বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১০

অফিসে –
তারা – হিয়া তোকেনা বলেছিলাম নিউ মুভি
আমাকে দিতে

হিয়া- আমি ই তো নামাইনি।

তারা- আচ্ছা নে এই ফাইল টা একটু দেখ।
আমি আরেক টা দেখছি।

হিয়া- শুন না স্যারের বাসায় তোর কেমন
লাগেরে?

তারা- মামনি অনেক ভাল।
বাসায় থাকলে সারাদিন মামনির সাথে
থাকি।

হিয়া – স্যার কি বাসায় ও অনেক রাগ হতে
থাকে।

তারা- উনার কথা বাদ দে।
হিটলার একটা।

হিয়া- তারা থাক বাদ দে।কাজ কর।

তারা- শুন না
কি আর বলব তার কথা অই দিন।

হিয়া – থাক না।

তারা- আরে শুন হিটলার বললেও তাকে ভুল
হবে

মেঘ – তাই নাকি।

তারা- হ্যা তাই ……..
পিছে তাকালাম।
না না তাই না।

মেঘ- থাক এখন কিছু বলব না।

তারা- হিয়ার বাচ্চা তরে আমি …

হিয়া – চুপ করতে বলছিলাম না

তারা- বলতে পারিস নি স্যার পিছনে।
আল্লাহ জানে বাসায় গেলে কি হয়।

গাড়ি তে –
তারা- আসলে স্যার হয়েছে কি?

মেঘ – চুপ থাকো।

তারা- আমার কথাটা শুনুন।

মেঘ – গাড়ি থামালাম।
তারার ঠোটে আআংগুল রাখলাম চুপ একদম
চুপ।

তারা- পাগল টা ক্ষেপেছে।
কি করতে চাচ্ছে বুঝতে পারছিনা।

মেঘ – নামো

তারা- কেন?

মেঘ – তাহলে গাড়ি তে বসে থাক।

তারা- এই এই।
ওহহ বাসায় চলে এসেছি দেখিনি।

মামনি – কিরে আজ এত তাড়াতাড়ি।

মেঘ – কাজ শেষ তাই।
তুমি কোথাও যাচ্ছ?

মামনি – হ্যা তোর খালার বাসায়।চলে আসব
রাতে।

তারা- আমিও যাব। ( বাসায় একা থাকলে
উনি আআমার ঘাড় মটকাবেন। )

মামনি – তাহলে রেডি হয়ে আয়।

তারা- আচ্ছা।

মেঘ -( বাইরে যাওয়া বের করছি। আমাকে
হিটলার বলা ছুটাচ্ছি)

তারা- উপরে যাচ্ছিলাম।
স্যার ও সাথে সাথে উঠছিলেন।
উনার রুমের সামনে যেতেই টান দিয়ে রুমে
নিয়ে গেলেন।

মেঘ – শক্ত করে দেওয়ালের সাথে তারাকে
ধরলাম।
মা কে যেয়ে বল তুমি যাবেনা।

তারা- কেন বলব ?
আমি যাব।
ছাড়ুন আমাকে।

মেঘ – ছাড়ানোর চেস্টা করে লাভ নেই আমি
ছাড়বনা তোমাকে।

তারা- উফফ ব্যথা লাগছে আমার।

মেঘ – আমি যা বলছি শুন তাহলে।

তারা- কি শুনব।

মেঘ – বিছানায় দেখ!

তারা- এত ফাইল

মেঘ – জি হ্যা।
এগুলা সারারাত ধরে কম্পলিট করবা।

তারা- এহহ বললেই হল।
পারব না ।আমি মামনির সাথে যাব।
মেঘ – আমি যেতে দিলে তো যাবে।

মামনি – কিরে কতক্ষণ লাগবে।

তারা- মামনি ডাকছে আমাকে যেতে দিন
তো।

ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।

মেঘ – তারাকে ধরলাম আমি হিটলার তাই না?
হিটলার গিরী দেখাচ্ছি বলে তারার গলায়
জোরে একটা কামোড় বসিয়ে দিলাম।

তারা- ওহ আল্লাহ।

সরিয়ে গলায় হাত দিলাম।
আপনি মানুষ না ভ্যাম্পায়ার??

মেঘ – যা খুশি বল।
অই দিন তো তুমিও দিয়েছিলে
আমি ১ ঢিলে ২ পাখি মারলাম।
একেতো অই দিনের শোধ আর এখন তুমি
বাইরে যেতে পারবেনা।
গেলেই সবাই গলার দাগ টা দেখবে।

তারা- কিহ।

মেঘ – যাও উপর থেকে মাকে বলে আসো তুমি
যাবানা।
আর যেতে চাইলে যাও।
সবাই দেখবে আমার কি?

তারা- ( রাক্ষস, বিড়াল, হারামি দেখে নিব
হুহ)

মামনি আমি যাবনা তুমি যাও।

মামনি – কেন রে

তারা- ভাল লাগছেনা।

মামনি – আচ্ছা।

তারা- আয়নার সামনে গেলাম।
গভির ১ টা দাগ হয়ে গেছে।
অই লোক মনে হয় ভ্যাম্পায়ার।

মেঘ – নক করে রুমে ঢুকলাম।
।তারা সাথে সাথে ওড়না ঠিক করল।

নেও ধর।
তারা-, ১ টা ফাইল হাত থেকে পরে গেল
আমি তুলে নিলাম

মেঘ – আমি যখন নিচু হলাম তারার গলার দাগ
টা দেখতে পেলাম।
এত গভির তখন বুঝা যায়নি।
তারার দিকে একটু এগিয়ে গেলাম।

তারা- আবার এগিয়ে আসে কেন?
আমার কি মতলব।

স্যার? স্যার?
মেঘ – সামনে দাড়িয়ে- চুল কাধ থেকে
সরালাম।

তারা- মনে হচ্ছিল আমি বরফ হয়ে গেছি

মেঘ – ক্ষত স্থানে হাত দিলাম।

তারা- হার্ট বিট 4G spreed এ দৌড়াচ্ছে।

মেঘ – ওষধ লাগিয়ে ব্যান্ডস করে দিলাম।

থাক ফাইল দেখতে হবেনা।
চলে আসলাম।

মামনি : কিরে মিমি সব খেয়েছে?

মিমি – জি।

সকালে-
তারা-
মামনি তুমি রাতে কখন এসেছিলে

মামনি – দেরি হয়ে গিয়েছিল।

কিরে তোর গলায় কি হয়েছে?

মেঘ – বলে দিবে নাকি?
তারা- নাহ কিছুনা।
সামান্য কেটে গেছে।

মামনি – কি করে।

তারা-( এখন কি বলি)

বাদ দেও তো।
আমি রেডি হয়ে আসি।
সিঁড়ি তে উঠে দেখি স্যার।
আপনি এখানে দাড়িয়ে- আছেন কেন?

মেঘ – না কিছুনা।

মামনি কে বলে তো বকাও খাওয়াতে
পারতো বলল না কেন?
যত টা খারাপ ভাবি তত টা খারাপ না।

মামনি – কিরে ঘুম হল।

মেঘ – হুম।

তারা- মামনি আমি আজ হিয়ার বাসায়
থাকবো। তুমি টেনশন নিওনা আবার।

মামনি – আচ্ছা।নিব না।
ফোন দিস।

তারা- হুম।
উনার দিকে তাকালাম ল্যাপটপ এ কাজ
করছে ( মানুষ পারেও ছুটি র দিনেও কাজ
করা লাগে? )

মেঘ – সারাদিন আজ বাড়িতে আমি।
আজ তারা নেই খুব মজায় থাকার কথা আমার
কিন্তু আমার অসহ্য লাগছে কেন?

মনে হচ্ছে কি যেন নেই নেই।
খালি খালি লাগছে।
সারাদিন শুয়ে বসে কাটিয়ে সন্ধায় বের
হলাম।
অনেক দিন পর মাফিন এর সাথে দেখা হবে
আজ।
ও সিলেট এ থাকে।
আগে আমার সাথে পরত।

মাফিন কিরে কেমন আছিস।

মেঘ – ভাল।
তুই তো সালা আগের মতই আছিস।

মাফিন – তোকে তো আমার বিয়েতে আসতে
বলেছিলাম সালা আসলি না তো।

মেঘ – ব্যাস্ত মানুষ বুঝিস না।

মাফিন – তুই কবে করবি?

মেঘ – মনের মত মেয়ে পাই আর কই।

মাফিন – হেহেহে
।আমার শালি আছে।
দেখবা নাকি?

মেঘ – দুর সালা আমিই খুজে নিব নে তুই বাদ
দে।

মাফিন – ওই মেয়েটাও হেভি। তোর সাথে
মানাবে।

মেঘ – কই দেখি। পিছনে ফিরে ” তারা”??

মাফিন – কিছু বললি।

মেঘ – নাহ চল যাওয়া যাক।

মাফিন – গেলাম।
কাল কে ফিরে যাচ্ছি।
তোর বিয়ের দাওয়াত কিন্তু দিতে ভুলিস না।

মেঘ – হুম।
ওই খানেই দাড়ালাম।
দেখলাম হিয়া ওই ছেলে আর তারা বের
হচ্ছে।
তারা সবার পিছনে

তারা- আজ কিন্তু খুব মজা হল।

হিয়া – হুম।

মেঘ – তারার হাত ধরে পিছন থেকে উধাও
করে দিলাম।

হিয়া- কি গো লিমন তারা পিছন থেকে কই
উধাও হয়ে গেল।

লিমন – কি জানি ফোন দেও।

হিয়া- ফোন ধরছেনা। এখন কি হবে।

লিমন – চল ভিতরে খুজে আসি।

হিয়া – হুম।

তারা – কে রে কেরে।
এই এই কে।

মেঘ – চুপ চুপ

তারা- আপনি এখানে?

মেঘ – ওই ছেলেটা কে?

তারা- কোন ছেলেটা ?

মেঘ – হেসে হেসে বের হচ্ছিলে যার সাথে।

তারা- আপনাকে বলতে যাব কেন ছাড়ুন।

মেঘ – আমাকে বলবেনা আচ্ছা স্যার কে দিব
ফোন দিব?

তারা- এই না না না।
বলছি বলছি।
হিয়ার বয়ফ্রেন্ড।

মেঘ – সত্যি?

তারা- হ্যা। হিয়াকে জিজ্ঞেস করে দেখুন।

মেঘ – আচ্ছা চল বাসায়।

তারা- আরে আমিতো হিয়ার বাসায়….

মেঘ – অকে ফোন করে বলে দেও।

তারা- গাড়ি তে বসে ফোন দিলাম হিয়াকে।

আচ্ছা বলুন তো আপনার এমন করার কারন টা
আমি বুঝলাম না।

মেঘ – সব বুঝতে হয়না ( আমিই বুঝছিনা
তোমাকে কি বুঝাব)

তারা- সব কথা এমন এড়িয়ে যান কেনো?

মেঘ – এত কথা বল কেন তাহলে?

তারা- ( মিন মিন করে কিছু বললেও দোষ না
বললেও দোষ )

মেঘ – ice-cream খাবা।
।তারা- (ইশ! কি দরদ) না.

মেঘ – গাড়ি থামালাম তুমি থাক আমি আসছি।

continue
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *