বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 58

আবির তাকিয়ে আছে শিহাব আর রিতুর দিকে,,,তাদের দেখেই বুজা যাচ্ছে তারা একে অপরের সাথে অনেক হেপ্পি আছে,,তাদের এই ছোট কিউট বাচ্চাটি যে তার প্রমাণ এতো কিউট ফ্যামিলি আছে তার আর সে এসেছে শুধু আবির আর তিথিকে মিলাতে শুধু মাত্র তার ফুফুর কথায়,,,,
আবির শিহাবের কাছে আসে,,
আবিরঃ সরি আমি ভাবি নাই যে তুই আমার হেল্প করছিস,,,আর আমি জানতাম না যে তুই বিবাহিত আর বাচ্চা ও আছে,,,,
শিহাবঃ আরে দূর,,,আমি যা করেছি আমার ভাইয়ের জন্য করেছি,,,ফুফু আমার কাছে কি জানিস কিন্তু হ্যাঁ আমার বিয়ের কথা সবাই জানে ও না কারণ রিতুকে বিয়ে করেই আমি কানাডায় শিফট হইছি তাই তেমন কেউ জানে ও না,,,,
আবিরঃ আমি ভুল করেছি আসলেই আমি লজ্জিত রে,,,
রিতুঃ আবির ভাইয়া শিহাব আমাকে সব সময় সব বলতো আপনার কথা কি কি হয়েছে সব কিন্তু দোষ আপনার ছিলো না ভাইয়া জাস্ট পরিস্থিতি এমন ছিলো যে সব কিছু এইভাবে এলো মেলো হয়ে গেলো,,,আর একটা কথা বলবো??
আবিরঃ কি?
রিতুঃ তিথিকে আমি চিনি সে আমার ছোট বেলার ফ্রেন্ড এক সাথে আমরা পড়ালেখা করেছি,,কিন্তু ওরা অইখান থেকে চলে যায় অন্য শহরে,,
আবিরঃ আর ইউ সিরিয়াস?? তিথি তোমার ফ্রেন্ড?
শিহাবঃ হ্যাঁ আমিও জানতাম না,,,শপিং মলে তিথির কিছু পিক তুলি আমি আর বিয়ের ভিডিও দেখাই রিতুকে কলে তখন রিতু বলে যে তিথি তার ফ্রেন্ড শুধু ফ্রেন্ড না অনেক ভালো বেস্টুও নাকি ছিলো,,,
আবিরের মাঃ বাহা তাহলে তো হইলোই,,,তো আবির কবে নিয়ে আসবি তিথিকে?
আবিরঃ এইভাবে নয়,,,তিথি নিয়ে আসবো কিন্তু এর আগে ওকে নিজের ফিলিংস তো বলতে হবে,,,
আরিশা নিচে নেমে আসে আগে থেকে অনেক সুস্থ সে,,,
আরিশাঃ ভাই আমিও হেল্প করবো প্লিজ
আবিরঃ তুই কিছু করতে হবে না রেস্ট নে,,,
আহাদঃ আমি কত বলেছি ওকে রেস্ট নিতে কিন্তু সে না রেস্ট নিবেই না বাহানা করছে আসতে তাই নিয়ে আসলাম,,,
আবিরঃ দেখ আরু আমি চাই না তুই অসুস্থ শরীর নিয়ে এইভাবে কাজ করবি,,,
আরিশা রেগে আবিরের দিকে তাকায়
আরিশাঃ কেউ আমাকে ভালোবাসে না হুম,,,
আবিরঃ ড্রামাবাজ,,,,
আহাদঃ ভাইয়া আমরা চাই আপনার হেল্প করতে,,,
আমান আর তিশা ও আসে,,,
আমানঃ আর আমরা বুজি পিছনে থাকবো হুম,,,
সবাই হেসে উঠে,,,,
আবিরঃ ওকে তাহলে আজকে নয় কালকে সব কিছু হবে আমি সব কিছু বলতেছি সবাই শুনে রাখেন,,,
আবির সবাই কে কিছু প্লেন বলে,,,,আমান হুট করে বলে উঠে
আমানঃ সব চেয়ে বেশি আরো ভালো হয় তুই যদি আজ তিথির সাথে যোগাযোগ না রাখিস ওকে ইগনোর করিস তাহলে
আবির খুব রাগী লুক দিয়ে আমানের দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে গিলেই খাবে,,,
শিহাবঃ আরে আমান ওকে শাস্তি দিবে নাকি তিথিকে??শাস্তি তো মনে হচ্ছে আবির পাবে যে লুক দিচ্ছে
সবাই হাসাহাসি শুরু করে দেয়,,,
দাদিমাঃ আমি কিন্তু কাল সকাল সকাল পার্লারে চলে যাবো আমার নাতবউ আসবে বলে কথা,,,
আবিরঃ দাদিমা কাল প্রোপজ করবো তিথিকে তোমাকে তো নয় যে তুমি সাজবে,,,
আমান আহাদ শিহাব তো হাসতে হাসতে শেষ তাদের হাসি দেখে কে,,,
দাদিমাঃ আজ বুড়ো বলে এমন করছিস আমিও এককালে অনেক সুন্দরী ছিলাম ওকে,,,
আহাদঃ হ্যাঁ আমার ডার্লিং এতো সুন্দরী ছিলো যে দাদাজান বেহুঁশ হয়ে যেতো তাই না দাদিমা?
