বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ৮

তারা: আপনি কি চান বলুন তো।

মেঘ : কি চাই?? হুম ভাল প্রশ্ন।

মিষ্টি।

তারা : আপনি ফাইযলামি করেন আমার
সাথে? ?
ইহকালে আপনি মিষ্টি খাইছেন বলে আমার
মনে হয়না।

মেঘ : আজ ট্রাই করব।

তারা : বাসায় নাই।
বাইরে থেকে আনতে হবে।

মেঘ : কি বলে মিষ্টি তো আমার কাছেই।

তারা : কিহ কই?

মেঘ : হাত দিয়ে তারার মুখটা একটু উচু করে
ধরলাম।

আমার মুখটা ওর একটু কাছে নিতেই

তারা : আল্লাহ ( চিতকার দিয়ে)

মেঘ : what? what?
.
ততারা : আমার মুরগি।
এএএএএএএএএ।

এখনি তো পুরে যাচ্ছিল।

মেঘ : এই মুরগির!!!
চলে এসে টেবিল এ বসলাম।

সালার মুরগির কথা মনে করার র টাইম
পেলনা।

তারা : নিন শুরু করুন।
মেঘ : খাবার দেখে খাওয়ার শাধ মিটে
গেছে।তারা খাবার সার্ভ
করে দিল।

তারার দিকে তাকালাম ও অনেক আগ্রহ
নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি একবার মুখে দিলাম ( জেলেও এর
থেকে ভাল খাবার দেয়)
বাহ তারা খুব ভাল হয়েছে।
তারা মনে হয় কথাটা শুনে খুশি হয় নি।

ও অন্য দিকে তাকাল।
মুখের থেকে আমি খাবার বের করে কই
ফেলব খুজে পাচ্ছিনা।
টিস্যু তে রাখলাম।
তারার দিকে তাকালাম দেখলাম ও অন্য
দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। যাক
অনেক দিন পর সেই মন কাড়া হাসি দেখলাম।
তারা আমার দিকে তাকাল।
আমি সাথে সাথে আরেকবার মুখে দিতে
নিচ্ছিলাম।
তারা : হাত দিয়ে তাকে আটকালাম।
থাক আর খেতে হবেনা।
বুঝেছি।
আমি খাবার অর্ডার করছি। আপনি হাত ধুয়ে
আসুন।

মেঘ : না আমি এটা খেতে পারব।

তারা : আপনি পারবেন আমি পারবনা।

আপনি যান তো।

মেঘ : যাক অনেক দিন পর তারা আমার সাথে
স্বাভাবিক ভাবে কথা বলল।
আমার খুব ভাল লাগছে।
এইভাবে আরো ২ টো দিন কেটে গেল।

মেঘ : তারাকে বলে আসি কাল কে থেকে
আমরা অফিস যাব।

রুমে ঢুকে দেখি তারা ঘুমিয়ে আছে।

কি মায়াবী লাগছে তারাকে।

জানালা দিয়ে বাতাস আসছে।
তাতে তারার চুল মুখে এসে পরছে।
অন্ধকারে চাঁদের আলোতে তারার চেহারা
আরো মায়াবি করে তুলছে।
আমি সামনে যেয়ে তারার পাশে বসে বসে
তারাকে দেখছি।
এই মেয়েটা কে কত কস্ট দিয়েছি।
মুখ বুজে সহ্য করে গেছে।
তারা একটু নড়ে উঠল।
ওপাশ ফিরে শুল।

হাতটা ধরে একটু দেখলাম দাগ টা হালকা
মিলিয়েছে।

তারার গালে একটা চুমু দিয়ে চলে
আসছিলাম। হঠাত হাতে টান অনুভব করলাম।
পিছনে চেয়ে দেখি তারা ঘুমের মধ্যে আমার
হাত ধরে আছে।

আমি আবার যেয়ে ওর খাটের পাশে নিচে
বসলাম।

কখন ঘুমিয়ে গেলাম নিজেও জানিনা।

সকালে-

তারা : ঘুম থেকে উঠে দেখি উনি খাটের
পাশে বসে খাটে হাতের উপ্প্র মাথা রেখে
ঘুমাচ্ছেন।

এই শুনছেনন ।
উঠুন। উঠুন।

আপনি এইখানে কেন? ?

মেঘ : চোখ ডলতে ডলতে
আমার কফি কই তারারারা—-

তারা : উফফ চিল্লাচ্ছেন কেন।

মেঘ : (আমিতো ভুলেই গেছিলাম আমি ওর
ঘরে।)

তারা : আপনি এইখানে কেন? ?

মেঘ : ইয়ে মানে কি জানি মনে নাই।
বলে দিলাম দৌড়।
।তারা : এটা কি হল।
আজব তো।

ফ্রেশ হয়ে উনার রুমে গেলাম।

কি ব্যপার আপনি রেডি হচ্ছেন কেন?

মেঘ : তুমি রেডি হয়ে নেও আমরা অফিস এ
যাব।

তারা : আপনার পায়ের ব্যথা।

মেঘ : ব্যথা নাই।
তুমি চল।

তারা : আচ্ছে।

মেঘ : শুন?

তারা : হুম।

মেঘ : টাই টা বেধে দিয়ে যাও প্লিজ।

তারা : ( বাপের জন্মে কাওকে কন দিন
প্লিজ বলে নাই। আর আজ প্লিজ বলছে। হইছে
কি উনার) ঠিক আছে।

তারা : টাই বেধে দিচ্ছিলাম।

মেঘ : ওকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম।
মানুষ এত সুন্দর হয় কিভাবে ভাবছিলাম।

ততারা : নিন হয়ে গেছে।

মেঘ : তারার হাত টা নিয়ে একটা চুমু দিয়ে
নিচে চলে আসলাম।

তারা : ওমা এটা কি হল।
উনার এই হঠাত পরিবর্তন আমার বোধগম্য
হচ্ছেনা।

নিজের হাতের দিকে একবার তাকালাম।
পরে নিচে আসলাম।

উনি গাড়িতে বসে আছেন।

আমি গাড়ির কাছে আসতেই উনি বলল।

মেঘ : দাড়াও।

তারা : কেন।

মেঘ : গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির দরজা টা
খুলে অকে বললাম বস।
ও বসল।
আমি দরজা লাগিয়ে দিলাম।

তারা : উনার এমন ব্যবহার এ আমি অবাক হয়ে
যাচ্ছি।
উনার হয়েছে কি।

ইরা : কিরে এত দিন পর।
স্যার এখন কেমন আছে।

তারা : হুম ভাল।

মেঘ : এতক্ষন হয়ে গেল তারাকে দেখতে
পাচ্ছিনা।
কেমন জানি লাগছে।

উফফ মেয়েটা একবার আমার খোজ অ নিতে
আসবেনা??

মেঘ : তারা? আমার কেবিন এ আসতো।

তারা : জি।

মেঘ : এই ফাইল টা দেখতো।
কি কি ভুল আছে


তারা : দেখছি।

মেঘ : এইখানেই বসে দেখ।

তারা : আচ্ছে।
ফাইল দেখতে দেখতে উনার দিকে চোখ
গেল।
কিরে উনি আমাকে দেখছেন কেন? ?

মেঘ : তারার চোখে চোখ পরতেই ফোন এর
দিকে চোখ দিলাম।
উঠে দাড়ালাম।
তারা মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে।

আমি অর কাধে আমার মুখটা রাখলাম।

তারা : ভয় পেয়ে গেলাম।

মেঘ : উহু তারা এইটা এমন হবেনা। ঠিক করো।

তারা : উনি ওইভাবেই আছেন।
আমার তো হার্টবিট ১০০ গুন বেড়ে গেছে।
উনি এইভাবে থাকলে কাজে আর ভুল হবে।

আপনি এইভাবে আছেন কেন। সরুন।

মেঘ : না আমি এইভাবেই থাকব।
আর তোমার কাজ দেখব।

তারা : অসহ্য।

মেঘ : কি বললা।

তারা : না কিছুনা।
এই নিন। কাজ শেষ।

মেঘ : আচ্ছা যাও।

দুপুর:

মেঘ : চল তারা।

তারা : কোথায়?

মেঘ : চলতো।
গেলেই দেখবা।

তারা : রেস্টুরেন্ট এর সামনে গাড়ি থামল।
এইখানে কি হবে।

মেঘ : সকালে তুমিও আর আমিও কেউ খাইনি।
ক্ষুদা লেগেছে। চল।

তারা : উনি খাবার অর্ডার দিচ্ছিলেন।
কে যেন তারা বলে ডাক দিল।

চলবে

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *