বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১৭

মেঘ – রাগ চরম আকারে উঠে গেছে।

তারাকে দেওয়ালের সাথে ধরে ওর মুখ এক
হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।
আমার দিকে তাকাতে পারবেনা মানে।

তারা- আমার ব্যথা লাগছে।

মেঘ – লাগুক।

তারা- আপনার সমস্যা কি বলেন তো।

মেঘ – তুমি অন্য ছেলেদের সাথে এত কি কথা
বল।

তোমার বাবাকে বলব।

তারা- তাকে সরিয়ে
আপনি কি বলবেন হ্যা
ও আমার কলেজ বন্ধু।
ওকে আমার বাবা চিনে।
আর ওইটা আপনার ই ভাই যে সেধে সেধে
এসে আমার সাথে কথা বলছে আমি বলিনি।
আর তাছাড়া আমি কথা বললে আপনার কি
সমস্যা? ?(চিতকার করে)

মেঘ -( চিতকার করে) i love you damn it.
don’t you get it?
i love u.

তারা- (অবাক হলাম প্রচুর। কিন্তু তার প্রতি
আমার কোনো ফিলিংস নেই।আগেই বলে
দেওয়া ভাল
।)
sorry bt i don’t love you.

মেঘ – why? why not?
তারা- এর উত্তর আমার কাছে নেই।
just leave me alone.
.
মেঘ – তারাকে ২ হাত দিয়ে ধরে ঝাকিয়ে
তুমি আমাকে ভালবাসো না কেনো?

তারা- u r hurting me.
let me go.
i just don’t wanna see ur face.
leave me.
মেঘ – I won’t. u r mine.
I’ll make u mine.
তারা- (তাকে সরিয়ে) ছাড়ুন। ধরবেন না
আমাকে।i hate u.
hate you.আপনার কোনো অধিকার নেই আমার
উপর।

মেঘ – অধিকার আমি তৈরি করে নিচ্ছে।
বলেই তারাকে চুমু দিয়ে বসলাম।

তারা- হাত দিয়ে জোরে জোরে পিঠে ঘুষা
দিচ্ছিলাম।

মেঘ – তারার হাত ২ টা দেওয়ালে ২ হাত
দিয়ে আটকে ধরলাম।

দম প্রায় আমার বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা
কিন্তু তারাকে ছাড়ি নি।

তারা- চোখ দিয়ে পানি বেয়ে পরছিল।

মেঘ – এবার তারাকে ছেড়ে দাড়ালাম।
তারা হাপাচ্ছিল।
সাথে আমিও।

তারা তোমার উপর এখন থেকে শুধু আমার
অধিকার আর কারো না।
আজ যে মহর মেরে দিলাম এটা মনে রেখো।
তুমি আর কারো হতে পারবেনা। আমি হতে
দিব না।
and I’ll make sure of that.
u r mine. you will remain mine always and
forever.
got it.
u better got it.
.
তারা- im not urs.
and i wont be.
.
মেঘ – তারার মুখ ধরে সেটা আমি দেখে নিব
sweethrt.

তারা- হাত সরিয়ে u bloody hell.
go to hell.
বলেই কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলাম।

হিয়া – কি হিয়েছে তারা।

তারা – ব্যাগ নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে
গেলাম।
সোজা বাসায়।

বাবা- কিরে এত তাড়াতাড়ি চলে আসলি।

তারা- কাজ শেষ।
আমি রুমে গেলাম।
আয়নার সামনে দাড়ালাম।
টিস্যু র প্যাকেট এ যত টিস্যু ছিল ঠোট মুছে
শেষ করে দিলাম।
i hate u hate u hate u
megh.
i hate u.

২ দিন পর-

মেঘ – তারা ২ দিন অফিসে আসেনি।
এইটা দেখে আমার মাথা খারাপ হয়ে
যাচ্ছে।
আমি তারাকে দেখতে পাচ্ছিনা।
আমার ফোন ও তুলছেনা ।

বাবা- কিরে তারা তুই ২ দিন অফিস যাচ্ছিস
না যে।

তারা- বাবা আমি আর জব করব না।
আমাকে আর অফিস যেতে বল না।

বাবা – কেন কিছু হয়েছে? মেঘ কে ফোন
দিব।

তারা- না বাবা।
আসলে আমি আর জব করতে চাই না।
আর ভাল লাগেনা।

বাবা – আচ্ছা।

মেঘ – ফোন দিচ্ছি বার বার কেটে দিচ্ছে।
উফফ।।
দাড়াও আমি আসছি। এখনি ওর বাসায় যাব।
.
তারার বাবা- তারা কে এসেছে দেখ তো মা।

তারা- আমি পারব না। তুমি দেখো।

বাবা- দরজার খুললাম।
আরে মেঘ তুমি? হঠাত?

মেঘ – অসময় চলে আসলাম স্যার।

স্যার – না ।ভেতরে আসো বাবা।

মেঘ – কেমন আছেন স্যার?

স্যার – ভাল। তুমি? আর তোমার মা?

মেঘ – সব ভাল।

স্যার- আচ্ছা তারা হঠাত জব ছেড়ে দিল কিছু
হয়েছে?

মেঘ – না কিছু হয়নি।
( তার মানে স্যার কে কিছু বলেনি)

তা তারা কোথায়?

স্যার- দারাও ডাক দিচ্ছি।
তারা! তারা!

তারা- কি হয়েছে বা…….(এই রাক্ষস
এইখানে)

কি হয়েছে বাবা?

বাবা: দেখ মেঘ এসেছে।

তারা- সে তো দেখতেই পাচ্ছি।
কি দরকারে এসেছে সেটা জিজ্ঞেস করো।

বাবা- কি হচ্ছে কি তারা।
এটা কেমন ব্যবহার?

মেঘ – স্যার it’s ok.
।স্যার আমি ১টু ওয়াশরুমে যাব। কোন দিকে
যেতে হবে।

বাবা- তারা দেখিয়ে দিয়ে আয়।

তারা- আমি যাব না। তুমি যাও।
বাবা- তোকে যেতে বলেছি তুই যা।
তোর ব্যবহার দেখে আমার লজ্জা হচ্ছে।

তারা- রাগ টা চেপে রাখলাম। চলুন।

মেঘ – অন্য ঘরে যেতেই তারাকে জরিয়ে
ধরলাম।
এত দিন অফিসে আসলানা কেন?

তারা- কি করছেন কি ছাড়ুন।

মেঘ – চেচামেচি করলে তোমার ই সমস্যা
হবে।

তারা- কি চান আপনি?

মেঘ – তোমাকে সেটা কি তুমি জানোনা।
জানপাখি।

তারা- mind ur words.
আপনি এখন যান এইখান থেকে।
আপনাকে আমার দেখতে ইচ্ছে করছে না।

মেঘ – তোমাকে না দেখে আমি থাকতে
পারছিনা।

তারা- আপনি ১ টা পাগল।

মেঘ – তোমার জন্য। তুমি বুঝনা।

তারা- ছাড়ুন আমাকে।
বাবাকে কিন্তু ডাক দিব।

মেঘ – দেও। ভাল হবে আরো।
তোমাকে আমাকে এইভাবে দেখবে তার পর
তোমার আমার বিয়ে দিয়ে দিবে।
কত ভাল হবে।
দারাও আমিই ডাক দিচ্ছি।
স্যা….

তারা- হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলাম।

কি করছেন।?
মেঘ – কি আর করছি ডাকছি স্যারকে।

তারা- মহা মুসকিল তো।
আপনি এখন যান তো।

মেঘ – তা তো যাবই জানপাখি।

তারা- এটা আমাকে বলবেন না তো।
আমার বিরক্ত লাগে।

মেঘ – তাজলে কি ডাকব তুমি বলে দেও।
আপনার এত ডাকতে হবেনা।
আপনি যান এখন।

মেঘ – don’t u get it tara i seriously love you.
.
তারা- bt i don’t. just go.
মেঘ – কেন?

তারা- আপনাকে কি বলিনাই আপনার প্রতি
আমার কোনো ফিলিংস নেই।

মেঘ – ফিলিংস এখন নেই ঠিক। কিন্তু পরে
ঠিকি হবে দেখ তুমি।
তারা- হবে না হবেনা হবেনা।আপনার কথাও
আমার ভাবতে ইচ্ছে করেনা আবার ফিলিংস।

মেঘ – ভাবতে না চাইলেও ভাবতে হবে।

তারা- না না না।

মেঘ – challenge?
tara-okey
মেঘ – ঠিক আছে বলেই তারাকে চুমু দিয়ে
বসলাম।
তারার এক হাতের আংগুল এ নিজের আংগুল
গুজে তারার পিঠে ওর হাত আটকালাম।
।আমার আরেক হাত ওর মাথায়।
তারা আরেক হাত দিয়ে আমার পিঠে কিল
ঘুসি যা পারছে দিচ্ছে।
কিছুক্ষন পর ওকে ছেড়ে দিয়ে বললাম এখন
সারাদিন সারারাত এইটা নিয়ে ভাবতে না
ভাবতে চাইলেও মনে পরবেই আর সাথে
আমার কথা।
দেখি আমাকে নিয়ে না ভেবে তুমি যাও কই।
তারা বিছানায় বসে পরল।
আমি বেরিয়ে আসলাম।

স্যার- এখনি চলে যাচ্ছ। খেয়ে যাও।

মেঘ – না স্যার আমার কাজ আছে।
আসি আজ তাহলে।

তারা – খাটাশ, শয়তান, এনাকোন্ডা।
ভাবলাম অফিস ছাড়লে আর জালাবেনা।
এখন বাসায় এসে টর্চার করছে। উফফ! !!!!
আল্লাহ বাচাও আমাকে।

মেঘ – রাত ১১ টা ঘুম আসছেনা।
গিটার নিয়ে ছাদে গেলাম।
কিন্তু গিটারে সুর তুলতে পারছিনা।
মনে হচ্ছে সব ভুলে গেছি।
১ টা সিগারেট ধরালাম।
২-৩ মাসে ২-১ টা খাই আরকি।
কেউ জানেনা।
ভাবছি তারাকে কি সত্যি আপন করে পাব। ও
কি আমার হবে কনোদিন। অসহ্য যন্ত্রনা হয়।
তারা কেন বুঝেনা।
ঘড়ির দিকে তাকালাম রাত ১ টা।আকাশে
মেঘ চাদের সাথে খেলা করছে।
ঠান্ডা বাতাস বইছে।
রোমাঞ্চকর পরিবেশ।
ফোন বের করলাম দেখি তারাকে ফোন
দিয়ে ঘুমিয়ে গেছে নাকি।
,যত বার ই ফোন দিচ্ছি তত বার ই ফোন কেয়ে
দিচ্ছে।।
মানে জেগে আছে।
1 Comment4 Shares
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *