বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 36

আবির নাস্তা করে অফিসে চলে যায়,আর তিথির দিন কাটে মা আর মামানির সাথে গল্প করে,,মামার জন্য অনেক ভালো ডাক্তার ও রেখেছে আবির,,,আবিরের জন্য তিথির মনে অনেক টা জায়গা হয়,,,হয়তো আবার ভালোবাসা জন্ম নেয় একটু একটু করে
এই দিকে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে পার্টির জন্য,,,মা তিথির রুমে আসে
মাঃ তিথি
তিথিঃ জ্বি আম্মু,,,,
মাঃ এই ড্রেস দিতে আসছিলাম,,এখানে তোমার আর আবিরের ড্রেস আছে,,,কাল পড়ে নিয়ো
তিথি ড্রেস গুলো নিয়ে এক পাশে রাখে,,,মা তিথির হাতটি ধরে বলে
মাঃ আমার মেয়ে হয়ে সারাজীবন এই ভাবে থাকবে কেমন,,আমার মেয়ে নাই কে বলেছে এতো মিষ্টি একটা মেয়ে আমার,,,জানো আমার খুব খুশি লাগে এই ভেবে যে আমার মেয়েও আছে এখন,,
তিথিঃ তাহলে আমাকে তুই করে ডাকবে কেমন
মাঃ পাগলী মেয়ে একটা,,
তিথি মাকে জড়িয়ে ধরে বলে
তিথিঃ লাভ ইউ আম্মু লাভ ইউ সো মাচ
মাঃ লাভ ইউ টু,,,এখন আর মায়ের প্রতি এতো ভালোবাসা দেখাতে হবে না তাড়াতাড়ি এসে কিছু খেয়ে নে,,,
এই ভাবে কেটে যায় দিন টুকু তিথির,,মা মামানির সাথে গল্প মামার সাথে কথা বাবার আদর,,আবির আসলে আবিরের সাথে ঝগড়া আর আবিরের সে অত্যাচার জোর করে কিস করা জড়িয়ে ধরা সব সময় ফাজলামি এই সবে তিথি আবিরের প্রতি কিছু টা উফস সরি অনেক টা দুর্বল হয়ে পড়ে,,,,
আজ আবির আর তিথির বিয়ের উপলক্ষে পার্টি রাখা হয়েছে একটা বড় ক্লাবে,,,ক্লাবটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়,,,
আবির একটা সাদা শার্ট আর কালো কোট পড়ে,,,চুল গুলো ঠিক করছে আর ভাবছে তার তোতাপাখিটা না জানি কেমন লাগছে এই ভেবে মুচকি হাসে,,
তিথি বেশি সাজগোজ করে না,,হালকার মধ্যে সাজে,,,মায়ের দেওয়া মেহেরুন কালারের শাড়ি টা পড়ে,,সাথে পাথরের গহনা,,,চুল গুলো খোলা দেয়,চুলের এক পাশে লাল গোলাপ দেয়,দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে,,,তিথি হালকা সাজে কারণ আবিরের পছন্দ না বেশি মেকাপ,,,আবির তিথির জন্য সে কখন থেকে অপেক্ষা করছে এক নজর তার তোতাপাখিকে দেখার,,অনেক সময় পর তিথি মায়ের রুম থেকে আসে,,চুড়ি গুলো আয়নার সামনে রাখা তিথি আবিরকে পাশ কেটে চুড়ি গুলো নেয় আর পড়তে থাকে,,আবির হা করে তাকিয়ে থাকে তখন তিথি ফাজলামি করে বলে
তিথিঃ মুখ বন্ধ করেন না হলে মশা,হাতি টিকটিকি সব ডুকবে আপনার মুখে
আবির হুশে আসে তিথির কথা শুনে,,,তখন আবির ভ্রু কুচকে বলে
আবিরঃ তুমি না খা এই সব
তিথিঃ হুম আপনাকে ও খাওয়াবো প্রতি দিন রেডি থাকিয়েন মজার মজার রেসিপি খেতে আমার হাতের
আবিরঃ ইয়াক তোমার ওই ফালতু রেসিপি তোমার কাছে রাখো আর তুমি নিজে খাও আমার দরকার নাই ওকে
তিথিঃ বউয়ের হাতের খাবার অনেক ইয়ামি হয় খেতে হয় বুজলেন,,ব্যাঙের সুফ,,টিকটিকির আচার,,কাকের রোষ্ট আরো অনেক কিছু
আবিরঃ ইয়াক চুপ প্লিজ এই সব ফালতু খাবার এর নাম একদম নিবে না
তিথিঃ বউয়ের হাতের খাবার কে ফালতু বলতে নাই ওকে
আবিরঃ তাহলে মানলে তো তুমি আমার বউ
তিথি মুচকি হেসে বলে
তিথিঃ রাস্তা রেখেছেন আপনি আর,,আচ্ছা আপনি নিরবকে ছেড়ে দিয়েছেন তো,,যে ভাবে তাকে কিডন্যাপ করে মেরেছেন আল্লাহ আপনি এমন কেন,,
আবিরঃ হুম আমি এমন তোমার বেলায়,,,আর আমরা আসার পরের দিন ওকে ছেড়ে দিতে বলেছি,,,,আর তাকে জানানো ও হয়ে গেছে যে আমাদের বিয়ে হয়েছে,,,
তিথিঃ আপনি আসলে একটা,,,
আবিরঃ কি আমি হুম?
তিথিঃ আপনি আসলে একটা বিপজ্জনক রাক্ষস হু,,
আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে বলে
আবিরঃ আজ আমার বউটাকে অনেক সুন্দর লাগছে,,,,মেকাপের পুরো দোকান
তিথি আবিরকে ধাক্কা দিয়ে বলে
তিথিঃ কিইই?আপনি বেশি মেকাপ পছন্দ করেন না তাই আমি হালকা সেজেছি আর আপনি দূর
আবির হেসে দেয়,,
আবিরঃ ওরে বাবারে আমার মিষ্টি বউটা দেখি রাগ ও করেছে আমার উপর,,,সরি তোতাপাখি
আবির তিথিকে কিস করতে যায় আর আজ তিথিও কিছু বলে না,,,
অই সময় নিচ থেকে বাবার ডাক আসে
বাবাঃ আবির তিথি তাড়াতাড়ি আসো দেরি হচ্ছে,,,
তিথি আবিরকে ধাক্কা দেয় আর বলে
তিথিঃ বাবা ডাকছে চলুন
আবিরঃ আমার বাবা নাকি আমার শত্রু ছেলেকে একটু রোমাঞ্চ ও করতে দেয় না হু
তিথি হেসে দেয়,,আর আবিরের মুখ বানানো দেখে একটু জোরে হেসে দেয়,,,
আবিরঃ অনেক হাসি পাচ্ছে তাই না?দেখাবো মজা পার্টি শেষ হোক তারপর
তিথিঃ হু দেখবো
আবির তিথি নিচে নেমে যায়,,সবাই এক সাথে পার্টিতে যায়,,,পার্টিতে নানা রকম মানুষ এসেছে,,তিথি কাউকে ছিনে না,,মামানি তিথির মামাকে নিয়ে এক পাশে বসে থাকে আর মা সবাই কে পরিচয় করিয়ে দেয় তাদের,,
আবির তিথির পাশে দাঁড়িয়ে আছে আর বলছে
আবিরঃ আচ্ছা তিথি আমি কি ভাবছি
তিথিঃ আপনি কি ভাবছেন আমি কি ভাবে জানবো আজিব
আবিরঃ তাও কথা এলিয়েন রা তো আর সব জানে না
তিথিঃ হু
আবিরঃ আমি ভাবছি আমাদের বাসর আই মিন যদি আজ হয়ে যায় তাহলে কেমন হবে
তিথিঃ লুচ্চামির একটা সীমা থাকে,,,
আবিরঃ কিইইইই?
তিথিঃ হুম চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন ফালতু কথা না বলে না হলে এখন আপনাকে আমি তেলাপোকার সুফ খাওয়াবো
আবিরঃ কিছু বলতে ও পারি না হু,,,এলিয়েন একটা
কিছু ক্ষন পর একটা চিৎকার আসে,,
আকাশঃ আবির
আবির আকাশ কে দেখে নিচে নামে তাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে
মেঘঃ শালা আমাকে কি চোখে দেখিস না তুই
আবির আকাশকে ছেড়ে মেঘকে জড়িয়ে ধরে,,

তিথি দূর থেকে সব দেখছে সবাই কে দেখে মুচকি হাসে,,,কতদিন পর বন্ধুরা এক সাথে এই ভেবে,,
আকাশ আবির মেঘ হাসাহাসি করে,,,তখন আকাশ বলে
আকাশঃ আচ্ছা পার্টি কেন তা তো বললি না শুধু বললি সারপ্রাইজ আছে এখন বল কি সারপ্রাইজ
আবির মুচকি হেসে বলে
আবিরঃ অপেক্ষা কর সারপ্রাইজ এখানে আছে বাকিরা কই
আকাশঃ হুম আসছে ওরা ও
মেঘঃ আবির বল কি সারপ্রাইজ
আবিরঃ ভাই অপেক্ষা কর একটু পাবি
আকাশের নজর যায় তিথির উপর আকাশ আবিরকে চিমটি দিয়ে বলে
আকাশঃ ওই টা তিথির মত না?
আবিরঃ উফফ তা বলে এতো জোরে চিমটি দিবি হারামি
আকাশঃ আগে বল তিথি কি না
মেঘ ও তাকায়
মেঘঃ হ্যাঁ অই মেয়েকে তো পুরো তিথির মত লাগছে
আবিরঃ হুম অই টা তিথি
মেঘ আকাশ অবাক দৃষ্টিতে তাকায় আবিরের দিকে আর আবির মুচকি হাসে
আকাশঃ তিথি এই পার্টিতে আর তুই ওকে কই পাইলি এতো বছর পর কি ভাবে আর কখন (এক নিশ্বাসে)
আবিরঃ আস্তে আস্তে ভাই এতো হাইপার হইস না,,,পরে সব বলবো শুধু এই জেনে রাখ যে তোদের সারপ্রাইজ এইটা
মেঘঃ আচ্ছা এই পার্টি কি তিথি আসার উপলক্ষে
আবিরঃ না একদম না আমার আর তিথির বিয়ের উপলক্ষে
আকাশ মেঘঃ কিইইইই তোর বিয়ে ও হয়েছে আর আমরা জানি না,, হারামি তুই আমাদের শত্রু
আবিরঃ আরে ভাই থাম অনেক লম্বা কাহিনী রে,,শুধু এই জেনে রাখ তোরা আমি আমার ভালোবাসার মানুষটিকে আজীবন এর জন্য নিজের করে পেয়েছি,,,,তিথি এখন মিসেস আবির রহমান বুজলি
আকাশ আর মেঘ দুইজন এক সাথে আবিরকে জড়িয়ে ধরে
আকাশঃ আমি অনেক হেপ্পি তোর জন্য ফাইনালি তুই এতো বছরের কষ্টের,ধৈর্যের ফল পাইলি
এইদিকে তিথি তাকিয়ে একটু জোরে হেসে দেয় কারণ আবির আর আকাশ মেঘ বাচ্চাদের মত জড়িয়ে ধরে আছে,,,অনেক মজা করছে আবিরের মুখে হাসি যেন আজ আরো বেরে যায়,,কথায় আছে না সুখের সময় হোক বা দুঃখের সময় যখন বন্ধুরা পাশে থাকে তখন সব কিছু আরো সহজ মনে হয়,, আজ তিথি হঠাৎ করে মনে করলো তার বন্ধু রিতুকে চোখের কোণায় পানি এসে জমে যায়
তিথিঃ তুই আমায় ছেড়ে চলে গেলি রিতু কেন?কেন আমায় অই দিন এতো অপমান করে আমাদের বন্ধুত্ব ভেঙ্গে দিলি?আমি আজও জানি না আমার কি দোষ যার জন্য তোর বন্ধুত্ব হারাতে হয় আমাকে,,,হয়তো আমার ভাগ্য ছিলো হারানো সব তাই
তিথি মুখটা মলিন করে দাঁড়িয়ে আছে,,,
এই দিকে সবাই অনেক আনন্দ করে,,আবির তিথিকে ইশারা করে নিচে আসতে বলে যাতে সবার সাথে পরিচয় করাতে পারে,,,,,হুট করে কত থেকে একটা মেয়ে এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে
তিথি থমকে দাঁড়িয়ে যায় আর সামনে এগোয় না,,,,বুকের মধ্যে যেন তুফান শুরু হয়ে যায় মেয়েটিকে দেখে,,,কিছু টা ঘাবড়ে পিছনের দিকে যেতে থাকে,,
নিয়া এসে আবিরকে জড়িয়ে ধরে,,শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে
নিয়াঃ আই মিস ইউ সো মাচ বেবী,,, কত মিস করছি তোমায় কই ছিলে এতো দিন হুম,,,তোমায় ছাড়া আমার একদম মন বসে না এখানে
মেঘ আকাশকে বলে আস্তে করে
মেঘঃ ডাইনীর ড্রামা শুরু হয়ছে,,এই ডাইনি সব সময় আমাদের সুখের মুহূর্তে আসে আর ড্রামা করে এরে ইনভাইটেশন দিচ্ছে কে
আকাশঃ হয়তো আবির দিচ্ছে,, বাদ দে
নিয়া আবিরের গালে হাত রেখে বলে
নিয়াঃ তুমি তো জানোই আমি তোমায় ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারি না আর তুমি কিনা এতো দিন আমার থেকে দূরে ছিলে,,,
আবির কিছু বলতে যাবে তখন দেখে পিছনে তিথি,,,তিথিকে একটু জেলাস ফিল করাতে আবির আজ নিয়ার সাথে সুর মিলায়
আবিরঃ আমিও তোমায় অনেক মিস করছি,,,
নিয়াকে দেখে তার কথা শুনে তিথি যেন তিথির মাঝেই নেয়,,চোখের পানি টপটপ করে পড়তে থাকে,,,আবিরের কথা শুনে ও তিথির বুকটা মুচড়ে উঠে,,,
তিথি পিছনে যেতে লাগে আবির ডাক দেয়,,তিথি তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে নেয়,,,
আবিরঃ এই তিথি এই দিকে আসো
তিথির নাম টা শুনে নিয়া রাগী লুক নিয়ে পিছনে তাকায় আর দেখে তিথিকে,,তিথিকে দেখে নিয়ার সুখের হাসি যেন মুহূর্তে উদাও,,,
নিয়াঃ এই মেয়ে এখানে কি করছে আবির
মেঘঃ একটু পরে টের পাবে মিস ডাইনি এই মেয়ে কি করছে হুহু
নিয়াঃ কিছু বললি মেঘ?
মেঘঃ কই না তো,,
আবির তিথির হাতটা ধরে সবার সামনে এনে বলে
আবিরঃ মিট মিসেস আবির রহমান
নিয়াঃ ওয়াট???

আবিরঃ হুম আমার ওয়াইফ মিসেস তিথি আবির রহমান
নিয়াঃ আর ইউ জুকিং
মেঘঃ আবির কেন মজা করবে নিয়া,,আজ এই পার্টি আবির আর তিথির বিয়ের উপলক্ষে বুজলি
নিয়ার মুখটা লাল হয়ে যায়,,রাগে মনে হচ্ছে কি করবে না কি করবে,, আবির তিথিকে সবার সাথে পরিচয় করায় ওই সময় বাবা ডাকায় আবির চলে যায় মেঘ আর আকাশ ব্যস্ত হয়ে যায় মেয়েদের দেখে ওদের সাথে লাইন মারতে,,,নিয়া রাগে তিথির হাত ধরে পার্কিং এর জায়গায় নিয়ে আসে,
তিথিঃ হাত ছাড়ো,,আর এখানে কেন আনলে আমায়
নিয়া তিথির হাতটা ছুড়ে মেরে বলে
নিয়াঃ তোমার মত মেয়ের হাত ধরার ও আমার ইচ্ছে নাই গট ইট,
তিথি রেগে যায়
তিথিঃ আমার মত মেয়ে মানে কি তোমার?
নিয়া তিথির হাত চেপে ধরে বলে
নিয়াঃ আজীবন কি ছোট লোক থেকে যাবে,,লজ্জা বলতে কি কিছু নাই,এতো টা নির্লজ্জ মেয়ে তুমি ছি
তিথিঃ মুখ সামলিয়ে কথা বলবে ওকে
নিয়াঃ অহ রেলি চোরের মায়ের বড় গলা আবার,,,,, অন্যের জিনিস কেড়ে নাওয়া তোমাদের মত সস্তা মেয়েদের কাজ,,,,আবিরের মত বড় লোক ছেলেকে তোমার মত ফালতু মেয়ে কি হাত ছাড়া করবে,,
তিথি নিয়ার হাত টা ঝাড়া দিয়ে ধমক এর সুরে বলে
তিথিঃ যা বলেছিস অনেক বলেছিস আর একটা শব্দ বের করবি না ওকে,,কি মনে করিস হুম আমি আবিরকে বিয়ে করতে চাই নাই ওকে আবির আমাকে জোর করে বিয়ে করে,,যার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয় তাকে কিডন্যাপ করে সে আমায় বিয়ে করে ওকে,,সো মুখটা সামলিয়ে কথা বলবে
নিয়াঃ ওহ হ্যালো তোমার মত মেয়ে যে হাজার বাহানা করবে তা জানা আছে,,,ভুলে গেলে অই দিন গুলো ওহ হ্যাঁ কেমনে মনে রাখবে বড় লোক ছেলেকে যে ফাঁসিয়ে ফেলেছো
তিথিঃ মুখ সামলিয়ে কথা বলবে ওকে,,,

নিয়াঃ অহ রেলি?আবির তোমার মত মেয়েকে কখনো ভালোবাসতে পারেই না,,আবির শুধু আমাকে ভালোবাসে তার প্রমাণ তো পেয়ে গিয়েছো তিন বছর আগে,,,আবির তোমায় বিয়ে করেছে হয়তো কোনো কারণ আছে,,অনেক জলদি আবির তোমায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করবে আর আমাকে বিয়ে করবে আবির আমাকে ভালোবাসে তা তো জানোই,,,,,
তিথির মুখটা মলিন হয়ে যায় তিন বছর আগের কথা শুনে,,,বুকটা মুচড়ে উঠে কষ্টে যেন বুকটা ফেটে যাচ্ছে,,
নিয়াঃ রেডি থাকিও দিন টা,,তোমার মত চিপ মেয়েকে আবির লাভ করে না,,আবিরের কাছে টাইম পাশ আর কিছু না ওকে,,
নিয়া তিথিকে অনেক কথা শুনিয়ে অই খান থেকে চলে যায়,তিথি কিছু বলে না শুধু শুনে আজ,,,, নিয়া যাওয়ার পর তিথি এখনও দাঁড়িয়ে আছে চোখ দুটো ভিজে উঠে কথা গুলো বারবার ঘুরতে থাকে মাথায় ,,,তিথি আস্তে আস্তে হাঁটতে থাকে অই খান থেকে চলে যায়,আকাশ ফোনে কথা বলছে হঠাৎ তিথিকে কান্না করতে করতে গেট থেকে বের হতে দেখে ডাক দেয় কিন্তু তিথি শুনে না তিথি চলে যায়,,
তিথি হাঁটছে আর চোখের পানি মুছছে,,,রাস্তায় প্রচুর বাতাস,, হচ্ছে বাহিরে তো ঝড় চলছেই আর তিথির ভিতরে ও,,,তিথি একটা পার্কে যায় গিয়ে বসে একটা সিটে,,,বৃষ্টি ও শুরু হয়ে যায়,,তিথি ভিজছে বৃষ্টির পানির সাথে চোখের পানি মিশে যাচ্ছে,,,মনে পড়ে যায় অই দিনটি যা পাল্টে দেয় সব কিছু,,তিথি চলে আসার কারণ তিন বছর ধরে সবার কাছ থেকে দূরে থাকার কারণ
তিন বছর আগে,,,,,,
চলবে,,,,,,