বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 12
আবির বাই বলে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে যায়,,,,তিথি আবিরের এমন হাসি দেখে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,,,,আবিরের হাসিটা যেন তার বুকের মধ্যে এসে গেঁথে গেছে,,,,
আবির ড্রাইভ করছে র তিথির সাথে কাটানো সব মুহূর্ত গুলো মনে করছে,,তিথির সব বোকা বোকা কথা,,তার আজগুবি সব বকা,,তার সেই হাসি যা আবিরের কাছে সব চেয়ে সুন্দর লাগে,,,তিথি যখন হাসে তখন তার চোখ দুটো ছোট হয়ে যায়,,মুখ টা লাল হয়ে যায়,,,তার সে লাল মুখ খানি যেন আবিরের সব চেয়ে বেশি প্রিয়,,,তিথি যখন ভয় পেয়ে আমতা আমতা করে কথা বলে তখন তাকে সব চেয়ে বেশি সুন্দর লাগে আবিরের কাছে,,,,আবির এই সব ভাবছে র মুচকি হেসে ড্রাইভ করছে,,,আবিরের কাছে তিথির প্রত্যেক টা জিনিস সব চেয়ে বেশি কিউট লাগে,,,এমন কখন তার হয় নাই,,কোনো মেয়ের জন্য এমন ফিলিং হয় নাই,,,তিথির সব কিছু মনে করে আবিরের কাছে যেন সব চেয়ে বেশি ভালো লাগছে,,,হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠে,,আবির ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে নিয়া,,,গাড়িটা এক সাইট করে ফোনটা রিসিভ করে
আবিরঃ হ্যাঁ নিয়া বলো
নিয়াঃ হ্যালো বেবী তুমি কথায়,,জানো কত ফোন করলাম কালকে থেকে র তুমি একটা বার ও ফোন করো নাই,র না রিসিভ করেছো,,,,তার মধ্যে ফোনটা অফ রেখেছো,,জানো কতো টেনশন হচ্ছে আমার,,,
আবিরঃ নিয়া আমি এখন রাস্তায় পরে কথা বলি,,,
নিয়াঃ আবির আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি ডেম ইট😡😠
আবিরঃ আসলে একটু ব্যস্ত ছিলাম ,,,আচ্ছা পরে কথা বলছি ওকে বাই
এই বলে আবির ফোনটা কেটে দেয়,,,নিয়া তো সে পরিমাণে রেগে যায়,,রেগে হাতের ফোনটা আচার মারে,,,
আবিরঃ উফফ এই মেয়ে তো দেখি পুরো মাথা ব্যথা😨
আবির আবার ড্রাইভ করে বাসায় চলে যায়,,,
এই দিকে তিথি ঘরে এসে পাইচারি কাটছে সে কখন থেকে,,তার কিছু ভালো লাগছে না আবিরের বাসা থেকে আসার পর,,বার বার আবিরের কথা মনে পরছে,,আবিরের মায়ের কথা মনে পরছে,,, তিথির খুব ইচ্ছে করছে আবিরের মায়ের সাথে কথা বলতে কিন্তু নাম্বার তো সে আনে নাই,,,
তিথিঃ উফফ তিথি তুই আস্তা একটা গাঁধি,,,,নাম্বার টা আনতে পারলি না,,তোর মতো মেয়েকে তো তুলে তুলে আচার মারা উচিত,,বজ্জাত মাইয়া একটা কাজ ও ঠিক করে করতে পারিস না,,,বেকুব
তিথি নিজেকে নিজে বকা দিচ্ছে র পুরো ঘরে পাইচারি কাটছে,,,
আবিরের মা অনেক জোর করায় আমান আবিরের বাসায় থাকে,,আবিরের মা কিচেনে রান্না করতে চলে যায় তখন আমান ইচ্ছে করে বৃষ্টিকে বলে
আমানঃ বৃষ্টি ছাদে যাবে আসলে একা একা ভালো লাগছে না,,আবির ও আসছে না,,যদি ছাদে একটু ঘুরে আসি চলো যাই,,
বৃষ্টি ভয়ে ঢোক গিলতে থাকে,,,তার মায়ের সামনে তাকে ছাদে যেতে বলছে আসলে ছেলেটার মাথা পুরো গেছে,,,,
বৃষ্টিঃ (এই ছেলে কোন দিন আমাকে মাইর খাওয়ায় আল্লাহ জানে,,,উফফ ইচ্ছে করছে ঠান্ডা পানি ঢেলে দেই গায়ে) না না আমান ভাইয়া আপনি যান,,আমি আম্মুকে সাহায্য করছি,,(একটু চাপা হাসি দিয়ে)
আবিরের মাঃ তুই আমাকে সাহায্য করবি তোর মাথা ঠিক আছে?(বৃষ্টির কপালে হাত দিয়ে)
বৃষ্টি অনেক টা বিরক্তি নিয়ে বলে
বৃষ্টিঃ কিছু না করলে তো অনেক বলো,,
আবিরের মাঃ আমাকে সাহায্য করতে হবে না তোর,,আমানকে নিয়ে ছাদে যা,,,তুই কাজ কম করবি র বারাবি বেশি,,তার চেয়ে ভালো তুই ছাদে যা,,আমি কফি পাঠিয়ে দিচ্ছি তোদের জন্য,,,
আমানঃ আন্টি লাগবে না,,আসলে একটু আগে তো কফি খেয়েছি,,,
আমান র বৃষ্টি ছাদে চলে যায়,,আমান অগ্নি দৃষ্টিতে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে আছে,,ভয়ে তো বৃষ্টির অবস্থা খুবই খারাপ,,আমান দাঁতে দাঁত চেপে বলে
আমানঃ ইচ্ছে করে তুমি আসতে চাও নাই তাই না,,
বৃষ্টিঃ কি ব,,,,বলছেন কি,,আমি কে,,,ন এমন করবো,,
আমান বৃষ্টির অনেকটা কাছে চলে আসে,,,আমানের প্রত্যেকটা নিশ্বাস এসে বৃষ্টির মুখে পরছে,,,ভয়ে তো অবস্থা খারাপ তার মধ্যে আমানের গায়ের এই সুগন্ধ যা বৃষ্টিকে পাগল করে দেয়,,,,,আমান বৃষ্টির কোমড় চেপে ধরে নিজের দিকে টান দেয়,,,বৃষ্টিকে নিজের সাথে লেপটে ধরে,,র কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আমানঃ দুই বছর আমাদের রিলেশন র তুমি আজও ভয় পাও,,আজও সে প্রথম দিনের মতো আমার কাছ থেকে দূরে থাকতে চাও,,,আমাকে কি তুমি একটু ও ভালোবাসো না,,যদি না বাসো তাহলে আমি চলে যাই র কখনো তোমাকে ডিস্টার্ব করবো না,,,
আমান বৃষ্টিকে ছেড়ে চলে যেতে লাগে তখন বৃষ্টি আমানের হাত টা চেপে ধরে র নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়,,,বৃষ্টির চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে,,চোখের কোনায় পানি জমে আছে মুহূর্তে পরে যেতে পারে,,,আমান ঠিক বুজতে পারছে বৃষ্টির মনের অবস্থা তার পর ও কিছু বলে না আবার চলে যেতে লাগে বৃষ্টি আমানকে জড়িয়ে ধরে র কান্না করে দেয়,,,,,
বৃষ্টিঃ অনেক ভালোবাসি আমি আপনাকে😭😭পারবো না আমি আপনাকে ছাড়া থাকতে😭আমি ভয় পাই না আসলে আপনাকে দেখলে আমার হার্ট- বিট বেরে যায়,,কেন বুজেন না আপনি,,,আপনি খুব বাজে সব সময় আমাকে কান্না করান,,,(পিঠে কয়েকটা ঘুষি দিয়ে)
আমান একটু মুচকি হেসে বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে টাইট করে,,,আমান জানে বৃষ্টি তাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না,,একটু অন্য রকম মেয়েটা,,,সবার থেকে আলাদা হয়তো এই জন্য আমান তাকে সব চেয়ে বেশি ভালোবাসে,,,
তিথি বাচ্চাদের মতো চিপস খাচ্ছে র পুরো ঘরে ফেলছে,,,,টিভি অন করে মুটু পাতলু দেখছে র বাচ্চাদের মতো হাসছে,,,তার হাসির তো শেষ নাই,,,,রিতু তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসে র এসে পুরো ঘরের অবস্থা দেখে তো পুরো অবাক,,একটা মেয়ে এতো টা বাচ্চা কি ভাবে হতে পারে তা রিতুর জানা নাই,,,
রিতুঃ তিথিইইইইইই
রিতুর চিৎকার শুনে লাফিয়ে উঠে র হাত থেকে সব চিপস পরে যায়,,,রিতু তো রেগে পুরো আগুন,,,কিন্তু তিথি উল্টো রিতুর উপর রেগে যায়,,,
তিথিঃ বজ্জাত মাইয়া ষাড়ের মতো চিৎকার করিস কেন😠😡তোর জন্য আমার সব চিপস পরে গেছে,,,শাঁতচুন্নি কত থেকে কখনো তোর বিয়ে হবে না দেখিস😠
রিতুঃ কি বললি😡দাঁড়া( ব্যাগটা রেগে ঝাটা হাতে নিয়ে তিথিকে মারতে দুরাতে থাকে,,😂)
তিথি দুরাতে থাকে র রিতুকে বকা দিতে থাকে,,দুইজনে দুরাতে দুরাতে হাঁপিয়ে পরে,,,তিথি সোজা গিয়ে সোফায় শুয়ে পরে,,র রিতু ও তিথির পাশে,,,
তিথিঃ ও মা গোোো কি মোটা রে বাবা তুই রিতু উঠ বলছি শাঁতচুন্নি😡
রিতুঃ কুত্তি সব সময় আমাকে মোটা বলিস তুই তো আমার চেয়ে মোটা,,হারামি😡
তিথিঃ আচ্ছা ঠিক আছে যা,,কিন্তু প্লিজ উঠ এখন বাচ্চা মেয়ের জান নিবি😢কুছ তো রেমেহ কর ইয়ার,,,(অসহায় ভাবে)
রিতু উঠে যায় র তিথির দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে
।।রিতুঃ কালকে কই ছিলি?কতো কল দিলাম র তুই,,,,,
তিথি রিতুকে সব খুলে বলে,,, রিতু তো শুনে অবাক আবার অনেক খুশি ও যে আবিরের মা তিথিকে নিজের মেয়ের মতো খাইয়ে দিচ্ছে,, রিতু অনেক ক্ষন তিথির সাথে গল্প করে খাবার বানিয়ে খেতে বসে র তিথিকে বলে
রিতুঃ তিথি আজকে আমাকে বাড়িতে যেতে হবে,,আমার বড় ফুফু খুব অসুস্থ,,আমাকে দেখতে চায়,,আমি টিকেট কেটে ফেলছি,,,৭ টায় বাস,,,
তিথিঃ আজকে চলে যাবি😔আমি একা হয়ে যাবো রে
রিতুঃ আরে কতো বার তো একা ছিলি,,র আমি তো চলে আসবো ২-৩ দিনের মধ্যে,,,,ওকে
তিথি র কিছু বলে না,,চুপচাপ খেয়ে নেয়,,রিতুর খাওয়ার পর কাপড় গুছিয়ে নিয়ে,,চলে যেতে লাগে তখন তিথির কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বলে
রিতুঃ তাড়াতাড়ি চলে আসবো রে,,,প্লিজ মন খারাপ করিস না,,,আমার কলিজাটা যদি মন খারাপ করে তাহলে কি যেতে মন চাইবে বল( কাতুকুতু দিয়ে)
তিথি হেসে উঠে,,,রিতুকে জড়িয়ে ধরে বিদায় দেয়,,,রিতু চলে যাওয়ার পর দরজা ভালো করে লাগিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার সামনের রুমে এসে টিভি অন করে দিয়ে কাটুন দেখতে থাকে,,,
আবির বাসায় গিয়ে আমানের সাথে অনেক ক্ষন গল্প করে,,,আবিরের মা আবির র সবাইকে ডিনার করতে ডাকে,,সবাই এক সাথে ডিনার করে সোফায় বসে কথা বলছে তখন আমান আবিরের কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আমানঃ কি রে ভালোবেসে ফেলেছিস না তিথিকে?
আবির চোখ দুটো বড় বড় করে আমানের দিকে তাকায়,,,,আমান মুচকি মুচকি হাসছে র আবিরের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,, আবির আমানের পেটে একটা ঘুষি দিয়ে বলে
আবিরঃ তোর মাথাটা পুরো গেছে,,,শালা
আমানঃ ওই আমার বোন নাই ওকে😂😂
আবিরঃ আসলে তোর মাথা পুরো গেছে,,,,😂😂ডাক্তার দেখা,,,
আমানঃ আমার মাথা যায় নাই শালা তোর গেছে,,
আবিরঃ ওই তুই কথায় কথায় আমাকে শালা বলিস কেন?হারামি,,আমি বলে দোষ র তুই বললে ঠিক,,,,
আমানঃ(তোর বোন যদি আমার বউ হয় তাহলে তুই তো আমার এক মাত্র শালা হবি😂তাই শালা ডাকি) কেন ডাকতে পারি না বুজি,,র তুই যে আমাকে অনেক গুলো গালি দিস তখন।
আবিরঃ আচ্ছা হয়ছে,,,,
আবির অনেক ক্ষন আমানের সাথে দুষ্টামি করে নিজের রুমে চলে যায়,,র আমান নিজের বাসায় চলে যায় ,,,
আবিরের বিছানায় শুয়ে শুধু তিথির কথা গুলো ভাবছে, ঘুমানোর অনেক চেস্টা করছে কিন্তু ঘুম আসছে না, এই পাশ থেকে ওই পাশ,, কিছুইতে ঘুম আসছে না,,তিথির চেহারাটা দেখতে খুব ইচ্ছে করছে,,তিথির সে লজ্জামাখা চেহারা যা আবিরের মন কেড়ে নিয়েছে,, র না পেরে উঠে বসে র ফোনটা হাতে নিয়ে ভাবে কল দিবে কিন্তু তিথির নাম্বার তো তার কাছে না,,,খুব রাগ উঠছে নিজের উপর,,কেন তিথির নাম্বার টা নিলো না,,১১ টা বেজে গেছে আবির ভাবছে তিথির বাসায় যাবে কি যাবে না
আবিরঃ আচ্ছা যাই এক বার দেখে চলে আসবো এতে সমস্যা কথায়,,,
আবির গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পরে,,,
র এই দিকে তিথি পুরো ঘরের ১২টা বাজিয়ে ঘুম,,,,,আবির তিথির বাসার সামনে এসে ভাবে ভিতরে কি ভাবে যাবে,,চারপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই, পুরো রাস্তা ফাঁকা,,,কোয়াশায় অনেক কিছু দেখা ও যাচ্ছে না,,,,,এই রকম ঠান্ডায় ও আবির তিথিকে এক নজর দেখার জন্য চলে আসে,,,,,,,হয়তো এই টা ভালোবাসা,,,,আবির তিথির বারান্দা দিয়ে তিথির রুমে গিয়ে দেখে পুরো রুমের অবস্থা ১২ টা,,,র তিথি বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে,,,তিথির গালে চকলেট লেগে আছে,, আবিরের খুব হাসি পায়,,তিথিকে এমন দেখে
আবিরঃ এই মেয়ে তো বাচ্চাদের থেকে ও ছোট😂এই ভাবে কেউ চকলেট খায়😂আল্লাহ এই মেয়ের প্রেমে আমি কি ভাবে পরলাম,,,উফফ
আবির তিথির পাশে গিয়ে বসে,,তিথির দিকে অনেক ক্ষন যাবত তাকিয়ে থাকে,,যতো দেখছে আবির তো মুগ্ধ হচ্ছে,,,এতো মায়াবী চেহারা তিথির যে আবির মুগ্ধ নয়নে শুধু তাকিয়ে আছে,,,
আবিরঃ পুরো বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে,,,,পুরো ঘুমপরী,,,,
তিথি একটু নড়ে উঠে,,
আবির তিথির কপালে আলতো করে চুমু দিয়ে,,উঠে বসে,,,পাশের ছোট টেবিলে চোখ পরে সেখানে তিথির ফোনটা রাখা,,,,আবির তিথির ফোনটা নিয়ে দেখে কোনো লক নাই,,একটু হেসে নিজের নাম্বার টা সেভ করে ফোনটা জায়গায় মতো রেখে দেয়,,,,আবিরের খুব ইচ্ছে করছে তিথিকে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু যদি ধরে হয়তো তিথি তার পুরো মাথা খেয়ে ফেলবে,,,,
আবির তিথির মাথায় হাত বুলাতে থাকে,,কারো হাতের ছোঁয়া পেয়ে তিথি আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখে আবির,,,এক লাফে উঠে চিৎকার দেয়
তিথিঃ আ,,,পনি এখানে এতো রাতে😱
আবিরঃ শিসসস এতো জোরে চিৎকার করছো কেন,,,মানুষ কি না কি ভাববে,
তিথিঃ আ,,,পনি এখানে কি করছেন এখন?
আবিরঃ তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে তাই চলে আসলাম,,,,