বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 11
আবির তিথির চুলের খোপাটা খুলে দেয়,,র চুল গুলো সব এসে আবিরের মুখে পরে,,,তিথির চুলের ঘ্রাণ যেন আবিরকে পুরো মাতাল করে দিচ্ছে,,,,আবির যেন র নিজের মধ্যে নাই,,এক অজানা দেশে চলে গেছে,,,,
তিথি তো ভয়ে তার চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলেছে,,,নিজের কাপড় খামচি দিয়ে ধরে আছে,,নিশ্বাস টা যেন তার ভারী হয়ে যাচ্ছে,,,আবিরের প্রত্যেকটা নিশ্বাস এসে তিথির ঘাড়ে পরছে,,,,তিথি তার জামা আরো শক্ত করে ধরে আছে,,,,,,,,আবির তো তিথির চুলের ঘ্রাণ নিতে এতো ব্যস্ত যে তার কিছু খেয়াল নাই যে সে কি করছে,,,আবিরের তিথির ঘাড়ে তার নাক দিয়ে একটা ঘষা দেয়,,,,,,আবিরের এমন ছোঁয়ায় যেন তিথি কোনো অন্য এক দেশে চলে যায়,,,,,
আবির মুখটা একটু তুলে তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি চোখ দুটো বন্ধ করে আছে,,,,তিথির এই চোখ বন্ধ দেখে যেন আবিরের নেশা আরো বারিয়ে দেয়,,,,আবির তিথির গালে দুই হাত রেখে আস্তে করে প্রথমে ডান গালে একটা চুমু দেয়,আবার বান গালে চুমু দেয় ,,আবিরের ছোঁয়ায় যেন তিথি পুরো কেঁপে উঠে,,,তার মনের মধ্যে যেন ভুমিকম্প হচ্ছে,,,,,আবিরের তিথির হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে হাত দুটো দিয়ে কি ভাবে জামা আকড়ে ধরে আছে,,,,,আবির তিথির হাতের মুঠো জামা থেকে ছাড়িয়ে নিজের হাত নেয় র শক্ত করে ধরে রেখেছে,,,,তারা দুইজন যেন এক অজানা দেশে চলে গেছে,,,,আবির তিথির গালে আবার একটা চুমু দেয়,,,,আবির তিথির গালে চুমু দিয়ে তিথি ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে দেখে তিথির গোলাপি ঠোঁট গুলো কাঁপছে,,,আবিরের তো পুরো লোভ লেগে যায় তিথির এই কাঁপা কাঁপা গোলাপি ঠোঁটে,,,,আবিরের খুব ইচ্ছে করছে তিথির এই ঠোঁট দুটোতে ছুঁয়ে দিতে,,,,,আবির তিথির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিশিতে যাবে ওই সময় শিলা চলে আসে,,,র বলে উঠে
শিলাঃ ভাইজান আমনারে খালাম্মা ডাকইছে,,,,,
শিলা এই বলে রুমে ঢুকে র আবির র তিথিকে এমন অবস্থা দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে,,,,
শিলাঃ সারি সারি আই দেখি নাই গো কিছু,,,🙈🙈
শিলার আওয়াজ পেয়ে আবির তাড়াতাড়ি সরে দাঁড়ায়,র দেখে শিলা চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে,,,,,,তিথি চোখ খুলে দেখে আবির অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে,,আবার দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে শিলা,,,,,তিথি নিজের ওড়না ঠিক করে র লজ্জা পায়,,,শিলা যে ভাবে চোখে হাত দিয়ে কথাটা বলছে তিথির তো ইচ্ছে করছে মাটিতে ঢুকে যেতে,, আবার মনে মনে আবিরের বকতে থাকে,,,,,আবির খুব বিরক্তি নিয়ে শিলাকে বলে
আবিরঃ (তোর র আসার সময় হলো না)যা আসছি
শিলা হাসতে হাসতে চলে যায়,,,,,তিথি আবিরের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যেতে লাগে তখন আবির তিথির হাতটা শক্ত করে ধরে নিজের দিকে টান দেয়,,,তিথি ব্যালেন্স হারিয়ে আবিরের বুকে এসে পরে,,তিথির চুল গুলো সব এসে আবিরের মুখে এসে পরে,,আবির তিথির চুল গুলো আস্তে করে সরিয়ে দেয়,,,,,,তিথি পুরো আবিরের সাথে মিশিয়ে যায়,,,,আবির তিথিকে ঘুরিয়ে নেয়,,আবিরের বুকের সাথে তিথির পিঠ লাগিয়ে দেয়,,,,,, তিথির কাঁধে নিজের থুতনি রেখে তিথিকে বলে
আবিরঃ মিস তিতা কি করেছো আমায়? কেন তোমার প্রতি এমন ফিল হয় আমার,,কেন বলবে?
তিথিঃ প্লি,,প্লিজ ছাড়ুন😳(কাঁপা কাঁপা গলায়)
আবিরঃ উফফ তোমার এই আমতা আমতা করে কথা বলা আই জাস্ট লাভ ইট,,,মিস তিতা কি আছে তোমার মাঝে যা আমাকে বার বার তোমার কাছে আরো টানে,,কেন তোমার প্রতি আমার এতো মায়া,,,
তিথি কখনো ভাবতে ও পারে নাই যে আবির এই রকম কিছু বলবে,,
তিথিঃ স্যার প্লিজ ছাড়ুন
আবিরঃ তিথি আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও
তিথি কি বলবে বুজতে পারছে না,,র না পেরে আবিরকে ধাক্কা দিয়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে বলে
তিথিঃ আপনার মাথা পুরো গেছে,,,বজ্জাত ছেলে
আবিরঃ কি বললে তুমি দাঁড়াও দেখাছি মজা,,
আবির তিথির দিকে এগোতে থাকে,,,তিথিকে র পায় কে দূরে চলে যেতে লাগে আবার আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ সময় থাকতে পাবনায় ভর্তি হয়ে যান।,,,,মিস্টার এনাকন্ডা বজ্জাত বস আপনি পুরো পাগল হয়ে গেছেন😡😠
আবিরঃ তাই আমি পাগল হয়েছি দাঁড়াও দেখাছি আমি পাগল হয়েছি নাকি হয়নি
এই বলে তিথির দিকে এগোতে থাকে,,তিথি দূরে চলে যায়,,,আবির তিথির যাওয়া দেখে হাসতে থাকে,,,
আবিরঃ পাগলী😂
এই দিকে,,,
আমান বৃষ্টির হাত চেপে ধরে নিজের দিকে টেনে বলে,,,,,
আমানঃ র যদি ভুল করো না বৃষ্টি তাহলে তোমার কপালে অনেক দুঃখ আছে,,,বলে দিলাম,,,তুমি জানো আমি তোমায় কতো টা ভালোবাসি তাহলে কেন আমাকে এতো কষ্ট দাও,,,,,
বৃষ্টিঃ সরি,, আমার হাতে লাগছে প্লিজ ছাড়ুন আমান ভাইয়া😭😭
আমানঃ আবার ভাইয়া😠😡এই মেয়ে তোমায় এক কথা কয় বার বুজাতে হয়😡একটা কষে থাপ্পড় মারলে মন হয় সব মনে থাকবে,,,
বৃষ্টির হাত ছেড়ে দিয়ে,,,,বৃষ্টি একটু সরে দাঁড়ায়
আমানঃ বুজেছি তোমাকে কি ভাবে বুজাতে হবে (ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে)
বৃষ্টির র বুজতে বাকি রইলো না আমান কি বলতে চাচ্ছে,,,ভয়ে তো অবস্থা পুরো খারাপ,, তার বাড়িতে তার সাথে আমান এমন ভাবে কথা বলছে বৃষ্টির তো ইচ্ছে করছে নিজের গালে নিজে থাপ্পড় দিতে যে কেন আমানের সাথে প্রেম করে,,আমান বৃষ্টির দিকে এগোতে থাকে,,,,বৃষ্টি তো ভয়ে পিছনে যাচ্ছে,,,তিথি রেগে দূরে আসে বৃষ্টির সাথে ধাক্কা খায়,,,তিথি ধাক্কা খেয়ে নিচে পরে যায় র দেয় এক চিৎকার
তুথিঃ ও মা গোাাাাাাাাাা আমার কোমড় গেছে😭
বৃষ্টি তিথিকে দেখে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে,,,,
তাড়াতাড়ি গিয়ে তিথিকে তুলে,,,
বৃষ্টিঃ সরি আপুইইইই
তিথি উঠে বৃষ্টির দিকে এক বার তাকায় আবার আমানের দিকে,,,আমান তো মুখ চেপে হাসছে ,,,,আমানে এই ভাবে হাসছে দেখে তিথি পরিবেশ টা ঠিক করার জন্য বৃষ্টিকে বলে
তিথিঃ আরে বৃষ্টি তুমি ওতো ঘেমে গেছো যে এতো শীত এর মধ্যে
বৃষ্টিঃ কি ব,,,লছো আপু,,,এ,,,মন কিছু না,,(আমানের দিকে তাকিয়ে)
আমান বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বলে
আমানঃ হ্যাঁ বৃষ্টি তুমি তো পুরো ঘেমে গেছো,,কি বেপার,,,,😂
বৃষ্টির খুব রাগ উঠে আমানের উপর,,,কিন্তু কিছু বলতে ও পারছে না,,,,
আমানঃ বৃষ্টি একটা কপি নিয়ে আসো তো,,,
বৃষ্টি রাগী লুকে আমানের দিকে তাকিয়ে শিলাকে বলে
বৃষ্টিঃ শিলা একটা কপি নিয়ে আয় তো
আমানঃ বৃষ্টি কথাটা তোমাকে বলেছি,,,তুমি নিজের হাতে বানিয়ে নিয়ে আসো,,,ওকে
বৃষ্টি অনেকটা বিরক্তি নিয়ে চলে যায় কিচেনে,,,তিথি অনেকটা অবাক হয়,,,,তিথি ও বৃষ্টির পিছনে পিছনে যায়,,আবির তার মায়ের সাথে কথা বলে ড্রইংরুমে এসে তিথিকে খুঁজতে থাকে,,আমান আবিরের কাঁধে হাত রেখে বলে
আমানঃ ভাই তুই যাকে খুঁজছিস সে কিচেনে গেছে বৃষ্টির সাথে,,😂
আবিরঃ আ,,,মি কেন তিথিকে খুঁজবো আজিব
আমানঃ আমি তো তিথির নাম নেই নাই,,,,ভাই তুই পুরো গেছিস😂😂
আবিরঃ তোর মাথা,,,,
আমানঃ আমার মাথা না ভাই,,,ইউ আর লাভ
আবিরঃ মানে?
আমানঃ তুই তিথিকে লাভ করে ফেলেছিস😂😂র তাও অনেক
আবির চিন্তায় পড়ে যায়,,সত্যি কি সে তিথিকে ভালোবেসে ফেলেছে,,,সত্যি তো তিথি যখনই তার কাছে তাকে তার খুব ভালো লাগে,,,আবির অনেক ক্ষন চিন্তার পর এই টা ভাবে যে তার আগে সিউর হতে হবে যে সে সত্যি তাকে ভালোবেসে ফেলেছে,,,আমান একটু মুচকি হেসে আবিরকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে
আমানঃ ভাই র কতো ভাববি😂😂
আবির আমানের পেটে একটা ঘুষি দিয়ে বলে
আবিরঃ শালা আজ পর্যন্ত নিজের গফের সাথে দেখা করাস নাই,,,আবার আমার পিছনে পরে আছিস,,,,,,
আমানঃ জেনে যাবি সময় হোক,,,
আবিরঃ র কতো সময় রে ভাই,,,
তারা দুইজন একে অপরের সাথে মারামারি শুরু করে দেয়,,,,
এই দিকে,,,
বৃষ্টি কপি বানাছে,,,,,র তিথি দেখে আছে,,,,,বৃষ্টিকে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে,,,,
তিথিঃ একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
বৃষ্টিঃ বলো আপু,,,,
তিথিঃ আমান ভাইয়া কি তোমায় ভালোবাসে?
বৃষ্টি তিথির কথাটা শুনে পুরো শকড হয়ে যায়,,অনেকটা ভয়ে ভয়ে বলে
বৃষ্টিঃ তু,,,,মি কি বলছো,,এই রকম কিছু না
তিথিঃ ওহ
তিথি ইচ্ছে করে আর কিছু জিজ্ঞেস করে নাই,,,কারণ কারো ব্যক্তিগত কিছু জিজ্ঞেস করা হয়তো তার উচিত হয় নাই তাই র কিছু না বলে চুপ করে আছে,,,বৃষ্টি তাড়াতাড়ি কপিটা বানিয়ে বলে
বৃষ্টিঃ আপু চলো
তিথি র বৃষ্টি কপি নিয়ে ড্রইংরুমে এসে দেখে আবির র আমান একে উপরে সাথে কেমন ভাবে যেন মার পিঠ করছে,,,তিথির খুব হাসি পাচ্ছে তাদের কান্ড দেখে র না পেরে হেসে দেয়,,,তিথির হাসির আওয়াজ পেয়ে আবির র আমান তিথির দিকে তাকায়,,,আবির তো তিথির দিকে তাকিয়ে পুরো মুগ্ধ হয়ে যায়,,তিথি যে বাচ্চাদের মতো হাসছে,,,,আবির বুকের বাম পাশে হাত রেখে বলে
আবিরঃ (উফফ এই মেয়ের হাসি কেন এতো মায়াবী,,,কেন এতো ভালো লাগে তার হাসি,,,সত্যি কি আমি তাকে,,,,,,,,, )
আমানঃ এহেম এহেম
আমানের এমন কাশি শুনে আবির আমানের দিকে তাকায়,,আমান একটা চোখ মেরে বলে
আমানঃ আমি কিন্তু ঠিক ছিলাম😂
তিথি হাসি থামিয়ে আমানকে বলে
তিথিঃ আরে ভাইয়া আপনি কি নিয়ে ঠিক ছিলেন?
আমানঃ 😂😂কিছু না
আবিরের মা এসে তাদের হাসি দেখে বলে
আবিরের মাঃ কি বেপার তোমরা এতো হাসছো কেন?
আমানঃ কিছু না আন্টি,,,,আবার অনেক কিছু ও😂😂
আবিরের মাঃ মানে?
আবিরঃ কিছু না আম্মু(আমানের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে)
আমান হাসতে হাসতে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে যে কিছু না,,,
আবিরের মাঃ ওহ আচ্ছা,,,আচ্ছা বসো তোমরা(বৃষ্টি র তিথিকে উদ্দেশ্য করে)
সবাই এক সাথে কপি খেতে থাকে,,র অনেক কথা বলে,,,,,আবির তো শুধু তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,এই বেপারটা আবিরের মা খেয়াল করছে র মুচকি মুচকি হেসে আবিরের মা আবিরের হাতে হাত রেখে বলে
আবিরের মাঃ আবির
আবিরঃ হুম
আবিরের মাঃ তোর কপি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে😂😂
আবিরের মায়ের এমন কথা শুনে আবির একটু চাপা হাসি দিয়ে কপিতে চুমুক দেয়,,,,,,,,তিথি কপি শেষ করে বলে
তিথিঃ আন্টি আমার এখন যাওয়া লাগবে,,,
আবিরের মাঃ সেকি এখন চলে যাবে?
তিথিঃ জ্বি আন্টি এখন যেতে হবে,,,প্লিজ আন্টি আমাকে বাঁধা দিবেন না,,
আবিরের মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে যাও,,,কিন্তু আবার আস্তে হবে কিন্তু
তিথি একটু মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,,,,
আমানঃ আরে আবির তিথিকে দিয়ে আয়,,,যা ভাই(নটি একটা হাসি দিয়ে)
আবির আমানের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে থাকে,,
আবিরের মাঃ হ্যাঁ আবির যা,,,
তিথিঃ না না আন্টি আমি একা যেতে পারবো,,,,
আবিরঃ(এই মেয়েটাকে ইচ্ছে করছে তুলে আচার মারি আমি সাথে গেলে মনে হয় ওকে খেয়ে ফেলবো )
আবিরের মাঃ তিথি আমি যা বলেছি তাই হবে,,আবির যা ওকে দিয়ে আয়
আবির উঠে গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে যায়,,তিথি সবাইকে জড়িয়ে ধরে বিদায় নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখে আবির গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সানগ্লাস চোখে দিয়ে,,,তিথি তো পুরো মুগ্ধ নয়নে আবিরকে দেখছে,,,,আবির তিথিকে দেখে তিথির সামনে এসে চুটকি বাজিয়ে বলে
আবিরঃ এই যে মিস তিতা এই ভাবে না তাকিয়ে গাড়িতে উঠে বসো,,,,
আবির গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে,,তিথি পিছনের সিটে গিয়ে বসে তা দেখে আবির রাগী লুকে তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ মিস তিতা😡আমি কি তোমার ড্রাইভার যে পিছনে বসছো😡সামনে এসে বসো(ধমকের সুরে)
তিথি ভয়ে তাড়াতাড়ি সামনে এসে বসে যে ভাবে আবির ধমক দিলো😂আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে ভয়ে কেমন ভাবে যেন চুমসে বসে আছে,,,,আবিরের খুব হাসি পাচ্ছে তিথির এমন চেহারা দেখে,,,আবির র না পেরে খিটখিটে হেসে দেয়,,আবিরের এমন হাসি দেখে তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে ভাবে
তিথিঃ (আরে এই বজ্জাত টার মাথা কি পুরো গেছে এই মাত্র রাগ দেখালো র এখন পাগলের মতো হাসছে)
আবির তিথিকে ঝাকুনি দিয়ে বলে
আবিরঃ তুমি পুরো বাচ্চা😂😂
তিথিঃ কি বললেন?
আবিরঃ কিছু না,,(ড্রাইভ করতে করতে)
তিথি বাহিরে তাকিয়ে আছে র আবির ড্রাইভ করছে তাদের মধ্যে র কোনো কথা হয় নাই,,,,অনেক ক্ষন পর তিথির বাসার সামনে এসে পরে,,তিথি গাড়ি থেকে নেমে চলে যেতে লাগে তখন আবির পিছন থেকে ডেকে বলে
আবিরঃ মিস তিতা এক বার বাসায় ও আসতে বলছো না এক কাপ কপির জন্য,,, কেমন কিপটা মেয়ে তুমি রে বাবা
তিথিঃ আমি কিপটা😡( তোকে র আমি এখন কপি তো দূরের কথা বাসায় ও নিয়ে যাবো না বজ্জাত 😠)
আবিরঃ তো নয়তো কি?একটা কপির জন্য ও ডাকছো না,,,
তিথিঃ আমাদের বাসায় কপি নাই ,,
আবিরঃ চা পাতা তো আছে? চা তো খেতে পারি,,,,
তিথিঃ চা পাতা আছে কিন্তু চিনি নাই,,,
আবিরঃ ওহ আচ্ছা,,,তো এক গ্লাস পানি ও কি নাই??
তিথিঃ আমি তো বলতে ভুলে গেছি যে আমাদের বাসায় পানি ও নাই,,,পানিওয়ালা মনে হয় পানি দিয়ে যায় নাই,,অন্য এক দিন না হয় আপনার জন্য কপি নিয়ে আসবো স্যাররর
তিথির কথা শুনে আবিরের খুব হাসি পাচ্ছে,,,,
আবিরঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,বাই
আবির বাই বলে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে যায়,,,,তিথি আবিরের এমন হাসি দেখে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,,,,আবিরের হাসিটা যেন তার বুকের মধ্যে এসে গেঁথে গেছে,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,