বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 10

তিথি আবিরের হাত থেকে তাড়াতাড়ি পানির গ্লাস নিয়ে গটগট করে পানি খেতে থাকে,,খাচ্ছে কম পালাছে বেশি, ভয়ে কি করছে সে নিজে ও জানে না😂,,,তিথির এমন কান্ড দেখে আবির তো হাসতে হাসতে শেষ,,
আবিরঃ কি হলো তিথি 😂😛😛😛😂পানি ভালো করে খাও😂
তিথি পানিটা খেয়ে অনেক ভয়ে ভয়ে আবিরের দিকে এক বার তাকায় আবার আবিরের মায়ের দিকে তাকায়,,,তিথি ঢোক গিলে দোয়া পরতে থাকে,,,,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ কি হলো ভয় পেয়েছো😂😂এই জন্য দোয়া পরছো মনে মনে😂
তিথিঃ (এই বজ্জাত টা তো দেখি মনের কথা ও শুনে ফেলে উফফ)
আবার আবিরের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আবিরের চৌদ্দগুশটি উদার করে ফেলছে,,৷
তিথিঃ (শয়তান পোলা,,এনাকন্ডা😠😡গন্ডার কত থেকে😡এখন যদি আন্টি আমাকে দুইটা চড় মেরে বের করে দেয়😭😭আমাকে কত আদর করে খাইয়ে দিচ্ছে কিন্তু শয়তান টা এসে এক বালতি পানি ঢেলে দিলো😭ইচ্ছে করছে শয়তানটাকে গাছে ঝুলিয়ে পিঠায়😡আস্তা একটা বজ্জতের হাড্ডি,,,😡)
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখছে তিথি আস্তে আস্তে কি যেন বলছে তার দিকে তাকিয়ে,,,আবিরের র বুজতে বাকি রইলো না যে তাকে সে লেভেলের গালি গুলো দিচ্ছে😂😂,,
আবিরের মাঃ তিথি আবির যা বললো তা কি সত্যি?
তিথিঃ আ,,,,আন্টি আমি জা,,,,জানতাম না, যে এই মিস্টার এনাকন্ডা বজ্জাত বস(তিথি আবিরের মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে তিনি তার দিকে কেমন ভাবে যেন তাকিয়ে আছে) থুক্কু মানে আবির স্যার আপনার ছেলে,,তাহলে কখনো এনার সাথে ঝগড়া করতাম না(আমতা আমতা করে)
আবিরের মাঃআমার ছেলে জানলে ঝগড়া করতে না?
তিথিঃ জ্বি আন্টি ( একটু চাপা হাসি দিয়ে)
আবিরের মাঃ কেন?
তিথিঃ কারণ আপনি অনেক ভালো,,,আমাকে যে ভাবে নিজের মেয়ের মতো আদর করছেন,,,অন্য কেউ হলে হয়তো করতো না,,,,সরি আন্টি আমাকে ক্ষমা করেন দেন( মন খারাপ করে)
আবিরের মাঃ আরে পাগল মেয়ে সরি কেন বলছো,,,আমি তো আরো খুশি যে আমার এই রাগী ছেলেটাকে কেউ হেন্ডেল করতে পেরেছে😂এই প্রথম কোনো মেয়ে আমার এই রাগী ছেলের উপর ক্রাশ না খেয়ে উল্টো তাকে সে লেভেলের ঝাড়ি দিয়েছে😂😂তুমি যা করেছো তার জন্য তো তোমাকে বকা নয় আরো আদর করে খাওয়াতে হয়(তিথির মুখে খাবার ধরে)
আবির তো পুরো হতবাক,,,এই টা কি আসলে তার মা,,,র তিথি সে তো অনেক খুশি যে আবিরের মা তার উপর রেগে নাই,,,তিথির তো অনেক হাসি আসছে এই টা দেখে যে আবিরের মা তার পক্ষ নিয়ে কথা বলছে,,,আবির গালে হাত দিয়ে তার মায়ের কান্ড দেখছে,,, র তিথির হাসি,,,
আবিরের মা তিথিকে অনেক কিছু বলছে আবিরের বেপারে,,র তিথি তো হাসতে হাসতে শেষ,,,আবির তিথির হাসি দেখে মুগ্ধ নয়নে তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,যেন পৃথিবীর সব চেয়ে মুল্যবান হাসি তার কাছে,,এখন না দেখলে মনে হয় অনেক মিস করে ফেলবে ,,
আবিরের মাঃ জানো তিথি তোমার সাথে আমার দেখা করার খুব ইচ্ছে ছিল,,যে আমার এই ছেলের সাথে এই ভাবে কথা বলেছে😂তুমি আসলে অনেক সাহসী,,,,তা কিন্তু মানতে হবে কি বলিস আবির(আবিরের দিকে তাকিয়ে)
তিথি তো হাসতে হাসতে শেষ তার পর ও তিথি বলে
তিথিঃ জানেন আন্টি আপনার ছেলের সাথে না একটা ইংলিশের দোকান ও আছে যে পটর পটর শুধু ইংলিশ বলে😂😂র এতো গুলো মেকাপ দেয় পুরো পেত্নী😂😂
তিথি কথা গুলো আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে,,, আবির তো রেগে পুরো আগুন,,,,আবির তিথির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে,, তিথি আবিরকে মুখ ভেংচি দিয়ে আবার আবিরের মায়ের সাথে কথা বলতে থাকে,,,,,তিথির একটু ও লাগছে না যে আজকে আবিরের মায়ের সাথে তার দেখা হয়েছে,,,মনে হচ্ছে অনেক আগে থেকে চিনা,,,তিনি অনেক তাড়াতাড়ি তিথিকে আপন করে নেয়,,,,
আবির তার মায়ের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ আম্মু আমার ও ক্ষেধে পেয়েছে আমাকে ও কি খাবার দিবে না আজকে আমি না খেয়ে থাকবো,,😡সব তো দেখি এই মেয়েকে খাওয়াচ্ছো😡
আবিরের মাঃ শিলা আবিরের খাবারটা নিয়ে আয় তো,,,
আবিরের মা এই বলে তিথিকে খাইয়ে দিচ্ছে,,,তার ও খুব ভালো লাগছে,, আবিরের কথায় তেমন পাত্তা না দিয়ে,, মনে হচ্ছে আবির তার ছেলে না তিথি তার মেয়ে 😂
আবিরঃ (এই মেয়ে তো দেখি আমার মাকে পুরো হাত করে ফেলেছে)
শিলা খাবার এনে আবিরের সামনে দেয়,,,
শিলাঃ এই নেন ভাইজান আমনার খানা,,,,র আপা মনি কিছু লাইগবোনি,,,
আবিরঃ হ্যাঁ আরো খাবার এনে তোর আপা মনিকে দেয়,,,আজকে তো পুরো বাড়ির খাবার একা খাবে,,,মুটকি একটা,,যা যা নিয়ে আয় র এই মুটকিকে সব খাবার দে,,,
তিথি আবিরের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ হিংসে হচ্ছে আমাকে আন্টি খাইয়ে দিচ্ছে তা দেখে,,,,লাগলে সরাসরি বলতে পারেন মিস্টার এনাকন্ডা বজ্জাত বস
আবিরঃ কি বললে তুমি আমাকে😡😡
তিথিঃ কেন কানে কি কম শুনেন,,,,আমি বলেছি মিস্টার এনাকন্ডা বজ্জাত বসসসসসসসস( চেঁচিয়ে বলে উঠলো)
আবিরঃ ইউউউউউউউ😡😡
আবিরের মা পুরো হতবাক তাদের দুইজনের কান্ড দেখে,,,,আবির মা আবিরকে ধমক দিয়ে বলে
আবিরের মাঃ আবির তুই কি বাচ্চা যে এই ভাবে ঝগড়া করছিস😡চুপ করে খেয়ে নে,৷ র মেয়েটাকে ও শান্তি মতো খেতে দে,,,,,
আবিরঃ আম্মু তুমি আমাকে শুধু ঝগড়া করতে দেখছো র এই মিস নীল তিতাকে দেখছো না,,,
আবিরের মাঃ তোদের দুইজনের কি প্রবলেম হ্যাঁ একে উপরে নাম নিতে,,,,কি সব আজগুবি নাম নিচ্ছিস,,ঠিক করে নাম নিতে কি সমস্যা হয় বাপু তোদের,,,
তিথিঃ আন্টি এই বজ্জাতটা আমাকে সব সময় এই নামে ডাকে হু
আবিরের মা কি বলবে বুজতে পারছে না,, , তাই বলে
আবিরের মাঃ তোমরা খাও আমি যাই,,,পাগল হয়ে যাবো যদি র একটু দুইজনের মাঝে থাকি,,,উফফ
আবিরের মা এই বলে উঠে যায়,,,,
তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির খাচ্ছে র তার দিকে তাকাচ্ছে,,,,,তিথি রেগে উঠে যেতে লাগে তখন আবির এক হাত দিয়ে টান মেরে আবার চেয়ারে বসিয়ে দেয়,,,,,হাতটা খুব শক্ত করে ধরে রেখেছে,,,তিথি অনেক ছুটার চেস্টা করছে কিন্তু পারছে না,,,,
তিথিঃ কি হচ্ছে কি ছাড়ুন আমার হাত😡( হাত ছাড়ানো চেস্টা করতে করতে)
আবিরঃ আমার খাওয়া না হওয়া পর্যন্ত এখানে বসে থাকো,,,আমি একা খাইতে পারি না,,,,
তিথিঃ আপনার মাথা কি ঠিক আছে😡আমি আপনার খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে বসে থাকবো,,আমি কি পাগল হয়েছি,৷৷ র আমি কেন থাকবো😡
আবির তিথির কানের কাছে মুখ এনে বলে
আবিরঃ যদি উঠে যাও তাহলে কালকে যা করেছি এখন তা করবো( ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে😈)সো চুপচাপ আমার খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানে বসে থাকো,,,ওকে
তিথির র বুজতে বাকি রইলো না যে আবির কিসের কথা বলছে৷৷ তিথি এক ঢোক গিলে চুপচাপ বসে থাকে,,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে খেতে থাকে,,,,,,,

তিথির খুব বিরক্তি লাগছে কিন্তু কি করার আবিরের কথা না মানলে তো আবির তার সাথে আবার কি করবে তাই ভয়ে বসে আছে,,,,,হঠাৎ দরজায় কেউ টুকা দেওয়ায় শিলা গিয়ে দরজা খুলে দেয় র দেখে আমান,,,,আমান ভিতরে এসে দেখে আবির টেবিলে খাচ্ছে র র তিথির হাত ধরে আছে,,,
আমানঃ এহেম এহেম ভাই হাতটা ছেড়ে দিয়ে খা,,না হলে গলায় খাবার আটকে যাবে,,
কারো আওয়াজ পেয়ে আবির মাথা তুলে দেখে আমান,,,তাড়াতাড়ি তিথির হাত ছেড়ে দিয়ে হাত টা ধুয়ে উঠে আমানকে হাগ করে,,,,,
আবিরঃ তুই কখন আসলি,,???
আমানঃ যখন তুই ভাবির হাত ধরে রেখেছিস😂শালা বিয়ে ও করে ফেলেছিস বিদেশ থেকে এসে র একটু বললি ও না,,( আবিরের পেটে ঘুষি দিয়ে)
তিথি তো আমানের কথা শুনে পুরো শকড,,,,আবির আমানের ঘাড়ে হাত রেখে বলে
আবিরঃ ভাই তুই যা ভাবছিস তা নয়,ও আমার বউ না
আমানঃ ওহ আচ্ছা তাহলে হবু বউ,,,(চোখ মেরে)
আবির মুচকি হেসে তিথির দিকে তাকায়,,তিথি তো রেগে যায় যে আবির র কিছু বলছে না কেন?তাই রেগে নিজে বলে দেয়,,,
তিথিঃ জ্বি না৷ আমি উনার কিছু না,,,শুধু উনার পিএ,,,,
এই বলে তিথি বৃষ্টির রুমে চলে যায়,,,,,
আমানঃ ভাই সত্যি?
আবিরঃ হুম
আমানঃ তুই যে ভাবে মেয়েটার হাত ধরে রেখেছিস মনে হলো ভাবি,,,😂😂হুম লাভ করিস তাহলে
আবিরঃ আরে তুই একটু বেশি ভাবছিস,,,,আচ্ছা এই সব বাদ দে এখন বল কি মনে করে আসলি,,
আমানঃ কেন আমি বুজি আসতে পারি না তোর বাসায়,,ওকে চলে যাচ্ছি
আবিরঃ আরে তুই তো দেখি এখনো আগের মতো রইলি,৷ আমি তো মজা করলাম,,,
আবির র আমান সোফায় বসে গল্প করতে থাকে,,দুই বন্ধু অনেক দিন পর দেখা হয়েছে তাই অনেক গল্প করছে,,,
এই দিকে তিথি হনহন করে বৃষ্টির রুমে চলে যায়,,,বৃষ্টি বই পরছিলো হঠাৎ তিথি এই ভাবে আসতে দেখে একটু অবাক হলো,,,তিথি গাল ফুলিয়ে বৃষ্টির পাশে বসে থাকে,,বৃষ্টি একটু হেসে তিথিকে বলে
বৃষ্টিঃ কি হলো আপু তুমি এতো রেগে আছো যে?
তিথি সব খুলে বলে,,বৃষ্টি হাসতে হাসতে শেষ,,,

বৃষ্টিঃ কে এসেছে?😂😂
তিথিঃ কি যেন নাম ওহ হ্যাঁ আমান না টামান
আমানের নাম শুনে বৃষ্টি কাশতে থাকে,,,,তাড়াতাড়ি ফোন টা হাতে নিয়ে দেখে ৬৫ টা মিস কল র ২৫ টার মতো মেসেজ,,,বৃষ্টির তো ভয়ে কলিজা শুকিয়ে গেছে,,তার র বুজতে বাকি রইলো না যে আমান কেন এসেছে,,, ভয়ে বৃষ্টি দুরাতে থাকে,,তিথি কিছু বুজতে পারলো না যে বৃষ্টি এমন টা কেন করলো,,শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে বৃষ্টির যাওয়া দেখে,,,,,,
বৃষ্টি দূরে হলরুমে গিয়ে দেখে আমান র আবির এক সাথে বসে কথা বলছে,,,,আমান বৃষ্টিকে দেখে তার দিকে রাগী চোখে তাকায়,,,ভয়ে তো বৃষ্টির অবস্থা খারাপ,,,কি করবে বুজতে পারছে না তার পর ও ভয়ে ভয়ে বলে
বৃষ্টিঃ কেমন আছেন আমান ভাইয়া?(একটু হেসে)
আমানঃ হুম ভালো আছি।।তুমি (চোখ গরম করে)
আবিরঃ বৃষ্টি তিথি কথায়?
বৃষ্টিঃ ভাইয়া আপু তো আমার রুমে,,,,
আবিরঃ আচ্ছা তোরা কথা বল আমি একটু আসছি,,,,
আমানঃ ওকে
আবির চলে যাওয়ার পর আমান বৃষ্টির হাত চেপে ধরে বলে
আমানঃ সমস্যা কি তোমার😡😠কতো বার কল করলাম কই ছিলে,,😠😠
বৃষ্টিঃ আ,,মান ভাইয়া লাগছে আমার প্লিজ ছাড়ুন( কাঁদো কাঁদো গলায়)
আমান আরো জোরে হাত চেপে ধরে নিজের অনেকটা কাছে টেনে নিয়ে বলে
আমানঃ কথায় কথায় ভাইয়া বলো কেন?😠😠মাথার উপর থেকে আচার মারবো র যদি ভাইয়া বলো,,,,,,
বৃষ্টিঃ প্লিজ ছাড়ুন কেউ এসে যাবে,,ভাইয়া আসবে প্লিজ😢
আমানঃ আমি কাউকে ভয় পাই না যে আসার আসুক,,,আমি ও আজকে বলে দিবো সবাইকে যে আমি তোমায় ভালোবাসি,,,,,,
বৃষ্টিঃ আমার খুব লাগছে😭প্লিজ ছাড়ুন হাত😭
বৃষ্টি প্রায় কান্না করে দেয়,,,৷ বৃষ্টির কান্না দেখে আমান হাত ছেড়ে দিয়ে গালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে
আমানঃ নেক্সট টাইম যখনই কল দিবো সাথে সাথে ধরবে না হলে আমার চেয়ে খারাপ র কেউ হবে না বলে দিলাম,,,,,
বৃষ্টি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,,আমান বৃষ্টির চখের পানি গুলো খুব যত্নে মুছে দেয়,,,র বলে
আমানঃ তুমি জানো আমি তোমায় কতটা ভালোভাসি,,কেন আমার সাথে এমন করো,,তোমায় কষ্ট দিতে আমি চাই না কিন্তু তোমার জন্য তোমাকে দিতে হয়,,
বৃষ্টিঃ আম সরি,,র হবে না এমন,,
এই দিকে,,,

তিথি তো আবিরকে গালি দিতে দিতে শেষ,,,, তার হাত এই ভাবে ধরে রাখার জন্য,,,আবির পিছনে দাঁড়িয়ে সব শুনছে র হাসছে
তিথিঃ আস্তা একটা লুচ্চা,,,শয়তান বজ্জাত এনাকন্ডা,,না না লুচ্চা এনাকন্ডা😠😡ইচ্ছে তো করছে খুন করি ফেলি,,লুচ্চা কত থেকে,,
আবির তিথির পিছনে দাঁড়িয়ে সব শুনছে,,তিথি নিজে নিজে বকবক করতে করতে পিছনে তাকিয়ে তো পুরো বরফ,,,,ভয়ে র একটা কথা ও মুখ থেকে বের হচ্ছে না,,,
আবির তিথির দিকে এগোছে র তিথি পিছনে যাচ্ছে,,,,তিথির তো ভয়ে গলা শুকিয়ে পুরো কাঠ,,,,তার পর ও অনেকটা সাহস নিয়ে বলে
তিথিঃ স্যার আ,,পনি আমার সামনে এগোছেন কেন?
আবিরঃ তুমি পিছনে যাচ্ছো তাই,,,
তিথিঃ আপনি সামনে আসছেন তাই তো আমি পিছনে যাচ্ছি,,,
তিথি এক পা পিছনে নিচ্ছে তো আবির এক পা তিথির সামনে নিচ্ছে,,,, ,,,তিথি পিছনে যেতে যেতে দেওয়ালের সাথে লেগে যায়,,,ভয়ে তো অবস্থা পুরো খারাপ,,,তিথি যেতে লাগে তখন আবির এক হাত দিয়ে আটকে ধরে,, আবার ওই দিকে যেতে লাগে র এক হাত দিয়ে আটকে ধরে,,আবিরের দুই হাত দিয়ে দেওয়ালে রাখে,,র দুই হাতের মাঝে তিথি আটকে আছে,,,,,
আবির তিথির দিকে ঝুকে মুখ এনে বলে
আবিরঃ আমাকে কি করতে তোমার ইচ্ছে করে,,,র কি বলছিলে আমি লুচ্চা,,,এখনো তো তেমন কিছু করি নাই তার আগে আমাকে তুমি এই নামে ডাকলে,,,এখন তোমাকে দেখেবো লুচ্চা কা কে বলে ও কত প্রকার,,
আবিরের প্রত্যেক টা নিশ্বাস তিথির মুখে এসে পরছে,৷ তিথি ভয়ে ভয়ে বলে
তিথিঃ স্যার প্লিজ আমাকে যেতে দিন,,,
আবির তিথির চুলের খোপাটা খুলে দেয়,,র চুল গুলো সব এসে আবিরের মুখে পরে,,,তিথির চুলের ঘ্রাণ যেন আবিরকে পুরো মাতাল করে দিচ্ছে,,,,আবইর যেন র নিজের মধ্যে নাই,,এক অজানা দেশে চলে গেছে,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,