অন্ধপ্রেম

অন্ধপ্রেম !! Part- 04

শীতল সাহস নিয়ে দরজা খুলে দিলো.দরজা খুলে দিয়েই সে চোখ বন্ধ করে ফেললো .শীতল ভেবেছে রাজ এসেছে.
_বউরানি কি হয়েছে ?? আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে
ভয় পেয়েছেন ।শীতল কথা লুকিয়ে বললো সে ভেবেছে চোর ডাকাত দরজায় কড়া নাড়ছিল ।লোকটা বললো ,,
আমি ময়মনসিংহের লোক.আমাদের বললো কলিজা বড় .চোর ডাকাতের সাহস নেই এই বাড়িতে ঢোকার .
.

 

 

 

_আপনার বাড়ি ময়মনসিংহে ??
_জি হ্যা
_আমার দাদুর বাড়িও ময়মনসিংহে .
_আমাদের রাজ বাবার বাড়িও ময়মনসিংহে। কাজ কর্মের জন্য আমরা ঢাকাতে পড়ে আছি .
_আপনি কত বছর যাবৎ এখানে আছেন ???
_তা প্রায় পচিশঁ বছর তো হবেই ।
আমিই তো রাজ বাবাকে মানুষ করেছি ।
আমি এই বাড়ির দেখাশোনার কাজে আছি ।রাজের বাবার চাচাতো ভাই আমি ।উনার অনুরোধে এখানে পড়ে আছি ।
রাজ বাবা আমাকে অনেক সম্মান করে আর ভালোবাসে .
.

 

 

 

_আপনার কোনো ছেলে মেয়ে নেই ??
বিয়ে করেননি আপনি ??
_না না বিয়ে করেছি ।
একা একা তো থাকা যায়না ।
আমার একটা মেয়ে আছে ।
_ওআচ্ছা ,তো মেয়ের নাম কি ??
কোথায় থাকে ??
মেয়ের নাম জিজ্ঞাস করার পর লোকটা একটু আবেগপ্রবন হয়ে গেলো
.
.
_আমার মেয়ের নাম কাজল .
ওর মায়ের নাম ছিলো সুরমা ।
মায়ের নামের সাথে মিলিয়ে নাম দিয়েছি কাজল .
মেয়ে আমার কলেজে পড়ে আর আমার সাথে এখানেই থাকে .
.
.
_ আপনার মেয়ে আমার সাথে দেখা করতে এলোনা কেনো ??
ভদ্রলোক একটু এড়িয়ে গেলো এই প্রসঙ্গটা .
_এসব কথা থাক বউরানি .

আপনাকে একদিন ময়মনসিংহের বাড়িতে নিয়ে যাবো ,,,
ময়মনসিংহের মুক্তোগাছার অমৃতি আর ছানার মন্ডা বাংলাদেশের মধ্যে বিখ্যাত .
একবার খেলে সারাজিবন মুখে লেগে থাকে ।
.
.
.
_আমি কখনো ময়মনসিংহে যায়নি ।
বাবার কাজের চাপে যাওয়া হয়ে উঠেনি ।
ওখানকার পাহার অনেক সুন্দর বিষেশ করে গাঢ় পাহার .
ভ্রক্ষপূত্র নদ দেখাররও ইচ্ছে আছে আমার .
.
_ঠিক আছে বউরানি আপনাকে একদিন নিয়ে যাবো ।
রাজ বাবার সাথে কথা বলে দেখবেন .
রাজ বাবা একটু রাগি ,জেদি কিন্তু মনটা অনেক ভালো .
আপনাকে অনেক ভালোবাসবে .
আপনিও তাকে দেখে রাখবেন .
.
ভদ্রলোক চলে গেলো .
শীতলের সাথে যা করে রাজ সেটাতো শীতল জানেনা .
রাজের মতো ধর্ষককে তো আর ভালোবাসা যায়না .
শীতল দরকার পড়লে কুকুরকে ভালোবাসবে তবুও রাজকে না .
.
.
.
_হঠাৎ শীতল কোমরে কারো ঠান্ডা স্পর্শ পেলো .
পিছনে তাকিয়ে দেখে রাজ শয়তানের মতো দাত বের করে হাসছে ।
_ছাড়ুন আমাকে ।
আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে ছোয়ার ।
আমার থেকে দূরে থাকুন ।
_আমি তোমাকে ছোব নাতো কে ছোবে ডিয়ার ??
রাজের শিকার কে কারো ছোয়ার অধিকার নেই .
_কেনো ?
আপনি আমাকে কিনে রেখেছেন ??
_ কিনেই তো রেখেছি আজকেইতো চিরদিনের জন্য তোমাকে আমার করে নিলাম ,,

 

 

 

শীতল রাজকে ছাড়িয়ে উঠে দাড়ালো ।
_আমি আপনাকে স্বামি হিসেবে মানিনা আর কখনো মানবোনা .
আপনার মতো জানোয়ারকে আমি শুধু ঘৃনা করি এর থেকে বেশি কিছু না .
.
.
.
_রাজ শীতলকে আবারও নিজের কাছে নিয়ে এলো ।
রাজ শীতলের কানে কানে বললো ,,,,
_আমিতো তোমাকে বউ হিসেবে মানি ।
এটাই আমার কাছে যথেষ্ট তোমার কাছে আসার ।
আমাকে তোমার ভালোবাসতে হবেনা ।
আমার শিকারকে কতে ভাবে নিজের করে নিতে হয় তা আমি জানি ডিয়ার .
.
.
শীতল দাতে দাত চেপে কথাগুলো শুনছে চোখ বন্ধ করে ।
_তোমার চুলের সুবাসটা তো সেই লেভেলের ।
তোমার গায়ের গন্ধটাও একদম পারফিউমের মতো .
শীতল রাজের পায়ে একটা মোচর দিলো পা দিয়ে .
সে ভেবেছে রাজ তাকে ছেড়ে দিবে বাট ছাড়লোনা বরং আরো জোরে চেপে ধরলো পেছন থেকে .
.
.
.
রাজ শীতলের কোমরে হাত বুলাতে বুলাতে বললো ,,
_তোমার মতো জিরো ফিগারের মেয়ে আমার সাথে পেড়ে উঠবেনা ।
সো বৃথা চেষ্টা করোনা দূরে যাওয়ার ।
এখন চলো খাবে ।খেয়েদেয়ে শক্তি অর্জন করো বিকোজ রোমান্স করতে গেলেতো তোমার হজম করতে হবেতো ডিয়ার ।
রাজ কথাগুলো বলেই শয়তানের মতো হাসি দিলো ।
.
.
.
_আমি কোনো ধর্ষকের টাকায় খাবার খাবোনা ।
এর থেকে না খেয়ে মরে যাবো .
_মরতে তোমাকে হবেই বাট সেটা আমার হাতে ।
তোমাকে আমি মারবো তিলে তিলে ।
আর বার বার আমাকে ধর্ষক বলবেনা খবরদার তাহলে আমার জগন্য রুপ ধারণ করতে হবে ।
এখন চলো আমার সাথে ।তা না হলে তোমার বাড়িতে ফোন করে বলবো তোমাকে কিভাবে বিয়ে করেছি .
শীতল আর কিছু বললোনা ।
রাজের সাথে নিচে গেলো শীতল ।
শীতল নিচে গিয়ে দেখলো ডাইনিংয়ে খাবার দেওয়া হয়েছে ।
বিশাল আয়োজন করা হয়েছে .
এতো কম সময়ে কিভাবে এতো আয়োজন করলো কে জানে .
.
.
.
শীতল একটা চেয়ার টেনে বসলো তখনি একটা মহিলা এলো .
মহিলাত দিকে শীতল তাকিয়ে অনুমান করলো চল্লিশের মতো বয়স হবে বাট এখনো ফেসে বডিতে তারন্যের ছোয়া আছে .
মহিলা খাবার সার্ভ করলো ,,
রাজ একের পর এক খাবার খেয়ে যাচ্ছে ,,
যেনো মনে হচ্ছে একটা খাদক ।
.
.
.
শীতল খাবার মুখে দিতেই মহিলার দিকে তাকালো ,
মহিলা হেসে বললো ,,,
_খাবারটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে তাইনা বউরানি ??
আমারা ময়মনসিংহের লোক.আমাদের হাতে জাদু আছে তাই সুন্দর সুন্দর রান্না করতে পারি ,,,
শীতলের আসলেই খাবার গুলো খেয়ে ভালো লাগছে .
তার মায়ের রান্নার কথা বেশ মনে পড়ছে .
বাবা মা ভাইয়ার কথা শীতলের হঠাৎ মনে পড়ছে .
সবাই নিশ্চই তাকেও মনে করছে .
শীতল বেশি খেতে পারলোনা বিকোজ টেবিলের নিচ দিয়ে রাজ শীতলের পায়ে খোচা দিচ্ছে আর জোরে জোরে চিমটি কাটছে .
.
.
.
শীতল রাজের দিকে তাকাতেই দেখে রাজ ভদ্রলোকের মতো চুপচাপ খাচ্ছে ..
শীতল একটা জিনিস খেয়াল করলো ,,তাদের সাথে রাজের চাচা উপর পাশে বসে খাচ্ছে বাট তার মেয়ে কাজল এখনো আসেনি খেতে .
কেউ একবারও কাজলের কথা বলছেওনা .
বিষয়টা গোন্ডগোল লাগছে শীতলের কাছে …
.
.
.
খাওয়া শেষে শীতল ডিসিংয়ের সামনে বসে নিজেকে দেখছে ,,,
রাজের দেওয়া আচর গুলো বেশ গাঢ় দাগ হয়ে রয়েছে .
আচমকায় রাজ এসে শীতলকে কোলে তুলে নিলো আর বেডের মাঝখানে ফেলে দিলো .
.
.
শীতল কিছু বোঝে উঠার আগেই রাজ শীতলের উপর উঠে খুব কাছে গিয়ে বললো ,,
_প্রতিশোধের আগুনে জ্বলার জন্য তৈরি হও ডিয়ার ,,
শীতল আপ্রান চেষ্টা করলো রাজের থেকে নিজেকে ছাড়াতে বাট পাড়লোনা .
.
হাজার হোক একটা ছেলের শক্তির কাছে একটা মেয়ে কখনোই পেড়ে
উঠবেনা .
শীতলের চোখ থেকে শুধু পানি পড়ছে যা কেউ দেখছেনা এমনকি রাজও না .
রাজ নিজের প্রতিশোধ নেওয়ার নেশায় আছে .
.
.
ভোরের দিকে রাজ ক্লান্ত হয়ে উপর হয়ে ঘুমাচ্ছে .
শীতল ব্যাথায় কাদছেঁ .
রাজের কোনো হোশ নেই তাতে .
শীতল বুঝতে পারছেনা কিসের প্রতিশোধ নিচ্ছে রাজ তার কাছে .
রাজের ছোয়ায় কোনো ভালোবাসা ছিলোনা শুধু প্রতিশোধের নেশা ছিলো ,,,
.
.
.
চলবে,,,,,💔💔💔