বস বয়ফ্রেন্ড Season 2

বস বয়ফ্রেন্ড Season 2 ! পর্ব- ৬

সকালে
:মেঘ: রুমি তারা কই?? দেখছিনা তো।
১০ টা বাজতে গেল।

রুমি : ম্যাম যে সকালে বের হল আর আসেনি।

মেঘ : অকে।
তারাকে ফোন দেওয়ার জন্য ফোন হাতে
নিতেই দেখি তারা।

তারা : উনার দিকে একবার তাকালাম।
পরে চোখ সরিয়ে নিজের ঘরে যাচ্ছিলাম।

মেঘ : তারার হাত ধরে – কোথায় ছিলে
এতক্ষন।

তারা : ছাড়ুন আমাকে বলে হাত ছাড়িয়ে ,
হাটতে গিয়েছিলাম।

মেঘ : তারা কে ঘুরিয়ে দাড় করালাম কিছু
বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু বলতে পারলাম্না।
চোখ,মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক কেঁদেছে
তাই ছেড়ে দিলাম।

মেঘ : তারা কোথায় যাচ্ছ?

তারা: অফিসে।

মেঘ : একা কেনো যাচ্ছ। আমিও তো যাব।


তারা : আমি একাই যেতে পারব। বলে চলে
আসলাম

মেঘ : কালকে বেশি বেশি করে ফেলিনিত।

অফিসে:

ইরা: কিরে ঘুমাস নি? ??

তারা : নাহ রাতে ঘুম হয়নি।

মেঘ : প্রায় ১ সপ্তাহ কেটে গেল। তারা
আগের মত তেমন হাসেও না দরকার ছাড়া
কথাও বলেনা।
ঠিক মত রুমে কফি দিয়ে যায়,জামা বের করে
রেখে যায় আমি টের অ পাইনা। ও কখন এসে
কাজ করে যায়।
আবার আমি উঠার আগেই অফিস এও চলে
আসে।

চঞ্চল তা নেই বললেই চলে।

এটাই আমি চেয়েছিলাম।
কিন্তু কেনো যানি আমার ভাল লাগছেনা।

তারার উদাসীন চেহারাটা আমার ভাল
লাগছেনা।
আমি ওর হাসিটা দেখার জন্য পাগল হয়ে
যাচ্ছি।
ওর চঞ্চলতা দেখার জন্য বেকুল হয়ে উঠছি।
কেনো এমন হচ্ছে আমার।?? কেনো।??

তারা আমার সাথে এখন অফিস এও যায়না
আবার আসেওনা।

ওর এই দুরত্ব রাখাটা আমার সহ্য হচ্ছেনা।
নাহ কিছু একটা করতে হবে।
এইটা সহ্য করা যাবেনা।

মেঘ : তারা।

তারা : ( মাথা নিচু করে) জি

মেঘ : (এখন আমার দিকে তাকানোও বন্ধ
করে দিলে তুমি < মনে মনে>)
চল বাসায়।

ততারা ‘ আপনি যান আমি পরে আসব।

মেঘ : তারার হাত ধরে – পরে না এখনি চল।
গাড়িতে বসালাম।

বাসায়:
মেঘ : তারা কি হয়েছে তোমার??

তারা : কি হবে?

মেঘ : না মানে বলার আগেই কাজ এখন সব
হয়ে যাচ্ছে তাই বললাম।

তারা : এটাই তো চেয়েছিলেন।
।বলে রুমে চলে গেলাম


মেঘ : কথা তো এটাই।
আমি চেয়েছিলাম এটাই কিন্তু এখন এটাই
মানতে পারছিনা।

সকালে :

তারা : ইয়াক থু কিরে?? রুমি এটা কি
দিয়েছিস।
চিনির বদলে লবন কেন??

মেঘ : ও না আমি দিয়েছি। হাত দিয়ে ইশারা
দিলাম রুমিকে চলে যেতে।

তারা : কেনো।

মেঘ : তুমি এত এক্সপেরিমেন্ট করেছ আমার
কফির সাথে তাই ভাবলাম আমিও করি।

তারা : অহ আচ্ছা। ঠিক আছে।চলে
যাচ্ছিলাম।

মেঘ : হাত টা ধরে – এর বদলা কিভাবে নিবে।

তারা : আপনারটা খেয়ে আপনারটা পরে
আপনার উপর আবার কিসের বদলা? ??
হাত ছাড়িয়ে চলে গেলাম।

মেঘ : কথাটা যেন তিরের মত কলিজা তে
যেয়ে লাগল।

তারাকে খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।
আর ওর কস্টে ওর থেলে মনে হয় আমি বেশি
কস্ট পাচ্ছি।

খুব অভিমান করেছে মেয়েটা। এটা আমার
সহ্য হচ্ছেনা।
ওর মান ভাংতেই হবে।
।।
মেঘ : হুম একটা গিফট কিনে sorry বলে
দিলেই হবে।
তাতে যদি রাগ কমে।

মেয়েদের জন্য কখন কিছু কিনিনি।
কি কিনব বুঝতেও তো পারছিনা।
এর থেকে ভাল online এ কিছু অর্ডার করে
দেই।
.বাহ এই শাড়ি টা ভাল। কালো রং আমার
এম্নিতেই পছন্দ।

সকালেই দিয়ে যাবে ১০ টার সময়।

সকালে-

মেঘ :
তারা চলে গেছে। আমি জানতাম চলে যাবে।
সময় মত শাড়ি চলে এসেছে।

আমি বক্স এর উপর সুন্দর করে sorry
লিখে অর রুমে রেখে এলাম।

অফিস:

তারা: ইরা তোর কাজ শেষ। চল আজ বাইরে
খাব।

ইরা: হ্যা চ—-
।স্যার এর দিকে চোখ পড়ল।
উনি হাত দিয়ে মানা করলেন।
ব্যপার খানা কি হল।
না মানে তারা আজ আমার কাজ আছে।
আজ না কাল যাব।

তারা : হুম।

মেঘ : তারা চল।

তারা : আমি একা যেতে পারব।

মেঘ : না তুমি আমার সাথে যাবে।

বাসায় :
তারা : রুমে গেলাম।
কিরে বিছানায় অইটা কি? ?

“sorry’ এটা আবার কে দিল।

রুমি! ? এইটা কে এইখানে রেখছে।

রুমি : স্যার।

তারা : বারান্দা দিয়ে ফেলে দিলাম।

মেঘ : কিরে এটা এইখানে আসল কি করে? ?

তারা তারা! ?

তারা : আবার ডাকে কেন?
।যাবনা।

মেঘ : তারার ঘরে গেলাম।
এটা ফেলে দিছ কেন

তোমার পছন্দ হয়নি?

তারা : আমার এইসবের দরকার নেই।
আর আপনার থেকে তো না ই।

মেঘ : কিছু বললাম না। জানি আরো রেগে
যাবে।
কি করা যায় বুঝতে পারছিনা।
এত রাগ করেছে।

কি করা যায়।?.
অর রাগ ভাংতে হলে অকে আমার
কাছাকাছি রাখতে হবে।।কিন্তু কিভাবে??.
দুরে দুরে ভাগছে । কি করব।

আগে রুমি সুমি কে কয়েক দিনের জন্য ছুটি
দিতে হবে।
তারপর তারার ব্যবস্থা।।
।।
কয়েক দিন অসুস্থতার ভান করে বাসায়
থাকতে হবে আর তারাকেও রাখতে হবে।
পেয়েছি। সকালে
কিছু একটা ব্যবস্থা করতে হবে।
সকালে-
মেঘ : তারস ঘুম থেকে উঠার আগেই রুমি সুমি
কে ভাগাতে হবে।
রুমি সুমি যাও তোমাদের ছুটি। আমি ফোন না
করা পর্যন্ত আসবানা।
আমি ফোন করে জানাব কবে আসবা। আর এই
ধর এই মাসের টাকা আরো এক্সট্রা আছে।
যাও যাও ভাগ।

তারা : কিরে বাসা খালি খালি লাগছে
কেন??
সবাই কই??
রুমি! ? সুমি! ?

আরে কিসের আওয়াজ হল ।

আরে আরে আপনি পরলেন কিভাবে।
রনি রনি! ?
স্যার কে তোলো।

মেঘ : (অভিনয় করে পরার পরও হাত পা অনেক
কেটেছে। কিন্তু ব্যথা পাইনি তেমন।)

তারা : রনি ডাক্তার কে ফোন দেও।

মেঘ : তারা খুব সুন্দর করে হাত পায়ের কাটা
স্থান পরিস্কার করে বেন্ডেজ করে দিচ্ছে।
তারার হাতটা ধরলাম।

তারা- কাজ করতে দিন।

মেঘ-তারার মুখটা উচু করলাম।
চোখ নিচের দিকে নামিয়ে আছে।
আমি ওর হাতের দিকে তাকালাম অইদিন এত জোরে ধরেছিলাম
যে দাগ হয়ে গেছে।
হাতে দাগের জায়গা তে ১টা চুমু দিলাম।
তারা হাত সরিয়ে নিল।

চলবে

বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *