বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 35

আজ তিথির মনে আবিরের জন্য অনেক টা সম্মান আসে,,,আবির তার ফ্যামিলি কে নিজের ফ্যামিলি করে সাথে নিয়ে যাচ্ছে,,, আবিরের প্রতি আজ যেন তিথির মনে অনেক সম্মান,,, শ্রদ্ধা বেরে যায়,,
কয়েক ঘন্টা পর সবাই রহমান বাড়িতে এসে যায়,,,সবাই সোফায় বসে আছে,,,তিথি মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করে কিচেনে যায় সবার জন্য চা করে নিয়ে আসে,,
মাঃ তিথি যাও রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও,,,আর আবিরকে ও এখন অফিসে যেতে হবে গিয়ে দেখো ওর কিছু লাগবে কি না,,যাও
তিথিঃ(ওই শয়তান এর রুমে যাওয়া মানে কুরবান হওয়া)
মাঃ কি ভাবছো রুম কোনটা তাই তো?ওই ছেলের মাথায় আসলে বুদ্ধি নাই যে বউকে নিজের রুমে নিয়ে যেতে হবে,,,,
তিথিঃ হ্যাঁ একদম বুদ্ধি নাই ওই বজ্জাত হা,,,,,,,
মামানিঃ তিথি মাথা মোটা মেয়ে নিজের বরকে কি বলছিস,,
তিথিঃ মামানি আমি তো,,,
মাঃ ভাবি থাক ওকে কিছু বলিয়েন না,,, তিথি যাও
তিথিঃ আম্মু রুম?
মাঃ সিড়ির ডান পাশের রুমটা তোমাদের,,,

তিথি সিড়ি দিয়ে উঠছে আর বলছে
তিথিঃ রুমে গেলে কি বিপদ থাকে আল্লাহ জানে,,,
রুমের দরজা খুলে তিথি রুমে গিয়ে দেখে কোথায় আবির নাই,,হাফ ছেড়ে নিশ্বাস ফেলে বলে
তিথিঃ ভাগ্যিস অই হারামি নাই,,
তিথি পুরো রুম টা ঘুরে ঘুরে দেখে,,,রুম টা বেশ গুছানো,,তিথি খাটের পাশে একটা ছোট টেবিল আছে অই খানে তিথির ছবি রাখা ভার্সিটিতে থাকা অবস্থায়,,,,তিথি বিছানার পাশে যেতে লাগে তখন বাথরুমের দরজা খুলার আওয়াজ পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে আবির তাওয়াল পড়ে চুলে হাত দিয়ে ঝাড়তে ঝাড়তে বের হচ্ছে তিথি আবিরকে দেখে
তিথিঃ আয়ায়ায়ায়া
আবিরঃ পাগল নাকি এই মেয়ে এতো চিল্লায় কা সব সময়
তিথিঃ আপনি পাগল এই ভাবে কেউ আসে মেয়েদের সামনে
আবির তিথির কাছে এসে বলে
আবিরঃ আমি তো আর অন্য মেয়ের সামনে আসি নাই ম্যাম আমি আমার বউয়ের সামনে আসছি ওকে৷
তিথিঃ হু
তিথি যেতে লাগে আবির অই সময় এসে তিথিকে জড়িয়ে ধরে
তিথিঃআ,,,পনি কি করছেন হুম
আবিরঃ আমি আমার বউকে জড়িয়ে ধরেছি এতে তোমার কি হুম
তিথিঃ হু,,,
আবিরঃ লাভ ইউ তোতাপাখি,,
আজ তিথির মুখের কোণায় অজান্তেই হাসি ফুটে,,,,সে নিজেও জানে না কেন,,,আবির আয়নায় তাকিয়ে দেখে তার তোতাপাখি মুচকি হাসছে,,, আবির তিথির ঘাড়ে তার থুতনি রেখে বলে
আবিরঃ অনেক ভালোবাসি অনেক,,,,,আজ রাতে রেডি থাকবে???
তিথিঃ কেন?
আবিরঃ এমনি একটু বের হবো তোমায় নিয়ে,,,
তিথিঃ না আমি যাবো না
আবিরঃ প্রত্যেক বার না বলতে মুখ ব্যাথা করে না
তিথিঃ হু
আবিরঃ রেডি হয়ে থাকিও,,অফিস থেকে যাবো কেমন
তিথিঃ হু
আবির গিয়ে রেডি হয়ে নেয়,,,তিথি কাপড় গুলো আলমারিতে রাখছে আর আবিরের দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে
তিথিঃ বাবারে মেয়েদের মত এতো আয়নায় দাঁড়িয়ে সাজগোজ করার কি আছে,,,,মনে হচ্ছে মেয়ে দেখতে যাচ্ছে,,,,ঢং দেখে আর বাঁচি না বাপু হু
আবিরঃ এভাবে তাকিও না আমার লজ্জা করে ইসসস
তিথিঃ হেএএএ
আবিরঃ আমি জানি আমি অনেক হ্যান্ডসাম অনেক কিউট অনেক,,,,
তিথিঃ হয়ছে হয়ছে নিজের তারিফ আর করতে হবে না,,,ঢং দেখে আর বাঁচি না
আবিরঃ কিই আমি ঢং করি??? মেয়েরা ঢং করে সব কিছুতে
তিথিঃ জ্বি হয়ছে আপনি যে সাধু,,,
আবিরঃ হুম আমি তো সাধু এই
তিথিঃ আপনি যে কত সাধু তা জানা আছে,,যান যান অফিসে যান,,,
আবিরঃকি মেয়েরে বাবা নিজের জামাইকে তাড়াই দিচ্ছে
তিথিঃ (আল্লাহ রে এই লোক কি)হু
আবিরঃ হুম আচ্ছা আপনার কাজটা করে যান
তিথিঃ কিসের কাজ?
আবিরঃ ভুলে গেলেন কাল রাতে তো শর্ত ছিলো যে আমি অফিসে যাওয়ার আগে আমার কপালে চুমু দিবেন আপনি ম্যাডাম
তিথিঃ হু
আবিরঃ তাড়াতাড়ি আসুন আমার লেট হচ্ছে আর আমি তো এই টা ছাড়া যেতে পারি না তাই না
তিথিঃ ইচ্ছে তো করছে,,,,,,
আবিরঃ যা ইচ্ছে করছে রাতে আসলে করিও
তিথিঃ কিইইইই
আবিরঃ না মানে যা ইচ্ছে বলিও আর কি,,,

তিথি আর কথা না বারিয়ে আবিরের কাছে আসে,,,ঘাড়ে দুই হাত রেখে আবিরের কপালে আলতো করে চুমু দেয়,,,আজ তিথি তার ফিলিংস এর সাথে আবিরকে কিস দেয়,,,আবিরের প্রতি তার ফিলিংস আবার একটু একটু করে জন্ম নিচ্ছে,,,,আবির তিথির কোমড়ে হাত রেখে নিজের দিকে টেনে নেয়,,,
আবিরঃ তোমার খোলা চুল আমার সব চেয়ে প্রিয়,
এই বলে তিথির বাঁধা চুল খুলে দেয়,,,আবিরের প্রতি তিথির একটুও রাগ নাই যেন,,,উল্টো লজ্জায় মুখ লুকায়,,আবির তিথির কপালে চুমু দেয়
আবিরঃ আচ্ছা ম্যাডাম আসি তাহলে
তিথিঃ হুম
আবির চলে যায় অফিসে,,তিথি সারাদিন মা আর মামানির সাথে কাটিয়ে দেয়,,,তার যেন খুব ভালোও লাগে সবার সাথে,,,তিথিফ সন্ধ্যায় আবিরের বারান্দায় যায় বারান্দায় বেশ সুন্দর,,বারান্দায় নিচে ফুলের বাগান,,,,ফুলের ঘ্রাণে যেন বারান্দাটা সুভাসে ভরে উঠে,,,তিথির কাছে বেশ লাগছে চেয়ারে বসে বাহিরের প্রাকৃতিক উপভোগ করে,,, কখন যে ঘুমিয়ে পড়ে তার কোনো খবর পর্যন্ত নাই,,,,
মা তিথিকে ডাকতে এসে দেখে ঘুম তাই আর ডাকে না,,,
এইদিকে আবির মিটিং শেষ করে আজ আবির কিছু টা হেপ্পি তিথির মধ্যে কিছু টা পরিবর্তন দেখে,,আবির কিছু ফুল নিয়ে বাসায় যায়,,,আবির তাড়াতাড়ি বাসায় যায় ভেবেছে তিথি হয়তো তার জন্য রেডি হয়ে আছে,,,আবির মনের৷ খুশিতে রুমে যায় গিয়ে কোথাও খুঁজে পায় না
আবিরঃ এই মেয়ে গেলো কই?মায়ের রুমে হয়তো গেছে দেখে আসি হয়তো সে রেডি হয়ে মাকে দেখাতে গেছে কেমন লাগছে যে মেয়ে
আবির মায়ের রুমে গিয়ে দেখে কেউ নাই নিচে এসে দেখে মা আর মামানি কথা বলছে,,,, আবিরের মেজাজ টা কিছু টা খারাপ হয়ে যায়,,,তিথি গেলো কই এই ভেবে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়,,তারপর ও তিথি রুমে আসে নাই,,বিরক্তি ভাব নিয়ে বারান্দায় যায় বারান্দায় গিয়ে দেখে তিথি চেয়ারে ঘুমিয়ে আছে
আবিরঃ বাহা ম্যাডাম এখানে আরামে ঘুমাচ্ছে আর আমি বলেও গেছি যাতে রেডি হয়ে থাকে তাকে নিয়ে বাহিরে যাবো আর সে ওয়াও
তিথির পাশে কিছু ক্ষন বসে,বাতাসে চুল গুলো উড়ছে,, চুল গুলো এসে মুখে পড়ছে,,আবিরের কাছে তিথির এমন চেহারা অনেক ভালো লাগে তাকিয়ে আছে তার তোতাপাখির দিকে,,,
আবিরঃ পাগলী একটা রুমে না ঘুমিয়ে এখানে ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,তোমার মায়াবী চেহারার যত বার দেখি তিন বছরের কষ্ট গুলো ভুলে যাই,,তোমায় কষ্ট পেতে দিবো না সব সময় তোমায় আগলে রাখবো,,,
আবির তিথিকে কোলে করে নিয়ে রুমে নিয়ে যায়,,,,তিথির মাথাটা বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে,,,
সকালে,,,,
ফজরের আজান দেয়,,,আজানের মিষ্টি সুরে,,,,,
তিথির ঘুম ভাঙ্গে দেখে সে আবিরের বুকে শুয়ে আছে,,,,,,তখন মনে পড়ে সে তো বারান্দায় ঘুমিয়ে যায় তার মানে আবির তাকে রুমে নিয়ে আসে,,,,তিথি উঠে অযু করে নামাজ আদায় করে নেয়,,,নামাজ আদায় করে নিচে নেমে যায় সবার জন্য নাস্তা তাড়াতাড়ি বানিয়ে বাগানে যায়,,,বাগানের ফুলের সুভাসে তার মনটা ভরে যায়,,নানা রকম ফুল বাগানে এতো সুন্দর বাগান তিথি অই খানে বসে থাকে,,তখন ভাবতে থাকে আবিরের সাথে দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া,,, সব কিছু মনে কিছু টা আনন্দ লাগে আবির তার পরিবারের এতো চিন্তা করে তার এতো কেয়ার করে,,,
শারমিনঃ ভাবি মনি আপনেরে খালা আম্মা ডাকে,,,
তিথি গিয়ে দেখে মামানি তার দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে বলে
মাঃ ফাজিল মেয়ে নাস্তা তোমায় কে বানাতে বলেছে তাও একা,,
তিথিঃ আম্মু আসলে আমি সকালে
মাঃ হয়ছে আর বলা লাগবে না পাগলী মেয়ে,,যাও আবিরকে ডেকে নিয়ে আসো ছেলেটা রাতেও কিছু খায় নাই,,,
তিথি সিড়ি দিয়ে উঠছে আর ভাবছে
তিথিঃ ইয়া আল্লাহ আমার তো একদম মনে নাই যে কাল অই বজ্জাত বলেছে তার সাথে যেন বের হই আর আমি উফফ
তিথি রুমে গিয়ে দেখে আবির রেডি হয়ে নেয়,,
আবির তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ কিছু বলবে?

তিথিঃ আম সরি
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ আমি কাল ঘুমিয়ে গেছিলাম আর আপনার সাথে বের হতে পারি নাই সরি
আবির তিথির কাছে এসে গালে হাত দিয়ে বলে
আবিরঃ দূর পাগলী এতে সরি এর কি আছে,,,সারাজীবন পড়ে আছে তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার,,, মন খারাপ না করে হাসো ওকে
তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে আবিরকে যেন তার আগের চেয়ে আরো বেশি ভালো লাগছে,,আবির তাকে এতো বুজে তার কেয়ার করে সব কিছু যেন তিথির মনে আবিরের জন্য জায়গা করে নেয়,,,
আবিরঃ আচ্ছা আমি অফিসে যাই রাতে আসলে কথা হবে কেমন
তিথি আবিরের কপালে নিজে থেকে চুমু দেয়,,আবির মুচকি হেসে নিচে নেমে যায়,,সবাই এক সাথে নাস্তা করতে বসে
বাবাঃ আবির কাল তোমাদের বিয়ের জন্য একটা পার্টি দিচ্ছি,,,যাদের যাদের ইনভাইটেশন দেওয়ার দিয়ে দিয়ো তোমার ফ্রেন্ডদের মধ্যে,, আমি অনেক কে বলেছি আর কাল মিটিং থাকলে তা কেনচেল করে দিয়ো,,হঠাৎ বিয়ে হয়েছে তাই কাল পার্টিতে সবাই কে বলে দেওয়া হবে
আবিরঃ জ্বি বাবা,,,
আবির নাস্তা করে অফিসে চলে যায়,আর তিথির দিন কাটে মা আর মামানির সাথে গল্প করে,,মামার জন্য অনেক ভালো ডাক্তার ও রেখেছে আবির,,,আবিরের জন্য তিথির মনে অনেক টা জায়গা হয়,,,হয়তো আবার ভালোবাসা জন্ম নেয় একটু একটু করে
(পার্টিতে সবার দাওয়াত আসিয়েন,,,,আর ধামাকা এরর জন্য রেডিও থাকিয়েন কি হয় কেউ তো জানে না,,গিফট নিয়ে আসিয়েন)
চলবে,,,,,,