বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১৬

মেঘ – কি বললা।

তারা- না না কিছুনা
বলেই চলে আদলাম।
উফফ শুনে ফেলেছে।

মেঘ – হাসলাম।

সকালে-
মেঘ – নিচে নেমেই অবাক হলাম। তারার
বাবা এসেছে।
.
আমি খুশি হতে পারলাম না। কারন তারা কে
নিতে এসেছে। স্যার আসসালামু আলাইকুম।

স্যার- ভাল আছ?

মেঘ – জি ভাল। আপনি?

স্যার – হুম ভাল।
তারা কি উঠে নি।

তারা – নিচে নামতেই দেখি বাবা। ।
বাবা আ আ আ।
জরিয়ে ধরলাম।তোমার খবর আছে। এত দিন
কেউ এইভাবে মেয়েকে রেখে বাইরে থাকে?

তারার বাবা- আরে ইচ্ছে করে আর থেকেছি
নাকি।

মামনি – কেন এইখানে তোর অসুবিধা হচ্ছিল।

তারা- মামনি কে জরায় ধরে কি যে বলনা। ।
তুমি তো একটা গুলু গুলু। উম্মমাহ।

মামনি – আপনি বসুন নাস্তা করুন। ।
তারা- আমি ব্যাগ গুছিয়ে আসি। মনের
আনন্দে উপরে গেলাম। কারন রাক্ষসের
কাছে আর থাকতে হচ্ছেনা। ।
মেঘ – আমি একটু আসছি।

উপরে গেলাম।
তারার রুমে তারা ব্যাগ গুছাচ্ছে। ।কি ব্যপার
খুব তাড়া মনে হচ্ছে।

তারা- জি নিজের বাসায় যাব বলে কথা।
মেঘ – না গেলে হয়না?

তারা – কি বললেন? ??

মেঘ – না কিছুনা
তারা- ব্যাগ নিয়ে দরজার দিকে যাচ্ছিলাম।
।হঠাত হাতে টান।অনুভব হল।

তারা – ঝরের বেগে মনে হল উনি উনার দিকে
নিয়ে গেলেন।

মেঘ – তারা জরিয়ে আছে আমার সাথে।
আমি তারাকে দেখছি।
ও চলে যাচ্ছে।
আমি মেনে নিতে পারছিনা। বুকের ভেতরে
কস্টের অনুভব বুঝতে পারছি। কেন চলে যাচ্ছ
তারা।
থাকনা প্লিজ।

তারা- কি হল কিছু বলবেন।

মেঘ – নাহ।
ছেড়ে দিলাম।
ও নিচে চলে গেল।

নাস্তা শেষ এ ওরা এখন বের হবে। মামনি –
তোকে খুব মিস করবরে। ।
তারা- আমিও।

মামনি – মাঝে মাঝে আসিস

তারা- আসব।
এখন যাই।

মেঘ – আমি নামিয়ে দিয়ে আসছি তোমাদ্রর
বাসায়।

স্যার – না না লাগবেনা।

মামনি – আরে মেঘ যা।
।মেঘ –
বাসায় নামিয়ে দিলাম।
তারা আজ আসেনি।
স্যার বলেছে আজ ওকে ছুটি দিতে। আমি
অফিসে এসে কাজ করতে পারছিলাম না।
অসহ্য যন্ত্রনা।

পরের দিন –

তারা- অফিসে আসলাম।
desk এ বসে কাজ করছিলাম।

মেঘ – তারা একটু কেবিন এ আসো। ।
তারা- জি স্যার বলুন।

মেঘ – পরশু যে মিটিং হবে তার সব রেডি? ।
তারা- সামান্য বাকি।
আমি করে দিচ্ছি।

মেঘ – এখানেই কর বাইরে যেতে হবেনা। ।
তারা- কাজ করছি।
।উনি এক বার বসছেন এক বার উঠছেন ।
আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন।

অসহ্য এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেন. ? ।
নিন হয়ে গেছে।

মেঘ – হুম।
যাও।

অফিস শেষ এ।

মেঘ – চল তোমাকে নামিয়ে দিয়ে আসি। ।
তারা- না লাগবেনা।

মেঘ – আমি বলছি চল।
হাত ধরে গাড়ি তে তুললাম। নামিয়ে দিলাম।
বাসায় ফিরলাম।
বাড়িটা খালি খালি লাগছে।

মা- কিরে এসে গেছিস।

মেঘ – হুম।

মা- বাসা টা কেমন খালি খালি লাগছেরে।
তারা ছিল কিত মজা হত।
এখন নেই।
মিস করছি ওকে।

মেঘ – রুমে চলে গেলাম।
ফোন বের করে ওর ছবি দেখতে লাগলাম।
মনে হচ্ছে ওর কাছে ছুটে যাই। পারছিনা
ওকে ছাড়া থাকতে। আমি তারাকে
ভালবেসে ফেলেছি। অনেক বেশি।
অকে ছাড়া থাকা সম্ভব না আর। ওকে আমার
চাই।
যে কোনো মুল্যেই।
তারা I love u love love u sooooo much.
তারার ছবিতে চুমু দিলাম।

পরের দিন-
অফিসে-

তারা – অফিসে যেয়েই দেখি আবির এসেছে।
হাই আবির।

আবির – হ্যালো।
ভাই good morning.
মেঘ – তুই? এইখানে?

আবির – তোমার অফিস দেখতে আসলাম। ।
মেঘ ( অফিস না তারা। আমি ভালই বুঝি)
তারা- আচ্ছা তোমরা কথা বল আমি যাই। ।
আবির – আরে যাবা মানে।
দারাও কথা বলি।

তারা- স্যারের দিকে তাকালাম। রাগ যেনো
চোখে ধরেনা।
না না আমি যাই।
হিয়া- কিরে ছেলেটা কে রে?

আবির – হাই।

হিয়া – হাই।
তুমি কে?

আবির – তোমাদের স্যারের ভাই। ।
হিয়া- এর আগে তো দেখি নাই এইখানে। ।
আবির – হুম।
আসি নাই।

হিয়া- তা আজ কি মনে করে?

আবির – ১ জন কে দেখতে আসলাম। ।
হিয়া- কাকে? স্যার কে?

আবির – ভাই কে দেখার কি আছে। এইখানে ১
টা ফুল আছে সেটা।

হিয়া – ফুল? ?!

আবির – তারা কি এত কাজ করছ আমাদের
সাথে কথা বল।

মেঘ – আবিরের কাজ দেখছিলাম দুর থেকে ও
যদি আমার ভাই না হয়ে অন্য কিছু হত তাহলে
ওর খবর ছিল।
রাগে মনে হচ্ছে ২ টা উস্টা মেরে আসি।
কিন্তু নাহ থাক ভাই তো

তারা-( এ এত কথা বলে কেন? আর আমার
পিছে লাগছে কেন? )

আবির- তারা কিছু বল।

মেঘ – তারা চল আমার সাথে।

আবির – কোথায় যাবা ??

মেঘ – মিটিং আছে।

তারা- কই আমিতো জানিনা।

মেঘ – সব তুমি জানলে আমার কি দরকার
ছিল?

তারা- ওহ! সরি।
চলুন।

মেঘ – গাড়ি তে উঠ।
১ টা পার্ক এর সামনে থামালাম গাড়ি। ।
তারা- মিটিং এখানে?

মেঘ – উহু।

তারা- তো এখানে আনলেন যে?

মেঘ – চুপচাপ এইখানে বসে থাকো। ।
তারা- ( ব্যাপার টা কি হল) চেয়ে দেখি উনি
ফোন দেখছেন। আমি উঠে পাশেই হাটছিলাম।

আরে ওকে দেখে সিয়াম এর মত লাগছে।
সামনে যেয়ে দেখিতো।

সিয়াম – আরে তারা তুই।

তারা- কত দিন পর দেখা।
কলেজ শেষে তো আর দেখাই হয়নি। ।
মেঘ – কিরে কই গেল?
আরে কার সাথে কথা বলছে। তুমি এইখানে
কি করছ তারা।

তারা- ও আমার….

মেঘ – এত কথা শুনার টাইম নাই হাত ধরে
গাড়ি তে উঠালাম।

তারা- রাগ যা হচ্ছিল বলার মত না। অফিসের
সামনে গাড়ি থামতেই নেমে গেলাম।
রাগে ১ দৌড় এ উপরে চলে গেলাম। ।
মেঘ – আমাকে রাগ দেখানো হচ্ছে তাই না। ।
উপরে গেলাম
তারা তোমার সাথে আমার কথা আছে আমার
কেবিন এ আসো।

তারা- পারবোনা।

হিয়া- আরে স্যার ডাকছে কি করছিস তুই ।
তারা- ডাকুক।

মেঘ – তারার কাছে যেয়ে তারার হাত টা
শক্ত করে ধরলাম।পরে কেবিন এ নিয়ে
গেলাম।

হিয়া- (মনে হচ্ছে পুরা ডাল ই কালা). ব্যপার
টা দেখতে হচ্ছে।

তারা- কি হয়েছে? এইভাবে নিয়ে আসলেন
কেন এইখানে?

মেঘ – তুমি আমাকে রাগ দেখাচ্ছ কেন? ।
তারা- আপনাকে আর রাগ দেখালাম কই ( মুখ
ঘুরিয়ে)

মেঘ – আমার দিকে তাকিয়ে কথা বল ।
তারা – পারবো না।

মেঘ – রাগ চরম আকারে উঠে গেছে। ।
তারাকে দেওয়ালের সাথে ধরে ওর মুখ এক
হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।
আমার দিকে তাকাতে পারবেনা মানে।

চলবে.
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *