বউ রানী { সিজন ২ }

বউ রানী { সিজন ২ } ——- পর্ব–৯

স্বামী তার বউকে I LOVE YOU বলাতে
এইটা খারাপ কথার কি আছে! আর I LOVE
YOU বললে পাপ হবে এমন কথা আমার
জীবনেও শোনিনি! শোন বউ রানী
তোমার আম্মু তোমাকে কেন এই কথা
বলছে। তুমি যাতে কোন ছেলেকে I LOVE
YOU না বলো তাই বলছে পাপ হবে। (আব্বু)
সোনালী:- তাহলে ওনি তো আমাকে
বলছে তাহলে ওনারও পাপ হবে।
আম্মু:- সোহরাব তোমার বর ও তোমাকে I
LOVE YOU বললে পাপ হবেনা।
সোনালী:- বর হয়ছে তো কি হয়ছে আম্মু
তো বলছে এই কথা মুখে আনাও পাপ হবে।
আচ্ছা আমি আপনার জন্য আল্লাহর কাছে
দোয়া করবো যেন আপনাকে ক্ষমা করে
দেয়। আর কোন সময় এমন কথা মুখে আনবেন
না কেমন!
আমি:- আনবো কি আনবোনা এইটা পরের
বিষয় আর আমার পাপ হলে হবে এখন তুমি
রেডি হয়ে নাও।
সোনালী:- এখন রেডি হবো কেন বুঝতে
পারছি আপনি আমার সাথে বউছিঃ
খেলবেন তাহলে আমি রেডিই আছি এই
যে ওরনাটা কমরে বান দিলাম। চলেন
আমরা বাহিরে গিয়ে বউছিঃ খেলি।
আমি:- জ্বি না এখন তোমাকে নিয়ে
বাড়ীতে যাবো তোমাদের আর তোমাকে
তোমার বাড়ীতে রেখে আসবো।
সোনালী:- সত্যি নিবেন ঠিক আছে
তাহলে আমি এখুনি রেডি হয়ে আসতেছি
বলে দৌরে সোজা উপরে চলে যেতেছে।
আব্বু:- দ্বাড়াও # বউ_রানী তোমাকে এখন
বাড়ীতে যেতে দেওয়া যাবেনা।
সোহরাব কি রে তুই এই টুকুতে ধর্য্য হারায়
ফেললি?
আমি:- আপনি আমার যায়গায় হলে বুঝতেন
আমার তো বাঁশ যায় আপনার তো ভালোই
লাগে মজা নিতে। যখন তখন আমার ইজ্জত
নিয়ে চিনি মিনি খেলছে।
আব্বু:- ঠিক আছে আজ থেকে একজন মহিলা
গৃহকর্মী সোনালীর জন্য রেখে দিব ওকে
স্বামী সংসার কি এই গুলা শিখাবে।
আমি:- আপনার যা মন চাই করেন আমি
এসবের মাঝে নেয় তবে আমি বলে দেয়
ওকে নিয়ে আমি আর কোথাও যেতে
পারবোনা।
আব্বু:- দেখ আমাদের ভাল্য কালের
বুন্ধুত্তটা এভাবে নষ্ট করিসনা সোনালী
অনেক সুন্দর আর ভালো মেয়ে। তখনি,,
সোনালী:- হ্যা আব্বু আমি অনেক সুন্দর
আমাকে অনেকে গ্রামে বিয়ে করতে
চাইছে।
আমি:- তবেরে মায়া তোমার সুন্দর বাহির
করতেছি বলে কাছে গিয়ে ঠাসস করে
একটা থাপ্পড় দিয়ে সোজা অফিসে
দিকে চলে এসেছি। এসে কারো সাথে
কথা না বলে নিজের কাজ করতেছি দুপুর
হয়ে গেছে কাজ করতে করতে মনটা একটুও
ভালো লাগছেনা কেন জানি
সোনালীকে থাপ্পর দিতে গেলাম। যদি
ওর গালে দাগ বসে যায় না তা হবেনা
বাড়ীর সবাই আছে ওর গালে বরফ ডলে
দিবে। আজকে সোনালীর জন্য একটা
ফুলের তোরা নিয়ে যাবো ওর মনটা
ভালো করার জন্য। কাজ গুলা শেষ করে
বাসায় যাবার সময় ওর জন্য একটা ফুলের
তোরা কিনতে ফুলের দোকানে গেলাম।
তখনি মনে হলো আরে এই #বউ_রানী তো
আর এই তোরাটার মুল্য বুঝবেনা এক কাজ
করি তোরা না নিয়ে কত গুলা চকলেট আর
টেডিবিয়ার নিয়ে যাই তাহলে কাজ
হবে। যেই কথা সেই কাজ চকলেট আর
টেডিবিয়ার নিয়ে সোজা বাসায় চলে
এসেছি। ভীতরে ঢুকে দেখি সবাই নিচে
বসে আছে মন খারাপ করে আমাকে
দেখেই ভাবি বলে,,
ভাবি:- সোহরাব তোমার মোবাইলটা
বাসায় ফেলে গেলে কেন আর অফিসের
টি এন টি কি হয়ছে?
আমি:- কেন কি হয়ছে?
ভাবি:- সোনালী সকাল থেকে কারো
সাথে কোন কথা বলেনা কোন দুষ্টমি
করেনা এমনকি কিছু খেতে চাচ্ছেনা।
আমি:- কি বলছো ভাবি সোনালী
কোথায়?
ভাবি:- রুমে আছে গিয়ে দেখ অনেক
রেগে আছে আর তুমি নাকি জানতে ওর
গালে থাপ্পর দিলে দাগ হয়ে যায়
তাহলে তুমি ওকে থাপ্পর দিতে গেলো
কেন? মেয়েটার গালে আঙ্গোলের দাগ
পরে গেছে।
আমি:- বরফ ডলে দিতে তাহলে তো আর
দাগটা পরতোনা।
ভাবি:- আব্বা তোমার উপর অনেক রেগে
আছে তারা তারি করে আগে
সোনালীকে ম্যানেজ করো তানা হলে
কপালে খারাপি আছে।
আমি:- হ্যা দেখতেছি বলে রুমে গেলাম
গিয়ে দেখি সোনালী কান্না করতেছে
আমাকে দেখে অন্য দিকে তাকিয়ে
আছে। সোনালী আমাকে ক্ষমা করে দাও
আর এমন হবেনা। কি হলো আমার সাথে
কথা বলবেনা ঠিক আছে যে চকলেট গুলা
আনছি সেই গুলা ভাবিকে দিয়ে দেয়।
সোনালী:- কোথায় চকলেট আমাকে দেন
আমি খাবো।
আমি:- তাহলে একটু হাসো?
সোনালী:- আমার গালে ব্যাথা করতেছে
তাই হাসতে পারবোনা।
আমি:- দাত গুলা বাহির করে এমন করে
হাসো তাহলে হবে।
সোনালী:- ঠিক আছে তবে আমার একটা
শর্ত আছে।
আমি:- কি শর্ত?
সোনালী:- কান ধরে উঠ বস করতে হবে
পাঁচবার তাহলে আমি হাসবো।
আমি:- তা পারবোনা তবে শুধু কান ধরেছি
তা দেখে সোনালী হাসি শুরু করেছে
যাক এখন আমার কাছেও অনেক ভালো
লাগছে সত্যি বলতে সোনালীর এই
হাসিটা আমার জন্য অনেক। দেখ
সোনালী তোমার জন্য টেডিবিয়ার
এনেছি আর অনেক গুলা চকলেট।
সোনালী:- এইটা তো বিড়াল টেডিবিয়ার
হতে যাবে কেন! ঠিক আছে আমার চকলেট
গুলা দেন এখন চকলেট খাবো আমার অনেক
খিদে পাইছে।
আমি:- নাও তবে এখন তুমি চকলেট নয় ভাত
খাবে তুমি বসো আমি নিয়ে আসতেছি
তোমার জন্য ভাত আর বরফ।
সোনালী:- না চলেন আমি নিচে গিয়ে
খাবো সবার সাথে আমার একা একা
খেতে ভালো লাগেনা।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে একটু হাত মুক
দুয়ে নাও।
সোনালী:- আপনি আমাকে আর কোন দিন
মারবেন না তো বলেন।
আমি:- এই তোমার নাক ধরে বলতেছি আর
কোন দিন মারবোনা এবার চলো।
সোনালীকে সাথে করে নিচে গেলাম
সবাই সোনালীকে দেখে অনেক খুশি
হয়ছে। সোনালীকে খাবার টেবিলে
বসিয়ে আমি নিজেই সব খাবার নিয়ে
এসেছি আমার কান্ড দেখে সবাই
হাসতেছে আগে সোনালীর কান্ড দেখে
হাসতো এখন আমারটা দেখে।
সোনালী:- আমাকে আপনি নিজের হাতে
খায়িয়ে দেন আমার হাতে তো চকলেট
আছে তাইনা।
আমি:- ঠিক আছে সোনালীকে আমি
নিজের হাতে খায়িয়ে দিয়েছি। ওর
খাবার শেয়ে বসে বসে টিবিতে টম এন্ড
জেরি কাটুন দেখছে আমি গালে বরফ
ডলে দিতেছি।
ভাবি:- যাক আব্বা একটা কাজ করেছি
সোনালীকে তোমার সাথে বিয়ে
দিয়ে। বর বউ বসে বসে কোথায় রোমান্স
করবে তানা করে টম এন্ড জেরি
দেখতেছো। কবে যে সোনালী তোমার
মনে দুঃখ সূখ বুঝবে কে জানে।
আমি:- তুমি তো ওকে কিছু শিখাতে
পারো তাহলে তো হয়।
ভাবি:- ওকে আমি কিছু শেখালে পরে
আমার মান সম্মান নিয়ে চিনি মিনি
খেলবে বলে হাসি হি হি হি। আচ্ছা
আমি ওকে এখন থেকে শিখাবো স্বামি
স্ত্রী কি।
আমি:- ধন্যবাদ ভাবি। তাহলে তুমি
সোনালীকে এখন কিছু শিখাও আমি একটু
উপর থেকে ঘুরে আসি। বলে ভাবির
কাছে বরফটা দিয়ে আমি সোনালীকে
বলে উপরে চলে এসেছি। কিছুক্ষন পর
আমি নিচে নামছি তখনি দেখি আব্বুর
সাথে সোনালী বসে বসে সোলয়া
খেলতেছে। আমাকে দেখে আব্বু বলে,,
আব্বু:- আজকের মত তোকে ক্ষমা করে
দিলাম এরপর যদি # বউ_রানীর গায়ের উপর
হাত তুলিস তাহলে তোকে এই বাড়ী
থেকে বাহির করে দিব।
আমি:- সরি আব্বু আমি বুঝতে পারিনি তখন
নিজের রাগটা কন্ট্রোল করতে পারিনি।
আব্বু:- হ্যা ঠিক আছে, আচ্ছা সোনালী
তাহলে আজকের মত খেলা এখানে শেষ
আগামীকাল আমরা আবার খেলবো।
সোনালী:- ঠিক আছে আমারও ঘুম পাচ্ছে
চলেন আমরা রুমে যাই আমার কাছে এসে।
আমি:- ঠিক আছে চলো সোনালীকে নিয়ে
যেতেছি পেছনে ভাবির দিকে
তাকিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা দিয়েছি
কিছু শিখাইছে কিনা ভাবিও ইশারা
দিয়েছে কিন্তু আমি কিছু বুঝতে
পারিনি। রুমে এসে দরজাটা বন্ধ করে
সোনালীকে জিজ্ঞেস করেছি আচ্ছা
সোনালী ভাবি তোমাকে কিছু বলছে?
সোনালী:- হ্যা বলছে তো?
আমি:- অনেক আগ্রোহর সাথে
সোনালীকে জিজ্ঞেস করেছি কি
বলছে?
সোনালী:- আমার কাছে আসুন।
আমি:- হ্যা এসেছি, তখনি সোনালী আমার
মাথায় গালে হাত বুলিয়ে দিতেছে।
মনে মনে ভাবতেছি যাক তাহলে ভাবি
মনে হয় আজকে ওকে ভালো করে বুঝিয়ে
দিয়েছে। শুধু বার বার একি ভাবে মাথায়
আর গালে হাত বুলায় দিতেছে। সোনালী
তুমি এমন করেছো কেন?
সোনালী:- ভাবি তো আমাকে এইটা
করতে বলছে আর আপনি ঘুমান না কেন
আমার হাত ব্যাথা করবে বেশিক্ষন ধরে
করতে পারবোনা।
আমি:- ভাবি তোমাকে কি করতে বলছে?
সোনালী:- মাথায় আর গালে হাত বুলিয়ে
দিতে বলছে তাহলে আপনি অনেক খুশি
হবেন। এখন আপনি অনেক খুশি হয়ছেন
তাইনা?
আমি:- হ্যা অনেক খুশি হয়ছি, এখন ঘুমাও
আমার ঘুম পাচ্ছে। সোনালী আমাকে
জড়িয়ে ধরে বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে
পরেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি
সোনালী রুমে নেয় আজ কিছু দিন
সোনালী আমার আগেই ঘুম থেকে উঠে
যায়। যাক আমিও উঠে ফ্রেস হয়ে নিচে
গিয়ে দেখি আমার শ্বশুড় শ্বাশুড়ি দুজনে
এসেছে। আমি ওনাদের সালাম দিয়ে
ভাল মন্দ জিজ্ঞেস করেছি।
সোনালী:- আব্বা রাজা মধুমতি নয়ন তারা
ওরা সবাই কেমন আছে।
শ্বশুড়:- হ্যা ওরা সবাই ভালো আছে। এখন
তুই বল তুই কেমন আছিস।
সোনালী:- আমি অনেক ভালো আছি।
শ্বশুড়:- হ্যা তা তো দেখে বুঝতে পারছি
আচ্ছা তোর দুষ্টমি গুলা এখন কমছে নাকি
আগের মতই আছে! আর শোন একদম দুষ্টমি
করবিনা কিন্তু সোহরাব বাবা তুমি একটু
ওকে সব কিছু সিখিয়ে নিও যদি কোন ভূল
করে তাও ওকে ক্ষমা করে দিও। আসলে
ওর মাঝে তখনি আব্বু ওনাকে থামিয়ে
দিয়ে বলে,,
আব্বু:- আরে বাদ দে ও এখনো ছোট মানুষ এত
কিছু বুঝেনা সব ঠিক হয়ে যাবে। চল এখন
নাস্তা করবি আজ আমরা সবাই মিলে
নাস্তা করবো।
আমি:- আচ্ছা তাহলে আপনারা সবাই
নাস্তা করেন আমার একটু কাজ আছে আমি
অফিসে যাই।
সোনালী:- আমি আপনার হাতে নাস্তা
খাবো তানা হলে নাস্তা খাবোনা। আসুন
আপনি আমাকে নিজের হাতে খায়িয়ে
দিবেন।
আমি:- হ্যা চলো (কারন নিজের সম্মান
বাচাতে হবে) সবাই মিলে আমরা নাস্তা
করতেছি। সবার অনেক কথা বলতেছে
আমি মনে মনে আল্লাহকে ঢাকতেছি।
শ্বাশুড়ি:- আচ্ছা সোনালী আপনাদের মনে
হয় অনেক জ্বালাতন করে তাইনা।
আব্বু:- আরে না #বউ_রানী কথা না বললে
আমাদের ভালোই লাগেনা। গতকাল
খালি দুষ্টমি করেনি মনে হচ্ছে বাড়ীটা
একদম ফাকা ফাকা ছিলো।
শ্বশুড়:- কেন দুষ্টমি করেনি সোনালী?
সোনালী:- আমি বলতেছি আব্বা, ওনি
আমাকে I LOVE YOU হানি বলছে আম্মা
তুমি আমাকে বলছিলেনা এই কথা মুখে
আনা পাপ হয় এইটা খারাপ কথা। এইটা
বলছি আমি তখন ওনি রাগ করে আমাকে
থাপ্পর দিয়েছে তাই আমি কারো সাথে
কথা বলিনি।
শ্বশুড়:- তোকে থাপ্পর দিয়েছে তখনি
সোনালী ওনাকে থামিয়ে দিয়ে বলে,,,
সোনালী:- আমার কথাটা শেষ করতে দাও!
তখন আমার গালে আঙ্গোলের দাগ পরেছে
তবে ওনি রাতে আমাকে বরফ দিয়ে ডলে
দিছে। আর কান ধরে বলছে আর কোন দিন
আমাকে মারবেনা আপনারা ওনাকে কিছু
বলিয়েন না ওনি আমাকে নিজের হাতে
খাবার খায়িয়ে দেয়। আমারর জন্য একটা
বিড়াল কিনে আনছে আর কত গুলা চকলেটও
আনছে। সবাই আমার দিকে তাকিয়েছে
আমি খাবার টেবিল থেকে উঠে সোজা
দরজা দিয়ে দৌর দিয়েছি।

চলবে,,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *