বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 18
এই দিকে রিতু আর হাঁটতে পারছে না প্রচুর পা ব্যাথা করছে,, আর শিহাব তো প্রচুর বিরক্তি রিতুর উপর,, তিথি তেমন কথা না বললে ও কিছু টা তো বললে আর এতে শিহাব এর মাথা খারাপ হচ্ছে,, শিহাবের মাথায় শুধু গুরছে আবির আর তিথি কি করছে,,,তাদের মধ্যে কিছু হবে না তো এই ভেবে ভেবে শিহাব এর মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে,,,,
এই দিকে তিথি একটা আপেল খাচ্ছে আর হেসে হেসে বলছে
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা ডাকাত এর খাবার ডাকাতি করে খাওয়ার মজা আলাদা জানিস
আবিরঃ ইয়ায়া তুমি তো বড় ডাকাতনী,,,,(ডাকাত পর্যন্ত ভয় পায় না কেমন মেয়েরে বাবা)
তিথিঃ কি বললি তুই আমায়??
আবিরঃ কানে হয়তো একটু কম শুনো তাই মাথায় ডুকে নাই কি বলছি,,যাই হোক চুপচাপ হাটো না হলে ফেলে চলে যাবো
তিথিঃ (ইচ্ছে তো করছে আপেল এর জায়গায় এই বজ্জাত কে কাঁচা গিলে খাই হু)
আবিরঃ আমাকে খাওয়া অফ হলে এই বার কি হাঁটবেন ম্যাম
তিথিঃ এই যা তুই কি ভাবে জানলি যে আমি এই টায় ভাবছি
আবিরঃ তুমি যে এলিয়েন তা আমি জানি তো,, আর কি কি ভাবতে পারো তাও জানি,,,
তিথি মুখ বাঁকা করে আপেল খাচ্ছে আর গান গাচ্ছে
তিথিঃ 🎼আহা কি না মজা ডাকাত এর আপেল লা লা লা কি মজা ডাকাত এর আপেল আহা আহা আহা কি না মজা ডাকাত এর আপেল,,লু লি লু🎼
আবিরঃ (ইয়ায়া আল্লাহ প্লিজ আমায় বাঁচাও,,,কেন আমি চিট না চেঞ্চ করলাম কেন কেন কেন)
আবিরের এখন নিজের উপর প্রচুর জিদ উঠছে কেন সে তিথির সাথে আস্তে চিট টা চেঞ্চ করেছে,,ভালোবাসা অন্ধ তা আজ আবির টের পাচ্ছে,,আসলে তো ভালোবাসা অন্ধ😂এতো যে একটা এলিয়েন এর সাথে জঙ্গলে থাকার জন্য চিট চেঞ্চ ও করে হা হা হা
তিথির সে ফালতু গান আবির আর নিতে পারছে না,,,
আবিরঃ চুপপপপপ তিথিইইইই আর একবার যদি এই ফালতু গান বা একটা ফালতু কথা বলো তাহলে এই খানে জেন্ত কবর দিবো বলে দিলাম
তিথি আবিরের এতো জোরে ধমক শুনে কেঁদে দেয়,,
তিথিঃ আম্মুউউউউউউউউউউ এই বজ্জাত আমায় খালি ধমক দেয় এএএএএএএএএএ 😭😭
আবিরঃ চুপ একদম (প্রচুর জোরে) ন্যাকা কান্না করবে তো থাপ্পড় লাগাবো বেয়াদব একটা,,,সব সময় ফালতু কথা বার্তা,
তিথি ভয়ে চুপ হয়ে যায়,,,,কিছু ক্ষন পর আবির খেয়াল করে ডাকাত দলের মধ্যে একজনকে তাদের খুঁজছে হয়তো,,,,আবির তিথির হাত ধরে দৌড়াতে থাকে,,আবির নিজেকে নিয়ে ওতো ভয় পাচ্ছে না যতটা না সে তিথিকে নিয়ে পাচ্ছে,,কারণ একটা মেয়ে আর সরদার এর নজর ও তার উপর তাই,,,,তিথির গালে আপেল এমন মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে ও আপেল খাচ্ছে,,, 😂,,,,,
আবির আর তিথি একটা বড় গাছের নিচে লুকায়,, তিথি যে তিড়িংবিড়িং করছে আবিরের যে এতো মেজাজ খারাপ হয়ছে বলার বাহিরে,,,আবির খেয়াল করছে ডাকাত এর একজন তাদের দিকেই আসছে তাই তিথিকে জোরে টান দেয়,,,তিথি তো পুরো বেক্কল হয় যায় আবির তাকে এই ভাবে টান দেওয়ায়,,,তিথি এসে আবিরের বুকে পরে,,,আবির তিথিকে আকড়ে ধরে থাকে,,,,,
তিথির মনে তো লাডু ফুটে😂,,,তিথির হার্ট বিট যেন বেড়ে যায়,,,আবিরের নিশ্বাস এসে তিথির ঘাড়ে পড়ছে,,,,,আবির উঁকি দিয়ে দেখছে তারা কি তাদের দিকে আসছে নাকি,,,আবিরের নিশ্বাস যেন বারি হয়ে আসছে ভয়ে,,আর তিথি তো মনে আনন্দে আবিরের হার্ট বিট এতো জোরে ধকধক করছে যে তা শুনছে,,,
ডাকাত দলের একজনঃ অই বকবক করা মেয়েটা আর ওই বদমাশ ছেলেটা কে তো পাচ্ছি না,,ওদের যদি ধরে নিয়ে যেতে না পারি তাহলে আজকে সরদার আমাদের মেরে ফেলবে,,
আর একজনঃ কি মেয়েরা বাবা সরদার কে কি না কি বলছে আবার আমাদের সব খাবার ও চুরি করে ফেলছে,,ওদের আমরা ধরে আনছে আর উল্টো আমাদের উপর ডাকাতি করে গেছে
প্রথম জনঃ মেয়েটা আসলে পাগল আমার মনে হয়,,আর অই ছেলের ও ওই মেয়ের সাথে থেকে থেকে পাগল হয়ে গেছে,,,
আবির আর তিথি সব কথা শুনছে,,তিথি প্রচুর রেগে যায়,,,রেগে গিয়ে কিছু বলতে যাবে আবির তিথির মুখ চেপে ধরে,,,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,, আবির যে চুপ করতে বলছে সে দিকে খেয়াল পর্যন্ত নাই তার,,,,আবিরের হাতে অনেক জোরে কামড় বসিয়ে দেয়,,,এতো জোরে যে বলার বাহিরে,,,,আবিরের তো ব্যাথায় অবস্থা খারাপ,,,কিন্তু তিথিকে কিছু বলতে ও পারছে না কারণ পাশে ডাকাত দলের লোক গুলো,,,,অনেক ক্ষন পর ডাকাত দলের লোক গুলো চলে যায়,,আবির তিথিকে হালকা ধাক্কা দেয় ব্যাথায়,,,তিথি গিয়ে পাশে পড়ে যায়,,,
আবিরঃ তুমি কি মানুষ নাকি রাক্ষস(হাত ঝাকুনি দিতে দিতে,,,,)
আবির তার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে হাতে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে মনে হচ্ছে এখন রক্ত টা বের হয়ে যাবে,,,,,প্রচুর মেজাজ খারাপ হয়ে যায় তার,,,খুব ইচ্ছে করছে তিথিকে কষে থাপ্পড় দিতে,,,কিন্তু তিথি পাশে যে পড়েছে কোনো আওয়াজ শব্দ পর্যন্ত নাই,,আবির তিথির পাশে গিয়ে বলে
আবিরঃ অই মিস বকবক এই ভাবে পড়ে আছো কেন,,যাও কিছু বলবো না উঠো,,,,
তিথি উঠছে না আর না কিছু বলছে এমনি হলে তো বকবক করে আবিরের মাথা খেয়ে পেলতো আবরের কেমন জাই লাগছে তাড়াতাড়ি তিথিকে তুলে দেখে মাথা থেকে রক্ত পড়ছে আর চোখ বন্ধ,,,মাথায় আঘাত খাওয়ায় বেহুশ হয়ে গেছে,,,আবিরের তো ভয়ে আত্মা শুকিয়ে যায়,,,,তিথি তখন ধাক্কা মারায় হয়তো সে এসে পাথর এর সাথে বারি খেয়ে বেহুশ হয়ে যায়,,
আবিরাঃ এই টা আমি কি করলাম উফফফ,এখন কি হবে তিথি এই তিথি
আবির তিথিকে অনেক ডাকছে কোনো সারা শব্দ পর্যন্ত নাই,,,,আবির কিছু না ভেবে তিথিকে কোলে নিয়ে হাঁটে,,সাহায্য এর জন্য কাউকে পাচ্ছে না,,অনেক দূরে একটা ছেলে গাছ কাটছে,,আবির ওই ছেলের সামনে যায় দেখে বুজা যাচ্ছে চাকমা,,আদিবাসী তারা,
আবিরঃ আমরা খুব বিপদে পড়েছি প্লিজ সাহায্য করবে
ছেলেটিঃ আরে ভাইয়া আপুটির কি হয়ছে
আবিরঃ তুমি বাংলা কথা বুজো?
ছেলেটিঃ জ্বি বুজি,,,
আবিরঃ আমাদেরকে ডাকাত পেয়েছে আর পালিয়ে আসার সময় ওর মাথায় একটু লাগে ওর মাথায় কিছু টা কেটে যাওয়ায় ঞ্জান হারিয়ে ফেলে,
ছেলেটিঃ আপনি এক কাজ করেন ভাইয়া আমার বাসা অই পাহাড়ের উপর আমার সাথে চলেন,,
আবির অই ছেলেটির পিছনে পিছনে পাহাড়ের উপর যেতে থাকে তিথিকে কোলে নিয়ে,
আবিরঃ কিছু হবে না তোমার,,,কিছু হতে দিবো না আমি তোমায়,,,
একটু হাঁটার পর তারা পাহাড়ের উপর আসে,,,ছেলেটি তার মাকে চিৎকার করে ডাকে,, তার মা একটা টিনের ঘর থেকে বের হয়ে আসে,,,দেখতে খুবই ফর্সা,,,ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পিছিয়ে পড়েছে,,চুল গুলো খোপা করা আর চুলে কেমন ধরনের যেন ফুল লাগান,,দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে,,,,মহিলাটি বের হয়ে তার ছেলের সাথে একটা ছেলে ও মেয়েকে দেখে বলে
মহিলাঃ হরিয়া এরা কেরা রে
হরিয়া(ছেলেটির নাম)ঃ মা এই ভাইয়া আর তার বউরর ডাকাতে পাইছিলো,,আর এনার বউডা ঞ্জান হারিয়ে ফেলছে,,
মহিলাটি তাড়াতাড়ি তাদের ভিতরে নিয়ে যায়,,একটা ঘাটে তিথিকে শুয়ে দেয়,,,পাহাড়ি কিছু লতাপাতা দিয়ে তিথিকে তারা চিকিৎসা করে,,,,,কিন্তু গায়ের কাপড় গুলো প্রচুর নোংরা হয়ে গেছে,,,আবিরের ও সেম
মহিলাঃ আপনারা কি কাপড় চুপড় এনেছেন??
আবিরঃ আসলে ডাকাত এর ওই খানে সব ফেলে আসছি,,,আচ্ছা এই খানে কি কোনো কাপড়ের দোকান আছে,,,
মহিলাঃ আরে ভাই লাগবে না,,হতিয়ার বাবার কাপড় আপনে পড়তে পারেন আর আপনার বউ আমার গুলো পড়তে পারবে,,,
আবির আর কিছু বলে নাই,,,কিছু ক্ষন পর তিথির ঞ্জান ফিরে,,,কিছু টা দুর্বল ছিলো কিন্তু আগে থেকে অনেক টা কম,, পাহাড়ি লতাপাতা ওষ্যের চেয়ে ও বেশি কাজ করে,,,
আবিরঃ আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে তুমি ঠিক আছো(তিথির গালে হাত দিয়ে)
তিথিঃ একদম আমার গায়ে হাত দিবি না বজ্জাত এনাকন্ডা,, না হলে এই খানে কুচি কুচি করবো হু,,আমায় ধাক্কা দিয়ে এখন নাটক করছিস হুম
মহিলাঃ ছি ছি মেয়ে এই ভাবে কথা বলতে নাই নিজের স্বামীর সাথে
তিথিঃ স্বামী?কার স্বামী?কিসের স্বামী??কত থেকে আসছে স্বামী??(তিথি পুরো বেক্কল হয়ে যায় মহিলাটি কথা শুনে)
আবির উঠে মহিলাটির কাছে এসে আস্তে করে বলে
আবিরঃ আসলে আপু মাথায় আঘাত খেয়েছে তো তাই আবুল তাবুল বকছে,,আসলে আগে থেকে একটু মাথায় সমস্যা ছিলো তাই আর কি,,,
মহিলাঃ অহ আচ্ছা বুজছি,,,
তিথি কিছু বলছে না আবির আর মহিলা টা কি বলছে,,,
মহিলাঃ চলো তুমি কাপড় পালটে নিবে তোমার কাপড় তো নোংরা হয়ে গেছে চলো
তিথি আবিরের দিকে রাগী লুক করে তাকিয়ে মহিলাটির সাথে চলে যায়,,,মহিলাটি নিজের একটা শাড়ি তিথিকে পড়িয়ে দেয়,,চুল গুলো নিজের মত করে খপা,,তিথির খুব লজ্জা করছে ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পড়তে কিন্তু এত সুন্দর করে যে তাকে শাড়ি পড়িয়ে দিয়েছে তা বলার বাহিরে,,,মহিলা টা তিথির চোখে ঘাড়ো কাজল লাগাছে আর বলছে
মহিলাঃ তোমাকে অনেক ভালোবাসে তোমার স্বামী,, যখন তুমি বেহুশ ছিলে তোমায় কোলে করে এই পাহাড়ের উপর নিয়ে আসে,,,তার পায়ে ও প্রচুর লেগেছে কিন্তু সে তোমার জন্য এতো উপরে উঠে,,, তোমার জন্য অনেক চিন্তিত ছিলো সে,,,
মহিলাটি আবিরের ব্যাপারে অনেক কিছু বলছে আর তিথিকে অনেক সুন্দর করে তাদের মত সাজিয়ে দিচ্ছে,,, তিথির তো কথা গুলো শুনে ইচ্ছে করছে আবিরকে গিয়ে জড়িয়ে ধরতে,,
হরিয়া তার বাবার একটা লুঙ্গি আর একটা পতুয়া দেয় সাথে একটা গামছা ও,,,,আবির এই সব পড়ে আসে তাকে পুরো পাহাড়ি ছেলেদের মত লাগছে,,,,
হরিয়াঃ ভাইয়া অই দেহো আপ্পা মনি আহে
আবিরঃ পিছনে তাকিয়ে পুরো হা হয়ে যায়,,,
পাহাড়ি মেয়েদের মত শাড়ি পড়েছে ব্লাউজ ছাড়া,, চুল গুলো খোপা করা,, চুলে একধরণের ফুল ও লাগানো,, চোখে ঘাড়ো কাজল,,তিথি লজ্জায় আবিরের দিকে তাকাচ্ছে না,,,আবির তো আর তার মধ্যে নাই,,,তিথির এমন রুপ দেখে তো আবির আজ সে ভাবে ক্রাশ খায়,,,তার মধ্যে তিথির সে লজ্জা মাখা চেহারা যা দেখে আবির আরো বেশি ক্রাশিত তার তোতাপাখির উপর,,,
চলবে,,,,,,