বউ রানী { সিজন ২ }

বউ রানী { সিজন ২ } ——- পর্ব–৫

সোনালী তোমার এই অবস্থা হলো কি
করে আর ঠোটের লিবিষ্টিক গালে কেন?
আর তোমার পরনের গহনা সব কিছু নিচে
কেন? তোমাকে কত কষ্ট করে এত সুন্দর
করে সাজিয়ে আনছি আর তুমি কিনা সব
কিছু এলো মেলো করে নিয়েছো? এক
সাথে অনেক গুলা প্রশ্ন করে বসলাম
সোনালীকে আমি। তখনি,, সোনালী
কান্না করতে লাগলো।
ভাবি:- কি ব্যাপার তুমি কান্না
করতেছো কেন?
সোনালী:- কান্না করবোনা তো কি
করবো আমি কখন ধরে একা একা বসে আছি
আর আমার গা কুট কুটাইতাছে (চুলকাইচ্ছে)
তাই তো গহনা গুলা খুলে ফেলছি আর
ঠোটে কি যেন লাগছে তাই ডলা
দিয়েছি তখনি লিবিষ্টিক এমন হয়ছে।
আমি:- তাহলে রেহেঙা খুলছো কেন?
সোনালী:- এইটা কত বার আমার কি কষ্ট
হয়না এত বার কাপড় কেও পরে রাখে
নাকি? (বার মানে ওজন) আপনি এখন ছাদে
চলেন আমি কানাঁমাছি খেলবো।
আমি:- এখন কানাঁমাছি খেলবে মানে এখন
তো নিচে যেতে হবে বাড়ীতে আজ পার্ট
দিয়েছে আব্বু আমাদের বিয়ে উপলক্ষে।
সোনালী:- পার্টি কি?
আমি:- অনুষ্টান, এখন তোমাকে নিয়ে
নিচে নামা যাবেনা এক কাজ করো হাত
মুখটা দুয়ে কাপড়টা পরে আমার সাথে
চলো।
সোনালী:- যেতে পারি তার আগে আমার
সাথে বর বউ খেলতে হবে অনুষ্টান শেষে।
আমি:- ঠিক আছে খেলবো এখন আমার
সাথে চলো?
সোনালী:- ঠিক আছে তাহলে আমাকে
আগের মত করে সাজিয়ে দেন যেমন ঐ
খানে সাজিয়েছেন।
আমি:- ঠিক আছে আসো আমার সাথে।
ভাবি:- ঠিক আছে তাহলে তুমি
সোনালীকে সাজিয়ে নিচে নিয়ে এসো
ঐ দিকে আমি সবাইকে মেনেজ
করতেছি।
আমি:- ঠিক আছে, তারপর সোনালীকে
সাথে করে নিয়ে ওকে ফ্রেস করে
আনলাম, তারপর ওকে আরেকটা রেহেঙা
পরালাম। তারপর হাল্কা করে সাজিয়ে
কিছু গহনা পরিয়ে দিলাম। সোনালী
আমার দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে
কিছু একটা বলবে ঠিক তখনি বলে,,
সোনালী:- আপনি না অনেক ভালো
আমাকে খুব মায়া করেন। তবে কাল
রাতে কিন্তু আপনি আমাকে চুমা দেননি
আবার আন্জাদা ধরেননি, তখন কিন্তু
আমার অনেক খারাপ লাগছিলো। ভাবি
আমাকে যা যা বলছে আপনি তো তার
কিছুই করেন না।
আমি:- তোমার ভাবি কি কি বলছে যা
আমি করিনা?
সোনালী:- বা রে আমার বুঝি লজ্জা
করেনা বলতে তবে রাতে বর বউ খেলার
পরে কিন্তু ভাবি যা যা বলছে আপনি তা
তা করবেন কেমন।
আমি:- (তোমার ভাবি যা যা বলছে আমি
তা তা করলে সকলে তো আমার মান
সম্মান বলতে কিছু লাগবেনা সব কিছু
মাটিতে মিশাই দিবে। মনে মনে
কথাটা বলতেছি) ঠিক আছে এখন চলো
আমার সাথে সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা
করতেছে তোমাকে দেখবে বলে।
সোনালী:- আমাকে দেখবে কেন আমি কি
করেছি?
আমি:- তুমি আমার বউ তাই সবাই দেখবে।
এখন চলো তারপর সোনালীকে সাথে
নিয়ে নামতেছি সোনালী আমার হাত
ধরে রাখবে তা না ওল্টা আমি ওর হাত
ধরে রাখছি। আল্লাহ আজকে ভালোই
ভালোই আমার মানসম্মানটা রক্ষা করো।
সোনালী:- আমারনা আপনাকে আন্জা
(জরিয়ে) ধরতে ইচ্ছে করতেছে একটু
আন্জা( জরিয়ে) ধরবো?
আমি:- এখন নয় রুমে ধরবে কেমন, তারপর
সোনালীকে নিয়ে শিড়ি দিয়ে
নামতেছি সবাই আমাদের দিকে
তাকিয়ে আছে। তখনি আব্বু বলে,,
আব্বু:- এটেনশন প্লিজ এই হচ্ছে আমার ছোট
ছেলের বউ সোনালী। তারপর
সোনালীকে একটা চেয়ারে আব্বু বসিয়ে
দিয়েছে। আমি চলে এসেছি আমার
বুন্ধুদের সাথে কথা বলতে! তার কিছুক্ষন
পর সব বুন্ধুরা মিলে কথা বলতেছি তখনি,,
রবি:- দোস্ত তোর বউকে আমাদের সাথে
পরিচয় করিয়ে দিবি কখন! এক কাজ কর
তোর বউকে এখানে নিয়ে আয় আমরা সবাই
তোর বউয়ের সাথে বসে আড্ডা দেয়।
আমি:- না থাক তোরা চল ঐ খানে দেখা
করে চলে আসবি এখানে আনা দরকার
নেয়। তারপর ওদের সাথে করে সোনালীর
সামনে নিয়ে এসে সবার সাথে পরিচয়
করিয়ে দিব তখনি,,,
সোনালী:- আপনি এতক্ষন কোথায় ছিলেন
আমি কখন ধরে আপনাকে খুঝতেছি।
আমি:- এই তো বুন্ধুদের সাথে কথা
বলছিলাম। নাও ওদের সবার সাথে আলাপ
করো।
সোনালী:- ভাবি বলেছে আপনাকে ছারা
আর কারো সাথে কথা না বলতে আমি
পারবোনা ওদের সাথে কথা বলতে তখনি
আমার বান্ধবীরা এসে আমার হাত ধরে
বলতেছে,,,
সোহরাব কেমন আছো আর তোমার কোন
খবর
নেয় কেন, আর তুমি বিয়ে করেছো কবে?
আমি:- এই তো কিছু দিন হলো, এই তো
আমার স্ত্রী সোনালী তখনি সোনালীর
দিকে তাকিয়ে দেখি এখুনি ওদের
সবাইকে খেয়ে ফেলবে।
সোনালী:- শোনেন চলেন আমরা রুমে
গিয়ে বউ বর খেলবো এখানে সবাই
আমাকে দেখতেছে মনে হয় আর কোন সময়
আমার মত সুন্দর মেয়ে দেখেনি চলেন
এখুনি আপনি আমার সাথে যাবেন।
আমি:- দেখো এখান থেকে আমরা কোথাও
যাবোনা অনুষ্টান শেষ হলে যাবো।
সোনালী:- আমি ভাবির সাথে কথা
বলবো আপনার মোবাইলটা দিয়ে আমাদের
বাড়ীতে একটা ফোন করে দেন।
আমি:- এখন ফোন করতে হবেনা সকালে
করো কেমন। তখনি গিয়ে আব্বুকে
বলতেছে,,
সোনালী:- আব্বাজান দেখেন না ওনি
আমাকে সব ছেলেদের সাথে পরিচয়
করিয়ে দিতে চাইছে আম্মু তো বলছে
স্বামি ছারা কোন ছেলের সাথে কথা
বলেনা মেয়েরা। আপনি বলেন তো এখন
আমি কি করবো? (আব্বু ওনার বুন্ধুদের
সাথে কথা বলছিলো।)
আব্বু:- ওরা ছেলে নয় সব গুলা সোহরাবের
বুন্ধু তুমি ওদের সাথে কথা বলো ওরা যা
যা বলে তোমাকে তুমি তাই বলো কেমন।
সোনালী:- ঠিক আছে, বলে আমার কাছে
এসে বলে আব্বাজান বলছে আপনার
বুন্ধুদের সাথে কথা বলতে।
আমি:- ঠিক আছে এসো তারপর
সোনালীকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে
দিয়েছি। তখনি সবাই দুষ্টুমি করতেছে
আর আমার হার্ট ব্রিট বারতেছে।
রবি:- কিরে তুই কিছু বলেছিসনা কেন?
আমি:- হ্যা বলছি তখনি সোনালী বলে,,
সোনালী:- আমি একটু ঐ দিক থেকে
আসতেছি। বলে সোনালী চলে গেছে
আমি ওদের সাথে কথা বলতেছি তখনি
দেখি সোনালী সরবত নিয়ে এসেছে এসে
সবাইকে খেতে দিতেছে।
আমি:- তুমি সরবত আনতে গেলে কেন অন্য
কাওকে দিয়ে আনাতে পারতে?
সোনালী:- কারন ওনারা আপনার বুন্ধু
বান্ধবী তাই আমি নিজের হাতে
ওনাদের আপ্যায়ন করি। তারপর সবাইকে
খেতে দিতেছে কিন্তু আমি চাইলে বলে
আপনার সরবত খেতে হবেনা। তখনি
বুঝেছি ঢাল মে কুচ কালা হে। তখনি
সোনালীকে একটু দুরে নিয়ে গিয়ে বলি।
আমি:- সোনালী সরবতে কিছু দিয়েছো?
সোনালী:- না না, হ্যা হ্যা মাথা নেরে
এই উত্তর দিয়েছে, তখনি দেখি আমার
বুন্ধুরা সবাই দৌরা দুরি করতেছে আর
বাথরুম খুঝতেছে,,
আমি:- আরে রবি কি হয়ে তোদের তোরা
এমন করতেছিস কেন কি হয়ছে তোদের?
রবি:- দোস্ত হঠাত করে প্যাট মুচুর দিছে
তোদের বাথরুমটা কোথায়?
সোনালী:- ঐ দিকে যান তানা হলে
কাপড় নষ্ট করে ফেলবেন। তখনি দেখি
আব্বু তার বুন্ধদের নিয়ে বাড়ীর ভীতরে
যেতেছে দৌরে তারা তারি করে।
আমি:- সোনালী সত্যি করে বলে তুমি
সরবতে কি দিয়েছো?
সোনালী:- জামাল গোডা দিয়েছি
সরবতে তাই ওদের পেট খারাপ হয়ে
গেছে।
আমি:- কি জামাল গোডা কিন্তু কেন কি
করেছে ওরা?
সোনালী:- ঐ মেয়ে গুলা আপনার হাত
ধরেছে কেন আর সব গুলা ছেলে আমার
দিকে তাকিয়ে ছিলো। তাই সুফিয়াকে
দিয়ে জামার গোডা এনে সরবতে দিয়ে
দিয়েছি।
আমি:- আর কাওকে খেতে দিয়েছো এই
সরবত? একটু চুপ থাকার পর বলে,,,
সোনালী:- আমি দিতে চাইনি কিন্তু
আব্বাজান জোর করে তার বুন্ধুদের জন্য
আমার কাছ থেকে নিয়েছে। তবে কষ্ট
হচ্ছে আব্বাজানের জন্য আব্বজান এই
সরবতটা খায়ছে।
আমি:- কি তুমি আব্বুকেও খেতে
দিয়েছো তোমার একবারও মনে হয়নি
আব্বুর হয় পেসার।
সোনালী:- কি পেসার হায় এইটা আবার
কি?
আমি:- থাক তোমার সাথে তর্ক করে
আমার সময় নষ্ট করতে পারবোনা দেখি এই
সরবত আর কে কে খাইছে। তারা তারি
করে বাড়ীর ভীতরে এসে দেখি প্রতিটা
বাথরুমে সিরিয়াল ধরে আছে সবাই।
এমনকি ভাইয়া ভাবি আর আম্মু সহ সবাই
এইটা খেয়েছে। সবার অবস্থা দেখে
সোনালীর মনটা একটু খারাপ হয়েছে,
এভাবে কিছুক্ষন যাওয়ার পর আমার বুন্ধুরা
এসে আমাকে যা পারছে তাই বলে
গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি বলছে আব্বুর
বুন্ধুরা,,
সাদিদ তুই আমাদের এভাবে অপমান না
করলেও পারতি বেটা পার্টি দিয়ে এমন
ভাবে আমাদের অবস্থা খারাপ না করলেও
পারতি। আরো অনেক কথা বলছে ওনারা।
ভাইয়া ভাবি বাড়ীর সবাই অনেক কথা
শোনছে সোনালীর জন্য। তবে জামাল
গোডা যে সোনালী দিয়েছে এই কথা
আমি কাওকে বলিনি।
আব্বু:- সাগর সবার হঠাত করে এমন অবস্থা
হলো কি করে?
