বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3

বস বয়ফ্রেন্ড ! season-3 পর্ব- ১১

তারা- হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনতে
লাগলাম।

ওমা এত গুলা ice-cream কে খাবে?

মেঘ – মা আর আমি

তারা- এত গুলা?
মেঘ – তুমি তো আর খাবেনা সো কি করব
সেটা আমি জানলেই হবে।

তারা- হুহ মুখ ঘুরলাম।

মেঘ – গাড়ি স্টার্ট দিলাম।

বাসায় –

মেঘ – মিমি এগুলা রাখ তো।

তারা- উপরে চলে এলাম।
আমি এক বার মানা করলাম তাই বলে
আমাকে আর সাধ বে না??
মামনি – কিরে তারা খাবিনা।

তারা- না মামনি আমি খেয়ে এসেছি।

মামনি – তুই হঠাত চলে আসলি?

তারা- তোমার ছেলে কে জিজ্ঞেস কর।

মামনি – মেঘ কে? ??
কি করেছে।

তারা- আমি ফ্রেন্ড দের সাথে ছিলাম হঠাত
কোথা থেকে উদয় হল কে জানে তুলে নিয়ে
চলে আসল বাসায়।

মামনি ( মেঘ কি তারা কে তাহলে পছন্দ
করা শুরু করেছে)
আচ্ছা আমি এখন যাচ্ছি তুই ঘুমা।

তারা – সবাই এখন ঘুমাচ্ছে ১টা ice-cream
খেয়ে আসি কে জানবে কে খাইছে না
খাইছে।
চুপি চুপি নামছিলাম।

মেঘ – এত মাথা ব্যথা করছে মার থেকে ওষধ
নিয়ে আসি।

নিচে এসে দেখি তারা ice-cream খাচ্ছে।
বাহ বাহ দারুন

তারা- ( আসার আর টাইম পেল না)
আপনি এখানে কি করেন।
ice-cream পিছে আড়াল করলাম।

মেঘ – পিছনে কি? ?

তারা- কিছুই না।

মেঘ – দেখি দেখি দেখাও দেখাও।
হাত সামনে আনো।

তারা- মাথা নিচু করে হাত সামনে আনলাম।

মেঘ – হুম ice-cream খাওয়া হচ্ছে।
তা ম্যাডাম তখন যেন কি বলেছিলেন?

তারা- আমার মনে নাই।

মেঘ – দারাও দারাও এইভাবে গেলে কি
হবে? ?আরে আরে যাচ্ছ কই?

তারা- খাচ্ছি তো কি হইছে?
টাকা দিতে হবে?
দিয়ে দিবনে যান।

মেঘ – রাগ উঠে গেল শক্ত করে ধরে কি বললা
তুমি? ? আমাকে টাকা দেখাচ্ছ?

তারা- না মানে আমি ওইভাবে বলতে….

মেঘ – চুপ

তারা- এএএএএএএ।( crocodile tear)

মেঘ – আরে আরে কান্না থামাও ।থামাও।
সরি সরি।
থাম ( ধকম দিয়ে)

তারা- এএএএএএ মা….ম….নি

মেঘ – আরে আল্লাহ মহা মুসকিল এ পরলাম।
থাম তারা থাম।
এত থামছেই না উপায় না পেয়ে ১ টা উম্মা
দিয়ে বসলাম।যেন না চেচাতে পারে

তারা- কপালে চোখ উঠে গেল।
আমি থ মেরে গেলাম।
।রোবট হয়ে গেছি মনে হচ্ছে

মেঘ – কি করে ফেললাম নিজেই জানিনা।
সড়ে দারালাম।
তারা অইভাবেই দাড়িয়ে- আছে।
আমি ৫ G spreed এ ভাগলাম।ঠোট মিষ্টি মিষ্টি লাগছিল।মনে
পড়ল তারা ice-cream খাচ্ছিল।

তারা- এটা কি ছিল।?
আমার তো বিলিভ হচ্ছেনা
সকালে-

মামনি – কিরে মেঘ নাস্তা না করেই চলে
যাচ্ছিস??

মেঘ – আমার ক্ষিদে নেই। আমি গেলাম।

মামনি -তারা কে নিয়ে যাবিনা?
মেঘ – ও তো নাস্তা করবে ওর দেরি হবে
আমি গেলাম।

তারা-( স্যার উঠার আগেই ভাগি আজ আর
নাস্তা করা লাগবেনা) উপর থেকে বলতে
বলতে নামছিলাম মামনি গেলাম আমি আজ
বাইরে খেয়ে নিব নেমেই দেখি স্যার
দাড়িয়ে- ( যেখানে বাঘ্ এর ভয় সেখানেই
সন্ধ্যা হয়)
উই মা ইনি এখানে??
চোখ চোখ পরতেই ২ জনেই চোখ সরিয়ে নিয়ে
২ জন ২ পাশে ঘুরে গেল।

মামনি – ২ জনেই যখন নাস্তা করবিনা ১
সাথেই যা।

২ জনেই ১ সাথে বলে উঠল –
মেঘ – না
তারা- না
২জন ২ জনের দিকে তাকালো
আবার মুখ ঘুরিয়ে নিল।
তারা নখ কাড়ছে দাত দিয়ে।
মেঘ বেচারা মাথা চুলকাচ্ছে

মামনি ( বেপার টা কি? ?)
ওই তোদের কি হয়েছেরে? ??
এমন আজব ব্যবহার করছিস কেন? ??

মেঘ – গেলাম আমি।

মামনি – দাড়া দাড়া! তারা তোর সাথে
যাবে।

তারা- কেন আমি একা যাব।

মামনি – চুপ। আমি যা বলেছি তাই হবে।

গাড়ি তে-

সব নিশ্চুপ …….

অফিসে-
হিয়া – কিরে
এমন করে বসে আছিস কেন?
তারা – দোস্ত what is kiss? ??
হিয়া – এএএ কি বলছিস তুই এটা?
কি হইছেরে তোর?

তারা- বল না।( নখ চাবাতে চাবাতে)

হিয়া- হেহেহে
ঠোট দ্বারা অন্যের ঠোট, গাল,কপাল কে
স্পর্শ করাকেই কিস যাহা বাংলায় চুম্বন বা
চুমু বলে।

তারা- রাগি লুক নিয়ে তাকালাম হিয়ার
দিকে তোরে সংগা বলতে বলছি?
সেটা কি আমি জানিনা?

তুই যা তোর কাজ কর।
যা ভাগ।
( সেই মুহুর্তে আমার যে কি অবস্থা হয়েছিল
সেটা শুধু আমিই জানি।
হার্ট মনে হচ্ছিল এখনি বেরিয়ে আসবে, ধুক
ধুক করছিলল ধুক ধুক)

হিয়া- কি বির বির করছিস।

মেঘ – আমার মাথা ঘাস কাটতে গিয়েছিল? ?
আর কোন উপায় ছিল না
অই টাই করতে হল।
মেঘ ইউ ফুল ।

বাইরে একটু উকি দিলাম
কিরে তারা নেই।
কই গেছে?

ক্যান্টিন থেকে ঘুরে আসি।

ক্যান্টিন এর সামনে-

তারা- উই মা কেরে কেরে
গাধা, গরু
(ইইইইইইইই)
স্যার আপনি? ?
মেঘ – উল্টা দিকে হাটা দিলাম।

তারা- কিছু বলল না ব্যপার কি?
ওই আমিতো ভুলেই গেছিলাম কাল কের কথা।

হিয়া- তুই এমন লাল হয়ে আছিস কেন বলতো।
?

তারা- হিয়ার কাধে মাথা রেখে ( নাটকিয়
কান্না) দোস্ত আমি আর আমি নাইরে।
আমার সব শেষ।

হিয়া – কি হইছে বলবি।

তারা-( হিয়াকে বলা যাবেনা)
কিছুনা কিছুইনা
বলে ভাগ্লাম।

হিয়া- মাথায় হাত দিয়ে কিছুই তো বুঝলাম
না হল টা কি?

তারা- ১কি বাসায় ১কি অফিস দামনে তো
পরতেই হবে এইভাবে আর কি করে দুরে দুরে
থাকব

মেঘ – মেঘ অ তাই ভাবছে।

মেঘ + তারা- নাহ নরমাল ই থাকতে হবে।যেন
কিছুই হয়নি ভাবতে হবে।
হুম।

বাসায় –

তারা-(হিয়া+ লিমন এর ঝগড়া হয়েছে তাই
মিলানোর চেস্টা) লিমন তুমি এত ঝগড়া কর
কেন বলতো?
কাজ করলে তো মানুষ বিজি থাকবেই।
তুমিও তো কাজ কর। তুমি কি বুঝনা।

মেঘ – তারা চেক টা….
( লুকিয়ে লুকিয়ে তারার কথা শুনছিলাম।
কথা শুনে মনে হচ্ছিল তারা অর কথা বলছে)
( তো আমার এত জলছে কেন যা খুশি করুক।
কিছু দুর ফিরে এসে আবার অইখানে গেলাম।
একটু যেতেই খেলাম তারার সাথে বারি)

তারা- স্যার আপনি এখানে কি করছেন?

মেঘ – আগে বল তুমি কার সাথে কথা বল
ছিলে

তারা- আপনি কারো সাথে কথা বললে কি
আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করি?

মেঘ – কিন্তু আমি বললে উত্তর দিতে হবে।

তারা- পা একটু উচু করে ( লম্বু র সমান হয়ার
চেস্টা আরকি)
বলব না হুহ।

মেঘ – তারাকে ১ হাত ওর পিঠে র সাথে
আটকিয়ে পিছনে দারালাম। না বললে ছাড়ব
না শুনে রাখ।

তারা- আমার ব্যথা লাগছে।

মেঘ – লাগুক।

তারা- আচ্ছা দাড়িয়ে- থাকুন কতক্ষন পারেন
আমিও দেখব।

মেঘ – ১ ঝটকায় নিজের দিকে ঘুরিয়ে
নিলাম।

সব চুল এসে পরল তারার মুখে।
ভয় পেলে তারা কে খুব সুন্দর লাগে।

চুল গুলা মুখ থেকে সরিয়ে দিলাম।

তারা- তার ছোয়ায় মনে হল কারেন্ট লাগল।
কেপে উঠে সরে গেলাম।
আমি যতই সরি উনি ততই কাছে টেনে নেন।

মেঘ –
তারার চোখে ডুবে যাচ্ছি।
আরো কাছে টেনে নিলাম।

তারা- ( কাল কের মত আবার করবে নাকি).

না আ আ আ আ

মেঘ – (আমিই ভয়ে লাফিয়ে সরে গেলাম) কি
হল।

তারা- কি করছিলেন আপনি।

মেঘ – কই কি করছিলাম?

তারা- কি কাজে এসেছিলেন।

মেঘ – ওহ কাল কে যে চেক টা দিয়েছিলাম
সেটা দেও।

তারা- আচ্ছা।

মেঘ – ভাবলাম এই সুযোগ তারার ফোন টা
চেক করা যাক।
কিন্তু ১ বালতি আফসোস ফোনে পাসওয়ার্ড
লাগবে।
দুর।

তারা- নিন।

মেঘ – ১ টা রাগি লুক দিয়ে চলে আসলাম।

তারা- হইল টা কি??হার্ট ৭ G spread এ বিট
করছে।
ওই থাম না রে বাপ।

মেঘ – আরে মেঘ তোর হইছে কি? ?
তুই এমন গোয়েন্দাগিরি করতেছিস কেন?
তাও তারার জন্য? ?
ও আল্লাহ আমার মাথারকি স্ক্রু ঢিলা হয়ে
গেছে?

যাকে আমি দেখতে পারতাম না তার উপরে
গোয়েন্দাগিরি করছি? ??
হায় আল্লাহ।

সকালে-
তারা- কি বেপার মামনি তুমি কোথায় যাচ্ছ?
তাও এত সকালে?

চলবে
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *