বউ রানী { সিজন ২ } ——- পর্ব–৩
আব্বাজান দেখেন না আমি যখন গাড়িতে
ওনার কাদের উপর ঘুমিয়ে ছিলাম তখন
ওনি আমাকে চুমা দিয়েছে। এখন আমি
ওনাকে চুমা দিব কিন্তু ওনি গাড়ি
থেকে নেমে সোজা চলে যেতেছে। যদি
ওনাকে চুমা দিতে না দেয় তাহলে আমি
ভাবির কাছে যে কথা দিয়ে এসেছি
সেই কথা রাখতে পারবোনা। (সোনালী)
আমি:- তুমি ভাবির কাছে কি কথা দিয়ে
এসেছো?
সোনালী:- ভাবি বলছে আপনি যা যা
করেন তা তা আমি যেন করি আর আপনার
সব কথা শোনে চলতে বলে দিয়েছে।
আমি সব কিছু মেনে চলবো এই কথা
ভাবিকে দিয়ে এসেছি। আর শুধু ভাবি
না আম্মুও আমাকে বলে দিয়েছে আপনার
সব কথা শোনে চলতে।
আমি:- আর কি কি বলছে?
সোনালী:- এখন এত কথা মনে আপনি এখন
আমার কাছে আসেন আমি আপনাকে
কপালে চুমা দিব।
আমি:- কি আমি যা যা করি তুমিও তা তা
করবে?
সোনালী:- হ্যা মানে আপনি আমাকে যখন
চুমা দিবেন আর আন্জাদা ধরবেন। তখন
আমিও আপনাকে চুমা দিব আর আন্জাদা
ধরবো এই কথা ভাবি আমাকে বলে
দিয়েছে। এখন আপনি আমাকে চুমা
দিয়েছেন আমিও আপনাকে চুমা দিব,
আপনি এখন আমার কাছে আসেন তানা হলে
আমি আবার কান্না সুরু করে দিব।
আব্বু:- আমার দিকে তাকিয়ে বলে,, কি
আর করবি যা কাছে গিয়ে সোনালীকে
নিয়ে আয় তানা হলে বউ রানী কান্না
করতেই থাকবে।
তারপর আমি রেগে মেগে সোনালীর
কাছে গেছি তখনি,,
সোনালী:- আপনি একটু চোখ বন্ধ করেন।
আমি:- চোখ বন্ধ করবো কেন?
সোনালী:- আপনি যখন আমাকে কপালে
চুমা দিয়েছেন তখন তো আমি ইচ্ছে করে
চোখ বন্ধ রাখছি! এখন আপনিও চোখ বন্ধ
করে রাখুন তারপর আমি আপনার কপালে
চুমা দিব।
আমি:- পারবোনা দিলে দাও না দিলে
দাঁড়িয়ে থাকো তখনি আবার কান্না সুরু।
তারপর কান্না থামিয়ে চোখ বন্ধ করতে
আমার কপালে একটা চুমা দিয়েছে। তখন
মনে হয়ছে সত্যি সোনালীর এই দুষ্টু আদর
গুলা খুব ভালোই লাগে তবে মাঝে মাঝে
ইজ্জতের ফালোদা করে ফেলে।
সোনালী:- আপনি অনেক ভালো ভাবি
সত্যি বলছে আমাকে আপনি অনেক আদর
করবেন।
আমি:- মানে কি বলছে?
সোনালী:- মানে ভালোবাসবেন।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে বাসার ভীতরে
চলো। তারপর যখনি সোনালীকে নিয়ে
ভীতরে ঢোকবো তখনি,,
আম্মু:- সোহরাব বউ রানীকে তুই কোলে
করে ভীতরে ঢুকতে হবে কারন আজকে বউ
রানীর প্রথম দিন এই বাড়ীতে।
আমি:- কোলে নিতে পারবোনা পরে
বিপদ হবে।
আম্মু:- যা বলছি তা করো যা হবে পরে
বুঝবো। আর কোলে নিলে বিপদ হবে
কেন?
আমি:- ঠিক আছে একটু পরে দেখবেন!
তারপর সোনালীকে কোলে নিয়ে
ভীতরে ঢোকেছি। ওকে নামিয়ে আমি
রুমের দিকে যেতেছি ফ্রেস হতে তখনি,,
সোনালী:- এই আপনি চলে যাচ্ছেন কেন
আমিও আপনাকে কোলে নিব।
আমি:- আম্মু বুঝতে পারছেন বিপদটা কি?
আম্মু:- হ্যা বুঝতে পারছি।
সোনালী:- কি হলো আসেন আমি
আপনাকে কোলে নিব।
আমি:- তোমার কোলে নিতে হবেনা যদি
নেওয়ার শখ থাকে তাহলে আব্বুকে একটু
কোলে নাও আমি গেলাম রুমে। দুর কি
বিয়ে করেছি আল্লাহ আপনি একটু তারা
তারি ওর মাথায় একটু বুদ্দি ঢুকিয়ে দিন।
যাই গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেয়, তারপর ফ্রেস
হতে চলে গেলাম বাথরুমে কিছুক্ষন পর
ফ্রেস হয়ে রুমে বসে আছি তখনি ভাবি
সোনালীকে নিয়ে রুমে এসে বলতেছে,,
ভাবি:- সোনালী এখন তুমি সোহরাবকে
কোলে নাও কেমন আমি গেলাম।
সোনালী:- ওনি তো আমাকে সবার সামনে
কোলে নিয়েছে তাহলে আমিও ওনাকে
সবার সামনে কোলে নেব।
ভাবি:- ঠিক আছে তাহলে তাই করিও
বলে ভাবি তারা তারি করে রুম থেকে
বেড়িয়ে গেছে।
আমি:- সোনালী তুমি এদিকে আসো আমি
তোমাকে কিছু কথা বলি সেই কথা গুলা
কারো সাথে বলবেনা এমন কি তোমার
ভাবির সাতেও না।
সোনালী:- কি কথা যে আমি ভাবির
সাথেও বলতে পারবোনা। আর ভাবি তো
আমাদের বাড়ীতে তাহলে বলবো কি
করে?
আমি:- তোমার ভাবি ফোন করবে যখন
তখনও বলবেনা।
সোনালী:- ঠিক আছে বলেন কি কথা?
আমি:- তাহলে শোন, আমরা দুজন হলাম
স্বমী স্ত্রী আমাদের মধ্যে যেই কথা হবে
তা কারো কাছে বলবেনা কেমন।
সোনালী:- ঠিক আছে কিন্তু আমার এখন
অনেক খিদে লাগছে আমি খাবো।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে তুমি ফ্রেস হয়ে
নিচে আসো আম্মু রান্না করতেছে তো
কিছুক্ষনের মাঝে খাবার রেডি হয়ে
যাবে।
সোনালী:- ঠিক আছে, এখন হাত মুখ দুইবো
কোথায়?
আমি:- এই তো এখানে গিয়ে দুইয়ে আসো?
সোনালী:- তার আগে এই কাপড় আর
জিনিস গুলা খুলতে হবে বলে কাপড়
খুলতে সুরু করে দিয়েছে সোনালী।
আমি:- আরে এখানে কাপড় খুলতেছো
কেন? বাথরুমের ভীতরে গিয়ে কাপড়
চেন্জ করে আসো।
সোনালী:- এখানে করলে কি সমস্যা?
আমি:- এখানে তো আমি আছি আর
তাছারা তুমি এই কাপড় গুলা নিয়ে একে
বাড়ে গোসল করে নতুন কাপড় পরে তারপর
বের হবে কেমন।
সোনালী:- ঠিক আছে তাহলে এই কানের
গলার আর মাথার জিনিস গুলা খুলে দেন।
আমি:- হ্যা দাও, তারপর সোনালীকে
আয়নার সামনে দ্বাড় করিয়ে ওর শরিলের
সমস্ত গহনা খুলে দিতে লাগলাম। যখনি
গলার হারটা খুলবো তখনি ইচ্ছে করছে ওর
গলায় একটা কিস চুমু খায় কিন্তু খেলামনা
কারন এমনিতে অনেক মান ইজ্জত নিয়ে
চিনি মিনি খেলছে আর নতুন করে চিনি
মিনি খেলতে দিবনা।
সোনালী:- এক কাজ করিয়েন আমার
জামার পেছনের বুতামটা খুলে দিয়েন
কেমন।
আমি:- কেন তুমি খুলতে পারবেনা?
সোনালী:- আমি খুলতে পারবোনা তাই।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে তারপর সোনালীর
জামার হোকটা খুলে দিয়ে ওকে বাথরুমে
ঢুকিয়ে আমি নিচে চলে আসলাম, এসে
আমি সোফায় বসে পেপার পড়তেছি
তখনি সোনালী চিৎকার দিতে দিতে
নিচে এসেছে বিজা কাপড় নিয়ে।
সোনালী:- ছোট ঘরটার ভীতরে উপর দিয়ে
পানি পরতেছে মনে হয় ছাদ ছিদ্র হয়ে
গেছে।
আব্বু:- মানে কি বলো তুমি?
আমি:- আব্বু মনে হয় ঝড়না টিপ পরে গেছে
তাই সোনালী এমন বলতেছে। আমি গিয়ে
দেখতেছি বলে সোনালীকে সাথে করে
বাথরুমে ঢোকলাম দেখি ঝড়নাটা ছাড়া
তারপর সোনালীকে দেখিয়ে দিয়েছি
তিভাবে বন্ধ করতে হয়। যখনি আমি বাথ
রুম থেকে বেড়িয়ে আসবো তখনি পা
পিছলে সোনালীর বুকের উপর আর ও
আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। তখনি সুযোগ
বুঝে গলায় কিস করে দিয়েছি। সোনালী
ঠিক বুঝতে পারেনি।
সোনালী:- আমাকে জড়িয়ে ধরার জন্য
এমন ভাবে পরে যাওয়ার বান করার কি
দরকার আমাকে বললে হতো আমি
আপনাকে জড়িয়ে ধরতাম।
আমি:- আরেনা আমি পা পিছলে পরে
যেতে ছিলাম।
সোনালী:- হ্যা বুঝতে পারছি, আচ্ছা
আপনি এখানে থাকেন আমার গোসল শেষ
হলে তারপর যাবেন।
আমি:- কি এখানে দাঁড়িয়ে তোমার
গোসল করা দেখবো।
সোনালী:- না আপনি দরজার বাহিরে
থাকেন আমার গোসল হলে দুজনে এক
সাথে নিচে যাবো।
আমি:- ঠিক আছে, তারপর বেড়িয়ে রুমে
বসে আছি কিছুক্ষন পর সোনালী ফ্রেস
হয়ে বেড়িয়েছে আমি তাকিয়ে দেখি
একটা পরি মনে হয়ে আমার সামনে
দাঁড়িয়ে আছে। অনেক সুন্দর লাগছে কোন
সাজ নেই তবও ধারুন লাগছে
মোনালীকে।
সোনালী:- আমার দিকে এমন ভাবে
তাকিয়ে আছেন কেন আমার জামার বুতাম
কে লাগিয়ে দিবে?
আমি:- হ্যা দাও, তারপর সোনালীর
জামার হোকটা লাগিয়ে ওকে নিয়ে
আমরা দুজনে নিচে গেলাম। তারপর
খাবার টেবিলে বসেছি আমার পাশে
সোনালী বসেছে, খাবার শেষ করে আমি
ওঠবো তখনি,,
আব্বু:- বউ রানী এই বাড়ীটা তোমার কাছে
কেমন লাগছে?
সোনালী:- ভালো।
আমি:- ঠিক আছে সোনালী তুমি খাবার
শেষ করে রুমে আসো আমি রুমে যাই।
সোনালী:- ঠিক আছে।
আমি:- আচ্ছা, তারপর রুমে গিয়ে একটু
মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি রবি ফোন
করেছে রিসিব করে ওর সাথে কথা বলে
বলছি ব্যাঞ্চে আসতে দেখা করবো। রবি
রাজি হয়ছে তারপর একটু সেজে গুজে
বাহিরে যাবার জন্য নিচে এসেছি।
আম্মু:- কিরে তুই কি কোথাও যাবি
নাকি?
আমি:- হ্যা একটু রবির সাথে দেখা করে
আসি! আর সোনালী তুমি আম্মুর সাথে বসে
বসে গল্প করো কেমন।
সোনালী:- সে না হয় করলাম এখন আপনি
যেহেতু বাহিরে যেতেছেন এখন আমাকে
মিষ্টি খাওয়াতে হবে।
আমি:- বাহিরে গেলে মিষ্টি খাওয়াবো
কেন! আচ্ছা ঠিক আছে তুমি ফ্রিজ থেকে
নিয়ে আসো আমি খায়িয়ে দিতেছি।
সোনালী:- ফ্রিজ থেকে আনবো কেন?
সাগর ভাইয়া যখন বাহিরে যেতে ছিলো
তখন তো ভাবি ফ্রিজ থেকে মিষ্টি
আনেনি।
আমি:- মানে তুমি কি বলতেছো?
সোনালী:- মানে আব্বাজান বলেছে সাগর
ভাইয়া আর ভাবি যেভাবে কথা বাত্রা
বলে আর ওরা যা যা করে আমিও যেন ঠিক
এমন ভাবে আপনার সাথে তা তা করি আর
কথা বলি।
আমি:- হ্যা আব্বু তো তোমাকে ভালো
কথায় বলছে তাহলে ওদের ফলো করো এখন
আমি যাই।
সোনালী:- হ্যা আমি তো ওদের মত করতে
চাচ্ছি সাগর ভাইয়া বাহিরে যাবার সময়
ভাবি ভাইয়াকে বলছে মিষ্টি খায়িয়ে
তারপর বাহিরে যেতে তখন সাগর ভাইয়া
ভাবিকে দেখছি কাছে নিয়ে একটা চুমা
দিয়ে বলছে নাও তেমাকে মিষ্টি
খায়িয়ে গেলাম। এখন আপনি আমাকে
চুমা দিয়ে মিষ্টি খায়িয়ে তারপর
বাহিরে যাবেন। তানা হলে আমি
আপনাকে বাহিরে যেতে দিবোনা, আর
আমাকে যে বাথরুমে জড়িয়ে ধরার জন্য
ইচ্ছে করে পরার অভিনয় করছেন সেইটাও
সবাইকে বলে দিব। তখনি চেয়ে দেখি
ভাবি হাসতে হাসতে শিড়ি দিয়ে উপরে
উঠে যেতেছে।
আমি:- বলার বাকি রাখছো নাকি বলেই
তো দিয়েছো! এখন তুমি কি চাও সেইটা
বলো?
সোনালী:- মিষ্টি খাওয়ালে হবে আসেন
কাছে আসেন আমি মিষ্টি খাবো তখনি
আমি এক দৌরে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে
এসেছি।
।
চলবে,,,