বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 16

আবিরের কথায় তিথি অনেক টা লজ্জা পায়,,লজ্জায় মুখ টা আবিরের বুকে লুকিয়ে পেলে,, দুইজনে চুপ,,,কোথায় ও না কোথায় দুইজনের মনের ফিলিংস সেম,,,কেউ কাউকে জানতে দিচ্ছে না তাদের ফিলিংস সেম একে অপরের জন্য,৷ দুইজনের মন একটা জিনিস চায় কিন্তু কেউ কাউকে বুজতে দিচ্ছে না,,
কিছু ক্ষন হাঁটার পর আবির হাঁপিয়ে গেছে,,এতো ক্ষন একটা মানুষ কে কোলে নিয়ে হাঁটা কি সম্ভব,,,তার মধ্যে কিছু খায় ও নাই,,,যত দূর যাচ্ছে জঙ্গল টা তোত গভীর হচ্ছে,,,ভয়ে তো আবিরের অবস্থা খারাপ কোনো বিপদ তো হবে না এই ভেবে,,,,
কিছু ক্ষন পর আবির একটা খালি জায়গা দেখে ওই খানে তার মনে হচ্ছে কিছু ফল আছে,,তিথিকে একটা গাছের নিচে বসিয়ে বলে
আবিরঃ চুপচাপ এই খানে বসে থাকো আমি দেখি কিছু খাবার পাই কি না,
তিথিঃ ওহ তাই তাহলে শুনেন ভালো রেস্টুরেন্ট থেকে ডাল রুটি আর পানি ও নিয়ে আসবেন…
আবিরঃ রেলি???তোমার মাথায় কি আসলে বুদ্ধি আছে তো???
তিথিঃ কেন থাকবে না আমার বুদ্ধি এতো যে পাশের বাসার আন্টিরা তাদের মেয়েদের বলে আমার থেকে কিছু বুদ্ধি ধার নিয়ে যেতে পরে আবার ফিরিয়ে দিয়ে যেতে,,,
আবির তিথির দিকে বেক্কল এর মতো তাকিয়ে আছে,,,আবির নিজের কপালে হাত রেখে নিজে নিজে বলে
আনিরঃ আমি কার সাথে কথা বলছি উফফ,,একদম ভুলে গেছি এই মেয়ে যে আস্তা একটা এলিয়েন,,,,কিছু বলতে পারি না উল্টো জবাব রেডি সব সময় উফফফ
আবির আর কিছু না বলে হাঁটা শুরু করে কোথায় ও কিছু পাচ্ছে না,,একটা খালি মাঠ দেখে মনে হচ্ছে সেখানে কেউ তরমুজ চাষ করেছে,,আবির কিছু টা খুশি হপ্যে তরমুজ একটা নেয়,,বেঁচে নেয় ফাকা থেকে,,অনেক টা খুশি হয়ে তিথির কাছে যায়,,তিথি মনে সুখে আকাশের দিকে তাকিয়ে গান করে
তিথিঃ 🎼আজ আকাশ কত সুন্দর,,বাতাস কত সুন্দর,,, কত সুন্দর জঙ্গল আহা কি না সুন্দর 🎼
আবিরঃ ও আল্লাহ এই মেয়ে এতো বাজে গান গায় উফফফ,,আর কি গান গাচ্ছে জীবনে এই রকম গান তো শুনি না,,
আবির তিথির কাছে গিয়ে বলে

আবিরঃ বাহা মিস বকবক গান তো অনেক সুন্দর আচ্ছা এই গান কত থেকে শুনেছো?
তিথিঃ আরে বজ্জাত এনাকন্ডা এই গান আমি বানিয়েছি এখন,, দেখলেন আমার কত গুণ(নিজের চুল গুলো একটা নাড়িয়ে) আসলে কি জানেন আমার না অনেক গুণ কিন্তু আমি কাউকে বলি না হু,,
আবিরঃ হ্যাঁ তা ঠিক তোমার এতো গুণ যে বলার বাহিরে,,মাঝে মাঝে ভাবি তোমায় চিড়িয়াখানাতে রাখলে হয়তো প্রচুর টাকা পাওয়া যাবে
তিথিঃ কিইইইই?
আবিরঃ না মানে তুমি তো এলিয়েন আর এলিয়েন দেখার জন্য কত মানুষ আসবে টিকিট কাটবে,,তাই আর কি
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা তোকে আমি ব্যাঙের সুপ বানিয়ে বাঘের কাবাব বানিয়ে খাবো,,
আবিরঃ বাঘ ধরতে পারবে তো?? না মানে কাল বাঘ দেখে যা কতলে তার পর কি পারবে বাঘ ধরে বাঘের কাবাব বানাতে হুম
তিথি কিছু টা বিরক্তি নিয়ে অন্য দিকে ফিরে যায় তার খুব রাগ লাগছে,,আবির টা ও না আজকাল তিথিকে শুধু উল্টো জবাব দিয়ে রাগিয়ে দেয়,,,আবির তিতবির দিকে তরমুজ এগিয়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ সকালের নাস্তা আমাদের
তিথিঃ কত থেকে পেলেন?
আবিরঃ কেন ওই দিকে ছিলো ওই খান থেকে আনছি
তিথিঃ আপনি তরমুজ চুরি করে এনেছেন ইয়ায়া আল্লাহ আপনি আমাকে চুরি করা তরমুজ খাওয়াছেন???
আবিরঃ আসলে পাগল যে এতে সন্দেহ নাই ডাপ্পার একটা
তিথিঃ কিইইই
আবিরঃ কিছু না তুমি কি খাবে নাকি না,,না খেলে চুপ করে থাকো কিন্তু আমায় খেতে দাও খুব ক্ষেধে পেয়েছে
আবির তরমুজ টা হাতে বারি দিয়ে দুই ভাগ করে,, তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে আবির করছে টা কি,,,আবির দুই ভাগ করে এক ভাগ তিথিকে দেয় আর এক ভগ নিজে খেতে থাকে,,,
তিথিঃ সুন্দর করে পিছ পিছ তো করেন নাই তাহলে খাবো কি ভাবে,,,ছুড়ি দিয়ে কাটতে হয় ওই আক্কেল নাই আপনার বজ্জাত এনাকন্ডা
আবিরঃ জ্বি ম্যাডাম আমার তো এতো বুদ্ধি নাই আপনার মতো,, এক কাজ করেন আপনি ছুড়ি নিয়ে আসেন আর সুন্দর করে পিছ পিছ করে খেয়ে নেন,,,কিন্তু প্লিজ আমায় খেতে দেন না হলে আমি আপনাকে কাঁচা গিলে খাবো
তিথিঃ ছি ছি শেষ মেষ মানুষ খাবেন ইয়াক
আবিরঃ তিথি একদম চুপ আর একটা শব্দ মুখ থেকে বের করবে তো খবর আছে,,,চুপচাপ খেয়ে নাও
আবির প্রচুর রেগে যায় তিথি টা ও না বড্ড বেশি বকবক করে আর এতো করে যে আবির বেচারা পাগল হয়ে যাচ্ছে,,,,, আবির তিথির বকবক থেকে বাঁচার জন্য এক পাশে চলে যায় আর খেতে থাকে,,,,
কিছু ক্ষন পর আবির খাওয়া শেষ করে নিজে নিজে বলে
আবিরঃ ভালো করছি এই খানে এসে খাচ্ছি না হলে ওই মিস বকবক এর বকবকানি শুনে খাওয়া টা ও আজ হতো না উফফ এতো ফালতু কথা কেমনে জানে,,,কি যে খাইছে ছোট বেলায় কে জানে,,,
আবির তিথিকে যে জায়গায় রেখে গেছে এসে সেখানে পায় না তিথিকে,, চারপাশে পাগলের মত খুজছে থাকে তিথি গেছে কই এই ভেবে,,,
আবিরঃ গেছে কই এই মেয়ে সে তো হাঁটতে ও পারে না,,,এই পায়ে কই গেছে
আবির চারপাশে খুজে কিন্তু কোথায় ও পায় না,,যে গাছের নিচে রেখে গেছে সেখানে তিথির হাতের একটা চুড়ি পড়ে আছে,,চুড়ি টা হাতে নিয়ে দেখে তিথির,,তার কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে তিথির কিছু হয়েছে,,,,নিজের উপর তার রাগ উঠছে কেন সে তিথিকে একা রেখে গেছে,,,
আবিরঃ ওহ শিট কেন আমি ওকে একা রেখে গেছি,,,উফফফ যদি এখন ওর কিছু হয় তাহলে,,,
আবির পুরো পাগলের মত খুজতে থাকে,,,পুরো জঙ্গল তা এতো গভীর যে সব রাস্তা এক মনে হচ্ছে,,, কোন দিকে যাবে তার মাথা কাজ করছে না,,,ভয়ে তার আত্মা যেন তার সাথে নাই এই ভেবে যে তিথির কিছু হয় নাই তো,,,,,আবির একটা নিচে হুট করে খেয়াল করে তিথির কানের দুল,,,তার মানে আবির এই বার সিউর হয়েছে যে তিথির বিপদ হয়েছে আর তিথি হয়তো ইচ্ছে করে এই জিনিস গুলো নিচে ফেলেছে যাতে আবির তাকে খুজে পায়,,,,,আবির নিচে তাকিয়ে তাকিয়ে হাঁটছে,,,কিছু ক্ষন পর তিথির আর একটা কানের দুল পায়,,,,এই ভাবে তিথির কিছু জিনিস পেতে পেতে একটা জায়গায় পৌঁছে যায়,,,
দেখে মনে হচ্ছে এখানে কেউ থাকে,,,চারপাশে কিছু কাপড় দিয়ে ঘর তৈরি করা,,মাঝ খানে কিছু আগুন জ্বালানো কাঠ,,,আবির চারপাশে তাকিয়ে দেখে কিছু ছেলে এক পাশে পানি জাতীয় কি যেন খাচ্ছে তার আর বুজতে বাকি রইলো না যে তারা মদ খাচ্ছে,, কিছু অস্ত্র ও আছে,,,আবির এর আর বুজতে বাকি নাই যে তারা ডাকাত,, আর এরা হয়তো তিথিকে একা পেয়ে তুলে আনে,,,, অই দিকে তিথির চিৎকার শুনে তখন তাকিয়ে দেখে তিথিকে একটা গাছের সাথে বেঁধে রাখে আর আমাদের তিথি তো এই খানে ও ছবির ডাইলোগ
তিথিঃ কুত্তে কামিনে তোদের আমি ইঁদুরের শিক কাবাব এর মত ভুনা করে গিলে খাবো,,তাড়াতাড়ি ছেড়ে দে তা হলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না হু
ডাকাত এর মধ্যে একজনঃ উফফফ এই নেয়েকে যখন থেকে এনেছি তখন থেকে বকবক করেই যাচ্ছে,, চুপ হওয়ার নাম ও নিচ্ছে না,,,কখন যে সরদার আসবে আর এই মেয়ের কিছু একটা করবে,,,
আবিরঃ যা বাবা এই মিস বকবক তো আজ ডাকাত এর হাতে পড়ছে,,আর কি সব বলছে উফফ এই মেয়ে কি একটু চুপ থাকতে পারে না,,ভয় জিনিসটা কি নাই ওই মেয়ের মবে,,আল্লাহ প্লিজ হেল্প মি কি করবো আমি
আবির চিন্তায় পরে যায়,, সে একা হলে হয়তো মার ধর করে সেরে যেতো কিন্তু একটা মেয়েকে ওরা ধরে রেখেছে,,হিরো সাজতে গিয়ে যদি বিপদ হয় তখন কি করবে তাই ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে,,

কিছু ক্ষন পর ডাকাত দলের সরদার আসে,,এসে বলে
সরদারঃ বাহা হেবি সুন্দর মাল তো ধরে এনেছিস তোরআ সাব্বাস আজ আমার দিন বানিয়ে দিলি,,,
ডাকাত দলের একজনঃ সরদার এই মেয়ে দেখে যেমন তার মুখ তার চেয়ে বেশি ধারালো,, কখন থেকে বকবক করেই যাচ্ছে থামার নাম নিচ্ছে না,,,
সরদারঃ চুপ কি ভাবে করাইতে হয় তা আমার জানা আছে,,
সরদার তিথির সামনে যায় তিথি সরদার কে দেখে ফিক করে হেসে দেয়,,,,
কারণ সরদার যে সে একটু শর্ট,,কালো একটু মোটা,,ব্যস আর কি
তিথিঃ ইয়ায়ায়া খোদা এই বাইটিয়া কালাইয়া মোটাইয়া নাকি সরদার উফফফ কি না বিনোদন আজ পাইলাম😂😂
তিথি কথা শুনে সরদার প্রচুর রেগে যায়,,আর আবিরের ও হাসি পায়, আড়াল থেকে সে সব দেখছে,,তিথির এই প্রথম কথায় আবির হাসছে,,,
সরদারঃ কি বললি তুই আ,,,,,মি,,, কা,,,,লাইয়া,,,বা,,বা,,,বাইটিয়া,,মোটাইয়া,,😠
তিথিঃ এই যা এখন তো দেখি তোতলাইয়া😂ওই ডাকাত এর বাচ্চা দল তোরা এই তো,,,,,তোতলাইয়া রে সরদার কেমনে মানিস
সবাই কিছু টা রেগে যায়,,,,সরদার তো তেলে ভাজা বেগুন এর মতো গরম,,, আর তিথি তো হাসতে হাসতে শেষ,,, সরদার প্রচুর ক্ষেপে তিথিকে দেয় এক চড়
সরদারাঃ ঠাসসস চুপ একদম অনেক হা,,সি পাচ্ছে তাই মা,,দাঁড়া এ,,এখন বু,,,জাচ্ছি তোর হা,,সি
আবির প্রচুর রেগে যায় তিথিকে থাপ্পড় মারায়,,রাগে চিল্লায় উঠে
আবিরঃ ওই তোর সাহস হয় কি করে ওকে থাপ্পড় মারার,,আজকে তো তোকে আমি
আবির গিয়ে সরদার কে কয়েকটা লাগিয়ে দেয়,,রাগে তার মাথা পুরো খারাপ,,, ডাকাত দলের সবাই এসে আবিরকে ঘিরে ধরে,, আবিরকে সরিয়ে নেয়,,সরদার রেগে আবিরকে কয়েকটা থাপ্পড় মেরে তিথির দিকে তাকিয়ে বলে

সরদারঃ তোর আশিক তাই না,,দাঁড়া আজ দুইজন কে আমি শেষ করে দিবো,,,
আবির কে আর তিথিকে এক গাছে বেঁধে দেয়,,,আবির কিছু টা রেগে আছে এখনও,,, তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে জোরে চিৎকার করে বলে
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা তুই আমাকে বাঁচাতে এসেছিস নাকি মারতে,,
আবিরঃ ওহ সরি আমার তো ভুল হয়ে গেছে ডাকাত দল আরো কয়েকটা থাপ্পড় মারতো তাহলে হয়তো কিছু টা আক্কেল আসবে
তিথিঃ আমার যথেষ্ট আক্কেল আছে তোর নাই,,থাকলে বাঁচাতে এসে মারতি না বজ্জাত এনাকন্ডা কি বাচ্চি
আবির তিথি তো প্রচুর লেগে পড়ে,,তাদের ঝগড়া এতো পরিমাণ বেরে যায় যে বলার বাহিরে,,আবির তিথি এতো ঝগড়া করছে যে ডাকাত দলের সবাই বিরক্তি হয়ে যাচ্ছে,, কানে ও হাত দিয়ে রাখছে কিন্তু তিথি আর আবির চিৎকার করে করে ঝগড়া করছে যে ডাকাত দল গুলোর বেহাল অবস্থা 😂
চলবে,,,,,,