বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 54

বেচারাদের প্রথমে নাচিয়ে তিথি তাদের হাল বেহাল করছে এখন নাকি তাদের র‍্যাম্প ওয়াক করতে হবে😂গেট রেডি ছেলেরা মজা আর মজা নাও মেয়েরা,,,
আবির রেগে তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ তিথি বেশি হচ্ছে ওকে,,,চুপচাপ এইসব অফ করো,,,
তিথিঃ কেন ভয় পাচ্ছেন?যদি পড়ে যান (হাহা করে হেসে দেয়)
আবিরঃ ওহ হ্যালো ম্যাডাম আবির রহমান কখনো ভয় পায় না ওকে,,,
তিথিঃ ওকে তাহলে প্রমাণ করেন,,
আবিরঃ ওকে ফাইন,,
আবির সব গুলো ছেলের কাছে গিয়ে কি কি যেন কথা বলে সবাই রাজি হয়,,
আবিরঃ শুরু করা যায় কি?
তিথিঃ জ্বি না?
সবাইঃ কেন?
তিথিঃ র‍্যাম্প ওয়াক তখনই হবে যখন উঁচু হিল পড়ে স্টেজে হাঁটবে,,,
আবিরঃ ওয়াট???
সব ছেলেরাঃ তিথিইইইইই
তিথিঃ আমি যত র‍্যাম্প ওয়াক দেখেছি সব গুলোতে তো তাই দেখলাম যে হিল পড়ে হাঁটে,,,
আবির দাঁতে দাঁত চেপে বলে
আবিরঃ তোমায় আমি,,,,,,
তিথিঃ যা ইচ্ছে পরে করিয়েন এখন প্লিজ স্যার যান
কয়েক জোড়া হিল নিয়ে আসে আবির আর সব ছেলেরা হিলের সাইজ দেখে ঢোক গিলে,,,মেয়েরা চেয়ার নিয়ে বসে বিনোদন এর জন্য গান শুরু হয়ে যায় হিল পড়ে প্রথমে আসে বড় বাবা যেহেতু সে নাকি বড় তাই,,কোমড়ে এক হাত দিয়ে হাটে আর ঝালেকদি লা ঝা গান হয়,,,,বড় মা তো হাসতে হাসতে শেষ সবাই বিনোদন নিচ্ছে আর ছেলেদের কান্না করার অবস্থা,,,,,
আমানঃ আজ এই সব তোর জন্য হইছে (আবিরকে বলে উঠে)
আবিরঃ আমার জন্য কেন হ্যাঁ তোকে আসতে কে বলছে নিজের বউকে দেখার জন্য তো পাগল হয়ে যাচ্ছিস এখন তুই ও মজা বুজ সর
আমানঃ তোর বউ এমন কেন রে ভাই?(কান্না করার অবস্থায়)
আবিরঃ এলিয়েন কি আর এমনি এমনি বলি এই মেয়েরে,,,,সব সময় আমার ১৪ টা বাজায়,,ইচ্ছে তো এখন করছে আছাড় দেই,,,
বড় বাবার পর ছোট বাবা আসে,,,,তারপর রিতুর বাবা আর রিশাব ও ওয়াক করে,,বাকি আছে আমান আর আবির,,,,,আমান স্টেজে উঠে দেখে সবাই হাসে,,,সে একটু না হাঁটতেই শাড়ি খুলে পড়ে যায় এতে সবাই আরো বেশি খিলখিল করে হেসে দেয়,,,,,আবির ও হাসতে থাকে আমান রাগী লুক দেয় আবিরের দিকে,,,,এইবার আসে আবিরের দিকে,,,আবির হিল পড়ে এমন ভাবে হাঁটছে মনে হচ্ছে তার অভাস আছে,,,আর সে ফেসে যে রিএকশন রাখছে এতে মেয়েরা শুধু একটা শব্দ বের করছে তা হলো ওয়াও,,কারণ আবির এক তো এমনি হ্যান্ডসাম তার মধ্যে সে তার শাড়িটা এমন ভাবে পিছিয়েছে যে পুরো নায়ক এর মত লাগছে,,,তিথির একটু গা জ্বলে কারণ মেয়েরা সব আবিরের দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে তো আছে তার মধ্যে তো আবিরের তারিফ
রিতুঃ আরর যা আবির তো সিক্স মেরে দিচ্ছে হাহা
তিথিঃ অই বিপজ্জনক রাক্ষস কে আমি খুন করবো কে বলছে এতো ঢং করে হাঁটতে আর ফেসে এতো রিএকশন ভাব নিতে হুহু
রিতুঃ পোড়ার ঘ্রাণ আসে
তিথিঃ তোর কল্লা আসে সর,,,

আবির নিচে নামে আমান রাগী কন্ঠে বলে উঠে
আমানঃ হারামি তুই এমন ভাবে যাবি আমাকে বললে কি হতো হ্যাঁ
আবিরঃ আমি বলার আগে তো তুই চলে যাস,,,,
অনুষ্ঠানে তো অনেক মজা হয়,,,সবাই অনেক বিনোদন নেয় আজকের অনুষ্ঠানে,,,,অনুষ্ঠানে শেষে সব ছেলেরা পায়ের ব্যাথায় কান্না করতে থাকে,,,এইবার মেয়েদের হাসি মজার সব বের হলো ছেলেদের সেবা করতে করতে,,,পা টিপাছে আর আবির তো এখন বিনোদন নিচ্ছে নিজে,,
তিথিঃ এইটা কেমন কথা হ্যাঁ?
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ আমি এতো সুন্দর করে মেহদী দিয়ে আপনার নাম আমার হাতে লেখছি কোথায় আপনি আমার হাতে আপনার নাম খুজবেন তা না উল্টো মেহদী ভরা হাতে পা টিপাচ্ছেন,,এইটা অবিচার
আবিরঃ বাসর রাতে ভালো করে দেখবো ওকে,,,
তিথিঃ হুহু
আবিরঃ যখন সবার সামনে হিল পড়িয়ে হাঁটিয়েছিলে তখন মনে ছিলো না হুম
তিথিঃ আম সরি,,আর কখনো এমন হবে না সত্যি আমার হাতে ব্যাথা করছে
আবিরঃ আমার পা টিপা শেষ করে তারপর যাবে এমন না হলে দেখবা কি হয় হুম
অনেক সময় পাড় হয়ে যায় তিথির প্রচুর হাতে ব্যাথা করছে আবির তবুও পা টিপাচ্ছে,,,,,তিথিফ খেয়াল করে আবির ঘুমিয়ে যায় তাই সে আস্তে করে উঠতে যাবে তখন আবির বলে উঠে
আবিরঃ কই যাও এখনও হয় নাই
তিথিঃ আমি এখনও চেঞ্চ করি নাই প্লিজ চেঞ্চ করতে হবে বারি ড্রেস অনেক প্লিজ
আবিরঃ ওকে এখানে চেঞ্চ করবে
তিথিঃ মানে?
আবিরঃ মানে আমার সামনে
তিথিঃ কিইইই কখনো না হু
আবিরঃ জ্বি ম্যাম আপনি আমার সামনে চেঞ্চ করবেন আর আমি আপনাকে সাহায্য করবো
তিথিঃ দরকার নাই আপনার সাহায্য আমি একা পারবো
আবিরঃ আবার কথা?সারারাত পা টিপাবো রাজি?
তিথিঃ প্লিজ না ওকে ওকে কাপড় তো নিয়ে আসি
আবিরঃ লাগবে না
তিথিঃ মানে তাহলে আমি কি পড়বো?
আবিরঃ আমার তো সমস্যা নাই কিছু না,,,,,,,,,
তিথিঃ ছি আপনি এমন কেন হ্যাঁ
আবিরঃ আমি আমার বউকে বলছি আর কাউকে না যে এই ভাবে বলছেন ম্যাম
তিথিঃ হু
আবিরঃ আলমারি খুলে দেখো একটা শাড়ি আছে অই টা পড়বে
তিথি আলমারি খুলে দেখে একটা লাল শাড়ি শাড়ি নিয়ে আসে,,,,বাথরুমে ফ্রেস হয়ে আসে ফ্রেস হয়ে মুখ মুছতে মুছতে বের হয়
আবির তিথির সামনে গিয়ে বলে
আবিরঃ এই যে ম্যাডাম
তিথিঃ কি?
আবিরঃ ভালোবাসি অনেক
তিথিঃ কচু বাসেন হু,,যদি ভালোবাসতেন তাহলে আমাকে পা টিপাতে দিতেন না হু
আবিরঃ তুমি যা করলে তার শাস্তি পেলে ওকে,,,
তিথি গাল ফুলিয়ে শাড়ি টা নিয়ে বাথরুমে যেতে লাগে আবির তিথির হাতটা টেনে নিয়ে বুকে লাগিয়ে রাখে,,,তিথির চুল গুলো কানের পিছনে পিছনে গুজে দিয়ে তিথির মুখে ফুঁ দেয়,,চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলে তিথি,,,,আবির তিথির কপালে আলতো করে চুমু এঁকে দেয়,,,,বাহিরের ঠান্ডা বাতাস বইছে,,,আবির তিথিকে আসতে আসতে শাড়ি পড়িয়ে দেয়,,,,তিথির বেশ ভালোই লাগে এমন কেয়ারিং হাজবেন্ড কয়জন বা পায়,,
আবিরঃ চলো আমার সাথে
তিথিঃ এতো রাতে কোথায়?
আবিরঃ চিন্তা করিও না আমরা বাড়ির বাহিরে যাচ্ছি না এখানে আছি আর কেউ টের পাবে না,,,
তিথিঃ বড় মা যদি জানে তখন??
আবিরঃ আমার বউকে আমি নিয়ে যাচ্ছি কে কি বলবে হুম,,,আর ম্যাডাম চুপ করে বসেন এখানে একটু
তিথিঃ এখন না বললেন যেতে আবার বসবো কেন?
আবির তিথিকে বসিয়ে লিপস্টিক একটা নেয় হালকা করে লাগিয়ে দেয় তার তোতাপাখির ঠোঁটে নিজেই,,,,তিথি শুধু অবাক আজ আবির তাকে পরম যত্নেই রেডি করছে,,,,তিথির হাতটি ধরে আবির তুলে,,,,

তিথিঃ হু আজকাল পুরান হইছি তো তাই কেউ হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে কোলেও নিচ্ছে না হু
আবিরঃ হাহাহা পাগলী ভাবলে কি ভাবে আমার পাগলী আমার কাছে পুরান সে যতই পুরান হোক না কেন আমার ভালোবাসা আমার পাগলীর জন্য আজীবন একই থাকবে বুজলেন ম্যাম
তিথিঃ হু বুজছি
আবির তিথিকে কোলে তুলে নেয়,,,আবিরের ঘাড়ের পিছনে হাত রাখে আবিরের বুকে নুখ গুজায় তিথি,,,বেশ ভালোই লাগছে আবিরের বুকে,,,আবির একটু ফাজলামি করে বলে
আবিরঃ তুমি আগে থেকে অনেক মুটি হয়ে গেছো,,,,উফফ কত মোটা রে বাবা
তিথিঃ কিই আমি মুোটা অই হারামি আমাকে কোন দিকে মোটা লাগে হ্যাঁ
আবিরঃ সব দিকে
তিথিঃ নামা আমাকে
আবিরঃ আমি আমার বউকে কোলে নিচ্ছি এতে তোমার কি হুম
তিথিঃ হুহু
আবির তিথিকে একটা রুমে নিয়ে আসে,,,আবির তিথিকে নামিয়ে দেয়,,,,,রুমের দরজা খোলার সাথে সাথে তিথি পুরো অবাক,,,রুমটাতে বরফ পড়ছে,,,কিছু পুতুল ও আছে লাল সাদা রং এর,,,,এক পাশে আগুন জ্বালানো,,,উপরে কিছু তারা জ্বলছে যা বিভিন্ন লাইটের দেখতে বেশ লাগছে,,,সাদা একটা বিছানা করা শুধু রুমের এক পাশে ছোট টেবিল রয়েছে যেখানে তিথির প্রিয় নুডুলস রয়েছে,,
তিথিঃ এই সব কিছু আমার জন্য (অনেক উত্তেজিত হয়ে)
আবিরঃ জ্বি না
তিথিঃ তাহলে (মুখটা মলিন করে)
আবিরঃ আমার বউয়ের জন্য বুজলেন
তিথি হেসে দেয়,,আবিরকে ঝাপ্টে জড়িয়ে ধরে,,,,
আবিরঃ ধন্যবাদ অনেক অনেক
আবিরঃ কিইই তুমি আর ধন্যবাদ ইয়া আল্লাহ স্বপ্ন দেখছি না তো,,,,
তিথি আবিরের ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দেয়,,
আবিরঃ আউচ কি রাক্ষসীরে বাবা
তিথিঃ হুম
আবির আর তিথি টেবিলে বসে অনেক ক্ষন গল্প করে,,,আবির নিজের হাতে তিথির জন্য নুডুলস রান্না করে,,,,তিথিকে দিয়ে মুখ হাত দিয়ে বলে
আবিরঃ কেমন হলো?
তিথিঃ কখন করলেন এই সব?
আবিরঃ ম্যাম আপনার হাজবেন্ড কে দেখতে হবে না
তিথিঃ হুম বিপজ্জনক রাক্ষস একটা
আবিরঃ ঝগড়াটি এলিয়েন একটা,,,

তিথি নুডুলস গুলো মুখে দিয়ে মুখ বড় বড় করে,,সে পরিমাণ ঝাল দিয়েছে আবির,,,আবির মুখে এক রাশ হাসি নিয়ে তিথি কি বলবে তার জন্য অপেক্ষা করছে আর তিথি মুখ দিয়ে আবিরের দিকে তাকায়,,আবিরের হাসি দেখে সেও হাসি দেয় আর খেতে থাকে,,
আবিরঃ কেমন হলো?
তিথিঃ অসাধারণ বাহা আমার হাজবেন্ড তো দেখি অনেক ইয়ামি নুডুলস রান্না করতে পারে,,,
তিথি গবগব করে খেতে থাকে আর পানি খেতে থাকে,,,আবির হা করে তাকিয়ে আছে শুধু তিথি এইভাবে খাচ্ছে দেখে,,,,,আবির তিথির দিকে তাকায় তথির চোখ দুটো লাল হয়ে যায় মুখও লাল টকটকে,,,চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে,,,তিথির হাত থেকে নুডুলস এর বাটিটা কেড়ে নিয়ে আবির বলে
আবিরঃ ঝাল জেনেও খাচ্ছো কেন?
তিথিঃ আপনি কি করে জানলেন?
আবিরঃ আম সরি আমি ঝাল দিচ্ছি ভাবছি একটু খেয়ে তুমি রেখে দিবে কিন্তু তুমি তো পুরো খেয়ে ফেললে,,
তিথিঃ আপনি ইচ্ছে করে ঝাল দিচ্ছেন??
আবিরঃ সরি আসলে আমি অও যে র‍্যাম্প ওয়াক করিয়েছিলে তাই
তিথি রেগে পুরো আগুন,,,,সে ভেবেছে আবির তার জন্য রান্না করছে,,,এতো যত্ন করে তাই সে খাচ্ছে আর এখন দেখে আবির তো ইচ্ছে করে ঝাল দিচ্ছে,,,,আবির তিথিকে আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই তিথি সব গুলো আবার খেতে থাকে,,,চোখ বেয়ে পানি পড়ছেই তবুও খাচ্ছে সে,,কিন্তু পানি একটুও খাচ্ছে না,,
আবিরঃ তিথি কি করছো?
তিথিঃ আপনি চেয়েছিলেন তো তাই
আবির তিথি থেকে বাটিটা কেড়ে নেয়,,,চোখ পুরো লাল,,,ঝালে হাঁফাতে থাকে তিথি,,,,আবির তিথির কাছে গিয়ে তিথির মুখটা টেনে নিয়ে তিথির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়,,,,,তিথির সব ঝাল যেন আবির নিয়ে নিচ্ছে,,,,তিথি আবিরের ঘাড়ের পিছনে চুল আকড়ে ধরে রাখে,,,,,
চলবে,,,,,,