বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ০৯

তারা- আমি ওইখানেই দাড়িয়ে ছিলাম।
(মাথায় কি হইছেরে উকুন নাকি এত
চুলকাচ্ছেন কেন? )
মামনি – কিরে দাড়িয়ে আছিস কেন তারা
এটা নিয়ে যা বিকালে খাব সবাই মিলে। ।
তারা- সামনে যেতেই উনি উপরে চলে
গেলেন।
(আজব তো এত uneasy লাগছে কেন এখন উনার
সামনে??)
.
মামনি – কিরে কি ভাবিস ice-cream সব গলে
যাবে তো।

তারা- হ্যা যাই।
বিকালে –
তারা-
সবাই বসে ice-cream খাচ্ছিলাম। মামনি –
আমি রুমে গেলাম তোরা থাক। ।
তারা- উনার চোখে চোখ পপরতেই আমিও
গেলাম বলেই ভাগলাম। ।
মেঘ – বাহ সবাই চলে গেল।
থাক আমি বসে টিভি দেখি।

কিছুক্ষন পর-
রুমে গেলাম।
কিরে তারা এখানে কি করে? তারা?
তারা- পিছনে ঘুড়লাম।
আমি কিছু করছিনা just এই বই টা নিতে
এসেছিলাম।

মেঘ – okey।
একটু দাড়াও অইখানে ice-cream লেগে আছে।

তারা- এইখানে

মেঘ – আরে অই গালে
।তারা- এইগালে?

মেঘ – আরে মেয়ে এইখানে বসে মুছে দিলাম

তারা- আমার মনে হল কারেন্ট লাগল। দৌড় এ
যেতেই বারি খেলাম তার সাথে। ।
মেঘ- তারাকে ধরলাম।আরে আস্তে পরে
যাবে তো।
তারা-ঝড়ের বেগে বের হয়ে গেলাম।

মেঘ – আরে কি হল।
।এমন ভাগল কেন?

তারা- মামনি আমি হিয়ার সাথে একটু
মার্কেট যাচ্ছি।
সন্ধায় চলে আসব।

মামনি – ঠিক আছে।

তারা- তোর সাথে শপিং এ আসলে মনে হয়
কি সব কিনে ফেলবি।
আজব হইছে তোর? ?
মনে হচ্ছে বিয়ের শপিং করছে।

হিয়া- আরে হইছে হইছে চল।

তারা- নে বৃষ্টির আর সময় হলনা নামার।

হিয়া- এখন কি হবে।

তারা- তখন থেকে বলছি চল চল কিন্তু না।
রিক্সা টেক্সি কিচ্ছু নেই

হিয়া- আচ্ছা অপেক্ষা করি।

তারা- ফোনে – মামনি আমরা তো আটকে
গেছি।
রাস্তা তে তো কিচ্ছু নেই কি করে আসব??
ঝড় তো থামার নাম নিচ্ছেনা।
কি করব?

মামনি – আমি মেঘ কে পাঠাচ্ছি।

তারা – আসবে?

মামনি – ও যাবেনা ওর ঘাড় যাবে।

মেঘ – কার ঘাড় কই যাবে?

মামনি – তুই যাবি তারাকে আনতে

মেঘ – কই যাব আর কেন যাব আর এই ঝড়ে
মাথা খারাপ নাকি? ?

মামন – হ্যা খারাপ যা জলদি তারা আর হিয়া
মার্কেট এ আটকা পরেছে।

মেঘ – ওদের যেতে বলেছিল কে।
দুর।

তারাকে ফোন দিলাম-
আমি সিটি মল এর বাইরে তাড়াতাড়ি বের
হউ।

তারা- জি

মেঘ – হিয়া সাথে ছিল তাই কিছু বললাম না।

হিয়া- স্যার আমাকে এখানে নামিয়ে দিন।
আমি এখানেই নামব।

মেঘ – তোমাদের মাথায় কি বুদ্ধি আছে?
ঝড় এর মধ্যে কেউ বের হয়?
তারা-বুদ্ধি মনে হচ্ছে উনারি আছে ( মিন
মিন করে) আমরা যখন বের হয়েছি তখন
ছিলনা।

কি হল গাড়ি থামালেন কেন?
আজ ও কি নস্ট হল।

মেঘ – ফোন থেকে চোখ সরিয়ে সামনে
দেখো।

তারা- ওহ রেড সিগনাল দিয়েছে।
সরি।

গাড়িরর গ্লাস নামালাম কি সুন্দর বাতাস।

ঝরি ঝরি বৃষ্টি। বাতাসের সাথে বৃষ্টির
ফোটা মুখে এসে পরছে।
আর আমি এর মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি।

হাচি দিলাম যাহ আবার ঠান্ডা লেগে
গেছে।

এই জ্যাম কখন ছাড়বে বলেন তো।

মেঘ – উনারা তো আমাকে এসে বলে গেছে
তাইনা।

তারা- আপনি রাগ করছেন কেন বলুন তো।

মেঘ – চুপ করে বস।
হঠাত মুখে পানির ছিটা এসে পরল।
তাকিয়ে দেখি তারা চুল ঝারছে হাত দিয়ে।
আমি অপলক ভাবে চেয়ে আছি তারার দিকে।
হর্নের আওয়াজ এ ঘোর ভাংল।

বাসায় –
মামনি – কিরে ঠিক আছিস তো।

মেঘ – হুম আছি।
মামনি – তোকে কে জিজ্ঞেস করেছে আমি
তারাকে বলেছি।

তারা- ফিক করে হেসে দিললাম।

মেঘ – হ্যা হ্যা এখন তো ছেলেকে ভুলেই
যাবা।
।উপরে চলে গেলাম।

মামনি – হেহেহে।
পাগল ছেলে আমার।

তারা- মামনি গেলাম আমি।

মামনি – আমি মিমি কে দিয়ে আদা চা
পাঠাচ্ছি।

তারা- শাওয়ার টা নিয়ে নেই।

মেঘ – মা কি করছ

মামনি – আদা চা বানাচ্ছি খাবি।

মেঘ – দেও।

মামনি – নে। আর এইটা তারার।

মেঘ – আমি কি করব?

মামনি – তারাকে দিবি।

মেঘ – মিমি কে দিয়ে পাঠাও

মামনি – তুই যেহেতু রুমে যাচ্ছিস তারার টা
দিয়ে রুমে যাবি।

মেঘ – মা তুমিনা

মামনি – কি আমি?
মেঘ – কিছুনা। যাচ্ছি।
দরজা নক করতেই দরজাটা খুলে গেল।
তারা কই?
টেবিল এ চাএর কাপ ২ টা রাখলাম। মনে হয়
বারান্দায় দেখে আসি।

তারা- বৃষ্টির আর থামার নাম নেই।
বাপ রে বাপ।
চুল ঝারছিলাম বারান্দায়।
আর বৃষ্টি দেখছিলাম।

মেঘ – বারান্দা তে ঢুকতেই চুলের বারি
খেলাম খপ করে চুল ধরলাম।

তারা- ও মা! কে রে
পিছনে ঘুড়লাম।
( স্যার)

মেঘ- ( আচ্ছা তারা কি দিন দিন আরও সুন্দর
হয়ে যাচ্ছে । নাকি আমি দিন দিন ওকে
.. দুর দুর কি ভাবছি।)

তারা-( এইভাবে চুল ধরে দাড়িয়ে- আছে
কেন? আর আমারি বা হার্টবিট বেরে যাচ্ছে
কেন? ইদানীং উনি কাছে আসলেই আমার
হার্ট রেস শুরু করে দেয়।)
মেঘ – চুল ধরেই তারাকে কাছে টেনে
নিলাম।

তারা- আমার তো অবস্থা
খারাপ। না পারছিবলতে না পারছি সরতে।

মেঘ – তারার চোখে যেন আমি ডুবে যাচ্ছি

তারা- আমি নি: শ্বাস নিতে পারছিনা আর
ইনি দেখ চেয়ে আছে কিভাবে।
?
কি করা যায়।
হাতে একটা চিমটি বসিয়ে দিলাম।

মেঘ- ব্যথায় আরও শক্ত করে তারার চুল ধরে
তারাকে মুখের সামনে আনলাম।ওর প্রতিটা
নি:শ্বাস আমাকে আরও ওর কাছে টানছে।

তারা- আমার বুক ধুক ধউক করছে। তার
নি:শ্বাস আমি অনুভব করতে পারছি।আরও
কাছে টেনে নিচ্ছেন আমাকে। আমার গলা
শুকিয়ে আসছে।
তার নাকের সাথে আমার নাক লেগে আছে।

মেঘ- তারাকে আরও কাছে টেনে নিচ্ছি।
আরেক টু কাছে যেতেই।
তারা- হাচি দিলাম তার মুখের উপর।
মেঘ – আহ! এই মেয়ে!

তারা – তো এইভাবে ধরে রাখলে কি করব
আমি?

মেঘ – সরি।
চলে আসলাম।

তারা- উফ বাঁচলাম।
আরে ২ কাপ চা।
পুরাই ত ঠান্ডা হয়ে গেছে। দুর।

মেঘ – মেঘ তোর মাথা টা কি গেছে নাকি?
তারা কি ভাবল?

সকালে –
তারা- ৫ টা বাজে মাত্র।
আজ এত সকালে ঘুম ভাংল কিভাবে আল্লাহ
জানে।
ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
আজ না হয় ছাদ থেকে ঘুরে আসা যাক ছাদে
এত সুন্দর সুন্দর গোলাপ গাছ আআছে দেখে
আসি ফুল ফুটেছে নাকি । ছাদের দরজার
সামনে থমকে দাড়ালাম। একি এত সকালে
স্যার ছাদে ব্যায়াম করছেন।
Omg what a body!
খালি গায়ে আছে।
ছি ছি আমি তাকে এইভাবে চেয়ে চেয়ে
দেখছি?
কিন্তু এমন handsome হলে না দেখে কি পারা
যায়।

মিমি – আরে ম্যাম আপনি এখানে দাড়িয়ে-
কি করেন?

তারা- আমি … আমি morning walk…. morning
walk এ এসেছি।

মেঘ পিছনে ঘুড়ে দারালাম। তারা! তুমি এত
সকালে??

তারা- ফুল… ফুল দেখতে এসেছিলাম। ।
মেঘ – তো দেখো।

তারা- যা দেখেছি তারপর আর দেখতে
হবেনা।

মেঘ – কি দেখেছ?

তারা- ওই তো ফুল।
গেলাম।
বাই।
( তারা তুই একেবারে গেছিস আর তোর
মাথাও)

মেঘ – হঠাত কি হল ওর। কে জানে। মিমি
কফি দিয়ে যাও।

তারা- মামনি কি রান্না করছ? আমি হেল্প
করব??

মামনি – তুই এত সকালে? ?

তারা- আমি কি সকালে উঠ তে পারিনা। ।
মামনি – পারবিনা কেন পারিস তো। নে
গাজর কেটে দে।

তারা- অকে।

মেঘ – মা কখন কফি দিতে বলেছি মিমি কে।
কই ও।

মামনি – আমি বাইরে পাঠিয়েছি। তারা কফি
বানিয়ে দে তো।

মেঘ – তারার দিকে তাকালাম। থাক
লাগবেনা

তারা- কিহ অপমান অপমান মনে করেছে আমি
আবার লবন মরিচ মিশিয়ে দিব?? এটা
ভাবল? ?
মামনি – কি করিস?

তারা- কফি বানাচ্ছি।

মামনি – কার জন্য

তারা- তোমার ছেলের জন্য।

মিমি কফি টা স্যার কে দিয়ে আসো তো ।
মিমি – স্যার আপনার কফি।

মেঘ – কবে বলেছি এখন আনলে? ।আচ্ছা যাও।
।কফি টা অন্য রকম লাগছে কিন্ত মজা
হয়েছে।

মা ককফি কিন্তু খুব মমজা হহয়েছে –
মামনি – কফি তারা বানিয়েছে। ।
মেঘ – কিহ?

মামনি – জি

মেঘ – আচ্ছা হইছে আর উনার প্রশংসা করতে
হবেনা

তারা- মামনি চল নাস্তা করি। ।
মামনি – চল। মেঘ আয়

মেঘ – im full.
তারা তোমার হলে চল।

তারা- মামনি আসি।
.
continue
.
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *