বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১৮

তারা- এত বার বারকেটে দিচ্ছি তাও ফোন
দিচ্ছে। উফফ।
এখন আবার মেসেজ দিচ্ছে। দেখি তো কি
লিখছে-‘ ফোন ধর না হলে বাসায় চলে আসব’

সাথে সাথে ফোন রিসিভ করলাম।
কি হইছে এত রাতে ফোন দিচ্ছেন কেন?

মেঘ – জেগে জেগে কি করছ?
মুভি দেখছ।

তারা- হ্যা তা আপনার কি?

মেঘ – এখনি ল্যাপটপ অফ করো।

তারা- না।

মেঘ – আমাকে কি আসতে হবে।

তারা- আচ্ছা আচ্ছা করছি।
শয়তান ১ টা।

মেঘ – কি বললা।

তারা- কিছুনা।
gd night.
আমার ঘুম পাচ্ছে।

মেঘ – এই এই শুনো।
।তারা- আবার কি?

মেঘ -আমি জানি তুমি আমাকে ভাবছিলে।আর শোন কাল কে
সন্ধ্যা বেলা রেডি হয়ে
আমার অফিসের সামনে চলে আসবা।

তারা- মানে কি?
।পারব না আমি.
মেঘ – পারবে পারবে ঠিকি পারবে। আর শুন
কালো রং এর ১ টা শাড়ি পরবে।

তারা- আমি শাড়ি পরতে পারিনা।
আর আমমি আসবো ও না।

মেঘ – না আসলে আমি তুলে নিয়ে আসব। তখন
বুঝবে ঠেলা।

তারা- উফফফ। আচ্ছা ঠিক আছে আসব।
রাখি।
উফফ এই রাক্ষস টা আমার জীবন টা তুলা ধুনা
করে দিল।

সকালে-

তারা- ফোনের শব্দে ঘুম ভাংল। ফোন না
দেখেই রিসিভ করলাম।
ওই কেরে তুই এত সকালে ফোন দিছিস কেন
রে?

মেঘ – তারারারা! !!

তারা- সাথে সাথে উঠে বসলাম।
আপনি?

মেঘ – হুম তো কে ভেবেছিলে
আর এত সকাল কই।
ঘড়ির দিকে তাকাও ৯ টা বাজে।

তারা- তাতে কি? দেখা করার কথা তো
সন্ধায়।

মেঘ – জান পাখি দেখা করার জন্য মনে
হচ্ছে পাগল হয়ে যাচ্ছে।

তারা- হুহ
মেঘ – আচ্ছা এখন রাখছি। সময়মত চলে এসো।
তারা- দেখা করার জন্য মরছি my foot.

পরের দিন।বিকালে –
তারা- ওই লোক জানেনা আমি শাড়ি পরতে
পারিনা।
অবশ্য জানবেই কি করে।
এখন কি করি?
হিয়াকে ফোন দিলাম।
ওকে অফিস শেষ এ বাসায় আসতে বলেছি।

হিয়া- কিরে হঠাত বাসায় আসতে বললি।

তারা- দোস্ত তাড়াতাড়ি শাড়ি পরা শিখায়
দে আমারে।

হিয়া- শাড়ি পরে এখন কই যাবি।

তারা-( এমনি দেরি হয়ে গেছে।
ওই ভাল্লুক যদি বাসায় চলে আসে)
তুই এত কথা রাখ তো শাড়ি পরায় দে আগে।
পরে সব বলবনে
ফোন বেজে উঠল।
হায় হায় ভাল্লুক ফোন দিচ্ছে।
১ টা মেসেজ পাঠাই।
রেডি হয়ে অফিসের ওইখানে যেতে যেতে
দেড় ঘন্টা লেগে গেল।

রিক্সা দিয়ে নেমে দেখি গাড়ির সাথে
হেলাম দিয়ে দাড়িয়ে- আছে।
হঠাত আমার ফোন বেজে উঠল।
চেয়ে দেখি উনি।
উনি পিছনে তাকালেন।

মেঘ – এতক্ষন লাগে? ?
বাহ তোমাকে তো দারুন লাগছে।

তারা- মুখ বাঁকালাম।

মেঘ – হায় মে মার গায়া।
হেহেহে।

তারা – গা জ্বলে যাচ্ছে আমার। হাসবেন না।

মেঘ – আচ্ছা গাড়ি তে ঊঠো।

তারা – পারব না।
যা বলার এখনি , এএইখানে বলেন।

।মেঘ – উঠবে না উঠাব?
তারা-
উঠছি উঠছি।

মেঘ – ১ কথা ১ বার বললে শুন না কেন?
এইটাই তো তোমাদের মেয়েদের স্বভাব ১
কথা ১ বার বুঝনা।
বার বার বলতে হয়।

তারা- মেয়েদের উপর PHD করছেন?

মেঘ – না শুধু তোমার উপর।
তারা- কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? ?

মেঘ – kidnappe korchi তোমাকে।

তারা- কিহ??

মেঘ – এত কথা বল কেন?
চুপ করে বসো।
দেখবেই তো কয়েক মিনিটপর।

তারা – ১ টা জায়গায় গিয়ে গাড়ি থামল। খুব
সুন্দর ১ টা বাড়ি দেখিলাম ভেতরে গিয়ে।
বাড়ির
চারিদিক ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা।।
বাড়ির সামনে ১ টা বিশাল পুকুর।
পাশেই বসার জন্য সুন্দর করে লোহার চেয়ার
পাতা আছে।

তারা – এটা কার?

মেঘ – আমার বাবা খুব শখ করে
বানিয়েছিলেন।
আমার ছুটি থাকলে আমরা ৩ জন এইখানে ছুটি
কাটাতে আসতাম।
কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মা
এইখানে আর আসতে চান না।
তাই এইখানে আর আসা হয়না।
আমি মাঝে মাঝে আসতাম।
এখন আর আসার সময় পাইনা।

তারা- আমি মনোযোগ দিয়ে তার কথা
শুনছিলাম।

মেঘ – কিন্তু বিয়ের পর আমি আর তুমি
এইখানে এসে এসে থাকব।
একা কিছু সময় পার করব।

তারা- wait. wait.কার বিয়ে? ? আমার আর
আপনার? ? r u out of ur mind? ? r u listening
urself? ??
.
মেঘ – এত react korar কি আছে।
আমাদের তো বিয়ে হবেই।

তারা- আমি আপনার সাথে দেখা করতে
এসেছি তার মানে এইনা যে আমি আপনাকে
পছন্দ করি।
আর আপনার বাসায় ছিলাম বলে আমাকে
আপনার অধিকার মনে করে নিবেন না।
মেঘ – তারার হাত ধরে – tara i really love you.
i want u in my life.
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসবো তারা।
blv me

তারা- দেখুন এখন পর্যন্ত আমি বাবা কে কিছু
বলিনি কারন আমি চাইনা বাবা আপনার
সম্পকে খারাপ ভাবুক।কিন্তু এরপর….

মেঘ – তারার গাল ২ টা ২ হাত দিয়ে ধরলাম –
কিন্তু এরপর বলে দিবে তাইতো? বলে দেও।
আমার কিছুই আসে যায় না।
তারা আমি শুধু তোমাকে চাই।

তারা- আমি আপনাকে চাইনা। আর এরপর
আমার সাথে দেখা করা বা ফোন করার
চেস্টা করবেন না। এর ফল ভাল হবেনা বলে
দিলাম।
।মেঘ – তারা আমার কথা টা শুন। প্লিজ
দাড়াও।

নাহ তারাকে এইভাবে রাজি করানো সম্ভব
না।
অন্য কিছু ভাবতে হবে।
।বাসায় চলে আসলাম।

পরের দিন –

বাবা- কিরে নাস্তা করে নে।

তারা- বাবা আমার ইচ্ছে করছেনা।

বাবা- এইখানে বস কথা আছে।

তারা- বল।

বাবা- দেখ তারা মেয়েরা জন্মা ঈ পরের
ঘরে যাওয়ার জন্য।
তুই ও তো বড় হয়েছিস।
তাই ভাবছিলাম।

তারা- বাবা তুমি কি বলতে চাচ্ছ বুঝেছি। যা
খুশি কর।
আমি রাজি আছি ( ওই ভাল্লুক থেকে বাঁচতে
হলে বাবার কথা শুনাই ভাল)

বাবা- তুই সত্যি বলছিস।
আমি ১ টা ছেলে ঠিক করেছি ওর নাম।

তারা- বাবা আমার শুনার বা জানার কোন
ইচ্ছে নেই।

বাবা- কিন্তু ছেলে সম্পর্ক এ জানবিনা??
ওরা কালকে সন্ধায় আসবে বলেছে।

তারা- ওদের আসতে বল।
আমি রাজি।
উঠে রুমে গেলাম।

বাবা- তামি তাহলে ওদের জানিয়ে দেই।
তারা-
যাক এখন উনি কি করবে আমি তাই দেখব।

রাতে-

মেঘ – তারাকে ১ টা ফোন দেই।
খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে
.
তারা- ওই ভাল্লুক ফোন দিয়েছে হেহেহে
দাড়াও নিউজ টা বলি কি যে shock খেতে
চলেছে নিজেও জানেনা।
হ্যালো।।
মেঘ – কি করছ?

তারা- আপনি যখন ফোন দিয়েছেন ই তাহলে ১
টা সুখবর দেই আপনাকে।

মেঘ – বল।

তারা- শুনে আবার মরে যেয়েন না। সবার
আগে আপনাকেই জানাচ্ছি।
চলে আসবেন।
আমার বিয়ে ঠিক হচ্ছে।
কাল কে ছেলে পক্ষ আসবে।
ছেলে যেমন ই হক আমি ওকেই বিয়ে করব।
এটা হবে আপনার উপর আমার চরম প্রতিশোধ।
বলেই ফোন কেটে দিলাম।
.
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *