বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ৭

মেঘ : তারার হাতটা আবার ধরে নিজের গালের সাথে ধরে
রাখলাম।
চোখ বন্ধ করে থাকলাম।

তারা: অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।

মেঘ: খুব ব্যথা পেয়েছ তাইনা। দাগের স্থানে আরো কয়েক্টা
চুমু দিলাম।।

ডাক্তার এল।
এখন কিছু করে তারাকে সরাতে হবে নাহলে
সমস্যা।

তারা আংকেল এর জন্য কিছু আনো।

তারা : জি।

মেঘ : ইনি আমাদের ফ্যামিলি ডাক্তার।
আংকেল আংকেল আপনাকে একটা কাজ
করতে হবে।

ডাক্তার : কি মেঘ।

মেঘ : সব বুঝিয়ে দিলাম।

তারা : আংকেল নিন।

ডাক্তার : তারা মেঘ এর পায়ের অবস্থা তো
তেমন ভালনা।
অনেক দিন রেস্ট এ থাকতে হবে ওর।
আমি ওষধ লিখে দিলাম রনি এনে দেও।
তারা ওর একটু খেয়াল রেখ।
আসি আমি।

তারা : আমি রুমি কে বলে যাচ্ছি আপনার
ভাল খেয়াল রাখবে।

মেঘ : রুমি সুমি নেই।
ওরা ছুটি নিয়েছে।

তারা : কবে কখন।

মেঘ : সকালে।

তারা : রনি উনার জন্য নার্স এর ব্যবস্থা কর।

মেঘ : না নার্স না ।

তারা : ত কে খেয়াল রাখবে আপনার।

মেঘ : কেন তুমি।

তারা : জি না। আর তাছাড়া অফিস এর
কাজের কি হবে।

মেঘ : অইটা আমি দেখে নিব।
আর তাছাড়া বাবা আমার দায়িত্ব তোমাকে
দিয়ে গেছে। সো তুমিই আমাকে দেখবে।

তারা : ( উফফ কি মুসকিল।উনার থেকে দুরে
থাকতে চাই কিন্তু …….. উফফ)

মেঘ : (জানি মনে মনে গালি দিচ্ছ। কিন্তু
তোমার কিছুই করার নেই।
এখন কই যাবা তুমি তারা। )

তারা : ড্রেস চেঞ্জ করে উনাকে দেখতে
গেলাম।
দেখি হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনছে।

এই নাকি উনি পরে গিয়ে হাত পা ভেংগে
ছে।
দেখেতো মনে হয়না।

তারা :কানের হেডফোন সরিয়ে- শুনুন। কি
খাবেন।

মেঘ : বিরিয়ানি।

তারা : কিহ। আমি রান্না করতে পারিনা।

মেঘ ; আমি কি জানি।
ব্যবস্থা তুমি কর।

তারা : ( কবে যেন আমি এরে গুলি করে
মারি। ) ঢং।

মেঘ : এই এই কি বললা।

তারা : কিছুনা। বলেই চলে আসলাম।

মেঘ : তোমাকে কাছে রাখার জন্য যে কি
কি করতে হচ্ছে আমার তারা।
আল্লাহ কবে এর মান ভাংবে। আর কবে আমি
শান্তি পাব।

তারা : এই নিন।
ধরুন।

মেঘ : আরে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে রান্না
করলা?

তারা : হুহ রান্না। অর্ডার? দিয়ে এনেছি।

মেঘ : রাখ।

তারা : আপনি হা করে আছেন কেনো।

মেঘ : তো তুমি খাইয়ে দিবানা? ?

তারা : ভাংল পা। হাতে কি সমস্যা? ?

।মেঘ : তোমার কাজ আমার কথা শুনা।
আমি বলছি তাই দেও।

তারা : ( আল্লাহ দরি ফালাও এনাকে উঠায়
দি।)

নিন খান।

মেঘ :আরে আরে কি কিরলে এটা তুমি? তুমি
অন্য দিকে তাকিয়ে খাওয়ালে তো এটাই
হবে।

তারা : sorry sorry.
আমি মুছে দিচ্ছি।

মেঘ : আমার গেঞ্জি চেঞ্জ করে দেও।

তারা : কিহ।

মেঘ : জিহ।( হেহেহে। তারা এবার কই যাবা)

তারা রাগে গজ গজ করছে।

তারা : নিন ধরুন।

মেঘ : চেঞ্জ করে নিলাম।

তুমি খেয়েছ।

তারা : ওটা আপনাকে ভাবতে হবেনা। হুহ।

মেঘ : হায় রে। একে বাগে আনা সজা হবেনা।

তারা : ২ দিন তো গেল।
। আর কত।
এতো বাইরের খাবার খেলে তো উনার সাথে
সাথে আমিও অসুস্থ হয়ে যাব।
আর উনার জালায় তো আমি এমনিতেও অসুস্থ
হয়ে গেছি।
আল্লাহ।
নাহ অন্য কিছু করতে হবে।

মেঘ : তারা? ?তারা? ?

তারা : নিন আপনার জুস।

মেঘ : দেরি হল কেন।

তারা : কিছু বললাম না।
চলে আসলাম।

রান্না তো জিবনে করিনাই। তারপর ও
চেস্টা করি youtube দেখে।

অরে কিসের মধ্যে কি দিচ্ছেরে কিছুই তো
বুঝিনা।
.
মুরগি রান্নার ভিডিও ছেড়ে সামনে
রাখলাম।
হুম এখন রান্না শুরু করি।
আস্তে আস্তে দেখে দেখে রান্না করছিলাম
হঠাত কাধে কার নি:শ্বাস অনুভব হল।
কে কে?

মেঘ : আরে আমি ভয় পাচ্ছ কেন??

তারা : তা আপনি আমার কাধে মুখ রেখে কি
করেন।

মেঘ : জরিয়ে ধরতে চাইছিলাম কিন্তু তুমি
দিলে আর কই?

তারা : কি….. কি। ।…. কি বললেন আপনি।

মেঘ : আরে মেয়ে কি রান্না করছ সেটা
দেখতে আসছিলাম।

তারা : তা আপনার পায়ের ব্যথা কমেছে।

মেঘ ( খাইছেরে) না মানে সামান্য কিন্তু
এখন অনেক ব্যথা।

তারা : ব্যথা নিয়া নামছেন কেন।

মেঘ : খুব খুদা লাগছে। কি করব।

তারা : না মানে ইয়ে আপনি আরেক্টু বসুন
আমি এখনি দিচ্ছি।

মেঘ : ঠিক আছে আমি এইখানেই বসি।

তারা ; আরে আরে এইখানে কেন।

মেঘ : সমস্যা নেই।
তুমি রান্না কর আমি দেখি।
তারা রান্না করছিল। আমি দেখছিলাম।
বড্ড ভালবেসে ফেলেছি ওকে।
নিজের অজান্তেই।
তারাকে কেমন জানি আমার বউ বউ
লাগছিল।
হেহেহে।

তারা : হাসছেন কেন।

মেঘ : না ইয়ে। এমনি।
তারা ( বুঝতে পেরেছি আমার রান্না দেখে।
হুহ)

মেঘ ; বাতাসে তারার সামনের ছোট ছোট চুল
গুলা মুখে এসে পরছিল।

আমি উঠে গিয়ে তারাকে নিজের দিকে
ঘুরালাম।

তারা : কি হয়েছে।

মেঘ : চুল গুলা সরিয়ে দিচ্ছিলাম।

তারা : আমার হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে কেন??

মেঘ : তারা দেখলাম লাল হয়ে যাচ্ছে। ঘন ঘন
নি:শ্বাস নিচ্ছে।
চোখ বন্ধ করে আছে।
। আমি ওর কপালে আলতো করে চুমু দিলাম।
তারা কেপে উঠে আমার গেঞ্জি আঁকড়ে
ধরল।

ও আল্লাহ।

তারা : কি হল কি হল।

মেঘ : অই মেয়ে কত বড় নখ রাখছ??

তারা যেভাবে তাকাল আমার দিকে।
দুর রোমান্টিক সময় টার ১৩,১৬,১৭ বাজায়
দিলাম।

তারা : তারা আপনি একটা ……..
হাত মুঠ করে দিলাম একটা ঘুসি।

আরেক্টা দিতে যাব

মেঘ : তখনি ওর হাত ধরে অর পিঠের সাথে
লাগিয়ে ধরে নিজের দিকে সাথে জরিয়ে
ধরলাম।

তারা : কি করছেন ছাড়ুন।

মেঘ : ছাড়বনা।

তারা : ভাল হচ্ছেনা কিন্তু।

মেঘ : কি করবা।

তারা : কি করব দেখবেন?

মেঘ : (এইতো তারার আগের রুপ ফিরে
আসছে। এটাই তো চাই।)
দেখাও।

তারা : ছাড়ুন না।

মেঘ : আরো শক্ত করে তারাকে ধরে আছি।
তুমি কি আমার সাথে গায়ের জোড়ে
পারবে? ??
.
চলবে—

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *