বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 17
আবির তিথি তো প্রচুর লেগে পড়ে,,তাদের ঝগড়া এতো পরিমাণ বেরে যায় যে বলার বাহিরে,,আবির তিথি এতো ঝগড়া করছে যে ডাকাত দলের সবাই বিরক্তি হয়ে যাচ্ছে,, কানে ও হাত দিয়ে রাখছে কিন্তু তিথি আর আবির চিৎকার করে করে ঝগড়া করছে যে ডাকাত দল গুলোর বেহাল অবস্থা 😂
সরদারঃ কেউ এউ দুইটা রে চুপ করা না হলে আমি তোদের এখন গুলি করবো,,,,
তিথিঃ আরে কালাইয়া এরা পুরো বেকার তাড়াতাড়ি ওদের গুলি করে উড়াই দে,,,একটা ও কাজের না দেখো না মটকা ভাইয়া ওরা শুধু খেয়ে খেয়ে পেট একটা পুরো ফুলবল এর গুদাম বানাই রাখছে,,,,খালি গপগপ খায় একটা ও কাজের না মটু ভাইয়া
সরদারঃ চুপ (ধমক দিয়ে)
তিথিঃ আরে মটু ভাই আমি তো শুধু,,,,,,
সরদারঃ চুপ একদম চুপ বেয়াদব মেয়ে একটা,,,
তিথিঃ আরে আমি তো,,,,
সরদারঃ অই তোর কানে কথা যায় না,,,এতো বকবক কেন করিস,,, আর একটা কথা বললে চড় মেরে দাঁত সব ফেলে দিবো,,,
তিথিঃ কেন মটু ভাই তোমায় কি কেউ চড় মেরে দাঁত ফেলে দিচ্ছে,,,আমার তো আগে সন্দেহ হয়েছে তোতলাইয়া কেন তুমি
সরদারঃ চুপপপপপ
তিথিঃ উফফফফ কালাইয়া আস্তে চিল্লা মোটকাইয়া কান কি নিবি আমার হুম,,আর কি গন্ধ তোর মুখে ছি ব্রাশ ও কি করিস না উয়াক কি কি গন্ধ
আবিরঃ (এই মেয়ে একদিন সত্যি মারিয়ে ছাড়বে উফফ)
সরদারঃ কিইইইই এক চড় মারমু এখন নিজের নাম টা ও ভুলে যাবি,,,
আবিরঃ প্লিজ কালাইয়া ভাই ওরে এক চড় মেরে সব ভুলিয়ে দেন বেশি বকবক করে
তিথি মুখে হাত দিয়ে সিটি বাজিয়ে বলে
তিথিঃ আরে বাহা মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা তুই তো দেখি আমার ভাষা ও শিখে গেছিস বাহা বাহা কি বাদ হে
আবিরঃ ওহ আল্লাহ এই এলিয়েন এর মতো আমি ও কথা বলি(অনেক টা বিরক্তি ভাব নিয়ে)
ডাকাত দলের তো পুরো মাথা খারাপ হয়ে গেছে তিথি আর আবিরের কান্ড দেখে,,তার মধ্যে তিথির এমন এমন কথা যা ডাকাত দলদের মাথা পুরো শেষ,,,
সরদারঃ হারামজাদা এই মেয়েকে কত থেকে তুলে আনছি (একজনকে লাথি মেরে)
তিথিঃ কালা মুটু আমার পক্ষে থেকে ও কয়েটা লাথি মারেো তো অযথা আমায় তুলে আনছে,,,
আবিরঃ তিথি চুপ থাকতে কি তোমার খুব কষ্ট হয়?
তিথিঃ আরে বাহা বজ্জাত এনাকন্ডা অনেক দিন পর একটা সঠিক কথা বললি
আবিরঃ মানে?
তিথিঃ আমি চুপ থাকলে না আমার মুখে যে পোকা গুলো আছে না অই গুলো কিলবিল করে
আবিরঃ ইয়াক থুউউউউউ(বমি করার অবস্থা)
সরদার ওই সময় একটা কেক হাতে নিয়ে খাচ্ছে তিথির কথা শুনে বমি করে দেয়,,,আবির তো এই দিকে বেহাল অবস্থা তিথির এমন কথা শুনে,,,সরদার কিছু ক্ষন পর একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে তখন তিথি সরদার কে বলে
তিথিঃ ওই মটকা আমার ক্ষেধে পাইছে একটা ভালো রেস্টুরেন্ট থেকে কিছু খাবার অর্ডার কর,,,
সরদারঃ এই মেয়ে তুমি যে পাগল তা তুমি জানো,,,(প্রচুর রেগে গিয়ে) তোমায় আমরা তুলে আনছি এক ফোটা ভয় নাই তোমার মনে
তিথিঃ দেখ কালাইয়া বড় বড় মানুষ বলছে ভয় পেতে নাই কোনো কিছুতে,,আর হ্যাঁ ভয় কে জয় করে নতুন নতুন খাবার খাওয়াকে বলে তিথি😂(হাহা করে হেসে দেয়)
আবিরঃ (ইয়ায়ায়া এই সব এই মেয়ে থেকে আশা করা যায় আসলে যে এই মেয়ে পুরো এলিয়েন এতে আর কোনো সন্দেহ থাকার কথা না,,,,এই কোন পাগলের পাল্লায় পড়লাম আমি,,,প্লিজ আল্লাহ হেল্প করুন প্রথমে তো এই মিস বকবক এর বকবকানি থেকে প্লিজ)
সরদার তিথিকে কত ধমক দিচ্ছে কিন্তু তিথি উল্টো ধমক দিতে থাকে,,,তখন সরদার প্রচুর রেগে বলে
সরদারঃ এই মেয়ে তুমি কি খাও যে এতো বকবক করো
আবিরঃ সরদারজি প্লিজ ওকে এই সব জিজ্ঞেস করবেন না,,,না হলে এখন আপনি আর থাকবেন না এই খানে সোজা উপরে চলে যাবেন,,,,
তিথি রেগে আবিরের দিকে তাকায় আবার সরদার এর দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ কালা মুটু তোকে আমি কি কি না বলছি আর তুই কি না আমাকে এতো ভালো কথা জিজ্ঞেস করছিস,,,আয় মুটু আবার কাছে আয়
আবিরঃ কিইই তুমি এখন এই বুটকাকে জড়িয়ে ধরবে
তিথিঃ ঘুরাই এক চড় দিমু বজ্জাত এনাকন্ডা,,, আমার কি পাগল কুত্তা কামড় দিচ্ছে যে এই মোটকা কালা বাইট্টা টাকলা তোতলাইয়ারে জড়াই ধরতাম,,হেরে ধরার আগে আমি কচু গাছে দড়ি লাগামু তারপর ঝুলে পড়মু হু
সরদার তো এই বার প্রচুর ক্ষেপে যায়,,,অপমান তো তাকে এই বার আবিরও করছে,,কিন্তু তিথি যে হারে অপমান করছে তার কোনো সীমা নাই,,,,বেচারার ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে দেয় তিথি,,,সরদার রেগে এসে কয়েকটা লাঠি নিয়ে আসে,,,এই বার তিথি কিছু টা ভয় পায়,,,মনে করে এই লাঠি দিয়ে তারে পিঠাবে আর কিছু না ভেবে বলে
তিথিঃ মুটু তেঁতুল খাস???
সরদারঃ হুম কেন?
তিথিঃ তেঁতুল দিয়ে ব্যাঙের সুফ রান্না করে খাও তাহলে লম্বা হয়ে যাবে,,,,,আর তেলাপোকা দিয়ে ইঁদুরের মাংস ফুলকপি দিয়ে রান্না করে খাও তাহলে সুন্দর হয়ে যাবে,,,আর টিকটিকির ভর্তা দিয়ে ঘোড়ার ডিম দিয়ে নুডুলস এর পায়েস খাও তাহলে সুন্দর করে কথা বলতে পারবে,,
আবির আর নাই বমি বমি অবস্থা বেচারার৷ এই দিকে সরদার বেহুশ তিথির কথা শুনে,,,,আর আশে পাশে ডাকাত এর দল গুলো ও,,,,তিথি সবার দিকে শুধু তাকিয়ে আছে সবাই এই ভাবে নিচে পড়ে আছে দেখে,,,
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা সবাই এই ভাবে নিচে পড়ে আচগে কেন?(সবার দিকে তাকিয়ে)
আবির তো বমি বমি করা অবস্থা,,,
তিথিঃ আপনি কি,,,,,,,,,?এতো বমি করছেন কেন
আবিরঃ চুপ একদম এক থাপ্পড় লাগাবো এখন,,, এতো বাজে কুথা কেমনে জানো হুম,,,
আবির তিথি তো ঝগড়া তে লেগে পরে,,আবির কিছু টা হাতের দড়ি খুলে নেয়,,,আস্তে আস্তে নিজের দড়ি টা খুলে নেয়,,,,খুলে তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ এক কাজ করি আমি চলে যাই তুমি থাকো ডাকাতদের মধ্যে কেমন
তিথিঃ ওই বজ্জাত এমন করতে পারবেন,,প্লিজ আমায়ও নিয়ে যান প্লিজ
আবিরঃ নিতে পারি একটা শর্তে
তিথিঃ ওকে আমি রাজি
আবিরঃ চুপ থাকতে হবে,,,একটা কথা ও বলতে পারবে না,,,রাজি
তিথিঃ বজ্জাত আমি চুপ থাকলে মনে হয় ধম বন্ধ হয়ে আসে,,প্লিজ অন্য কিছু বল প্লিজ
আবিরঃ ওকে তাহলে তোমার ফালতু বকবক গুলো বন্ধ রাখতে হবে,,ওকে
তিথিঃ ওকে ওকে
আবির তিথির হাতের দড়ি টা খুলে দেয়,,,দুইজনে যেতে লাগে তখন তিথি বলে
তিথিঃ বজ্জাত একটু দাঁড়া
আবিরঃ কেন ডাকাত এর দল গুলো উলঠে ওদের সাথে সেল্ফি নিবে বুজি,,,
তিথি বিরক্তি ভাব নিয়ে ডাকাতদের পাশে যায়,,,কিছু খাবার রাখা আছে কিছু ফল ও তিথি পাশ থেকে সব নিয়ে নেয়,,,আবির হা করে তাকিয়ে আছে,,,,ডাকাত রা তাদের তুলে আনছে আর তিথি ডাকাতদের খাবার ডাকাতি করছে,, খাবার নিয়ে কয়েকটা সেল্ফি নেয় তাদের সাথে
আবিরঃ ইয়ায়ায়া আল্লাহ (কপালে হাত দিয়ে)
তিথিঃ চল চল বজ্জাত ফালাই
আবিরঃ যে ভাবে বলছো মনে হচ্ছে আমরা পালিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছি (দুষ্টুমি ভাব করে)
তিথিঃ তোকে বিয়ে করতে বয়ে গেছে আমার হু
আবিরঃ ও ম্যাডাম তোমার মত এলিয়েন কে আমি নিজে ও বিয়ে করবো না ওকে,,,পরে দেখা যাবে তোমায় বিয়ে করার পর আমাদের বাচ্চা গুলো ও তোমার মত হবে এলিয়েন টাইপের না বাবা
তিথি রেগে আবিরের দিকে তাকায়,,মনে হচ্ছে এখন আবিরকে গিলে খাবে,,,,আবির খেয়াল করে ডাকাত ফলের মধ্যে একজন কিছু টা নড়ে উঠছে,,,,
আবিরঃ তিথি চলো(তিথির হাত ধরে)
দুইজনে দৌড়াতে থাকে,,,
এই দিকে রিতু আর হাঁটতে পারছে না প্রচুর পা ব্যাথা করছে,, আর শিহাব তো প্রচুর বিরক্তি রিতুর উপর,, তিথি তেমন কথা না বললে ও কিছু টা তো বললে আর এতে শিহাব এর মাথা খারাপ হচ্ছে,, শিহাবের মাথায় শুধু গুরছে আবির আর তিথি কি করছে,,,তাদের মধ্যে কিছু হবে না তো এই ভেবে ভেবে শিহাব এর মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে,,,,
চলবে,,,,,,