পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 16

মেরিন : নীড়…
মেরিন কবিরের হাত ছারিয়ে দৌড়ে নীড়ের কাছে গেলো।
মেরিন : এটা কি করলে?
নীড় : যযযে জীবনে তততুমি নেই সে জজজীবন রররাখার ককককোনো মানে নেই।
মেরিন : আমার কথা ভাবলেনা? 😭
নীড় : hhhey… dddon’t cry … এএএটা আআআহমার সসসহ্যসীমার বববাইরে….
মেরিন : তততোমার কিচ্ছু হতে দিবোনা আমি। ছেরে দিবো সব। ভুলে যাবো পরিবার।
নীড় : শশশেষবারের মতে বলোনা ভভভালোবাসি….
ঘটনায় সবাই ব্যাপক আকস্মিত ।
নীলিমা : আর দেরি না করে আমার ছেলেকে হসপিটালে নিয়ে চলো….
.
হসপিটালে…
মেরিন দারিয়ে দারিয়ে কাদছে। কবির গিয়ে মেরিনের কাধে হাত রাখলো। মেরিন ঝারা দিয়ে কবিরের হাত সরিয়ে দিলো।
কবির : মামনি…
মেরিন : একদম মামনি বলে ডাকবেনা আমাকে। কেউ না তুমি আমার। কিসের এতো দুশমনি তোমাদের ? নিজে এতো বড় বিবাদ নিয়ে বসে আছে তখন কেন কারো সাথে ঝগড়া না করার শিক্ষা দিয়েছো? বলো…
কবির : ….
মেরিন : যদি আমার নীড়ের কিছু হয় তাহলে আমি তোমাদের কাউকে ক্ষমা করবোনা। শেষ করে দিবো নিজেকে।
তখন ডক্টর বেরিয়ে এলো।
নিহাল : ডক্টর … আমার ছেলে?
ডক্টর : situation critical …. ভীষন রক্তক্ষরন হয়েছে। রক্ত লাগবে। O+….
মেরিন : ডক্টর আমার রক্ত O+…
ডক্টর : আসুন আমার সাথে।
.
মেরিনের bp as usual low….
১ব্যাগ রক্ত নিতে না নিতেই অনেক weak হয়ে পরলো। ২য় ব্যাগ একটু ভরতে না ভরতেই মেরিনের চোখ নিভু নিভু হয়ে গেলো । তাই ডক্টর রক্ত নেয়া বন্ধ করে দিলো ।
মেরিন : wwwhat hhhappen ddoctor?
ডক্টর : আপনার শরীর থেকে আর রক্ত নিলে আপনি অসু্স্থ হয়ে পরবেন।
মেরিন : আপনিহ নননা বললেন যে নীড়ের মিনিমাম ২বব্যাগ রক্ত লাগবেহ….
ডক্টর : হ্যা লাগবে। কিন্তু ১জন কে বাচাতে গিয়ে অন্যজনকে বিপদে ফেলতে পারবোনা।
মেরিন : ডক্টরহ… আমার কথা চিন্তা কহরেন না। safe নীড়….
ডক্টর : sorry miss…
মেরিন : ভেবে বববলছেন?
ডক্টর : হামম।
ডক্টর বের হতে নিলো। তখন মেরিন সাইডে তাকিয়ে দেখে ১টা ট্রে তে কাচি রাখা । মেরিন দুম করে সেটা হাতে নিলো।
মেরিন : দারান ডক্টর…
ডক্টর দারালো। ঘুরলো । দেখলো মেরিন কাচিটা ওর কব্জিতে ঠেকিয়ে রেখেছে।
ডক্টর : একি আপনি কি করছেন? কেটে যাবে তো?
মেরিন : আপনাকে শেষবারের মতো বলছি রক্ত নিবেন কি নিবেন না? না হলে যা হবে তাতে আপনিই দায়ী থাকবেন।
ডক্টরের হাজারবার বোঝানোতেও মেরিন বুঝলোনা। তাই রাজী হলো।
ডক্টর : ঠিক করলেন না… আপনি নিজেকে বিপদে ফেলে দিলেন।
মেরিন : mind your own business … আর যতোক্ষন এই process টা শেষ না হচ্ছে আপনি এই রুম থেকে বের হবেন না।
ডক্টর : what?
মেরিন : হামম। আপনি বের হলেই কিছু লোককে কথাগুলো বলবেন । ভেতরে পাঠাবেন। যযযেটা আমি চচচাইনা। নীড়ের safe থাকা আমার জন্য সসসবকিছুহ।
ডক্টর : i heard যে patient আপনার জন্য নিজেকে shoot করেছে। আর আপনি তার জন্য এতোবড় risk নিচ্ছেন । hats of you guys…
.
একটুপর …
ডক্টর বের হলো। সবাই তাকে ঘিরে ধরলো।
ডক্টর : নীড় is out of danger …. but…
নিহাল : but ?
ডক্টর : but মেরিন is in danger ….
কবির : মানে?
ডক্টর সব বলল।
কবির : what ?
ডক্টর : yeah… i never believe in love… কিন্তু সত্যি ওদের ভালোবাসা দেখে আমার ভালোবাসায় বিশ্বাস চলে এসেছে। now… pray for her…
excuse me…
সবাই সত্যি ভীষন অবাক হলো ।
কনিকা : নিজের মেয়ের চেয়ে তোমার জেদ এতো বড়?
নীলিমা : জেদের জন্য নিজের ছেলেকে হারাবে?
.
৩দিনপর…
নিহাল-কবির মুখোমুখি বসে আছে।
কবির : মেরিন আমার কলিজার টুকরা। আমি আমার মেয়ের জন্য সব করতে পারি। তোকেও মেনে নিতে পারি…
নিহাল : আমার ছেলে কেবল আমার ছেলে না… আমার বন্ধুও। অনেক কিছু হারিয়েছি…. আমার ছেলেকে হারাতে পারবোনা। আমার ছেলের জন্য তোর সাথেও নতুন সম্পর্ক গরতে আমি প্রস্তুত ।
কবির : কিন্তু তোকে আমি আজীবন ঘৃণা করবো।
নিহাল : আমার থেকে তোর মনে বেশি ঘৃণা না।
কবির : তবে তোর কাছে ১টা অনুরোধ আছে। জানিনা তুই রাখবি কিনা?
নিহাল : আমি জানি তুই কি বলবি? এতে অনুরোধের কিছু নেই। মেরিন তোর মেয়ে হতে পারে। এর মানে এটা না যে আমার কিছু না। আমারও মেয়ে। আর ও চৌধুরী বাড়ির বউ না মেয়ে হয়েই থাকবে । আমি তোর মতো না। চৌধুরীরা মেয়েদের সম্মান করতে জানে।
.
কিছুদিনপর…
মেরিন নীড়ের কাধে মাথা রেখে বসে আছে। ওর হাত নীড়ের হাতের মুঠোয়। ২জনের দৃষ্টি সামনের নদীর দিকে।
নীড় : কি হলো? খুশু চোটে কি বোবা হয়ে গেলে নাকি? 😁।
মেরিন : তুমি জঘন্য খারাপ।
নীড় : thank you my জান । তবে খারাপের কিছুই দেখোনি । বিয়ের পর দেখবা খারাপ কি? কাকে বলে ? কতো প্রকার ও কি কি?
মেরিন : মানে?
নীড় : মানে আর কি তোমাকে কষ্ট দিবো। রান্নাবান্না সহ ঘরের ছোট বড় সব কাজ করাবো। না করলে মারবো। সারারাত আমার পা টিপাবো।
মেরিন নীড়ের পেটে গুতা মেরে
বলল : আর আমি তোমার গলা টিপে দিবো । you শয়তান।
নীড় : আরে এটা আমার fantasy … 😜
মেরিন : তোর fantasyএর খ্যাতাপুরি। huh…
নীড় :হায়রে … আমার জানটারে। i was just kidding..। জানো আজকে প্রথ om shanti om ছবিতে শাহরুখ খানের সেই কায়নাত ওয়ালা dialogue টা সত্যি মনে হচ্ছে।
মেরিন : আমারও। ভাবা যায় কালকে আমাদের engagement ….
নীড় : আর next month বিয়ে। oh my god… ১টা কথা বলি…
মেরিন : হামম।
নীড় : i love you…
মেরিন : i love you too…..
.
পরদিন নীড়-মেরিনের engagement হলো। কিন্তু অধরা অনুপস্থিত। হঠাৎ একটু আগেই অধরার বাবার স্ট্রোক হয়েছে । তাই অধরাকে যেতে হয়েছে। মেঘও যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু অধরা জোর করে মেঘকে রেখে গেছে। কারন আজকে মেরিনের engagement । সবার মনটা খারাপ হয়ে গেলো। তবে একটুপর অধরা ফোন করলো । বলল যে ওর বাবা এখন ঠিক আছে। out of danger … যেটা শুনে সবাই একটু চিন্তামুক্ত হয়েছে। অধরা না থাকায় চৌধুরী পরিবারের সাথে অধরার দেখা হয়নি। ধুমধাম করে নীড়-মেরিনের engagement অনুষ্ঠিত হলো। নীড়-মেরিন তো মহাখুশি । কারন ২জনের স্বপ্ন পুরন হতে চলেছে। তাও পরিবারের সবার অনুমতি নিয়ে ।
.
