বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 57

তিথি আবিরের পাশে বসে তার সব ছোট বেকার কাহিনী বলছে,,,কি করেছে না করে সব,,এলবাম টা নিয়ে সব ছবি দেখায় আবির তো পুরো ক্রাশ খায় তিথির কলেজের কিছু ছবি দেখে,অনুষ্ঠানে শাড়ি পড়েছে বেশ কিউট লাগছে তিথিকে,,,
অনেক টা সময় দুইজন গল্প করে শেষ করে,,,দুপুর গনিয়ে আসে,,,তিথির মা তো আজ অবাক এতো বেলা হলো মেয়েটা এখনও কেন রুম থেকে বের হচ্ছে না,,
তিথির মাঃ এই আজ তোমার মেয়ের কি হলো বলো তো?
তিথির বাবাঃ কেন ওর আবার কি হবে?
তিথির মাঃ এতো বেলা হলো রুম থেকেই বের হচ্ছে না,,,
তিথির বাবাঃ ওকে একা থাকতে দাও তো এতো ডির্সাব করিও না তো,,
তিথির মা আর কিছু বলে না নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে,,,
তিথি অনেক কথা বলে আজ আর আবির চুপচাপ শুধু তাকিয়ে আছে তিথির দিকে,,আর তিথি সে তো বকবকের রানি বকবক করছেই,,,
আবির তিথির হাত ধরে বলে
আবিরঃ তুমি এতো বকবক কেমনে করো??
তিথিঃ মানে?
তিথি ভাবে আবির যখন তার হাত ধরে মনে হয় কিছু ভালো কিছু বলবে কিন্তু আবির মুখ খুললে ও খুলে যে তিথির বদনাম,,,
আবিরঃ এতো বকবক করো যে আমার কান পর্যন্ত শেষ কম কথা বলিও এতে ভালো হবে,,,
তিথিঃ আজ থেকে আমি আর কথাই বলবো না হু,,
তিথি রেগে অন্য দিকে ফিরে আবির মুচকি হেসে বুজতে পারে তিথি রেগেছে,,
আবিরঃ তুমি রাগলে বেশ কিউট লাগে,কেন জানি তোমার এই রাগী চেহারাটার উপর সে লেভেলের ক্রাশ খাই
তিথিঃ হেএএএএ????
আবিরঃ কি হলো মুখটা এইভাবে হা করলে যে?
তিথিঃ না মানে আপনি আর ক্রাশ তাও আবার আমার উপর তাই আর কি,,,
আবিরঃ আমার বউয়ের উপর খেলাম এতে তোমার কি?
তিথিঃ আমার তো কিছু না কিন্তু ভুঁতের মুখে রাম রাম শুনেই অবাক লাগছে আর কি,,,
আবিরঃ হোয়াট?
তিথিঃ নাথিং হু,,,(বুজে ও না বুজার অভিনয় করে হু)আচ্ছা আমি শাওয়ার নিয়ে আসি,,,
আবিরঃ ওকে যাও,,শুনো
তিথিঃ কি?
আবিরঃ আজ একটা শাড়ি পড়বা?
তিথিঃ ওকে
আবির আর কিছু বলে না নিজের ফোন টা বের করে ফেসবুকের নিউজফিডে ঘুরছে হঠাৎ নজর পড়ে আমানের আইডিতে আমান আর তিশার পিক দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে,,,
এইদিকে
তিথি শাওয়ার নিয়ে এসে দেখে আবির ফোনের দিকে মনযোগ দিয়ে কি যেন দেখছে তেমন পাত্তা না দিয়ে শাড়ি পড়তে থাকে,,
হঠাৎ নজর যায় তিথির দিকে শাড়ির কুচি করছে,,ভিজা চুল গুলো বাঁধা কালো শাড়ি যা আবিরের কাছে অনেক প্রিয়,,,তিথি যখনই কালো শাড়ি পড়ে আবিরের চোখ আটকে যায়,,,ড্যাবড্যাবিয়ে তিথির দিকেই তাকিয়ে আছে তিথির শাড়ি পড়া দেখছে আর তিথির মুখের যে রিএকশন একটা তা,,,
শাড়ি পড়েই আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে তার দিকেই তাকিয়ে আছে
তিথিঃ কি দেখছেন?
আবিরঃ মায়াবতীকে,,,
তিথিঃ কি??
আবিরঃ না মানে কিছু না,,,সুন্দর লাগছে কালো শাড়িতে,,,
তিথি তেমন পাত্তা না দিয়েই বারান্দায় চলে যায়,,চুল গুলো মুছতে থাকে,,,চুল মুছেই ছেড়ে দেয় পিছন থেকে এতো টা মায়াবী লাগছে আবিরের কাছে যে সে তিথির বেক পিক তুলে ফেলে,,,ছবিটা অনেক সুন্দর এসেছে,,,
তিথি আবিরের কাছে এসে বলে
তিথিঃ আপনি বসেন আমি খাবার নিয়ে আসছি,,,
আবিরঃ ওকে,,,
তিথি রুম থেকে বাহিরে চলে যায়,,,আবির তার ফেসবুকের কাবার পিক চেঞ্চ করে তিথির বারান্দায় বেক পিক টা দেয়,,ক্যাপশন দেয় কালো শাড়িতে অপরুপ লাগছে মায়াবতী,,,আমার কিউটি মায়াবতী,,,
আবির পিকটা দিয়েই ফেসবুকে থেকে বের হয়ে যায়,,কিছু ক্ষন পর আমানের কল আসে,,অনেক গুলো কল দেয় সে সকাল থেকে কিন্তু আবির ধরে নাই,,কলটা রিসিভ করে বলে
আবিরঃ হ্যাঁ বল
আমানঃ কই তুই???
আবিরঃ কেন?
আমানঃ না আজ অফিস আসলি না যে?
আবিরঃ না মানে আমি একটু রাজশাহী আসছি একটা মিটিং ছিলো খুব ইম্পর্টেন্ট তাই,,কাল আসবো
আমানঃ অহ আচ্ছা,, তিথি বুজি রাজশাহীতে?নাকি তিথির বাসা উড়াল দিয়ে রাজশাহী চলে গেছে?
আবিরঃ মানে??কি বকছিস?পাগল হয়েছিস নাকি???
আমানঃনা ভাই আমি পুরো ঠিক আছি,,কিন্তু তুই দিন দিন যে রোমিও হচ্ছিস তা বুজতেছি,,,,
আবিরঃ কিসব বলিস রাখ তো,,
আমানঃ আরে শুন শুন তুই এতো রোমিও কবে থেকে হলি?
আবিরঃকিসের রোমিও,,
আমানঃ না দেখলাম মাত্র তোর কাবার পিক চেঞ্চ করে তিথির পিক দিলি তাও আবার ক্যাপশন,,,
আবিরঃ অইটা এমনি পিক,,,(ঘাবড়ে গিয়ে)
আমানঃ হইছে আমার কাছে আর ন্যাকামি করতে হবে না আমি বুজি সব বুজি ওকে,,,
আবিরঃ সর তো কল্লা বুজিস তুই,,,
আমানঃ বাই দ্যা ওয়ে তোর গাড়ি পার্কিং করেছিস যে একটু ভালো জায়াগায় করতি তিথির বাড়ির আশেপাশে কত চোর ঘুরাঘুরি করে কখন জানি তোর গাড়ি নিয়ে যায়,,,
আবিরঃ আমার গাড়ি তিথির বাড়ির সামনে যাবে কেন?
আমানঃ তা আমি কিভাবে জানি,,হয়তো নিজে নিজে হেটে তার জিএফের সাথে আলাপ করতে করতে গেছে (হেসে উঠে,,,)
আবিরঃ আচ্ছা বাই,,,
আবির তাড়াতাড়ি কল কেটে দেয়,,,আমান হাসতে থাকে এমন কান্ডতে,,
আমানঃ জানো তিশা আবির মিথ্যা বলতে পারে না কিন্তু তার এমন মিথ্যা বলার ধরন দেখে আমি শেষ হাসতে হাসতে,,
তিশাঃ হুম আবির ভাই তিথিকে অনেক ভালোবাসে,,,
আমানঃ হুম ভালো তো বাসে কিন্তু প্রকাশ করতে পারছে না,,,বাট তাড়াতাড়ি করে দেওয়া বেটার কারন আবিরের ঘরে একটা কাল সাপ আছে,,,
তিশাঃ কে?

আমানঃ শিহাব,,,আবির তাকে একদম পছন্দ করে না,,আবিরের যে জিনিস পছন্দ হয় সে জিনিস তার লাগবেই,,,,ধরতে গেলে আবিরকে সব সময় চায় ছোট করতে,,কলেজ লাইফ থেকে তাকে আর আমরা দেখি নাই,,,
তিশাঃ আমান তোমরা হয়তো তাকে ভুল বুজতেছো হয়তো সে ভালো বাট খারাপ হওয়ার অভিনয় করছে,,আমান কেউ এমনি এমনি খারাপ হয় না,,পিছনে কারন থাকে
আমানঃ তোমার কাছে সবাই ভালো,,,তিশা এতো টা সহজ সরল হইও না যে কেউ সুযোগ নেয় তোমার বুজলে,,,
তিশাঃ আমার সুযোগ কেউ নিবে না বুজলে,,,শুনো মানুষ জন্মগত ভাবে খারাপ না পরিস্থিতি তাদের খারাপ বানায়,,যেমন মায়রা সে তো খারাপ নয় তাকে পরিস্থিতি বাধ্য করেছে কারণ সে আবির ভাইকে ভালোবাসে,,,হ্যাঁ আমাদের পরিস্থিতির সাথে লড়াই করা উচিত কিন্তু কত ক্ষন?খারাপ দিকে গেলে কেউ যদি হাতটি ধরে ভালো দিকে নিয়ে আসে তাহলে খারাপ পথে কেউ যাবে না বুজলে,,,
আমানঃ জ্বি ম্যাডাম,, এখন কি আমরা যেতে পারি
তিশাঃ ইয়েস স্যার
আমান তিশা তাদের মুহূর্ত গুলো আরো সুন্দর করতে বাহিরে ঘুরতে যায়,,
এইদিকে,,,
সারাদিন তিথি আবিরের সাথে ছিলো রুম থেকে সহজে বের হতো না,,, খাবার নিয়ে এসেই রুমে ডুকে যেতে আর তেমন বের হতো না,,,
আবিরের আজ অনেক ভালো লাগে তিথির সাথে সারাদিন কাটিয়ে,,,
রাত অনেক টা হয়ে যায় দুইজনে গল্প করতে করতে কখন এতো রাত হয় খেয়াল করে নাই,,,আবির তিথির হাত ধরে বারান্দায় যায় বারান্দায় গিয়ে দুইজনে গল্প করতে থাকে,,
তিথির চুল গুলো খোলা থাকায় আবিরের কাছে ভালো লাগছে না চুল গুলো খুলে দিয়ে বলে
আবিরঃ এখন অনেক সুন্দর লাগছে,,খোলা চুলে তোমাকে দারুণ লাগে,,
তিথি হা করে তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে,,,
আবিরঃ আজ আকাশের অই চাঁদটা ও লজ্জা পাচ্ছে(আকাশের দিকে তাকিয়ে)
তিথিঃ চাঁদের তো মুখ নাই যে লজ্জা ভাবে(অবাক দৃষ্টিতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে)
আবিরঃ হ্যাঁ সাথে তোমার মাথায় আক্কেল ও,,
তিথিঃ কি???
আবিরঃ কিছু না আসো ঘুমাবো,,,
আবির তিথিকে নিয়ে গিয়ে ঘুমাতে যায়,,
সকালে,,,
আবির তাড়াতাড়ি উঠে তিথির কপালে চুমু দেয়,,তিথিও উঠে যায় আবিরের স্পর্শে আজ,,
আবিরঃ কি হলো উঠে গেলে যে?
তিথিঃ না মানে আপনি চলে যাবেন তাই,,,
আবিরঃ তো কি হইছে আমি চলে তো যেতে পারতাম বারান্দা দিয়ে,,
তিথিঃ আপনার কোমড়ে এতো ব্যাথা আবার বারান্দা দিয়ে যাবেন যাতে কোমড় পুরো ভাঙ্গে,,,
আবিরঃ তাহলে কিভাবে যাবো?
তিথিঃ দরজা দিয়ে,,,
আবিরঃ কেউ দেখলে??
তিথিঃ কেউ দেখবে না সবাই ঘুম আসুন,,
আবির তাড়াতাড়ি নিজের কাপড় গুলো পড়ে নেয় ফ্রেশ হয়ে আসে,আসতে আসতে দুইজনে পা টিপে টিপে হল রুমে আসে,,তিথি দরজা খুলছে অনেক আসতে,,আবির তাড়াতাড়ি বের হয়ে হাত দিয়ে ইশারা করে দরজা লাগিয়ে দিতে,,তিথি তাড়াতাড়ি দরজা লাগিয়ে নিজের রুমে এসে যায়,,,
আবির তার গাড়িতে উঠার সময় তিথির বারান্দার দিকে তাকিয়ে দেখে বারান্দায় তিথি দাঁড়িয়ে আছে,,,টা টা দিয়ে চলে যায় আবির আর তিথি আবিরের যাওয়া দেখে,,,
তিথি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,,
এইদিকে
আবির ও নিজের বাড়িতে গিয়ে কিছু ক্ষন ঘুমায়,,ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়,,রেডি হচ্ছে তখন দরজায় নক পড়ে,,,দরজা খুলে দেখে শিহাব,,
আবিরঃ কি ব্যাপার আমার রুমে তুই?
শিহাবঃ কেন আসতে পারি না বুজি.?
আবিরঃ না পারিস না,,,
শিহাবঃ তাহলে তো আসবোই,,তুই মানা করা মানে হ্যাঁ
আবির তেমন পাত্তা না দিয়ে শার্টের বুতাম লাগাতে থাকে,,,,
শিহাবঃ বাড়ি ফিরলি কবে?
আবিরঃ যখনই ফিরি না কেন এতে তোর কি?
শিহাবঃ সেটায়,,,যাই হোক আরিশার বিয়ের ভিডিও দেখলাম বেশ লাগছে সবাই কে কিন্তু সব চেয়ে বেশি হট আর সেক্সি তোর বউকে লেগেছে,,,এতো সুন্দর বউ পেয়েছিস তুই আমি ভাবতে পারছি না এতো টা সেক্সি আর হট
কথাটা শুনেই আবিরের রাগ উঠে যায়,,,শিহাবের কলার চেপে ধরে হুট করে,,,দাঁতে দাঁত চেপে বলে
আবিরঃ মুখে লাগাম দিয়ে কথা বলবি ওকে,,,তিথি আমার স্ত্রী আর আমার স্ত্রীর ব্যাপারে একটা বাজে কথা তোর মুখ থেকে বের হবে তো সত্যি তোকে খুন করবো আমি,,,,

শিহাবঃ হায় হায় পুরো রোমিও হয়ে গেলি দেখি,,,বাহা বউয়ের প্রতি এতো মহব্বত
আবিরঃ আমার সামনে আসবি না,,(শিহাবকে ধাক্কা দিয়ে)
শিহাবঃ তা কি করে হয়,,আচ্ছা শুন তোর বউয়ের সাথে ভাবছি দেখা করবো,,,ভাই সে একটা বউ পাইছিস একটু আমাদের সাথে তো দেখা করার সুযোগ দে এমন বউ কপালে জুটে না সবার,
আবির নিজের রাগ অনেক কন্ট্রোল করছে আর পারছে না রেগে শিহাবকে অইকে ঘুষি মারে,,,
আবিরঃ বারন করেছি একবার তিথির ব্যাপারে একটা বাজে কথা না বলতে,,,,
শিহাবের নাক থেকে রক্ত পড়ছে আবির এতো জোরে ঘুষি দেয় যে নাক থেকে রক্ত বের হয়ে যায়,,,শিহাব নাক মুছতে মুছতে হেসে উঠে আর বলে
শিহাবঃ বাহা তিথির জন্য আমাকে মারলি,,অই তিথির জন্য মারলি যে তিথির জন্য তোর মনে না আছে ফিলিংস আর না আছে ভালোবাসা,,,, তাহলে কেন এতো গায়ে লাগে তোর হ্যাঁ শুধু তোর বউ বলে,,,
আবিরঃ শিহাব আমার হাত উঠে যাবে আবার আমার রুম থেকে বের হয়ে যা এখন,,,,
শিহাবঃ কেন সত্যি শুনতে গায়ে লাগছে নাকি হ্যাঁ??? অনেক বছর আগে সেম সত্যি বলেছিলাম তুই আমাকে বিশ্বাস না করে অই নিয়াকে করেছিস,,,,অই নিয়াকে যে টাকার জন্য সব করতে পারে আর তুই সে মেয়ের জন্য অইদিনও আমার গায়ে হাত তুলেছিস,,,
আবিরঃ নিয়াকে এখানে আনবি না ওকে,,,
শিহাবঃ কেন আনবো না??নিয়ার কথা কি তিথি জানে??ওহ হ্যাঁ কি বলবি তাকে নিয়া তোর কে লাগে,?
আবিরঃ নিয়া আমার কিছু লাগে না ওকে,,,সে শুধু আমাকে লাইক করতো আর আমি জাস্ট থাকে নিজের ফ্রেন্ড ভাবতাম এর কিছু না,,
শিহাবঃ ওহ রেলি???তাহলে পুরো কলেজে কেন বলে বেড়ালি সে তোর জিএফ???যেখানে জানতি আমি নিয়া লাইক করতাম,,,
আবিরঃ তোর সাথে কথা বলার মুড আমার নাই,,,
শিহাবঃ ভয় পাস??শুন তুই ভাবিস কি?তোর বাপের টাকা আর তোর এই সুন্দর চেহারা দিয়ে কলেজের মেয়েদের নিজের পিছনে ঘুরাতি আবার বড় বড় লেকচার মারিস,,
আবিরঃ আমি না আমার বাপের নাম টাকা উইজ করেছি কোথাও আর না কোনো মেয়ের সাথে উল্টো পালটা কিছু যা তুই করেছিস নিয়ার সাথে,,,
শিহাব রেগে আবিরের কলার চেপে ধরে বলে
শিহাবঃ আমি নিয়ার সাথে কিছু করি নাই ওকে,,নিজের কাজিনকে বিশ্বাস না করে অই মেয়েকে করেছিস তোর কারনে অইদিন আমাকে কলেজ থেকে বের করছে,,,তুই এতো টা নিচ ভাবিস যে আমি একটা মেয়ের ইজ্জত নিয়ে খেলবো এতো টা থ্রাড ক্লাসের ছেলে আমি ছিলাম না আবির,,তোর মায়ের রক্ত আমার শরীরে ও মনে রাখিস,,
আবিরঃ যা তো এখান থেকে,,,
আবির শিহাবের একটা কথা পর্যন্ত শুনতে চায় নাই,,,
শিহাবঃ আচ্ছা বাদ দিলাম আমার কথা,তুই তো তিথিকে ব্যবহার করছিস তাহলে এইটা কোন দিকে যাচ্ছে?
আবিরঃ তিথিকে ব্যবহার করছি মানে???
শিহাবঃ হ্যাঁ তাই তো করছিস তাকে ভালোবাসিস না আবার তাকে ছাড়া থাকতে পারিস না,,তাকে নিয়ে ফিলিংস নাই আবার তাকে নিয়ে সংসার ও করছিস,,এইটা কেমন সংসার যেখানে ফিলিংস বলতে কিছু নাই?
আবিরঃআমি তিথিকে ভালোবাসি কি না তা তোকে বলার প্রয়োজন আমি করি না,,,
শিহাবঃ আরে ভালোবাসলে তো করতি,,,,তুই এমন আবির তোর কারনে সবাই কষ্ট পায়,,,তোর কারনে সবাই খুশি হারিয়ে ফেলে,,,
আবিরঃ বড্ড বেশি বলে ফেলেছিস তুই এখন চুপ থাক আর বের হও আমার রুম থেকে,,,
শিহাবঃ আচ্ছা তুই তিথিকে ডির্বোস দিয়ে দে,,তিথি এতো সুন্দর আত মায়াবী যে আমার রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে,,তুই ওর মাথা থেকে তোর স্ত্রী এইটা সরিয়ে দিলে আমি ওকে বিয়ে করে নিতে পারি,,,
আবির এইবার অনেক ক্ষেপে যায়,,,শিহাবকে অইখানে মারা শুরু করে,,আবির আর শিহাব দুইজনে মারামারি শুরু করে দেয়,,রুমের সব জিনিস ভেঙ্গে এক হচ্ছে,,,আবিরের মা-বাবা দাদি ওরা দৌড়ে আসে এসেই দেখে দুইজনে মারামারি করছে,,
আবিরের মাঃ আবির কি হচ্ছে কি ছাড় ওকে,,,
আবিরঃ না আজ ওকে আমি ছাড়বো না,,,ওর সাহস হয় কি করে আমার তিথির ব্যাপারে বাজে কথা বলার,,,
শিহাবঃ যা বলেছি সত্যি বলেছি,,
আবিরের বাবাঃ আবির ছাড় বলছি,,,
আবিরঃ তিথি শুধু আমার ওকে,,,আমি ওকে অনেক ভালোবাসি আর আমার তিথির দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে ও আমি তার চোখ তুলে নিবো,,,,
শিহাব থেমে যায়,,আবিরকে তার বাবা-মা দুইজনে চেপে ধরে রাখে,,,শিহাব মুচকি হেসে বলে উঠে
শিহাবঃ এইটাই তো চেয়েছিলাম আমি,,,,
আবিরঃ মা আমাকে ছাড়ো
আবিরের মা রেগে গিয়ে আবিরকে একটা থাপ্পড় মারে,,,
আবিরের মাঃ সমস্যা কি তোর হ্যাঁ??? শিহাবকে সব সময় ভুল কেন বুজিস? সে এখানে এসেছে শুধু মাত্র আমার জন্য,,,এতো বছর ধরে সে এখানে আসতে চায় নাই কেন জানি না কিন্তু আমি রিকুয়েস্ট করায় এসেছে
আবিরঃ তুমি খাল কেটে কুমির ডেকে আনলে মা,,,তুমি জানো না সে আমার তিথির ব্যাপারে কি কি বলেছে,,,
আবিরের মাঃ আমার জানা দরকার ও নাই,,তোর তিথি তুই কি ওকে ভালোবাসিস নাকি যে তোর গায়ে লাগবে,,,,স্ত্রী হলে হয় না আবির স্ত্রীর মর্যাদা ও দিতে হয়,,,
আবিরঃ আমি এতো দিন বুজি নাই যে আমি তিথিকে ভালোবাসি কিনা,,কিন্তু এখন আমি চিৎকার করে বলতে পারবো যে হ্যাঁ আমি তিথিকে ভালোবাসি,,,আমি ওকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারবো না,,,,
শিহাব করতালি দিয়ে আবিরের মাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে
শিহাবঃ আমাদের প্লেন সম্পন্ন হলো ফুফু,,
আবিরঃ প্লেন?

আবিরের মাঃ হ্যাঁ শিহাবকে আমি এখানে এনেছি শুধু তোকে তোর ফিলিংস বুজাতে যাতে তুই বুজিস যে তুই তিথিকে ভালোবাসিস,,,শিহাব খারাপ না তুই ওকে খারাপ চোখে দেখিস বিদায় খারাপ সে তোর চোখে,,,,
আবির শিহাবের দিকে তাকায় শিহাবের ফোনে কল আসে শিহাব মুচকি হেসে বলে,,,
শিহাবঃ একটা সারপ্রাইজ আছে চল নিচে,,
শিহাব আর বাকিরা ও নিচে যায়,,ছোট একটা সাড়ে তিন বছরের বাচ্চা দৌড়ে এসে শিহাবকে জড়িয়ে ধরে
আয়ুশঃ পাপ্পায়ায়ায়ায়া
শিহাব আয়ুশকে কোলে নেয় কপালে অনেক চুমু দিতে থাকে,,,আবির অবাক ভাবে তাকিয়ে আছে,,,একটা মেয়ে আসে দেখতে অনেক সুন্দর হিজাব বাঁধা অনেক টা মায়াবী মেয়েটা,,,,
শিহাব আয়ুশকে কোলে নিয়ে আবিরকে বলে
শিহাবঃ আমার ছেলে আয়ুশ,আর এইটা আমার স্ত্রী রিতু,,,,,
আবিরঃ তুই বিয়ে করেছিস???
শিহাবঃ হ্যাঁ কিন্তু তুই জানিস না সেটায়,,রিতুকে আমি ভালোবেসেই বিয়ে করেছি ভার্সিটিতে আমাদের পরিচয়,,,আর এইটা আমার ছোট আদরের এক মাত্র ছেলে আয়ুশ,,
আবির কেন জানি আজ নিজের কাছে ছোট হয়ে যায়,,,আয়ুশ আবিরের কাছে যাওয়ার জন্য কেমন করছে হুট করে ঝাপিয়ে পড়ে আবির কোলে নেয়,,আর রিতু সে তো শিহাবের পাশে এসে দাঁড়ায়,,
রিতুঃ কি হয়েছে তোমার?এতো রক্ত কেন নাকে মুখে?
শিহাবঃ আরে দূর এই কিছু না সামান্য,,,,
আবির তাকিয়ে আছে শিহাব আর রিতুর দিকে,,,তাদের দেখেই বুজা যাচ্ছে তারা একে অপরের সাথে অনেক হেপ্পি আছে,,তাদের এই ছোট কিউট বাচ্চাটি যে তার প্রমাণ এতো কিউট ফ্যামিলি আছে তার আর সে এসেছে শুধু আবির আর তিথিকে মিলাতে শুধু মাত্র তার ফুফুর কথায়,,,,
চলবে,,,,,