।
দেখো গিয়ে তোমার ছাত্র এসেছে।
বাবা দদরজা খুলল যা ভেবেছি তাই হল।

মেঘ – মা গাড়ি তে।
তারা কই।

তারা- আমি উনাকে দেখে তাড়াতাড়ি রুমে
গেলাম।

বাবা- এইখানে তো ছিল। কই গেল।

মেঘ – আমি কি ডেকে আনব?

বাবা- যাও।

মেঘ – কাশি দিয়ে ঘরে ঢুকলাম।
মহারানি রাগে ফোস ফোস করছে।
খাটের এক পাশে বসে আছে।

আমি কথা বলে সোজা ওর আলমারি খুললাম।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *