বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১২

সকালে-
তারা- কি বেপার মামনি তুমি কোথায় যাচ্ছ?
তাও এত সকালে?

মামনি – তোদের সাথে যাচ্ছি?

মেঘ – অফিসে?

মামনি – আরে না রাস্তায় তোর ছোট মামার
বাসায় নামিয়ে দিয়ে যাবি। আমি আজ
থাকব।
মিতালি কে আজ দেখতে আসবে।

তারা- ইশ! আমিও যদি যেতে পারতাম। ।
মামনি – তাহলে চল।

তারা- সত্যি।
বলে স্যারের দিকে তাকালাম। ।
মেঘ – না ওর কাজ আছে।
বলে হাত ধরে গাড়ির কাছে নিয়ে গেলাম। ।
মামনি – আরে আমার জন্য দ্বারা। ।
মেঘ – শুধু কাজে ফাকি দিতে মন চায় তাইনা।
চুপচাপ গাড়ি তে উঠ

তারা- দুর।
রাক্ষস ১ টা।

মেঘ – মা উঠ।

মা কে নামিয়ে দিয়ে অফিসে গেলাম। ।
হিয়া- লিমনের সাথে সব ঠিক। tnx dst. তারা-
আর আমার সব শেষ।

হিয়া- কি শেষ।

তারা- না কিছুনা।
বাবা ফোন দিয়েছে কথা বলে আসি। ।
বাবা তুমি কবে আসবা?
এত দিন এক জনের বাসায় থাকা যায়? ।
বাবা – আর কিছু দিন পরেই আসব। চিন্তা
করিস না।

তারা- দুর।
একি কথা প্রতিদিন।

মেঘ -( তারার কথা শুন ছিলাম) তারা!

তারা- জি স্যার।

মেঘ – ল্যাপটপ আগিয়ে দিয়ে বললাম এটা
ঠিক করো।

তারা- জি স্যার।

মেঘ – তারা কাজ করছে আমি চেয়ে চেয়ে
দেখছি।
তারা বার বার সামনে আসা চুল গুলা কানের
পিছে নিচ্ছে।
মাঝে মাঝে কলম মুখে দিচ্ছে আবার নখ
কামড়াচ্ছে।

মাঝে মাঝে সব চুল সামনে আনছে আবার
পিছে দিচ্ছে।
একি শান্ত হয়ে বসতে পারেনা? ।
তারা- হাতে রাবার প্যচানো ছিল। সেটা
দিয়ে চুল বাধলাম। ।
মেঘ – আবার চুল বাধার কি ছিল। আগেই তো
ভাল ছিল।
আমি পিছনে যেয়ে দাড়ালাম। উহু তারা এটা
এইভাবে বলে তারার কাধের কাছে মুখ
রাখলাম আর তারাকে কাজ দেখাচ্ছিলাম।

তারা- স্যারের হাত আমার হাতের উপর।
আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আমি
একটু পর পর স্যারের দিকে তাকাচ্ছি। ।

মেঘ – কি দেখো।

তারা – মুখ ঘুরিয়ে না কিছুনা। ।
মেঘ – তারার চুল মুখে বারি খাচ্ছে তাই
সরিয়ে অন্য কাধে দিয়ে দিলাম। ।
তারা- ১ টা শিহরোন শরিরে বয়ে গেল। হাত
মুঠ করে রাখলাম শক্ত করে। ।
মেঘ – এবার বুঝেছ? ? এইভাবে করবা। ।
তারা- জি স্যার। আচ্ছা আমি আসি। মেঘ –
তারা দাড়াও।
তারা- জি
মেঘ – তারার সামমনে যেয়ে চুল গুলা খুলে
দিলাম। তারা – এটা কি হল

মেঘ – কিছুই না
তারা- full
spreed এ ভাগলাম।

মেঘ – হাসব নাকি রাগ হল বুঝতে পারছি না।
কিন্তু সব সময় রাগ হবার কি আছে। ।
ami হাসছি। কেন হাসছি জানিনা। মাঝে
মাঝে বাইরে যাচ্ছি তারা কে দেখছি
আবার ফিরে আসছি কেবিনে। মনের মধ্যে
অন্য রকম অনুভব হচ্ছে। কেন হচ্ছে কে জানে।

তারা- হিয়া শুন।

হিয়া- বল।

তারা- আচ্ছামনে কর একটা ছেলে আর ১ টা
মেয়ে আগে কেউ কাওকে দেখতে পারত না।
হঠাত করে ছেলেটার আচরণ কেমন জানি
পাল্টে যায় ধর positive দিকে আর মেয়ে টা
যখন ই ওই ছেলেকে দেখে অর হার্টবিট বেরে
যায়।
এটা কি বলা যায়?
আর কেন এমন হয় বলতো?

হিয়া- কি বলা যায়?

তারা- আমিই তো তোকে জিজ্ঞেস করছি। ।
হিয়া ……

তারা- থাক পাঠকরা জানলে জানাবেন।
( জানাবেন কিন্তু) ।
মেঘ – তারা চল।
ফোনে – মা তোমাকে নিতে আসব?

মামনি – না আগেই তো বলেছি।

মেঘ – কিন্তু মা।

মামনি – চুপ কর ফোন রাখ।

মেঘ ( হুদাই বকা খেলাম)

তারা – মামনি কি বলল?

মেঘ – আসবেনা।

তারা- (তার মানে উনি আর আমি
একা? ????)গালে হাত দিয়ে আল্লাহ। ।
মেঘ- কি ভাবছ?

তারা- কিছুনা।
বাসায় –
তারা – দুর মামনি থাকলে কত ভাল হত। গল্প
করে কাটা তাম।

যাই মামনির রুমে যাই।

মেঘ – ফোনে কথা বলতে বলতে নিচে
আস্লাম।
কি ব্যপার মায়ের রুম থেকে হাসির শব্দ শুনা
যাচ্ছে।
কে?

তারা! ও কি দেখে হাসছে?

তারা কি তোমার হাতে ছবি মনে হচ্ছে?

তারা- হাসতে হাসতে জি তাও আবার
আপনার দেখুন আপনার ছোট কালের হেহেহে।

মেঘ – মাকে বলেছিলাম এই পিক টা ছিড়ে
ফেলতে। কিন্তু না।
মান সম্মান সব গেল।

দেও তারা ওইটা আমাকে দেও।

তারা- জি না। এইটা আমি অফিসে দেখাব
সবাইকে।
হুহ।
আমাকে বকলেই এটা সবাইকে বের করে
দেখাব।

মেঘ – ভাল হচ্ছেনা অইটা দেও বলছি

তারা- দিব না বলেই ১০ G গতিতে দৌড়।
মেঘ – আমিও ১০ G গতিতে দৌড়।
আর ফলাফল তারাকে নিয়েই পরলাম নিচে।
আর আমার ঠোট পরল তারার ঠোট এর উপর।

চোখ ২ জনের ই কপালে।

মেঘ – তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ালাম। ছবি টা
নিয়ে ছিড়ে ফেলে দিয়ে রুমে গেলাম।

তারা – ২ বার! !!!!!!! এএএএএএএএএএএএএএএ।
কিউ কিউ কিউ।
(রুমে যেয়ে)

আমি থাকব না আর থাকব না।
এএএএএএ।

মেঘ – আমি কি আর ইচ্ছে করে করছি?
মা কে বলে দিলে? ??
সালার …….. দুর ছাতা মাথা।
২ বার!!!! ওরে মা রে স্যার কে বলে দিলে? ?

না না না
।পরের দিন
মেঘ – actually im sorry.
আমি আসলে ইচ্ছে করে করিনি।
.
তারা – কিছু বললাম না।

মেঘ- চুপ করে আছ কেন? আমি কিছু বলছি।

তারা- মামনি ফন দিয়েছে। হ্যা মামনি বল।।
মা- তরা অফিসে ?

তারা- এইত পথে।
জানো কাল কে রাতে ……..
মেঘ- ফোন টা নিয়ে কেটে দিলাম।
তুমি মামনি কে বিচার দিচ্ছ?

তারা – ( বলে কি ? মাথা খারাপ? ? আমিতো
অন্য কথা বলতে চাইছিলাম। কিন্তু উনি এমন
ভয় পেল কেন?

মেঘ- কি হল?
তারা- শয়তানি বুদ্ধি মাথায় আসল।বিচার
দিব না কিন্তু ১ টা শর্তে
।মেঘ – কি?

তারা- আমার সাথে আর লাগতে আসবেন না
আর বকা ঝকা করা যাবেনা।কাজের চাপ
দেওয়া যাবেনা।
মেঘ- কিহ?

তারা – হুম।

মেঘ – আচ্ছা ( তারা দারাও তোনার ব্যবস্থা
ও হবে। তুমি সুযোগ এর সদ্ব্যবহার করছ তাই
না)

তারা- কিছু ভাবছেন?

মেঘ – না। চলে আসলাম।
(তোমাকে আমি অন্য ডোজ দিব।
যেটা তুমি না সইতে পারবে না বলতে।

ভাল ব্যবহার করতে বলছ তো এমন ভাল
ব্যবহার করব যে তুমি আর নিতে পারবেনা।
হাহাহা)

সকালে –
মেঘ – তারা তাড়াতাড়ি নামো।
লেট হচ্ছে।

তারা- আজ আমি যাব না।
আপনি যান

মেঘ – কেন?

তারা- আমার মুড নাই।

মেঘ – wht rubbish! !!! r u mad?
.
তারা- দেখুন কাল কের ডিল কি ভুলে
গেছেন? ?

মেঘ – ( মন ত চাচ্ছিল থাক বললাম না)
চলে আসলাম।
বসে বসে ভাবছি এই মেয়ে কে জব্দ কি করে
করব???

তারা- বাহ শান্তি! !! ঠিক জব্দ হয়েছে
শয়তান কোথাকার।
হেহেহে।
মুভি দেখে কাটিয়ে দিলাম সকাল বেলা।
আরেক্টা শয়তানি বুদ্ধি মাথায় এল যেই
ভাবা সেই কাজ।
উনার ঘরে গেলাম।
কাজ শেষ করে বেরিয়ে এলাম।

সন্ধ্যা তে উনি আর মামনি ১ সাথে আসল।
তারা- মামনি কে জরিয়ে ধরে মাননির রুমে
চলে গেলাম।

মেঘ – এহহ মামনির চামচি হয়ছে।
ন্যাকামি।
রুমে ঢুকেই

তারা- ১ বিকট চিতকার শুনলাম।
( হেহেহে হাসি চেপে রাখলাম)

মামনি – কিরে কি হল।
তারা চল তো।

তারা- আমি আর মামনি উপরে গেলাম

মেঘ – এটা কার কাজ তারাহ!!!!!

তারা – মামনি দেখোনা আমি খারাপ কি
করেছি বলতো।
উনার ঘরে ঢুকলে আগে গুহা গুহা লাগতো এখন
কেমন লাগছে বলতো?

মামনি – বাহ দারুন সাজিয়েছিস তো।
খুব সুন্দর লাগছে।
আচ্ছা মেঘ ও তো ভাল কাজ ই করেছে।
আগে সব কালো ছিল এখন নীল করে দিয়েছে
এখন সুন্দর লাগছে।

আমি নিচে গেলাম।

তারা- আমিও গেলাম। বাই
মেঘ – not so fast.
দরজার সামনে যেয়ে দাড়ালাম।
এটা করার কি দরকার ছিল? ( এগিয়ে
যাচ্ছিলাম)

তারা-( পিছাচ্ছিলাম) দে…দে…দেখুন।
আমাকে ভয় দেখাবেন না। নাহলে?

মেঘ – না হলে।

তারা- উচু হয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে
বললাম কাল কের কথা কি বলে দিব?

মেঘ – চুপ করে থাকলাম।

তারা- good boy.

মেঘ -( হেসে নেও হেসে নেও আমার ও দিন
আসবে)

তারা-( বিজয়ের হাসি দিলাম)

যাক কিছু দিন তাকে হাতে রাখা যাবে
হেহেহে
মেঘ – তুমি কি ভাবছ তারা আমাকে এইভাবে
হাতে রাখবে এত ই সোজা নাকি? ??

মেঘ জলদি জলদি কিছু ভাব। না হলে এই
মেয়ের যে আরো কত রুপ দেখতে হবে।

আমার রুমের কি অবস্থা করছে।
মিমি! মিমি!

মিমি -জি!
মেঘ- আধা ঘন্টা সময় দিচ্ছি রুম আগের মত
কর।

মিমি – ( একটু আগে চেঞ্জ করলাম একখন
আবার! !!!!) জি স্যার।

সকালে-
মেঘ – তারা জলদি কর লেট হয়ে যাচ্ছে।

তারা- im ready. let’s go.
গাড়ি র কাছে
মেঘ – কি হল উঠ।
তারা- দরজা খুলে দিন তার পর তো উঠব।

মেঘ – কিহহহহহহহ! ??

তারা- হুম এখন থেকে আপনি গাড়ি র দরজা
আমার জন্য খুলবেন আর আমি উঠার পর বন্ধ
করব?

megh – how dare u?
do u think im ur drive? ?
.
tara- no. not atall.
bt thing is u have to do whatever i say.
so do it hurry.
আর তাছাড়া ২-১ দিন ড্রাইভার ভাব্লেই
দোষ কি? ?

মেঘ – (u r crossing ur limit tara. u gonna pay for
this.until i have to tolerate u.) দরজা খুলে
দিলাম।
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *