বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১৩

মামনি – ব্যাপার কি? তারার জন্য দরজা খুলে
দিচ্ছে? ? তারাকে নাকি পছন্দ না আবার
এইসব কি? ?
আল্লাহ জানে।
আজ কাল কার ছেলেপেলে কিছুই বুঝিনা
বাপু।

তারা- (এখন উচিৎ শিক্ষা হয়েছে।
তারার সাথে পাংগা কম নিবেন বুঝছেন)

মেঘ – কি বির বির করছ ।
তারা- না কিছুনা।

মেঘ – গাড়ি র দরজা খুলে দিলাম।

হিয়া- কিরে তারা নিচে দেখলাম স্যার
তোর জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে কি যাদু করলি
রে?

তারা- হেহে বুঝতে হবে।
তারা কি জিনিস
মেঘ – এই মেয়ে তো জালিয়ে খাচ্ছে।
কিছু একটা না করলে তো হচ্ছেনা।

২দিন অত্যাচার এর মধ্যে কেটে গেল।

তারা- বাহ আজ সকাল টা কি সুন্দর।
ছুটি র দিন গুলা সুন্দর ই হয় সব সময় ।
ফ্রেশ হয়ে নিলাম।

আচ্ছা অনেক দিন ছাদে যাওয়া হয়না।
ছাদে দেখি আসি ফুল গুলা।
ছাদে গেলাম।
প্রান ভরে নি:শ্বাস নিলাম।
আবহাওয়া টা খুব সুন্দর।
না রোদ না মেঘলা।

কিছুক্ষন পর মিমি আসল ছাদে গাছে পানি
দিতে
তারা- মিমি আমাকে দেও আমি দিচ্ছি
পানি।

মিমি – না ম্যাম।
আমিই দেই।

তারা- দেও তো।
তুমি দাড়াও এখানে।

গাছে পানি দিতে দিতে দেখি মিমি অন্য
দিকে ততাকিয়ে আছে । শয়তানি বুদ্ধি এল
মাথায়।
পাইপ দিয়ে মিমি কে ভিজিয়ে দিচ্ছিলাম।

মিমি – ম্যাম থামুন।
আমি দৌড়াচ্ছি আর ম্যাম পাইপ নিয়ে
ধাওয়া করছে।

তারা- পানি দিতে দিতে হঠাত স্যার কোথা
থেকে সামনে হাজির হল কে জানে।
গেল সে ভিজে।

মেঘ – পুরা ভিজিয়ে দিল।
হাতে ছিল কফি সেটাও পানি পানি হয়ে
গেল।
মোবাইল টাও ভিজে গেছে।
রাগ চরম আকার ধারন করল।
এমনি তে ও আমাকে অত্যাচার করছে তার
উপর আবার এটা? ?.

মিমি – বাপ রে বাপ আমি ভাগি।

তারা- মিমি ……..

মেঘ – কফির মগ টা দিলাম আছাড়।

তারা- ওরে আল্লাহ। আজজ আমমার ¹১৫ টার
খবর আছে।
আমি শেষ।
ইয়ে মানে im im sor….sorry..
.
মেঘ – শুধু ওর দদিকে তাকিয়ে ছিলাম ।
আর এগিয়ে যাচ্ছিলাম।

তারা- নিচের দিকে তাকিতে ছিলাম ।
দেখলাম উনি ১ পা ১ পা করে এগিয়ে
আসছেন।

আমি নিচের দিকেই তাকিয়ে পিছিয়ে
যাচ্ছিলাম।
যেতে যেতে রেলিং এ ঠেকে গেলাম।
অবাক হয়ে সামনে তাকালাম।

মেঘ – আমি ওর ২ পাশ দিয়ে রেলিং এ হাত
রাখলাম।

তারা- শক্ত হয়ে দাড়িয়ে- আছি।
আল্লাহ দরি ফালাও উপরে উঠে যাই।

মেঘ – এখন কি মনে হচ্ছে জানো তোমাকে
তুলে ফেলে দেই
তারা- কিহ? ??.

মেঘ – ওইভাবে চেয়ে আছ কেন চোখ নামাও।
নামাও বলছি।

তারা- এই এই দেখুন এই ভাবে কথা বলবেন
না।
নাহলে।

মেঘ – না হলে কি?

তারা- আমি কি.. কি… কিন্তু মামনি কে…
. মেঘ- ওই দিনের কথা বলে দিবা তাই তো?
আচ্ছা ঠিক আছে বলে দেও।
সামনে থেকে সরে গেলাম।
যাও।
যাও না কেন।

তারা- আমি কিন্ত সত্যি বলে দিব।

মেঘ – আমিও তাই বলছি যাও।

তারা- যেতে নিচ্ছিলাম

মেঘ – রেলিং এর সাথে দাড়িয়ে- তারাকে
নিজের দিকে টেনে নিলাম।
।তারা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

নিজের দিকে আরও টেনে নিলাম।

তারা- ভয়ে আত্তা বের হয়ে যাওয়ার মত
অবস্থা।
উনি আমার দিয়ে মুখ এগিয়ে আননছেন কেন ?
ভয়ে চোখ বন্ধ করলাম।

মেঘ – কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস্ফিসিয়ে
বললাম ” তুমি এটা বলতে পারবেনা
। আমি জানি ”
তারা- তার নি:শ্বাস আমার কানে বারি
খাচ্ছে। আমার ১ হাত টা তার বুকের মাঝে
ছিল। উনি আমার হাত ধরেছেন আমি অনুভব
করতে পারছি। আংগুল এর মাঝে আংগুল গুজে
দিলেন। ।
মেঘ – হাত টা শক্ত করে ধরলাম। বল তারা ”
তুমি কি বলতে পারবে “? ।
তারা -( আমি কি বলতে পারব আসলেই? ?)
কোন মতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিচে চলে
আসলাম। বুক ধুক ধুক করছে

মেঘ – ছাদে দাড়িয়ে- দাড়িয়ে- হাসছি।
তারার পক্ষে কখনই ওটা কাউকে বলা সহজ
হবেনা। ।
পরের দিন –

হিয়া- স্যার এটা সাইন করে দিন আজ payment
er last date.
।।
মেঘ – অকে আমি সাইন করে রাখব। তুমি
নিয়ে যেও।
হিয়া জি স্যার।

হিয়া- দোস্ত হেল্প কর।
আজ লিমনের সাথে দেখা করতে যাব কিন্তু
এই চেক টা আজ জমা দিতে হবে। তারা-অকে
জমা আনি দিয়ে দিব। ।
হিয়া- tnx.
.
অফিস শেষ এ-

তারা- কি হল আপনি গাড়ি তে বসলেন কেন
দরজা না খুলে?

মেঘ – উফফফ। বেরিয়ে দরজা খুললাম। ।
বাসায় –
তারা- মামনি ! মামনি!

মিমি – ম্যাম তো নেই

তারা- কোথায় গেছে।

মিমি – ডাক্তার এর কাছে গেছে।চলে
আসবে।

মেঘ – হ্যালো ( ফোনে)
: mr. মেঘ আজ payment er llast দিন ছিল
আপনি এখন ও payment জমা দেন নি। মেঘ –
কি বলছেন জমা হয়নি।
আমি আপনাকে জেনে জানাচ্ছি। মেঘ –
হিয়া তুমি চেক জমা দেও নি?

হিয়া- স্যার মানে আসলে আমি তারাকে। ।
মেঘ – কাজ টা তোমায় দিয়েছিলাম তারাকে
না।
damn.
.
মেঘ – আচ্ছা আমাকে কাল কের টাইম দিন।
সব ক্লিয়ার করে দিব।

: just tomorrow.
.
megh -sure
no pblm.

তারারারা!

তারা-পানি খাচ্ছিলাম
সব মুখ থেকে পরে গেল। স্যারের রুমে
গেলাম-
তারা- আপনাকে বলেছিনা এমন ষাড়ের মত
চিল্লাবেন না।
মনে থাকেনা।
৫ G গতিতে স্যার আমাকে দেওয়ালের সাথে
আটকে ধরলেন।

আমি তো থ মেরে গেলাম।
কি… কি…. কি হয়েছে??

মেঘ – তুমি আমার সাথে যাই তাই করছ আমি
মেনে নিচ্ছি কিন্তু তুমি কাজে কেনো
গাফিলতি দেখাচ্ছ??
তুমি আমার কম্পানি র ১৩ টা বাজাতে চাচ্ছ।
আমরা যেন পথে এসে পরি সেটা চাচ্ছ। কি
চাচ্ছ কি তুমি? ??

তারা- কি বলছেন?
আমি … আমি এইসব ….

মেঘ – বাস অনেক হয়েছে তোমাকে শিক্ষা
না দিলে হচ্ছে না।

তারা- আমি কি করেছি সেটা ত বলবেন। ।
মেঘ – হাত টা মোচোড় দিলাম ।ও ব্যথায়
গুংড়িয়ে উঠল। তারা- চুপ করে আছেন কেন?
মেঘ-
তারাকে বিছানায় ফেলে হাত ২ টা শক্ত
করে আটকে ধরলাম।

তারা- I’m sorry sir.কিন্তু আপনি আমার সাথে
কিছু করবেন না। সরি। প্লিজ ছাড়ুন আমাকে।

মেঘ -( মাথা খারাপ অকে কিছু করে আমিই
ফেসে যাই।
ডোজ তো তোমাকে অন্য আরেক টা দিব।)
তারা-( কেঁদে) ছাড়ুন।

মেঘ – তারার দিকে মুখ বাড়ালাম। তারা
চোখ বন্ধ করতেই আমার কাজ টা করে
নিলাম।
ছেড়ে উঠে বসলাম।

তারা- ঝরের বেগে উঠে নিজের রুমে
গেলাম।

হলটা কি?
আমি এখন ও আতংকিত হয়ে আছি।কেঁদে
কেঁদে কখন ঘুমিয়ে গেছিলাম জানিনা। ।
সকালে –

মামনি – কিরে তুই কাল কে এত জলদি ঘুমিয়ে
গিয়েছিলি।

তারা- স্যারের দিকে চোখ যেতেই আত্তা
শুকিয়ে গেল।
আসলে মামনি…

মেঘ – তারা রেডি হয়ে আসো।

মামনি – মানে তোরা নাস্তা করবিনা? ? ।
মেঘ – বাইরে করব।

তারা( তুই খাবিনা ভাল কথা আমার তো
ক্ষুদা লাগছে। উফফ)

মেঘব- কি হল যাও ( চিতকার করে) ।
মামনি – বেপার কি?

মেঘ – তুমি বুঝবানা মা।

অফিসে – মেঘ –
তারা আমার কেবিন এ আসো।

তারা- বলুন।

মেঘ – তোমাকে এখন থেকে উঠতে বললে
উঠবে, বসতে বললে বসবে, আমার কথা মত
চলবে। তুমি কি ভাবছ, চাকরি ছেড়ে দিবে?
সেটা তো আমি হতে দিব না।
আর আমি নিজেও তোমাকে বের করব না।
কেন জানো কারন স্যারের চোখে আমি ছোট
হতে পারব না।
আর হ্যা আমি তোমাকে লেজি থেকে
কর্মোঠ বানিয়ে তবেই ছাড়ব। তোমার কাজে
ফাকি দেওয়া আমি বের করছি।
আর সব সময় বাচ্চাদের মত করা বন্ধ কর। কাল
কের চেক টা জমা দিয়ে আস। ।
তারা – এতক্ষন এ মাজরা বুঝলাম। আমি চেক
জমা দিতে ভুলেই গেছিলাম। ।
মেঘ – আর হ্যা বেশি পাংগা দেখাতে
গেলেনা এইটা আমি সবাইকে দেখিয়ে দিব।

তারা- কি এটা।

মেঘ – নিজেই দেখো।

তারা- ও মা! আল্লাহ।
আপনি এত খারাপ।
কাল কে তখন ছবি তুলে নিয়েছেন। ।
মেঘ -( আসলে এটা অকে সায়েস্তা করার।
জন্য কাউকে দেখানোর জন্য না) . ।
তারা- এখন উনি আমাকে ব্লাকমেইল
করবে ???

চেক জমা দিয়ে তাকে জানাতে গেলাম।
স্যার কাজ হয়ে গেছে।

মেঘ -অকে। আমার জন্য কফি আনো তো। ।
তারা- আমি কেন?
পিয়ন কে বলেন।

মেঘ – তারার সামনে দাড়ালাম। এখন থেকে
তোমার ম্যখে কেন/ পারব না এইসব শুনতে
চাই না।
না হলে তো জানোই।
is that clear?
.
তারা- জি।
বাসায় –

তারা- তার সাথে পাংগা নিতে যেয়ে
আমিই ফেসে গেলাম।
বুঝ এখন।
দুর।
আমার বাপ টাও কবে আসবে।

মামনি – কেন রে তোর এখানে ভাল
লাগছেনা।

তারা- না মামনি তা না । আসলে… ।
মামনি – বাবা কে মিস করছিস?

তারা- হুম।

মামনি – নে এখন ঘুমা।


মেঘ- তারা আমার সাথে ছাদে আসো। ।
তারা- কেন?
।ওহ সরি
আসছি।

মেঘ – এই ফাইল টা এইখানে বসে শেষ করো। ।
তারা( সারাদিন অফিসে খাটাইছে আবার
এখন) ।
মেঘ – কি হল মুখ ওমন বাকা করে রাখছ কেন?

তারা- উনি ল্যাপটপ এ কাজ করছেন আমি
কলম কামড়াচ্ছি।

মেঘ – এই মেয়ে আর বদলালো না। কিন্ত একে
কলম মুখে দিয়ে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে।

তারা- স্যার এই জায়গায় সমস্যা আছে মনে
হচ্ছে।
স্যারের পাশে দাড়ালাম।

মেঘ – এইখানে বস।

তারা- u mean এইখানে নিচে।

মেঘ – হ্যা।

তারা-( কি ভাগ্য সালা এমন বস পাইছি) ।
মেঘ – কাজ করছিলাম।

তারা- ফাইল নিতে যেয়ে কফি পরলল
স্যারের উপর।

মেঘ – ১ ঝটকায় তারার চুলের মুঠি ধরে আমার
দিকে ঘুরলাম।
তারার চোখে হালকা পানি।
5 Shares
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *