বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

জ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 13

আবিরঃ শিসসস এতো জোরে চিৎকার করছো কেন,,,মানুষ কি না কি ভাববে,
তিথিঃ আ,,,পনি এখানে কি করছেন এখন?
আবিরঃ তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে তাই চলে আসলাম,,,,
তিথিঃ তাই বলে এতো রাতে?
আবিরঃ হুম,,,
তিথি উঠে যেতে লাগে আবির তিথির হাত ধরে নিজের দিকে টান দেয়,,,,তিথি এসে আবিরের বুকে পরে,,আবিরের প্রত্যেকটা হার্ট-বিট যেন তিথি গনতে পারছে,,আবিরের খুব ভালো লাগছে তিথি তার বুকের কাছে আছে,,আবিরের খুব ইচ্ছে করছে তিথিকে নিজের বুকের মাঝে সারাজীবনের জন্য গেঁথে রাখতে,,,,,আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে র তিথির চুলের ঘ্রাণ নিতে ব্যস্ত হয়ে পরে,,,,তিথি তো আবিরের বুকে মুখ গুজে আছে,,,তার একটু ও ইচ্ছে করছে না আবিরের বুক থেকে উঠতে,,,,আবিরের বুকে এক অজানা শান্তি পাচ্ছে যা তিথি হারাতে চাচ্ছে না,,,,,,আবির তিথির ঘাড়ে নাক দিয়ে ঘষা দিয়ে তিথির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে
আবিরঃ তিথি
তিথি তো পুরো পাগল হয়ে যাচ্ছে আবিরের এমন ছোঁয়াতে র এমন নেশা যুক্ত কথাতে,,আজকে যদি আবিরের জায়গায় অন্য ছেলে থাকতো তাহলে হয়তো তিথি তাকে কাঁচা গিলে খেতো😂
আবিরঃ এই তিথি আমার কথা শুনছো?(তিথির চুলের ঘ্রাণ নিতে নিতে তিথির কানের কাছে বলে উঠে)
তিথিঃ হুম(আবিরের প্রত্যেক ছোঁয়ায় তিথি পুরো কেঁপে ওঠে)
আবিরঃ তোমার মাঝে কি আছে এমন যে আমি তোমায় ছাড়া তেমন কিছুই ভাবতে পারি না,,,এই তিতা বলো না,,,,তুমি এতো মায়াবী কেন?কেন আমি বার বার তোমার থেকে দূরে থাকতে চাইলে ও পারি না,,,
আবিরের প্রত্যেক কথা যেন তিথির খুব ভালো লাগছে,,,তিথির তো খুব ইচ্ছে করছে নাচতে এই টা জেনে যে আবিরের মনে তার জন্য কিছু আছে,,,,,
তিথিঃ(তার মানে এই এনাকন্ডাটা আমাকে ভালো,,,,,না না কি ভাবছি আমি এই সব,,,,আচ্ছা যদি সত্যি হয়ে যায়,,তাহলে তো উফফ আমার তো এখন নাগিন ডান্স করতে ইচ্ছে করছে,,😝)
আবির তিথির মাথা তুলে তিথির দুই গালে তার দুই হাত রেখে তিথির চোখে চোখ রেখে বলে
আবিরঃ তিথি আমি তোমাকে খুব মিস করছিলাম তাই চলে এসেছি,,,,,জানো তোমার মুখটা এক বার দেখার জন্য ছুটে এসেছি,,,,এই সব কিছু যদি তোমার কাছে পাগলামি লাগে তাহলে হ্যাঁ আমি পাগল হয়ে গেছি শুধু তোমাকে দেখার জন্য,,,হ্যাঁ আমি তোমায়,,,,,,,,,,
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে আবিরের মা ফোন করেছে,,,,আবির তিথিকে ছেড়ে ফোনটা রিসিভ করে
আবিরঃ হ্যাঁ আম্মু বলো
আবিরের মাঃ কি রে কই তুই এতো রাতে কথায় গেছিস??
আবিরঃ আ,,,,আম্মু আমি একটু বাহিরে এসেছি,,চলে আসবো একটু পর
আবিরের মাঃ তা তো আমি দেখতে পাচ্ছি যে তুই বাসায় নাই,,,আচ্ছা এখন কথায় তুই?
আবিরঃ আ,,,,আমি,,,আমি আসলে একটা ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে এসেছি,,,
আবিরের মাঃ এতো রাতে৷ আচ্ছা যাই হোক তাড়াতাড়ি আয়,,�
আবিরঃ ওকে আম্মু
তিথি দাঁড়িয়ে আবিরের কথা গুলো শুনছে কিন্তু কিছু বুজতে পারছে না,,,
আবির ফোনটা কেটে পকেটে রেখে দেয়,,র তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি তার দিকে কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে আছে,,,আবির একটু মুচকি হেসে বলে
আবিরঃ এই যে ম্যাডাম এই ভাবে কি দেখছো?
তিথিঃ কিছু না,,,

তিথির তাকিয়ে আবির হেসে দেয়,,তিথি চেহারাটা পুরো বাচ্চাদের মতো করে রেখেছে,,পুরো মুখে চকলেট,,,
তিথিঃ আপনি হাসছেন কেন?
আবিরঃ তোমার চেহারা পুরো😂😂😂😝😝😝বাচ্চাদের মতো করে রেখেছো😂😂উফফ তিথি তুমি তো বাচ্চাদের থেকে ও ছোট,,,
তিথি আবিরের কথা কিছু বুজতে পারছে না,,,তিথি ভ্রু কুচকে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,আবির বুজতে পারছে তিথি কিছু বুজে নাই তাই আবির তিথির সামনে এসে তিথিকে ঘুরিয়ে আয়নার সামনে দাঁড় করায়,,,তিথি আয়নায় নিজের চেহারা দেখে দেয় এক চিৎকার,,,
তিথিঃ আম্মুউউউউউউ এই পেত্নীটা কে😱😱😨😱😨
আবির তো তিথির কান্ড দেখে হাসতে হাসতে শেষ,,,,,তিথিকে ছেড়ে দিয়ে বিছানায় বসে পরে হাসতে হাসতে,,,,তিথি নিজেকে দেখে এক তো পুরো শকড তার মধ্যে আবির এমন ভাবে হাসছে তা দেখে তিথির মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যায় র না পেরে পাশে রাখা বালিশ নিয়ে আবিরকে ছুঁড়ে মারে,,,আবির তো আরো জোরে হেসে দেয়,,,,তিথি আবিরকে বালিশ দিয়ে ইচ্ছে মতো মারে,,😂😂😂আবির তো তিথির কান্ডতে আরো হাসছে র তিথির খুব রাগ লাগছে আবিরের উপর এই ভাবে হাসার জন্য,,,,তিথি র না পেরে আবিরের মুখ চেপে ধরে র রাগী কন্ঠে বলে
তিথিঃ একদম চুপ😡হাসলে মাথা পুরো পাঠিয়ে দেবো😡😠বজ্জাত ছেলে
আবির তো তিথির এমন কান্ডতে আরো অবাক,,,আবির তিথির দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে,,,,তিথি তো অনেক কথা বলে যাচ্ছে কিন্তু আবির কোনো কিছুইতে কান দিচ্ছে না শুধু তিথিকে দেখছে,,,তিথিকে এতো কাছে পেয়ে আবিরের কি যে ভালো লাগছে তা আবির বলে বুজাতে পারছে না,,,
তিথিঃ এই যে মিস্টার আমি কি গান গাইতেছি যে এই ভাবে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছেন😡😠
আবিরঃ হুম
তিথিঃ কি??আপনার মাথা পুরো খারাপ হয়ে গেছে,,,ধুর
তিথি উঠে যেতে লাগে আবির তিথিকে নিজের দিকে টান দেয়,,,,
আবিরঃ এই মিস তিতা কই যাও,,,র একটু এই ভাবে থাক প্লিজ,,,
তিথিঃ আপনার মাথা আসলে গেছে উফফ(অনেক টা বিরক্তি নিয়ে)
তিথি উঠে যেতে লাগে আবির তিথিকে আরো চেপে ধরে,,র কানের কাছে গিয়ে বলে
আবিরঃ তুমি আসলে অনেক বকবক করো,,মিস নীল তিতা😂😂
তিথি এই বার আরো রেগে যায়,,র রেগে আবিরকে ধাক্কা দিয়ে উঠে কোমড়ে দুই হাত রেখে বলে
তিথিঃ দেখুন মাথা একদম খারাপ করবেন না বলে দিচ্ছি😡
আবিরঃ আচ্ছা তাই আমি তোমার মাথা খারাপ করছি?(তিথির দিকে এগোতে এগোতে)
তিথি পিছিয়ে যাচ্ছে র আবির তিথির সামনে,,,,তিথি যেতে যেতে দেওয়ালের সাথে লেগে পরে,,আবির দেওয়ালে দুই হাত রাখে র দুই হাতের মাঝে তিথি,,,,তিথি তো ভয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে পেলে,,,আবির তিথি দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মুখে একটা ফুঁ দিয়ে বলে
আবিরঃ গুড নাইট,,ভালো থাকো,,র হ্যাঁ তাড়াতাড়ি অফিসে চলে এসো,,,
এই বলে আবির চলে যেতে লাগে আবির তিথির কাছে এসে তিথি গালে দুই হাত রেখে তিথির কপালে ভালোবাসার একটু পরশ দিয়ে দেয়,,,,তিথি তো আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,আবির তিথির কপালে নিজের কপাল রেখে কিছু ক্ষন থাকে,,,আবার তিথির গালে একটু টেনে চলে যায়,,,আবিরের যাওয়া তিথি তাকিয়ে আছে,,,,সত্যি কি আবির তাকে ভালোবাসে তা ভেবে অজান্তে চোখ বেয়ে পানি পরে যায়,,,
তিথিঃ সত্যি কি উনি আমায় ভালো,,,,,,না না এই টা কি ভাবে সম্ভব,,,এক মিনিট তিথি যদি উনি ভালো না বাসতো তাহলে কি এতো রাতে আমাকে এক বার দেখার জন্য ছুটে আসতো,,,হ্যাঁ উনি আমাকে ভালোবাসে,,,,,উয়াহুউউউউউউউউউ উনি আমায় লাভ করে,,,,
তিথি খুশিতে নিজে নিজে নাচতে থাকে,,,,,তিথির যে কি আনন্দ লাগছে তা সে বলে বুজাতে পারছে না,,তাই ডান্স শুরু করে দেয়,,,,,,
সকালে,,,তিথি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে তার প্রিয় ড্রেসটি পরে নেয়,,,,কালো ড্রেস লাল ওড়না,,,,ঘাড়ো করে কাজল,,হালকা সেজেছে,,,,চুল গুলো ছাড়ানো,,,,আজকে তিথি শুধু আবিরের জন্য সেজেছে,,,মনের খুশিতে তার নাচতে ইচ্ছে করছে,,,তিথি তাড়াতাড়ি অফিসে চলে যায় র চারপাশে আবিরকে খুঁজতে থাকে,,,,কিন্তু আবিরকে কথায় ও দেখে নাই,,,নিজের টেবিলে কাজ করছে র বার বার উঁকি মেরে দেখছে আবির আসছে কি না,,,,,,,রাফি তিথিকে দেখে নিজের চোখ সরাতে পারছে না,,,,,তিথিকে পুরো পরী লাগছে,,,,
রাফিঃ তিথি তুমি আজকে এতো সেজেছো যে?জানো তোমায় খুব সুন্দর লাগছে😍😍
তিথিঃ ধন্যবাদ রাফি(একটু মুচকি হেসে)
রাফিঃ তিথি আমার ইচ্ছে করছে তোমাকে এখন বিয়ে করতে,,চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি,,,,
তিথিঃ মাথাটা পুরো গেছে তোমার রাফি,,কিন্তু আমার যায়নি তাই আমি তোমায় বিয়ে ও করছি না,,,সো যেতে পারো,,,,😂😂
রাফি তিথির সাথে অনেক কথা বলছে র তিথি হেসে হেসে উত্তর দিচ্ছে,,,,তিথি তো রাফির কথায় হাসতে হাসতে শেষ,,,,,আবির অফিসে দেরি করে আসে,,,,,নিজের কেবিনে যেতে লাগে তখন তিথির টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি রাফির সাথে হেসে হেসে কথা বলছে,,,আবিরের খুব রাগ লাগছে তিথি এই ভাবে হেসে কথা বলছে তাও রাফির সাথে
আবিরঃ আজ পর্যন্ত আমার সাথে একটু হেসে কথা বলে নাই র রাফির সাথে এতো হেসে কথা বলছে দাঁড়াও দেখাছি তোমার হেসে হেসে কথা বলা😡😠
আবির রেগে তিথির টেবিলের সামনে যায় র রেগে রাফিকে বলে
আবিরঃ মিস্টার রাফি আপনি কাজ না করে এখানে কি?
রাফিঃ স্যার আসলে আমি..
আবিরঃ নিজের কাজে যান,,,র মিস তিথি আমার কেবিনে আসুন এখন,,,,
আবির রেগে চলে যায়,,তিথির খুব রাগ লাগছে যে আবির তার দিকে একটু ভালো করে তাকায় ও নাই,,,,তিথি রেগে আবিরের কেবিনে যায়,,,,দরজায় টুকা দিতে দরজা খুলে যায়,,ভিতরে যেতে না যেতে আবির তিথিকে টান দেয় হাতটা অনেক চেপে ধরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে র দাঁতে দাঁত চেপে বলে
আবিরঃ অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না😠😡😡😡
তিথিঃ স্যার লাগছে প্লিজ ছাড়ুন(আবির এতো জোরে তিথির হাতটা চেপে ধরেছে যে তিথির চোখের কোণায় পানি জমে গেছে মুহূর্তে পরে যাবে এমন অবস্থা)
আবির তিথির চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে চোখের পানি যে কোনো মুহূর্তে পরে যেতে পারে,,,,,আবির একটা বড় নিশ্বাস নিয়ে তিথিকে ছেড়ে দেয়,,,তিথির চোখ বেয়ে জমে থাকা পানি টুকু পরে যায়,,,,,,আবির তিথির গালে দুই হাত রেখে তিথির গালের সাথে নিজের গাল ঘষা দেয়,,,তিথির চোখে চুমু দেয়,,,,,,তিথি তো আবিরের প্রত্যেক স্পর্শে কেঁপে উঠে,,,তিথি আবিরের শার্ট আকড়ে ধরে শক্ত করে,,,,আবির তিথির গালে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ তুমি অন্য কারো সাথে হেসে কথা বলো তা আমার একদম পছন্দ না,তোমার যা ইচ্ছে হয় আমার সাথে করবে অন্য কারো সাথে না,,,,,,র যেন না দেখি,,ওকে
তিথি তো লজ্জায় মাথা তুলতে পারছে না,,,,,,শুধু মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,,তিথির লজ্জামাখা চেহারা যে আবিরের খুব পছন্দ,,,,আবির তিথির কানের কাছে মুখ এনে বলে

আবিরঃ তুমি যখন এই ভাবে লজ্জা পাও না তখন ইচ্ছে করে তোমাকে,,,,,,,,,,,
তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,তিথি আরো লজ্জা পায়,,,,,,লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে,,,,,
আবির তিথির গালে দুই হাত রেখে তিথির মুখটা নিজের দিকে নিয়ে আসে,,,,,তিথি তো লজ্জায় চোখ দুটো বন্ধ করে রেখেছে,,ভয়ে তার ঠোঁট দুটো কাঁপছে,,,আবিরের খুব ইচ্ছে করছে তিথির এই কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে ডুব দিতে,,,,,,আবির তিথির ঠোঁটের দিকে এগোতে থাকে,,,,তখন দরজায় টুকা পরে,,,,,,আবির তিথিকে ছেড়ে নিজের চেয়ারে বসে,,,,,তিথি এখনও আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে,,,,লজ্জায় আবিরের দিকে তাকাতে ও পারছে না,,,,
রাফি ভিতরে এসে আবিরকে কিছু ফাইল দেয়,,,,রাফি খেয়াল করে তিথি এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে,,র কেমন ভাবে যেন চুপ করে আছে,,,,,,,রাফি কিছু বলতে যাবে তিথিকে তখন আবির বলে
আবিরঃ মিস তিথি আপনাকে যে কাজ দিয়েছি তা করেন,,,,র হ্যাঁ একটা কফি পাঠিয়ে দেন,,,
তিথি তাড়াতাড়ি নিজের টেবিলে চলে যায়,,র বুকে হাত রেখে নিশ্বাস নিতে থাকে,,,,,তিথির কাছে এই মুহূর্ত গুলো বেস্ট ছিলো,,,,,
সারাদিন কেটে যায়,,আবির র তিথির একটু ও দেখা হয় নাই,,,,একটা মিটিং থাকায় আবির চলে যায়,,,তিথি নিজের কাজ শেষ করে চলে যেতে লাগে তখন রাফি এসে তিথিকে বলে
রাফিঃ তিথি চলো আমি তোমায় দিয়ে আসি
তিথিঃ ( একটু হেসে কথা বলেছি তাই বজ্জাতটা আমার হাত এতো জোরে চেপে ধরেছে যদি এখন রাফির সাথে যাই তাহলে তো আমাকে আস্তা গিলে খাবে😨)না না রাফি আমি চলে যেতে পারবো র আমার একটা কাজ আছে,,,তুমি চলে যাও,,,
রাফিঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,,আচ্ছা তিথি কালকে তো নিউ ইয়ার,,,চলো না কোথায় ঘুরতে যাই,,,,
তিথিঃ রাফি কালকে অফিস আছে,,,,,র কালকে একটা মিটিং ও আছে,,,সো সরি,,,আচ্ছা আসি আমার দেরি হচ্ছে,বাই
তিথি চলে যায়,,,,রাতে খেয়ে তিথি বিছানায় শুয়ে শুয়ে আবিরের সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো মনে করে করে নিজে নিজে ব্লাশিং হচ্ছে,,,,র কখন যে ঘুমিয়ে গেছে,,,,,
রাত ঠিক ১১ঃ৩০ এ আবির তিথিকে কল এর উপর কল দিচ্ছে কিন্তু তিথি ফোন ধরার নামই নাই,,,সে তো ঘুমাচ্ছে,,,,আবিরের খুব রাগ লাগছে তিথির উপর এই টা দেখে যে এই মেয়েটা এতো ঘুম কি ভাবে যেতে পারে,,,আবির আবার কল দেয়,,,তিথি ফোনটা হাতে নিয়ে ঘুমান্ত কন্ঠে বলে
তিথিঃ ওই বদমাশ এতো রাতে ফোন কেন করেছিস??কেন আমার ঘুমের ১২টা বাজানোর জন্য কল করছিস,,তোকে সামনে পাই ঝাটা দিয়ে পিঠাবো😡😠😡
আবিরঃ তিথিইইইই(অনেক টা রেগে)মাথার উপর থেকে আচার দিবো এখন,,,ফালতু কথা র এক বার বললে,,ফাজিল মেয়ে 😠😡(ধমক দিয়ে)
আবিরের কন্ঠ শুনে তিথি ভয়ে লাফিয়ে উঠে,,,
তিথিঃ আ,,পনি
আবিরঃ নিচে আসো এখন,,,
তিথি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১১ঃ৪৫,,,

তিথিঃ স্যার এতো রাতে,,
আবিরঃ তিথি তুমি যদি এখন নিচে না আসো তাহলে আমি উপরে আসলে কিন্তু অনেক খারাপ হবে,,সো তাড়াতাড়ি চলে আসো,,
তিথি কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির ফোনটা কেটে দেয়,,,তিথির খুব রাগ লাগে,,আবার তাড়াতাড়ি ওড়না টা নিয়ে নিচে নেমে এসে দেখে আবির গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,,,তিথি একটু মুচকি হেসে আবিরের কাছে যায়,,,আবির তিথিকে দেখে তো পুরো হা করে তাকিয়ে থাকে,,সাদা কামিজ,,,,চুল গুলো আগোছানো,,,কোনো সাজ নাই,,পুরো আবিরের মনের মতো লাগছে,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,