বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ২০

তারা- কিরে কি করে।
এই এই কি করছেন? উনার কাছে গিয়ে
দাড়ালাম।
উনি এক টার পর একটা জামা বের করছেন
দেখছেন আর ফেলছেন।

তারা- হচ্ছে টা কি।

মেঘ – চুপ করে থাকতো।

তারা- উফফ। বারান্দা তে গেলাম।

মেঘ – এই নেও এটা পরে রেডি হউ।

তারা- আমি যাব না।

মেঘ – আমার রাগ বাড়াবেনা।

তারা- কি করবেন হ্যা শুনি।

মেঘ – সে সম্পকে কি তোমার ধারনা নেই?

তারা( এই লোক পাগল। তুলে নিয়েও যেতে
পারে।)
আচ্ছা যান রেডি হচ্ছি।

মেঘ – ও রেডি হয়ে বের হল।
মেজাজ চরম খারাপ হল।
চুল বেধে আসছে।

আচ্ছা বের হলাম আমরা।

বাবা – আচ্ছা যাও।

মেঘ – সিড়ি দিয়ে নামার সময় ওর চুল খুলে
দিলাম।

তারা- কি করছেন।উফফ কাটা দিন।

মেঘ – না।
তুমি চুল বেধেছ কেন।
তারা- আমার চুল আমি বাধব আপনার কি?

মেঘ – তুমি যেহেতু আমার তাই তোমার উপর
আমার অধিকার আছে।
তুমি চুল বাধতে পারবেনা।
বলে নিচে গেলাম।
গাড়ির দরজা খুলে দাড়ালাম।
তারা সামনে এলো
আবার চুল খোপা করছে।
গাড়ি তে উঠার সময় খোপাটা খুলে আমিও
গাড়ি তে বসলাম।

তারা- উফফ এর জ্ঞান ও নাই।
মামনি বসে আছে তাও…

মা- কিরে দেরি হল কেন।

তারা- রেডি হতে দেরি হয়ে গেল
মেঘ – গাড়ি চালাচ্ছি।

মামনি – আমাকে এখানে নামিয়ে দে মেঘ।

মেঘ – কেন?

মা- তোরা যা। যা খুশি কিন।
আমি এইখানে তোর খালার বাসায় থাকি।

মেঘ ( যাক তারাকে একা পাওয়া গেল)

তারা – না মামনি তুমি থাক।

মেঘ – মা যেতে চাচ্ছে যাক না।

তারা- রাগি লুক নিয়ে তাকালাম।

মেঘ – আমি তেডি স্মাইল দিলাম।

তারা -( বজ্জাত)
।মামনি তুমি নেমে গেলে কিন্তু আমিও
নেমে যাব।

মামনি – আচ্ছা আচ্ছা চল।

মেঘ – এবার রাগি লুক নিয়ে আমি তাকালাম।

তারা- আর আমি তেডি স্মাইল দিলাম।

মেঘ – গাড়ি থামালাম।
মা এই কার্রড টা নেও যা খুশি তোমরা
কিনো।
আমার একটু কাজ আছে সেরে আসি।
বলে তারার দিকে তাকিয়ে ইশারা তে ওকে
কিস দেখালাম।

তারা – চোখ বড় বড় করলাম।
।উনি হেসে চলে গেলেন।

মামনি আর আমি শপিং করলাম।
২ ঘন্টা পর উনি আসলেন।

মেঘ – তোমাদের হয়েছে।
মা- আরে না মাত্র বিয়ের শাড়ি কিনলাম।

মেঘ – ২ ঘন্টা লাগিয়ে।

মা- তাতে তোর কি?

মেঘ – কিছুনা চল লাঞ্চ করি।
পরে আবার শপিং করো।

মা- ঠিক বলেছিস।

রেস্টুরেন্ট এ গেলাম-
।তারা- আমি টেবিল এর কাছে যেতেই উনি
চেয়ার সরিয়ে ধরলেন।
আমি না বসে অন্য টায় বসলাম।

মেঘ – রাগে মনে হচ্ছিল তুলে আছাড় মারি।
না থাক কিছু হলে আমার কি হবে।

তারা- মামনি আমার পাশে বসার আগেই উনি
আমার পাশে বসলেন।
আমি এখন উঠ তেও পারছিনা

মেঘ – তারা নেও অর্ডার কর।
তারা- মামনি তুমি কর।

মা- মেঘ তুই ই কর।

মেঘ – অর্ডার দিলাম।

তারা- বসে বসে ফোন দেখছিলাম।

মেঘ – সারাদিন এটা দেখার কি আছে
আমাকে দেখতেও ত পারো।

তারা- হুহ আমার বয়েই গেছে।

মেঘ – তারার ঘাড় এ হাত রাখলাম।

তারা- কি করছেন মামনি আছে।

মেঘ – দুর চুপ কর।

তারা- হাত সরাতে চাচ্ছি শক্ত করে রাখছে।
দুর।

মেঘ – তারা হাত কোলের উপর রাখল।
আমি ঘাড় থেকে হাত সরিয়ে।
নিচে ওর হাত ধরলাম।

তারা আমার দিকে তাকালো।

তারা – হাত ছুটাতে চাচ্ছি পারছিনা।
আরও শক্ত করে ধরেছে।

খাবার এল
খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম।

পরে আবার গেলাম গয়নার দোকানে বিয়ের
গয়নার অর্ডার দিয়ে আমরা বের হয়ে গেলাম।

সন্ধা হয়ে গেল।
উনি আমাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিলেন।

মামনি – মেঘ ওকে উপরে দিয়ে আয়।

মেঘ – যাচ্ছি।

তারা- না লাগবেনা।

মেঘ – চুপ চল।

তারা- সিড়ি দিয়ে উঠছি। উনি পাশে।
দরজার সামনে কলিং বেল দেওয়ার আগে
উনি আমার হাত খপ করে ধরলেন।

তারা-( কেপে উঠে) কি হল।

মেঘ – তারাকে নিজের দিক এগিয়ে একটা চুমু
দিলাম কপালে।
নিচে চলে গেলাম।

তারা- আমি ঘরে গেলাম।
বাবা শাড়ি দেখতে চাচ্ছে।
দেখালাম।
কিসের থেকে কি হচ্ছে বুঝতে পারছিনা
উনি আমাকে অনেক ভালবাসেন।
কিন্তু আমি কেন পারছিনা।
নাকি আমি বাসি সেটা মানছিনা? কোন
টা? ??
নাহ এইসব ভাবলে মাথা নস্ট হয়ে যাবে

ঘুমাই এখন।
ফোন বেজে উঠল।
দুর ঘুমাইতেও দিবে না নাকি।
“বলেন ”

মেঘ- তুমি করে বললে কি হয়।
তারা- পারবনা

মেঘ – আচ্ছা এটা নিয়ে এখন জোর করব না
একদিন তুমি নিজে থেকেই বলবে।
।তারা- কিসের জন্য ফোন দিয়েছেন?
মেঘ – তোমাকে gd nt জানাতে।

তারা- অকে gd nt. bye.

মেঘ – আরে শোন শোনো।
যাহ লাইন কেটে দিল।
সকালে-
নাস্তা শেষ এ-
তারা – (ফোনে)হ্যা মামনি বল।

মামনি – তারা কার্ড ফাইনাল ত করা হলনা।
তুই এখন মেঘের অফিসে যা। ওকে নিয়ে
অর্ডার
দিয়ে আয়।

তারা- এইসবে আমাকে কেন জরাচ্ছ???
পারবনা আমি।
তোমরা কর।

মামনি – তোদের বলতাম না।
আমার অন্য কাজ আছে।
তুই যা।

তারা – হুম।
( বাবা ও নেই বাসায় না হলে বাবাকে পাঠা
তাম।
যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছিনা, সেই বিয়ের
জন্য এত কিছু করতে হচ্ছে আমাকে? ? শুধু
বাবা আর মামনির জন্য)
রেডি হয়ে অফিসের জন্য বের হলাম।
অফিসে –
হিয়া – তারারা! ! এত দিন পর অফিসে? ?
কেমন আছিস? ?
কিছু দরকার?

( অফিসের সবাই তারাকে দেখে খুশি। সবার
সাথে কথা হল)

তারা – স্যার আছে কেবিন এ ??

হিয়া- হ্যা হ্যা এখন ত উনার ই খোজ নিবা।
তারা- একটা মারব।

হিয়া- হেহেহে। হ্যা আছে।যা।

তারা- কেবিন এ ঢুকলাম দেখলাম ১ টা
মেয়ের সাথে কথা বলছেন।

মেঘ – আরে তারা! তুমি কোনো দরকার?

তারা- কেন? দরকার ছাড়া আসা যাবেনা।

মেঘ – সেটা কি বলেছি।
বস।
কাজ টা সেরে নেই।

তারা- বসে ফোন দেখতে লাগলাম।
বার বার মেয়েটার দিকে চোখ যাচ্ছে
(এই মেয়ে ঢুলে ঢুলে এত তার উপর পরার
চেস্টা করে
কেন? ?
উনি কি বুঝছে না।
ফাইলে কিছু দেখাতে যেয়ে মেয়ে টা খোপ
করে স্যারের হাত টা ধরল।
)
আমার চোখ কপালে।
আমি উঠে দাড়ালাম।

মেঘ – কি হয়েছে তারা।

তারা- আপনি কাজ ই করুন।
আমি বাসায় যাচ্ছি।

মেঘ – এই এই দাড়াও দাড়াও। ইরা তুমি বাইরে
যাও।
বাকি কাজ পরে।

তারা-( হুহ। ডং। এতক্ষন কি হচ্ছিল সে কি
আমি দেখিনি।
আচ্ছা মেয়েটা কে? ?
এর আগে তো দেখিনি.
দুর আমার কি? ?)

মেঘ -উঠে দারালাম।
প্যান্ট এর পকেট এ হাত দিয়ে- রাগ হচ্ছ কেন?
আচ্ছা বল কি কাজ।

তারা-কোনো কাজ নেই আমি বাসায় যাচ্ছি।

মেঘ – আরে আরে তারা । হাত ধরে আটকালাম।
রেগে আছ কেন??

তারা- কে বলছে রেগে আছি অন্য দিকে মুখ
ঘুরিয়ে।

মেঘ – আচ্ছা মা ফোন দিয়েছিল চল যাই।

তারা – আপনি তো জানতেন ই তাহলে না
জানার ভান করার কি দরকার ছিল।

মেঘ – আরে বাবা তোমার মুখ থেকে শুনতে
চাচ্ছিলাম।

ইরা- স্যার আজকের মিটিং টা।

মেঘ – ক্যান্সেল করে দাও।

তারা- এই মেয়েটা কে? ?

মেঘ – ইরা। নিউ পি.এ।
তারা-আগের টা কই?

মেঘ -এত প্রশ্ন করছ ব্যপার কি বলত? ? কিছু
কি জ্বলছে।( কাছে টেনে নিয়ে)

তারা( সরে যাওয়ার চেস্টা করে) জি না।
কিছুই না।
ওকে নতুন দেখলাম তাই।

মেঘ – তাই।

তারা- হ্যা তাই।

মেঘ – হেহেহে আচ্ছা চল।
.
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *