বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 59

আবিরের প্রতি টা শব্দে যেন আজ ভালোবাসা মিশ্রিত আছে,,,আবিরের চোখে ভেসে উঠে তিথির জন্য ভালোবাসা,৷ আবির যে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছে তার মায়াবতীকে,,,
আবিরঃ সত্যি বলতে কি জানো তিথি ভালোবাসা কি আগে জানতাম না,,অনুভূতি এই জিনিস টা যেন আমার মধ্যে ছিলোই না তুমি আসার পর এসেছে কিন্তু বুজতে অনেক দেরি করে ফেলেছি আমি,,,সত্যি আমি তোমাকে অনেক টা ভালোবাসি জানি না কিভাবে এতো ভালোবেসে ফেলেছি শুধু জানি আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত নিজেকে ভাবতে পারবো না,,,
তিথির চোখ বেয়ে শুধু পানি পড়ছে,, হ্যাঁ এই দিনটির যে অনেক অপেক্ষা করছে তিথি,,তার ভালোবাসার মানুষটির মুখে ভালোবাসি শব্দটা শুনার জন্য যে কত অপেক্ষা করছে,,,ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসার প্রকাশ সুখটি আলাদা,,,,,ঠোঁটের হাসিটি যে আজ আবিরের মন ছুঁয়ে আছে,,,,,
আবিরঃ তিথি প্লিজ কিছু তো বলো দেখো এইভাবে বসে থাকতে পায়ে প্রচুর ব্যাথা করছে তুমি যদি এখন একসেপ্ট না করো তাহলে আমি কিন্তু,,,,
তিথিঃ তাহলে আপনি কি হ্যাঁ? (কিছু টা অভিমানী সুরে)
আবিরঃ দেখি কাউকে পাই কিনা তাকে প্রোপজ করে দিবো(ফাজলামি করে)
তিথি প্রচুর ক্ষেপে যায় আবিরের চুল গুলো ধরে দেয় এক টান,,,
আবিরঃ আউচ,,,,,
তিথিঃ কেমন লেগেছে হুম?
আবিরঃ উফফ ডাকাত নাকি তুমি? এইভাবে চুল কেন টানদিলা হুম,
তিথিঃ আমি ছাড়া অন্য মেয়ের কথা মাথায় ও আনলে খুন করবো আমি হুম,,,আর যে মেয়ে আপনার আশে পাশে ঘুরবে না তার চুল ছিড়ে লাল কাকের মাথায় লাগাবো হুম,,
আবিরঃ সেটা তো জানি তুমি যে ঝগড়াটি গুন্ডি,,,,
তিথিঃ জানলে ভালো হু,,,
আবিরঃ আচ্ছা তা না হয় বুজলাম এইবার কি আপনি গ্রহণ করবেন ম্যাডাম আমার ভালোবাসা??
তিথিঃ আমি তো এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আর গ্রহণ করবো না তা কি হয় হুম,,,,
আবিরঃ হাতটা দাও,,
তিথি তার বাম হাত আবিরের হাতের উপর দেয়,,খুব যত্নে আবির তিথির হাতে ঘাসের রিংটি পড়িয়ে দেয়,,,হাতে পড়িয়ে দিয়ে তিথির হাতে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ কখনো কষ্ট পেতে দিবো না প্রমেস মায়াবতী,,,,
তিথিঃ দিলে তো অইদিন আপনাকে খুন করবো আমি,,,
আবিরঃ হুম সেটাই,,আমার এতো সাহস নাই যে তিথি দ্যা গ্রেট এলিয়েনের সাথে ঝগড়া করার,,,
তিথিঃ হু

আবির উঠে তিথির কাছে যায়,,গালে হাত দিয়ে চোখের পানি গুলো মুছে দিয়ে কপালে চুমু দেয়,,,,তিথির খুব কান্না পাচ্ছে এই ভেবে যে সত্যি কি সে তার ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের করে পেয়েছে শেষমেষ,,,
আবিরঃ চোখ থেকে যদি এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে তাহলে খবর আছে হুম,,,,
তিথিঃ হু,,,
আবিরঃ তোমার চোখের পানি যে আমি সহ্য করতে পারি না,,,
তিথি আবিরকে জড়িয়ে ধরে বলে
তিথিঃ অনেক ভালোবাসি আপনাকে আমি,,,আপনার মুখে এই ভালোবাসি শব্দটা শুনার জন্য আর কত যে অপেক্ষা করছি আমি জানি শুধু,,,জানেন প্রতি টা মুহূর্তে ভাবতাম এই বুজি আপনি আমাকে বলবেন আপনি আমাকে ভালোবাসেন কিন্তু না আপনি বলতেন না হু,,,,
আবিরঃ পাগলী একটা,,আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো বিশ্বাস করো তিথি আমি চাই নাই আমাদের সম্পর্কটা বিনা অনুভূতি ভালোবাসা দিয়ে শুরু করতে,,,সম্পর্ক যদিও শুরু করতাম তাহলে কখনো নিজের ফিলিংস গুলো বুজতেই পারতাম না যে আমি কত টা চাই তোমাকে,,,,
তিথিঃ আমাকে ছেড়ে যাবেন না তো কখনো??
আবিরঃ পাগলী একটা তুমি আমার বিয়ে করা বউ ওকে,,,কই যাবো আমি আমার কিউটি পিউটি পাগলিটাকে ছেড়ে,,,আর যে এলিয়েন তুমি অন্য মেয়ের সাথে হালকা কথা বললে আমাকে খুন করবে,,,
তিথি উঠে আবিরের বুকে কয়েকটা কিল ঘুষি দিয়ে বলে
তিথিঃ অন্য মেয়ের নাম ও মুখে আনলে খবর আছে হুম৷ আপনি আমার শুধু বুজলেন
আবিরঃ হুম আর কারো হওয়ার ইচ্ছে নাই,,আসলে এতো তাড়াতাড়ি মরার ইচ্ছে জাগে নাই যে অন্য কারো হবো,,,
তিথি হেসে দেয়,, আবির ও মুচকি হেসে বলে উঠে
আবিরঃ এই হাসিটায় যে আমি মাতাল,,,তোমার এই বাঁকা দাঁতের হাসি যে আমার কাছে কত ভালো লাগে জানো না,,,
তিথিঃ আমার দাঁত পারফেক্ট ওকে,,,
আবিরঃ হুম সেটাই ম্যাডাম,,,আচ্ছা আপনার জন্য আর একটা সারপ্রাইজ আছে দেখবেন না,,,
তিথিঃকি??
আবির তিথির চোখে হাত দিয়ে ধরে একটু সামনে নিয়ে যায়,,,
আবিরঃ আমি চোখ খুলতেছি
তিথিঃ হুম,,,
আবির তিথির চোখ থেকে হাত সরিয়ে দেয়,,তিথি চোখ গুলো আসতে করে খুলে দেখে ছোট ছোট লাল সাদা মোমবাতি দিয়ে বড় করে লাভ বানানো,,,লাভের মাঝে নানা রকম ফুল দিয়ে আই লাভ ইউ লেখা,,,তিথি পুরো মুগ্ধ হয়ে যায় এইটা দেখে,,খোলা আকাশের নিচে বীচ পাড়ে বালুর উপরে ছোট ছোট কালারের মোমবাতি দিয়ে লাভ আবার অই লাভের মাঝে নানা রকম ফুল দিয়ে আই লাভ ইউ লেখা,,,তিথি যেন এমন স্বপ্ন দেখছে এতো সুন্দর করে প্রোপজটা পেয়ে,,,
তিথিঃ আমার জন্য এতো কিছু??
আবিরঃ হুম আমার মায়াবতীর জন্য শুধু,,,,
তিথি হেসে উঠে,,,আবির তিথির হাতটা ধরে একটু সামনে নিয়ে যায় চারপাশে আলো হয়ে আছে অনেক,,,একটা টেবিল সাজানো লাল গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে টেবিলের উপর ছোট একটা মোমবাতি শুধু,,টেবিলের চারপাশ টা সাদা পর্দা দিয়ে ডাকা যা বাতাতের কারনে উড়ছে,,,,টেবিলে কিছু খাবার সাজানো বিরিয়ানি, চিকেন, জুস, চিংড়ির মালাই,,
আবির একটা চেয়ার টেনে তিথিকে বসায়,,,,
আবিরঃ আজ এইসব কিছু তোমার জন্য নিজ হাতে রান্না করেছি,,,
তিথি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে,,,
আবিরঃ কি হলো?
তিথিঃ আপনি এইসব নিজে রান্না করেছেন??
আবিরঃ হুম কেন?
তিথিঃ আপনি পারেন?
আবিরঃ না পারি তো না কিন্তু আজ প্রথম রান্না করলাম ইউটিউব দেখে দেখে,,আর তিশা আরিশা মা ওরা জাস্ট অল্প হেল্প করেছে বলতে কাটাকাটি গুলো অইসব তো পারি না জানোই,,,বাট সম্পন্ন রান্না আমি নিজে করেছি জানি না কেমন হয়েছে,,,প্রথম বার রান্না করলাম তোমার জন্য যদি খাবার বাজে হয় সরি,,,
তিথি তো যেন আজ এক নতুন আবিরকে নিজের সামনে দেখছে,,আবির এতো কষ্ট করেছে তার জন্য ভাবতেই পারছে না,,,,
তিথিঃ এতো টা ভালোবাসেন???
আবিরঃ অই যে বললাম কত খানি ভালোবাসি জানি না কিন্তু হ্যাঁ এই বুক ভরা ভালোবাসা শুধু তোমার জন্য ম্যাডাম,,,
তিথি চুপ করে আছে আর মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে,,, আবির তিথির পাশেই চেয়ারটা টেনে বসে পড়ে,,,প্লেটটা নিয়ে তিথির জন্য বিরিয়ানী আর চিকেন নেয়,,একটা বড় চিংড়ি নিয়ে নিজ হাতে তিথিকে খাইয়ে দিতে লাগে,,,
আবিরঃ কেমন হয়েছে?(অতি আগ্রহ এর সাথে তিথির দিকে তাকিয়ে)
তিথি খেয়ে আবিরের দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ সত্যি এইটা আপনি রান্না করেছেন???
আবিরঃ কেন খুব খারাপ হয়েছে বুজি???
তিথিঃ না এতো মজার বিরিয়ানী আমি আর খাই নাই,,আর জানেন চিংড়ি মালাইটা জাস্ট সে লেভেলের টেস্ট,,,আর চিকেন টা কি বলবো,,, আপনি তো পুরো রেস্টুরেন্ট থেকে ও ভালো রান্না করেছেন,,,,
আবিরঃ সত্যি এতো ভালো হয়েছে যাক সারাদিনের কষ্ট গুলো সার্থক হলো,,,,
তিথিঃ মজা তো হয়েছে সব খাবার কিন্তু আরো বেশি মজা লাগছে আপনার হাতে খেয়ে,,,
আবির মুচকি হেসে তিথিকে আবার খাইয়ে দিতে থাকে,,,,
আবিরঃ শুধু কি নিজে খাবে নাকি আমাকে ও খাইয়ে দিবে?
তিথিঃ ওমা আপনাকে খাইয়ে দিতে হবে আপনি কি বাচ্চা???
আবিরঃ কেন তোমাকে যে খাইয়ে দিচ্ছি তাহলে কি তুমি ও বাচ্চা?
তিথিঃ হ্যাঁ আমি তো কিউট মিউট পিউট ভদ্র বাচ্চাই,৷
আবিরঃ কথার রানী,,,কিছু পাড়ুক আর না পাড়ুক কথাটা ঠিক বানিয়ে বলতে পারে,,,
তিথিঃ এইটা প্রতিভা বলে জানেন না হু,,,
আবিরঃ সেটাই ভালো কিছুর তো নাই বাট ফালতু জিনিসের প্রতিভা অসাধারণ আছে,,,,
তিথি এইবার ক্ষেপে যায়,,,
তিথিঃ অই আপনি কি আমাকে প্রোপজ করতে এনেছেন নাকি কথা শুনাতে হুম,,,
আবিরঃ ওকে বাবা সরি,,,
তিথিঃ কিইইই আপনার সাহস হয় কি করে আমাকে বাবা ডাকার আপনি খুব পঁচা,,,
আবিরঃ আচ্ছা আমার জানেমান আমার কিউটি মায়াবতী আমার বিউটি কুইন সরি,,,,,
তিথি খিলখিল করে হেসে উঠে আবিরের এমন সরি শুনে,,,,
আবির তিথিকে আবার খাইয়ে দিতে থাকে আর অনেক কথা বলছে,,আজ আবির বলছে তিথি চুপ করে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে,,,সত্যি যে আজ স্বপ্ন থেকে কম না তিথির জন্য,,,আবির তিথিকে এতো টা ভালোবাসে যে এইটা কল্পনা করতে পারছে না তিথি,,,,
খাওয়া শেষে আবির আবির তিথিকে বলে
আবিরঃ উঠো,,,
তিথিঃ এখন কই যাবো??
আবিরঃ আগে উঠবে তারপর দেখবা,,,
তিথি উঠে দাঁড়ায় আবির তিথির হাতটার ধরে মোমবাতি দিয়ে সাজানো লাভের পাশে নিয়ে যায়,,একটা চেয়ার এনে অইখানে তিথিকে বসা আর একটাতে আবির বসে,,টেবিলের পাশে আবির তার গিটার টা রাখে তা নিয়ে এসে বাজানো শুরু করে তিথির চোখের দিকে তাকিয়ে,,,লজ্জায় যেন লজ্জিত আজ তিথি,,আবিরের চোখে যে ভালোবাসার নেশা ফুটে উঠে,,,
চোখের নজর যেন তিথির দিক থেকে সরছেই না আজ আবিরের,,,গিটারের সুরের সাথে গেয়ে উঠে তার প্রিয় গানটি,,,
🎵🎵মুগ্ধ করা স্নিগ্ধ নয়ন
চেয়ে আছে তোমার পানে
যাবে কি এই অবেলা আমার সনে.!❤
তোমায় দেখে হয়েছি মুগ্ধ
তোমায় কথায় এই হৃদয় হয় স্নিগ্ধ.! 💙

🎵🎵
গানটি গাওয়ার পর ও তিথির দিক থেকে চোখ এই সরাছে না আবির,,,আবিরের কাছে এই মুহূর্ত টা ছিলো অনেক মুল্যবান প্রিয় মানুষটির সাথে যে সে এখন,,,আর তিথি তার কাছে তো আজকের এমন দিনটি পুরো বেস্ট,,আবির একটা না একটা সারপ্রাইজ এই দিয়ে যাচ্ছে তাকে যা তার মন ছুঁয়ে যাচ্ছে বারবার,,,
আবিরঃ গিটার বাজানো শিখবে?
তিথিঃ শিখাবেন আপনি???
আবিরঃ হুম যদি চাও তবে,,,,
মুচকি হেসে মাথা নাড়ায়,,,আবির তিথিকে নিয়ে বালুর উপরে বসে,,তিথির পিছনে গিয়ে ঘাড়ে নিজের থুতনি রাখে হাতটি গিটারের তার গুলো তো রেখে বাজানো শুরু করে,,,তিথির নিশ্বাস যে হাজার গুলো বেড়ে যাচ্ছে আবির তার এতো টা কাছে থাকায়,,আগে ও তো এসেছে কিন্তু আজকের অনুভূতিটা যে পুরো আলাদা,,,
আবির তিথির কানের কাছে মুখ নিয়ে আসতে করে বলে উঠে
আবিরঃ হে মায়াবতী বড্ড ভালোবাসি,,,,
লজ্জায় যেন লাল হয়ে যায় তিথি,,,মুখে হাসি চোখে নেশা ভালোবাসার ঠোঁটে সে মিষ্টি শব্দ ভালোবাসি,,,
আই লাভ ইউ সবাই বলাতে অই অনুভূতি নেই যে অনুভূতিটা ভালোবাসি ছোট শব্দটাতে আছে,,,ভালোবাসি এই ছোট শব্দটা যেন পুরো মন জুড়ে দেয় শুনাতে,,,,
আবির তিথিকে একটু শক্ত করে নিজের দিকে টেনে নেয়,,,গিটার্র তার থেকে তিথির হাত সরিয়ে ফেলে হাত যেন কাঁপতে শুরু করে দেয় এই মুহূর্তে,,,,আবির ঠিক বুজতে পারে তার মায়াবতী অনেক লজ্জা পাচ্ছে,,,
আবিরঃ তোমার লজ্জা মাখা চাহিনিতে যে আমি ফিদা পুরো,,,,যখন তুমি লজ্জা পাও তোমার মুখে যে উজ্জ্বলতা ভাব ফুটে উঠে তা আমাকে পুরো মুগ্ধ করে দেয় তিথি,,,
তিথি সত্যি প্রচুর লজ্জা পাচ্ছে আজ,,,
আবিরঃ চুলের ঘ্রাণটা যে মাতাল করে দেয় আমায়,,এই মায়াবতী তুমি কি আমাকে বলবে না ভালোবাসি শব্দটা?
তিথি চুপ করে লজ্জায়,,,আবিরের হাত যে তার হাতের উপর,,,ঘাড়ে থুতনি দিয়ে সব কিছু প্রকাশ করছে আবির,,,,তিথির গ্রাউন এতো বড় যে অনেক টা মেলে আছে বালুর উপর বেশ সুন্দর লাগছে লাল গ্রাউন পড়া তিথি খোলা চুল আর আবির সাদা শার্ট পড়া তারই পিছনে তাকে জড়িয়ে ধরে আছে,,,,
আবির উঠে দাঁড়ায় তিথিকে ছেড়ে অবাক ভাবে তাকিয়ে আছে তিথি এই ভেবে যে হয়তো আবির রেগে গেছে,৷ কিন্তু না আবির বেলীফুল নিয়ে এসে তিথির সামনে দাঁড়ায়,,,তিথি দাঁড়াতে যাবে আবির বলে উঠে
আবিরঃ বসে থাকো,,,,
আবির তিথির পিছনে গিয়ে আবার বসে,,চুলে সুন্দর করে বেলীফুল লাগাতে থাকে,,,
আবিরঃ বেলীফুলের ঘ্রাণের সুভাষ এইবার আরো বেড়ে যাবে তোমার চুলের ঘ্রাণ পেয়ে,,,
,,,,,,,,,,,,নদীরঙিন তুমি
এলে যেদিন,,
বেলীফুলের মৃদু সুভাস
এ-ই যেনো,,
তোমার আগমনের
কিঞ্চিত আভাস,,
মাতাল হাসি মুখে
তাহা যে সুখেই,,
বৈঠা হাতে
রয়েছি বসে,,
তুমি এলে হৃদপিণ্ড
যায় যে হেসে.!,,,,,,,
চুলে বেলীফুল লাগিয়ে উঠে তিথির হাতটি ধরে পাশে বসে বলে
আবিরঃ অই আকাশের চাঁদ দেখেছো?সেও আজ লজ্জা পাচ্ছে আমার চাঁদের কাছে,,,আমার পরীকে দেখে যে পরীরা ও হার মানবে,,,,জানো তিথি ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে তোমার এই মায়াবী চোখে,,,কি নেশা এই চোখে আজও জানি না কিন্তু হ্যাঁ আমি যে চাই বারবার হারিয়ে যেতে তোমারই মায়া ভরা এই দুই নয়নে,, মিষ্টি করে যখন হাসো তখন তোমার হাসিতে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই,,,
তিথিঃ বাহা আজ আমার মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা এতো রোমান্টিক হয়ে গেছে??
আবিরঃ কি করবো বলো তোমাকে দেখলে যে এখন মাথায় এইসব আসে,,,ইচ্ছে করে তোমার হাতটি ধরে রাখি সব সময়,,,,
তিথিঃ এতো ভালোবাসা পাবো কখনো ভাবি নাই,,,সত্যি যে আমি অনেক ভাগ্যবতী আপনাকে পেয়ে,,,
আবিরঃ জ্বি না,,
তিথিঃ কি না?
আবিরঃ আমি তোমাকে পেয়ে ভাগ্যবান যে আমাকে এতো ভালোবাসে,,এতো কষ্ট দিয়েছি তবুও আমাকে ছেড়ে যায় নাই আমাকে ভালোবেসে এসেছে,,সত্যি আমি অনেক ভাগ্যবান যে তোমার মত ঝগড়াটি এলিয়েন পেয়েছি একটা,,,,,
তিথিঃ হু হইছে এখানে তারিফ তো করেন নাই উল্টো বাঁশ দিলেন,,,
আবির হেসে উঠে তিথির রাগী মাখা মুখ দেখে,,,
আবিরঃ বাবুরে আমার মিষ্টি বউটা দেখি রেগে আগুনের গোলা হয়ে আছে,,,
তিথিঃ হু কথা নাই আড়ি,,,
আবির হুট করে তিথির গালে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ তাহলে তো ভালোই আমি আদর করতে পারবো আর তুমি চুপ থাকবা,,,
তিথি ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে এই কি সে হিটলার আবির তা ভেবে,,,
তিথিঃ(বাহা বেডা বজ্জাত এনাকন্ডা দেখি অনেক টা রোমান্টিক হয়ে গেছে,,,,)
আবিরঃ কি ভাবেন এতো ম্যাডাম?
তিথিঃ হু কিছু না,,,
তিথি উঠে হাঁটা শুরু করে আবিরও পিছনে পিছনে যায়,,
দুইজনে সাগরের পাড়ে পানির মধ্যে হাটতে থাকে,,,শীতল বাতাস চাঁদনি রাত নিঝুম পরিবেশ চারপাশে অন্ধকার মুহূর্তটা যে অসাধারণ আরো বেশি অসাধারণ হয় যখন আবির তিথির হাতটি আলতো করে ধরে,,,আঙ্গুলের ভাজে আঙ্গুল রেখে হাতটি শক্ত করে ধরে হাঁটছে,,,
আবিরঃ তিথি,,,,
তিথিঃ হুম,,,
আবিরঃ আজ এতো চুপচাপ যে তুমি?
তিথিঃ কই না তো,,,,
আবিরঃ মুহূর্তটা থেমে গেলে ভালো হয় কি বলো?
তিথিঃ হুম জানেন মিস্টার বজ্জাত আমি কখনো ভাবি নাই যে আপনি এতো সুন্দর করে আমার জন্য এতো কিছু করবেন,,, বিশ্বাস করেন আজ আমার চেয়ে খুশি আর কেউ নাই,,,
আবিরঃ কিছু তো তেমন করতে পারলাম না জাস্ট হালকা চেয়েছি আরো অনেক কিছু কিন্তু পারলাম কই,,,,
তিথিঃ হু যা করেছেন তা আমার জন্য অনেক,,,,
আবিরের হুট করে মনে পড়ে,,,
আবিরঃ ওহ হ্যাঁ আমি তো ভুলেই গেলাম,,,
তিথিঃ কি ভুলে গেলেন?
আবিরঃ এক মিনিট,,,,
আবির তার পকেট থেকে একটা পায়েল বের করে তিথিকে পানি থেকে উপরে নিয়ে যায়,,,হাঁটু ঘেরে বসে তিথির সামনে
আবিরঃ তোমার ডান পা আমার পায়ের উপর রাখো,,,
তিথিঃ ছি ছি কি বলছেন আপনি?
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ আমি কিভাবে অয়া রাখবো?এতো বড় পাপ আপনি আমাকে দিয়ে করাবেন???
আবিরঃ হইছে ড্রামাকুইন
আবির তিথির হাজার মানার পর ও তার পা টা নিজের পায়ের উপর রাখে,,,পায়েল টা সুন্দর করে পড়িয়ে দে,,তিথি তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে আবিরটা যে এতো টা রোমান্টিক তা যে আগে ভাবে নাই তিথি,,,
পায়েল টা পড়িয়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ আর একটা জিনিস আছে আমার সাথে চলেন,,,
তিথিঃ আবার কি?
আবিরঃ আগে তো চলো,,,,,
আবির তিথিকে টেবিলের কাছে নিয়ে যায়,,,একটা বক্স খুলে একটা গলার রকেট নেয়,,,পুরো লাভ ওয়াকা রকেট দুই পার্টের যেখানে আবির আর তিথির ছবি লাগানো,,,,
আবিরঃ পিছনে ঘুরো,,,,
তিথি ঘুরে দাঁড়ায় আবির তিথির চুল গুলো সরিয়ে দেয়,,আবিরের হাতের স্পর্শে যেন কেঁপে উঠে আজ বারবার,,,,গলায় রকেটটি পড়িয়ে দেয় বেশ সুন্দর লাগছে তিথির গলায়,,,,
তিথিঃ আমি তো আপনার জন্য কিছু আনি নাই,,,,,
আবিরঃ কে বলেছে আনেন নাই???এনেছেন তো স্পেশাল একটা জিনিস
তিথিঃ কি?
আবির তিথির ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে
আবিরঃ এইটা,,,,

তিথিঃ হেএএএএএ
আবিরঃ হুম যদি আপনি আমাকে এখন কিস দেন ম্যাডাম তাহলে আমি আমার বেস্ট গিফট পাবো
তিথিঃআ,,,,মি????
আবিরঃ জ্বি আ,,,,পনি
তিথিঃ দেখুন এখানে কিভাবে?
আবিরঃ কেন এখানে তো তুমি আর আমি ছাড়া আর কেউ নাই যে দেখবে?
তিথিঃ এই যে বাতাস আছে চাঁদ আছে
আবিরঃ হাহা তারা তো সাক্ষী আজ আমাদের ভালোবাসার,,,,আজ চাঁদ সাক্ষী সাগরের ঢেউ সাক্ষী এই শীতল বাতাস সাক্ষী হবে বুজলে
তিথি অনেক লজ্জা পাচ্ছে এইভাবে কিভাবে সে কিস কিরবে,,,যদিও আজ লজ্জার পরিমাণ অনেক বেশি,,,আবির বুজতে পারে এইভাবে হবে না তাই সে তিথির কোমড় টেনে নিজের কাছে লেপ্টে ধরে চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ এতো লজ্জা কিসের আমার সামনে হুম?আপনার হাজবেন্ড হই বুজলেন,৷
তিথি আবিরের বুকে মুখ লুকায় লজ্জায়,,,তিথির থুতনিটা ধরে বলে
আবিরঃ আমার গিফট কি দিবে?
তিথি মাথা নাড়িয়ে না জানায়,,,মুখটা ছোট করে ফেলে আবির,,তিথিকে ছেড়ে দিতে যাবে তিথি আরো শক্ত করে আকড়ে ধরে আবিরের গালে আলতো করে চুমু দেয়,,,,আবির চোখ বন্ধ করে ফেলে তিথির ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়ে,,,
আবির ভাবে তিথি একটা কিস দিবে কিন্তু ওমা সে কি তিথি তো আবিরের আরেক গালেও আলতো করে চুমু দেয়,,,আবির তিথির কোনড় শক্ত করে আকড়ে ধরে নিজের কাছে আরো টেনে ধরে তিথির ঠোঁটে ডুবে যায়,,,,শক্ত করে আকড়ে ধরে আছে আবিরের শার্টি,,,,
মুহূর্ত টা যে অসম্ভব সুন্দর ছিলো,,,ভালোবাসা যে তাদের ফুটে উঠছে,,,,চাঁদও যেন লজ্জা পাচ্ছে আজ তাদের ভালোবাসা দেখে,,,বাতাসে তো আরো বেশু উড়ছে তিথির চুল,,,
এমন মিষ্টি মুহূর্ত গুলো দুইজনে আজ আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বারবার,,,তাদের ভালোবাসার ছোট ছোট মুহূর্ত গুলোর যেন সাক্ষী হয়ে যায় এই শীতল বাতাস,,আকাশের সে সুন্দর চাঁদ,,সাগরের ঢেউ,,,
চলবে,,,,,