দাদিমাঃ আমার নাত জামাই কত ভালো দেখলি আবির শিখ কিছু ছোট বোনের জামাই থেকে,,,
আরিশাঃতারিফ করলো উল্টো বাঁশ দিলো আর দাদিমা বুজলো না,,
আমানঃ যাই হোক এখন কি প্লেন অনুযায়ী আবির তাহলে তাই করবি?
আবিরঃ দেখ আমান তুই কিন্তু অন্যায় করছিস আমার সাথে,,,
আমানঃ আরে কই করলাম আমি?আচ্ছা তুই আমার সাথে চল তো কাজ আছে,,,
আবিরঃ কিসের কাজ?
আমানঃ আরে অই যে প্লেন নিয়ে,,,,
আহাদ শিহাব ওরা হাসতে থাকে,,,সবাই আনন্দ করছে আজ এই ভেবে যে অবশেষে আবির তার ফিলিংস বুজতে পেরেছে কিন্তু আমান চায় আবির কিছু টা দুরত্ব রাখুক তিথির থেকে যাতে আবির আরো বুজতে পারে যে আবির তিথিকে কত খানি চায়,,,
তিশাঃ তাহলে আজ কি আমরা সবাই এক সাথে আড্ডা দিবো???
আমানঃ হ্যাঁ আজ এখানে আড্ডা হবে আর প্লেন ও,,কি বলিস আবির?
আবির রাগী লুক দিয়ে তাকায় মনে হয় এখন খেয়ে ফেলবে আমানকে,,,
সবাই সারাদিন অনেক মজা করে এক সাথে,,,খাওয়া দাওয়া হইহল্লা এর মধ্যে দিনটা কাটায়,,,
এইদিকে,,,
তিথির মন কিছু টা খারাপ এই ভেবে যে আবির আজ সারাদিন তাকে একটা কল পর্যন্ত দেয় নাই,,
তিথির মাঃ কিরে মন খারাপ একা একা বসে আছিস যে?
তিথিঃ কই না তো?
তিথির মাঃ তাহলে মুখটাকে এইভাবে পেঁচার মত কেন করে রাখলি???
তিথিঃ আমার মুখ তাই,,মামনি প্লিজ যাও তো ভালো লাগছে না
তিথি রোগ নিজের রুমে চলে যায়,,বারান্দায় গিয়ে বসে আছে আবির তাকে একটা কল দিলো না ভাবছে হয়তো আবির এখন আসবে সে আশায় তিথি বসে আছে
তিথিঃ আমি জানি আপনি আমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারবেন না আপা ঠিক এসে যাবেন হয়তবা কাজ এর কারনে লেট হচ্ছে কিন্তু আপনি আসবেন,,,,
তিথি আবিরের আশায় বসে থাকে,,
অইদিকে,,,

আবির ছাদে সবার সাথে বসে আছে,,,আমান তিশার হাতটা শক্ত করে ধরে আছে,,,
তিশাঃ সবাই আছে হাত ছাড়ো,,,
আমানঃ তো কি হইছে হুম আমি আমার বউয়ের হাত ধরে আছি এতে কার কি?
তিশাঃ লজ্জা শরমের মাথা খাইছো আসলেই,,,
আবির রাগী লুক দিয়ে আমানের দিকে তাকিয়ে আছে,,আমান আর তিশার মাঝে এসে বসে তিশার হাতটি আমানের হাত থেকে সরিয়ে,,,
আবিরঃ আমাকে আমার বউয়ের কাছে যেতে দিচ্ছিস না কিন্তু নিজে এখানে আমাকে দেখিয়ে জমিয়ে প্রেম করবি তা আমি দেখবো কখনো হবে না হুম,,,
তিশা অনেক টা লজ্জা পেয়ে যায়,,,
আমানঃ আমি আমার বউকে ভালোবাসি তাই হাত ধরি প্রেম করি,,
আবিরঃ আমিও আমার বউকে ভালোবাসি ওকে
শিহাবঃ আচ্ছা হইছে এখন ঝগড়া অফ কর তো দুইজন উফফফ,,
আহাদঃ হ্যাঁ জিজু আর আবির ভাইয়া তোমরা দেখি বাচ্চাদের মত ঝগড়া করছো,,,,
আরিশাঃ নতুন কিছু না এরা এমন এই ঝগড়া এই ভালো,,,
আমানঃ তাহলে প্লেন অনুযায়ী হবে কাল সব,,
আবিরঃ আচ্ছা শুন আমি শুধু একটা কল দিবো তিথিকে প্লিজ,,,
আমানঃ না কখনো না এইটা কখনো না,,,,
আবিরের ফোন টা সকালে নিয়ে নিচ্ছে আমান খুব কষ্ট হচ্ছে আবিরের,,প্রতি টা সেকেন্ড যেন তার কাছে বছরের মত লাগছে,,,
আবিরঃ(কি জাদু করলে মায়াবতী আমি যে এক রাত তোমাকে না দেখে তোমার আওয়াজ না শুনে থাকতে পারছি না,,,বড্ড বেশি যে এখন ভালোবেসে ফেলেছি আমি তোমাকে মায়াবতী,,,হুম জানি নাক ডেকে ডেকে ঘুমাচ্ছো কিন্তু আমি যে খুব মিস করছি তোমাকে)
আমান আবিরকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে
আমানঃ কি ব্যাপার কি এতো ভাবছিস?
আবিরঃ কিছু না তো সর,,,
এইদিকে,,
তিথি সে কখন থেকে আবিরের আশায় আছে আবিরটা ও আসে না,,খুব বিরক্তি লাগছে তিথির আজ যে ঘুম হারাম করে দিয়েছে আবির,,ফোন টা নিয়ে আবিরকে কল দেয়,,,
আমান তার পকেট থেকে ফোন বের করে হেসে উঠে
তিশাঃ কে কল দিচ্ছে?
আমানঃ আর কে আমাদের মহারাজের মহারানি,,,
আবিরঃ আমান প্লিজ ভাই আমার ফোন টা দে সে টেনশন করছে হয়তো তাই কল দিচ্ছে
আমানঃ আরে দূর পরে আসিস তো তুই,,
তিথি অনেক কল অনেক বার দেয় আমান আবিরকে ফোনটা দেই নাই,,,উল্টো মজা নিচ্ছে
আবিরঃ সময় একদিন আমার ও আসবে অইদিন দেখবি গনে গনে হিসাব করে আমি প্রতিশোধ নিবো মনে রাখিস তুই
আমানঃ তুই কে ভাই??যাই হোক আজ রোমিওকে এইভাবে চটপট করতে দেখে আমার মনে যে কি শান্তি লাগছে উফফ বলে বুজাতে পারবো না,,
সবাই হেসে উঠে,,,আমান অনেক মজা নেয় আজ আবিরের আর বেচারা আবির তার মনটা ও চটপট করছে ভেবেছে তিথি ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু কল পেয়ে বুজে যায় আজ তার মায়াবতী না ঘুমিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে,,,আর তিথি তো কেঁদেই দেয় আজ কান্না করতে করতে প্রচুর রেগে বলে
তিথিঃ আর কখনো কল দিবো না অই বজ্জাত এনাকন্ডাকে ভাবে কি নিজেকে অনেক বড় মানুষ হু,,,হারামি লাল কাক একটা,,,বেগুনি হাতি একটা,,পুরো দেখতে নীল ইঁদুরের মত লাগে হু,,,,আসুক একবার উনি ইচ্ছে মত তেঁতুলের রস দিয়ে কাকের কাবাব খাওয়াবো হুম,,,অসম্ভব নীল ছাগল একটা,,
আজ তিথি আবিরকে প্রচুর গালি দিচ্ছে আর কাঁদছে,,কাঁদতে কাঁদতে কখন যে সে ঘুমিয়ে পড়ে জানে ও না,,,
সকালে তিথি ঘুম থেকে উঠে ভাবে হয়তো আবির এসেছে চোখ ডলতে ডলতে বলে উঠে
তিথিঃ মিস্টার বজ্জাত কই ছিলেন আপনি এতো রাত করে আসলেন যে???
কারো আওয়াজ না পেয়ে তিথি চোখ ভালো করে খুলে চারপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই মনটা ছোট হয়ে যায় তার ভাবে আবির কিভাবে তার সাথে দেখা করে একদিন ছিলো,,, খুব অভিমান হচ্ছে তিথির আবিরের উপর,,,,
আর আবির সকাল থেকেই আজ ব্যস্ত,,তাকে আমান আহাদ শিহাব ওরা হেল্প করছে,,
এইদিকে,,
যে তিথি সব সময় খায় সে তিথি আজ নাস্তা ও করে নাই দুপুরে খাবার নিয়ে আবার উঠে যায়,,মামনি ব্যাপার টা কিছু বুজে না,,,
তিথির মাঃ কি ব্যাপার কাল সারাদিন রুম থেকে বের হলি না আর আজ ঠিক করে খাচ্ছিস না?কি হইছে?
তিথিঃ কিছু না তো ভালো লাগছে না,,
এই বলে তিথি চলে যায়,,,

বিকাল হয়ে আসে দরজা নক পড়ে মামনি গিয়ে দরজা খুলে দেখে তিশা আরিশা আর রিতু,,,রিতুকে দেখে তো পুরো অবাক
তিথির মাঃ রিতু তুই???
রিতু জড়িয়ে ধরে তিথির মাকে
রিতুঃ ওহ মামনি কেমন আছো কত মিস করেছি তোমায়,,,
তিথির মাঃ আমরা ও,,তিথি তো বেশি সে যে আমরা এসেছি ও তেমন বন্ধু বানায় ও নাই যদিই ভুলেও কাউকে বানায় দুইদিন টিকে না,,
সবাই হেসে উঠে,,,
পিছন থেকে আয়ুশ একটু কান্না করে কোলে উঠতে,,,মামনি তাকিয়ে থাকে বাচ্চাটি দিকে,,
রিতুঃ আমার ছেলে আয়ুশ,,,
তিথির মাঃ ওমা সে কি তুই বিয়ে ও করে ফেলেছিস??
রিতুঃ হাহা হুম,,,আচ্ছা মামনি তিথি কই?
তিথির মাঃ আছে সকাল থেকে মুখ টাকে বাংলার পাঁচ করে আছে,,,
তিশাঃ আর থাকবে না আন্টি,,,আমরা ওর মন ভালো করতেই এসেছে,,,
আরিশাঃ হ্যাঁ আন্টি আমরা কিন্তু আজ আমাদের ভাবিকে নিয়ে যেতে এসেছি,,,
তিথির মাঃ কোথায়?
তিশাঃ আমরা চাই আজ তিথি আমাদের সাথে সময় কাটাক প্লিজ আন্টি,,,
তিথির মাঃ আচ্ছা যদি মহারানি ব্যাক্টেরিয়া যায়,,,
আরিশাঃ হাহা আন্টি তুমি ও দেখি ভাবির মত কথা বলা শুরু করে দিলে,,,
তিথির মাঃ কি করবো আর যে মাইয়া আমার পুরো পাগল বানিয়ে ছাড়ে তাই,,
সবাই হাসাহাসি করে তিথির রুমে যায়,,তিথি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে পিছন থেকে রিতু গিয়ে চোখ চেপে ধরে
তিথিঃ মিস্টার বজ্জাত আপনি????
রিতু চুপ করে আছে,,হাতের স্পর্শ কেমন যেন অচেনা লাগছে হাতে চুড়িও
তিথিঃ এই বজ্জাতের তো হাত না বজ্জাত তো চুড়িও পড়ে না তাহলে কার হাত এইটা?কই কে রে??
রিতুঃ আজ ও গেলো না তাহলে গুন্ডি গিরি,,,
আওয়াজ টা খুব পরিচিত,,,চোখ থেকে হাত সরিয়ে রিতু পিছনে গিয়ে দাঁড়ায় তিথি পিছনে ফিরে দেখে রিতুকে,,,রিতুকে দেখে খুশিতে লাফিয়ে উঠে রিতুকে জড়িয়ে ধরে,,,,
দুইজনের এমন ভালোবাসা দেখে তিশা আর আরিশা হেসে উঠে,,তিশা একটু অভিমানী সুরেই বলে
তিশাঃ বাহা আমরা এখন পর হয়ে গেলাম??হ্যাঁ হ্যাঁ পর করে দাও আমাদের কেন জড়িয়ে ধরবে,,,
আরিশাঃ হ্যাঁ তিশা একদম ঠিক বলেছো ভেবেছি আমার ভাবি আমাকে আগে জড়িয়ে ধরবে কিন্তু তা না হু,,,
তিথি হেসে উঠে এসে আরিশাকে জড়িয়ে ধরে আবার তিশাকে ও,,,সবাই এক সাথে কিছু ক্ষন গল্প করে,,,
রিতুঃ তিথি আমরা সবাই একজায়গায় ঘুরতে যাবো তুই আমাদের সাথে চল,,,
তিথিঃ আচ্ছা তাহলে আমি রেডি হয়ে আসি,,,
তিশাঃ এই না তিথি তুমি এখানে যা আছে এই টা পড়বে,,,
তিথিঃ গিফট?
আরিশাঃ হ্যাঁ আমাদের তিন জনের পক্ষ থেকে,,,
তিথিঃ অহ আচ্ছা,,,আচ্ছা আরু তোমার ভাই কই বলতে পারবে??
রিতুঃ বাহা জামাই এর খুঁজ নিচ্ছিস?আমরা বুজি নদীর জলে ভেসে আসলাম হুম,,,
তিথিঃ তা কেন হবে তুই তো নালার জলে ভেসে আসলি,,,
তিশা আর আরিশা হেসে দেয় আর রিতু রাগী সুরে বলে
রিতুঃ হইছে হইছে এখন গিয়ে রেডি হয়ে নে,,,তাড়াতাড়ি কর তো
তিথি প্যাকেটটা খুলে দেখে একটা লাল গ্রাউন এতো সুন্দর গ্রাউন যে বলার বাহিরে,,,তিথি তো পুরো থ এতো সুন্দর গ্রাউন যে বলার বাহিরে
তিথিঃ এইটা পড়ে যাবো???
তিশাঃ তুমি পড়ে নাও,,
তিথি গ্রাউন টা পড়ে আসে অসম্ভব সুন্দর লাগছে৷ আরিশা তিশা রিতু মিলে তিথিকে সাজিয়ে দেয়,,তিথি তো অবাক সবাই তাকে এতো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছে কেন৷৷ কিছু ক্ষন পর তারা তিথিকে নিয়ে একটা বীচ পাড়ে যায়,,,
তিথি গাড়ি থেকে নামতেই দেখে ফুল দিয়ে রাস্তা বানানো,,,পুরো বীচ খালি কিছু ছোট ছোট বাচ্চা এসে তিথির হাতে একটা একটা গোলাপ ফুল দেয়,,,মুখে এক রাশ হাসি তিথির মুখে,,,একটু সামনে যেতেই আমান তিথিকে ফুল দিয়ে বলে
আমানঃ বাহা মিসেস তিথি আবির রহমানকে তো অসম্ভব সুন্দর লাগছে,,,সামনে যাও
তিথি মুচকি হেসে আবার সামনে যায় আহাদ তিথির দিকে ফুল এগিয়ে দেয়,,তিথি জাস্ট অবাক হচ্ছে টা কি,, আবার আর একটু সামনে যেতেই দেখে শিহাব,,,শিহাবকে দেখে পুরো অবাক তিথি সেও ফুল এগিয়ে দিয়ে বলে
শিহাবঃ হাই মিসেস আবির রহমান,,,
তিথিঃ আরে আপনি????

শিহাবঃ পরে জেনে নিও আমার পরিচয় এখন যাও সামনে
তিথি আর একটু সামনে যায় বেলুন কিছু আকাশে উঠে যায় বেলুন গুলো সরতেই ফুল দিয়ে বড় করে লেখা ছিলো আই লাভ ইউ,,,এই দেখে যেন তিথির চোখ কে বিশ্বাস এই করাতে পারছে না,,,পিছনে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই মানে আমান আহাদ তিশা আরিশা ওরা কেউ নাই সবাই চলে গেছে,,,,
সন্ধ্যা হয়ে আসছে লাইটিং গুলো জাস্ট সে ছিলো,,,,সাগরের মধ্যে কিছু নৌকা ছিলো হঠাৎ অই নৌকা গুলোতে লাইট জ্বলে উঠে অনেক গুলো নৌকাতে লাইটিং দিয়ে লেখা হয় I Love You Tithi,, এইটা দেখে তো তিথির খুশি কাকে বলে,,মুখে হাত দিয়ে অবাক ভাবে চেয়ে আছে,,,উপর থেকে হুট করে গোলাপের পাঁপড়ি পড়া শুরু করে দেয় উপরে তাকিয়ে দেখে ফুলের বর্ষা হচ্ছে তার উপর,,,
পিছন থেকে একটা আওয়াজ ভেসে উঠে
আবিরঃ আই লাভ ইউ মায়াবতী,,,,।
তিথি পিছনে তাকিয়ে দেখে আবির একটা সাদা শার্ট পড়া,,,চুল গুলো সে কপালে এসে পড়ে আছে বাতাসে যা খেলা করছে আবিরের চুল গুলো দিয়ে,,,
হাঁটু ঘেরে বসে আছে তিথির সামনে ঘাসের রিং নিয়ে,,,আবির খুব যত্নে একটা ঘাস দিয়ে রিং বানায় শুধু তার মায়াবতীর জন্য,,,,তিথি তো যেন বিশ্বাস এই করতে পারছে না আবির তাকে প্রোপজ করেছে এইভাবে,,,,,
আবিরঃ অনেক টা ভালোবেসে ফেলেছি আমি তোমাকে,,,সত্যি পারবো না এক মুহূর্ত তুমি ছাড়া ভাবতে,,তোমার রুপে আমি মুগ্ধ হয়েছি,, তোমার সে কালো ঘন কেশে আমি যেন মাতাল হয়েছি,,,মুগ্ধ করক সে মায়াবী চোখে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি,,,তোমার সে মিষ্টি হাসিতে যেন আমি মাতাল হয়েছি বারবার,,,,ভালোবাসি কত খানি জানি না মায়াবতী শুধু জানি ভালোবাসা মানে তুমি,,,ভালোবাসা মানে তোমার সে গোলাপি ঠোঁটের মিষ্টি হাসি,,,
তিথি তো আজ আবিরের এমন কথায় শেষ,,,ভালোবাসার মানুষটি যদি দুইটা শব্দ ও বলে তাহলে যেন নিজেকে খুবই ভাগ্যবতী ভাগ্যবান মনে হয়,,,ভালোবাসার তুলনা হয় না,,হয় না কোনো চাওয়া শুধু থাকে সুন্দর মুহূর্ত আবদ্ধ করা,,
আবিরঃ আমি চাই প্রতি রাতে তোমাকে আমার বুকে নিয়ে ঘুমাতে,,তোমার সে স্টুপিড বকবক গুলো ও শুনতে,,,আমি চাই তোমার মুখের হাসির কারন হতে,,আমি চাই তোমার হাতটি ধরে দূর এক অজানায় হারিয়ে যেতে,,,আমার ভালোবাসা কি তুমি গ্রহণ করবে মায়াবতী???
তিথির চোখে আজ পানি,,সে ভাবতে পারে নাই যে আবির তাকে ভালোবাসে এতো,,,
আবিরঃ কথা দিচ্ছি কখনো কষ্ট দিবো না আর,,চোখে কখনো পানি আসতে দিবো না,,সব সময় এই বুকে আগলে রাখবো,৷ বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে,,,,প্লিজ রিপ্লাই দিবে তুমি কি গ্রহণ করবে আমার ভালোবাসা,,,,জানি অনেক ভুল করেছি অনেক কষ্ট দিয়েছি আর হবে না এমন কথা দিচ্ছি,,,,
আবিরের প্রতি টা শব্দে যেন আজ ভালোবাসা মিশ্রিত আছে,,,আবিরের চোখে ভেসে উঠে তিথির জন্য ভালোবাসা,৷ আবির যে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছে তার মায়াবতীকে,,,
চলবে,,,,,