১মাসপর…
নীড়-মেরিনের বিয়ের উৎসব শুরু হলো। ৭দিন ধরে চলবে। সন্ধ্যাকটা টা কেবল আলাদা আলাদা হবে। কিন্তু রং খেলা থেকে শুরু করে বাকী সবগুলো একসাথেই অনুষ্ঠিত হবে।
সন্ধ্যাকটা টা বেশ ভালোভাবেই হলো। তবে রং খেলার দিন program শুরু হওয়ার আগেই সকাল বেলা অধরার গায়ে লাল লাল দাগ দেখা দিলো। সবাই বুঝতে পারলো যে অধরার চিকেন পক্স হয়েছে। তাই ওকে ঘরবন্দী হতে হলো। যার মানে বিয়ে থেকে বিরত। যার মানে অধরার সাথে আবারো চৌধুরী পরিবারের দেখা হলোনা। সে যাই হোক বিয়ে সাদী সমপুর্ন হলো।
.
☆: শুভ বিবাহ … শুভ বিবাহ… congratulations & celebration… তো খান বাড়ি কলিজা আর চৌধুরী বাড়ির বউ… ওহ না না বউ না। নিহাল চৌধুরী তো মেরিনকে বউনা মেয়ে বানিয়ে নিলো। আমি জানিনা মানুষ এতো ভালো কিভাবে হতে পারে? নিহাল আহমেদ চৌধুরী…. extra ভালো মানুষ। মেরিন… খান বাড়ির কলিজা, চৌধুরী বাড়ির বউ থু্রি মেয়ে, আর the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের জান… নীড়-মেরিনের married life happy হবে? কি করে হবে? আমি আছি না। 😎 । প্রায় প্রতিদিনই মেরিনকে face করতে হবে বড় বড় সংঘর্ষকে। যদি টিকতে পারে তো টিকবে। আর যদি না টিকে তো মরবে। আর যদি টিকে তো পরবর্তী সংঘর্ষের সাথে মোকাবেলা করবে। আহারে… মেরিন কতো খুশি আজকে। না না কতো কান্না করলো। so sad… তাও কি? কতো খুশি মনে মনে মেরিন। কতো প্রশান্তি। যাকে ভালোবাসে তাকে যে পেয়েছে। কতো স্বপ্ন আজকে নিয়ে। কিন্তু আমি জ্বল ঢেলে দিবো। আজকে নীড়ে ভালোবাসা পাবেনা। খুজেও তুমি নীড়ে ভালোবাসা পাবেনা। আজকে তুমি নীড়ের হিংস্রতার শিকার হবে। কারন নীড়ের খাবারে থাকবে এই drugs … যার জন্য নীড় হিংস্র হবে… আর তাই নীড়ের হাত থেকে তোমায় কেউ বাচাতে পারবেনা। হা হা হা হা হা ….
.
মেরিন লাল টুকটুকে বউ সেজে ঘোমটা দিয়ে ফুলের গালিচায় বসে আছে। লজ্জাও কাজ করছে। হ্যা যাকে ভালোবেসেছে তাকে পেয়েছে। তবুও ভীষন নার্ভাস। ওদিকে নীড়ও নার্ভাস । বন্ধুরা পান খাইয়ে দিলো। পান খাওয়ার কিছুক্ষন পর থেকেই নীড়ের মাথা যেন কেমন করতে লাগলো। কেমন উদ্ভট feelings হতে লাগলো। বন্ধুরা নীড়কে ঘরে পৌছে দিলো। নীড়ের আভাস পেয়ে মেরিন স্থির হয়ে বসলো। নীড় দেখেই যাচ্ছে মেরিনকে। মেরিন উঠে নীড়কে সালাম করলো। সালাম করে আবার বসতে গেলে নীড় মেরিনের হাত ধরে ফেলল। ভীষন জোরে। এরপর ১টানে মেরিনের মাথার ঘোমটা দেয়া ওরনা সরিয়ে ফেলল। clip , hair pin থাকার কারনে মেরিন অনেক ব্যাথা পেলো। মেরিন অনেক অবাক হলো।
মেরিন : পাগল হলে ন…
আর বলতে পারলোনা। কারন নীড়ের চোখে চোখ পরলো। নীড়ের চোখ অন্যরকম হয়ে আছে। ভয়ও পেলো।
মেরিন : নীড় তততুমি ঠিক আআআছো… তোমাকে এ….
আর বলতে পারলোনা। কারন নীড় মেরিনকে ধাক্কা দিয়ে বেডে ফেলল। মেরিন আরো বেশি অবাক হলো। মেরিনকে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নীড় মেরিনের ওপর ঝাপিয়ে পরলো। মেরিন কিছুই বুঝতে পারছেনা। ও নীড়কে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। আর সমানে কান্না করছে। কিন্তু নীড়ের হিংস্রতায় সেগুলো তুচ্ছ। নীড়ের হিংস্রতার কাছে হার মেনে মেরিন অজ্ঞান হয়ে গেলো। তবুও নীড়ের হিংস্রতা শেষ হলোনা।
.
সকালে…
নীড়ের ঘুম ভাঙলো। নিজেকে মেরিনের গলায় মু়খ গোজা অবস্থায় পেলো। তারাতারি করে উঠে বসলো। মেরিনকে দেখে নীড়ের বুকটা মোচর দিলো।
মেরিনের নিথর দেহটা পরে আছে। সেই সাথে মেরিনের গায়ে রয়েছে নীড়ের হিংস্রতার চিহ্ন। চোখের কোনায় শুকিয়ে যাওয়া পানির দাগ।
নীড় : জজজান …. জজজজান…. ও জজজান.. মমমেরিন…. মমমেরিন।
নীড় মেরিনকে বুকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো। আর বুঝতে পারলো মেরিনের শরীরে জ্বর।
নীড় : sorry জান i am really very sorry…. আমি কিভাবে…. তততোমার জ্ঞান ফেরাতে হবে।
নীড় পাশে থাকা জগ থেকে ভাতে পানি নিয়ে মেরিনের মুখে ছিটিয়ে দিলো। ২-৩বার ছিটানোর পর মেরিন চোখ মিটমিট করলো।
নীড় দেহে প্রান এলো।
নীড় : জান…জান… মমমেরিন…. ও মেরিন চোখ মেলো।
মেরিনের সারা শরীর অনেক ব্যাথা করছে। চোখটাও যেন ভারি হয়ে আছে। চোখ মেলতে কষ্ট হচ্ছে। চোখ দিয়ে পানিয়ে গরিয় পরছে। বহুকষ্টে চোখ মেলে তাকালো। নীড়ের কান্নামাখা মুখটা দেখতে পেলো। যেটা দেখে এখন ওর ঘৃণা লাগছে। ইচ্ছা করছে ঠাস ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারতে। কিন্তু মেরিনের সেই ক্ষমতা এখন নেই।
মেরিনের চোখ মেলা দেখে নীড় মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিলো। হাউমাউ করে কাদতে লাগলো। নীড়ের এই কান্নাতেও মেরিনের ঘৃণা লাগছে।
নীড় : i am sorry জান… i am really very sorry… আমি জানিনা কালকে আমার কি হয়েছিলো…. বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছা করে কিছু করিনি। নিজের ওপর controlই ছিলোনা। আমি জানি আমি ক্ষমার অযোগ্য। তবুও…. sorry….
.
একটুপর…
মেরিন বসে আছে । নীড় মেরিনের চুল মুছে দিচ্ছে। মেরিন নীড়ের সাথে এই পর্যন্ত ১টা কথাও বলেনি। এমনকি ওর দিকে তাকায়নি পর্যন্ত।
নীড় : জান তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি।
নীড় খাবার নিয়ে এলো। নিজের হাতে মেরিনকে খাওয়াতে গেলো। মেরিন মুখ ঘুরিয়ে নিলো।
নীড় : জান… আমার ওপর রাগ করে খাবারকে অপমান করা কি ঠিক? আমাকে শাস্তি দাও। মারো কাটো সব করো। কিন্তু খেয়ে নাও। আর কথা বলো… তোমার নিরবতা যে মানতে পারিনা জান….
মেরিন : …
নীড় : আমি কথা দিলাম আমি আর কখনো এমন করবো না।
মেরিন : …
নীড় : আমি তোমাকে কথা দিচ্ছি তুমি না বললে আর কখনো তোমাকে touch ও করবো না…
.
চলবে….

Comments