ভাইয়া:- আব্বু মনে হয় সরবতে কেও কিছু
দিয়েছে আমরা যখন খাবার খেলাম তখন
তো কিছু হয়নি!
ভাবি:- মনে হয় সরবতে কেও জামাল
গোডার বিচি দিয়েছে, তাই তো সবাই
এমন করে বাথরুমে দৌরা দৌরি করছে।
আব্বু:- এই সুফিয়া বল সরবতে জামাল
গোডা কে দিয়েছে। তখনি সোনালী
কাছে গিয়ে বলে,,,
সোনালী:- আব্বাজান একটা কথা বলবো?
আব্বু:- হ্যা বল বউ রানী কি বলবে?
সোনালী:- জামাল গোডা আমি দিয়েছি
বলে কান্না শুরু করে দিয়েছে জোরে
জোরে। আব্বু সোনালীকে কি বলবে ওর
কান্না থামানোর জন্য ব্যাস্ত হয়ে গেছে
সবাই তখনি আব্বু অনেক কষ্টে কান্না
থামিয়ে বলে,,
আব্বু:- কিন্তু কেন বউ রানী?
সোনালী:- ওনাকে ঐ মেয়ে গুলি হাত
ধরে কথা বলছে তাই আমি শুধু ওদের
জামাল গোডা খাওয়াতে চাইছিলাম।
যখন বড় জগে ডালছি তখন আপনি এসে
বলছেন আপনাকে এখান থেকে দিতে।
আমি না করেছি আপনি নিয়েছেন এর
অর্ধেকটা তাই বাকি যা আছিলো সবটা
এখানে ডেলে দিয়েছি আর সবাই
খেয়েছে। তবে আমি ওনাকে খেতে
দেয়নি কাজটা ঠিক করেছিনা বলেন।
আব্বু:- হ্যা তুমি একদম ভালো কাজ
করেছো। ঠিক আছে # বউ_রানীকে কও
কিছু বলোনা ও ছোট মানুষ বুঝতে
পারেনি।
আমি:- আব্বু আমি না করে ছিলাম আজকে
পার্টি দিতে আপনি দিয়েছেন আমার সব
বুন্ধুদের কাছে অপমানিত হতে হলো।
ভাইয়া:- সোহরাব অপমানিত কি তুই একা
হয়ছিস আমরা সবাই হয়ছি এখন এই সব কিছু
বাদ দিয়ে সবাই ফ্রেস হয়ে গিয়ে শুয়ে
পর আর সোনালী তোকে কত ভালোবাসে
দেখ তোকে এই সরবতটা খাইতে দেয়নি।
তখনি সোনালী বলে,,
সোনালী:- শুইবো কেন এখন কানাঁমাছি
খেলবো ওনি আমাকে বলছে রাতে বাসার
সবাই মিলে কানাঁমাছি খেলবে। যদি
কানাঁমাছি না খেলেন তাহলে আমি
এখুনি গ্রামের বাড়ীতে চলে যাবো।
আমি:- খেলাচ্ছি তোমাকে কানাঁমাছি
বলে সোনালীকে কাছে নিয়ে ঠাসস করে
একটা থাপ্পর দিয়ে সোজা টেনে রুমে
নিয়ে এসেছি। তখন সবাই আমাকে বকা
দিয়েছে যদিও সোনালীকে থাপ্পর
দেওয়ার জন্য কিন্তু এই থাপ্পরটা ওর পাপ্প
ছিলো।
সোনালী:- আপনি আমাকে মারতে
পারলেন যান আর আমি আপনার সাথে কথা
বলবোনা বলে সোজা খাঠের উপর গিয়ে
শুয়ে পরেছে। তখনি আমার বুকের ভীতরটা
কেমন জানি করতেছে। তারপর ফ্রেস
হতে চলে গেলাম একটু পর ফ্রেস হয়ে এসে
দেখি সোনালী কান্না করতেছে,,
আমি:- কি হলো কান্না করছো কেন?
সোনালী:- আপনি আমাকে থাপ্পর
দিয়েছেন দেখেন আমার গালে দাগ হয়ে
গেছে আমাকে দেখতে কত খারাপ
দেখাচ্ছে। আর অনেক জন্ত্রা করতেছে
গালে আমার।
আমি:- কোথায় দেখি চেয়ে দেখি গালে
আঙ্গোলের দাগ পরে গেছে। তারপর
ফ্রিজ থেকে বরফ এনে সোনালীকে
লাগিয়ে দিয়েছি। তারপর অনেক্ষন
দেওয়ার পর কিছুটা কমেছে সোনালী
আমাকে ক্ষমা করে দাও আর কোন দিন
এমনটা করবোনা।
সোনালী:- করতে পারি যদি এখন আমার
সাথে বসে বসে বর বউ খেলেন আর
কালকে চিরিয়াখানা দেখাতে নিয়ে
যান।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে চোখের
পানিটা মুছে ফেলো তারপর সোনালী
চোখের পানি মুছে পুতুল গুলা নিয়ে আমার
সাথে খেলতেছে ওর দুষ্টমি গুলা এখন
ভালোই লাগছে। তারপর ওকে বুঝিয়ে
দুজনে শুয়ে পরলাম তখনি,,,
সোনালী:- ভাবি যা যা করতে বলছে তা
তা করেন।
আমি:- তুমি কাওকে কিছু বলবেনা তো
পরে।
সোনালী:- না কাওকে বলবোনা তবে
আমিও করবো।
আমি:- ঠিক আছে তারপর সোনালীকে
কপালে গালে কিস করেছি আর ও
আমাকে করেছে, তারপর আমাকে জড়িয়ে
ধরে শুয়ে পরেছে। ওর সাথে দুষ্টুমি করতে
করতে কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সোনালী
আমার বুকের উপর ঘুমিয়ে আছে, তারপর
ওকে ছারিয়ে আমি ফ্রেস হতে গেলাম
কিছুক্ষণ পর যখন ফ্রেস হয়ে রুমে আসলাম
তখনি দেখি সোনালী রুমে নেয়, আরে
মেয়েটা গেলো কোথায়? তারপর রেডি
হয়ে নিচে এসে দেখি সোনালী
মোবাইলে কথা বলতেছে আর সবাই খাবার
রেখে কানে আঙ্গোল দিয়ে রাখছে। কি
ব্যাপার সবাই খাবার ফেলে কানে
আঙ্গোল ঢুকিয়ে রাখছে কেন? যখনি
কাছে গেছি তখনি দেখি সোনালী
বলতেছে,,,
সোনালী:- আম্মা তুমি ভাবিকে বলে
দিও ভাবি যা যা করতে বলছে আমরা
দুজুনে রাতে তা তা করি আর ওনি আজকে
নিজে থেকে চুমা দিয়েছে আর আন্জাদা
(জড়িয়ে) ধরে ঘুমায়ছে। ওনি বলছে আমি
যেন ভাবির সাথে এই কথা গুলা না বলি
কারন স্বামি স্ত্রী কথা নাকি কাওকে
বলতে নেয়। তাই তোমাকে বলছি তুমি
ভাবিকে বলে দিও। হায় হায় ওর হাতে
মোবাইল দিলো কে আমার মান ইজ্জতের
বারোটা বাজিয়ে ছারতেছে। তখনি
তারা তারি করে ওর কাছে গেছি ওকে
থামাতে এমনি সোনালী বলে আম্মা তুমি
আমার কথা বিশ্বাষ না গেলে তোমার
জামাইকে জিজ্ঞেসা করো। এমনি সবাই
আমার দিকে হা করে তাকিয়েছে আর
আমি সাথে সাথে দৌর দিয়েছি তখনি,,
সোনালী:- আরে আপনি কোথায় যাচ্ছেন
দ্বাড়ান আমি আসতেছি বলে ও আমার
পিছু পিছু আসতেছে দৌরে।

চলবে,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *