বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 42
আবির তিথিকে একটু জড়িয়ে ধরে মুচকি হাসে,,তিথি আবিরের বুকে মাথা রেখে ভাবতে থাকে কাল রাতে আসলে কি হয়েছে,,,,
তিথি কিছু ক্ষন পর আবিরকে বলে
তিথিঃ আচ্ছা সত্যি করে বলেন তো আমি কি করেছি?
আবিরঃ বললাম তো সব,,,
তিথিঃ আমি কি বেশি করে ফেলছি?
আবিরঃ বেশির থেকে ও বেশি,,,,বাট তুমি কাল আমাকে যেভাবে চেপে ধরে লিপ কিস করেছিলে,,,,,
কথাটা বলায় তিথি প্রচুর পরিমাণ লজ্জা পেয়ে যায়,,,তাড়াতাড়ি দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়,,,তিথির এমন দৌড়ানি থেকে আবির হাসতে থাকে,,,
আবিরঃ হাহা পাগলি,,পাইছি এইবার তোমাকে,,,মিসেস তিতা আজকে তোমাকে সত্যি পাইছি,,,,
এই দিকে তিথি ওয়াশরুমে গিয়ে ঝর্নার পানি ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবে সে কি না করে ফেলছে শেষ মেষ কিনা সে আবিরকে এইভাবে কিস,,,
তিথিঃ ছি ছি এই আমি কি করে ফেলছি,,,ইসসস এই বজ্জাত টা কি না কি ভাবছে আমার ব্যাপারে উফফ তিথি তুই আস্তা একটা ছাগল,,,
তিথি ভাবতে ভাবতে শেষ যে সে আজ কি না করে ফেলছে,,,
আবির নিচে নেমে দেখে সবাই হলরুমে গল্প করছে,
আবিরের মাঃ ঘুম ভাঙ্গছে তোর??
আবিরঃ আসলে সময় টা খেয়াল ছিলো না মা,,,
আবিরের মাঃ হুম বুজলাম তো তিথি কই?
আবিরঃ ফ্রেশ হচ্ছে,,,,
আমানঃ তো ভাই কাল কেমন কাটলো রাতটা,,??
আহাদঃ হ্যাঁ ভাই বলেন নাই যে??
আবিরের মাঃ কি বলতো?
আমানঃ তেমন কিছু না আন্টি মা,,,কাল আবির ভাই পার্টি ছেড়ে চলে গেছে তাই,,,
আমানের মাঃ আমান তোর ফ্রেন্ড রা কি সবাই আসছে?
আমানঃ না মা আজ মেবি আসবে,,,আকাশ আর নেহাল,,,
আবিরের মাঃ আবির টেবিলে নাস্তা রাখা আছে তিথি আসলে খেয়ে নিস,,,,
আবিরের মা আর আমানের মা চলে যায়,,,সোফায় তিশা,, আরিশা,, আহাদ,,, আমান বসে আছে,,,আবির গিয়ে বসে আমানের পাশে,,,থাপ্পড় একটা দিয়ে বলে
আবিরঃ আমানের বাচ্চা যেখানে সেখানে যা তা কেন বলিস???
আমানঃ আরে আমি কি বললাম??
আবিরঃ এক লাথি মারবো যে বিয়ের নাম ও ভুলে যাবি,,,
আমানঃ তুই তো বিয়ে করে সেরে গেছিস আমাকে তো করতে দে ভাই,,,
তিশাঃ আচ্ছা তিথি কই কাল রাত অনুষ্ঠান ছেড়ে যে গেছে আর দেখি নাই ওকে,,,
আহাদঃ আরে আপু কাল তিথি ভাবি যে কান্ড করছে না আল্লাহ,,,
আরিশাঃ কি করছে ভাবি??
আহাদঃ কি করে নাই তা বলো,,,,
তিশাঃ কেন আহাদ তিথি আবার এমন কি করছে??
আমানঃ কাল তিথি ছেলেদের পার্টি গেছে,,তারপর তাকে কে যেন জুস এর জায়গায় ড্রিঙ্ক দিচ্ছে তারপর খেয়ে যা করছে উফফ,,,
আবিরঃ (পার্টিতে যা করার তো করছে আমার সাথে যা করছে তা তো আরো বেশি ডেঞ্জারাস ছিলো)
আমান তিশা আরিশাকে সব বলে তারা সবাই হাসাহাসি করছে আর আবির কি যেন ভাবছে দেখে আমান আবিরকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে
আমানঃ কিরে তুই এতো চুপচাপ? কাল কি রোমাঞ্চ চলছে???
আবিরঃ লাথি খাবি এখন চুপ থাক,,,,
আমান আহাদ তো বেশ মজা নিচ্ছে আবিরের, সিড়িতে মায়রা দাঁড়িয়ে আছে সব কিছু দেখছে এইসব শুনে তার গা যেন জ্বলে পুড়ে শেষ,,,, রাগে নিচে নেমে এসে আবিরকে বলে
মায়রাঃ আবির তোমার সাথে কথা আছে আমার,,,,
মায়রাকে হুট করে দেখে সবাই অবাক,,,
আবিরঃ হ্যাঁ বলো
মায়রাঃ আমি তোমার সাথে একা কথা বলতে চাই,,,,
আবিরঃ ওকে,,,
আবির উঠে দাঁড়ায় মায়রার সাথে যেতে লাগে নজর যায় সিড়িতে তিথি নামছে কালো কাতান শাড়ি পড়ে,,,তিথিকে যে বেশ সুন্দর লাগছে এই কালো শাড়িতে,,,,চুল গুলো ভিজা ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দেখতে যে পুরো পরী লাগছে আবিরের,,,চোখ যেন সরছেই না তিথি থেকে,,,,,
আবিরকে সিড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে মায়রা তাকায় দেখে যে তিথি,,,তিথির দিকে আবির যেভাবে তাকিয়ে আছে তা দেখে মায়রার মনে আরো তুফান তুলে দেয়,,,,
তিথি নিচে এসে আবিরের সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,,
তিথিঃ কই যান?
আবিরঃ ওয়াও,,,,
তিথি একটু ভ্রু কুচকে আবিরের দিকে তাকায়,,ওয়াও শব্দটা শুনে মায়রা রেগে আবিরের হাত চেপে ধরে বলে
মায়রাঃ আবির চলো,,,,
আবিরঃ মায়রা পরে কথা বলবো আমি তোমার সাথে,,,আসলে তিথির সাথে কথা ছিলো খুব জরুরি,,,,
আবির মায়রার হাতটা ছেড়ে দিয়ে তিথির হাতটা ধরে বাহিরে চলে যায় তা দেখে মায়রার চোখ মুখ সব লাল হয়ে যায়,,,,প্রচুর পরিমাণ তার রাগ লাগছে এই ভেবে যে আবির তার হাত ছেড়ে দিয়ে তিথির হাত ধরেছে,,,
এইসব দেখে আমান তিশা,,,,, আহাদ আরিশা ওরা চারজন বেশ মজা নেয়,,,
আহাদঃ আবির ভাই তো গেছে,,,,
আমানঃ পুরো গেছে তিথির প্রেমে,,,
তিশাঃ কিন্তু মায়রা???
আরিশাঃ উফফ সব সময় ওই ডাইনিকে আনিও না তো,,,
এরা চারজন বেশ খুশি এই ভেবে যে আজ আবির তিথিকে ইম্পর্টেন্ট দিয়েছে মায়রা থেকে,,,,
এইদিকে
আবির তিথির হাত ধরে গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়,,,
আবিরঃ গাড়িতে উঠো?
তিথিঃ কেন?আমি নাস্তা করি নাই আর আপনি আমাকে এইভাবে হাত ধরে টেনে নিয়ে আসছেন,,,,
আবিরঃ গাড়িতে উঠতে বলছি বকবক করতে নয়,৷
তিথিঃ কই যাবো???
আবিরঃ যেখানে ইচ্ছে সেখানে এখন চুপচাপ উঠবে তুমি,,,
তিথিঃ হু,,,
তিথি গাড়িতে উঠে বসে,,,আবির ড্রাইভিং সিটে বসে দেখে তিথি সিট বেল্ট লাগায় নাই,,,,তিথির দিকে একটু ঝুঁকে সিট বেল্ট টেনে লাগাতে থাকে নজর যায় তিথির চোখের দিকে,,,এক নেশা যেন তিথির সে মায়াবী দুটো চোখে,,,,,তিথি হাবলার মত তাকিয়ে আছে আবিরের দিকে এই ভেবে যে আবিরের কি হইছে,,,
আবির যেন হারিয়ে যাচ্ছে তিথির চোখে,,
তিথিঃ বজ্জাত আপনি সিট বেল্ট লাগানো হয়েছে,,
আবিরঃ হু,,,,,
তিথিঃ তাহলে সরে বসুন,,,
আবির কিছু টা লজ্জা পায়,,,তাড়াতাড়ি নজর সরিয়ে ফেলে,,,নিজের সিট বেল্ট লাগাতে লাগাতে বলে
আবিরঃ আজ অনেক সুন্দর লাগছে তোমাকে,,,কালো শাড়ি তে বেশ মানায় তোমাকে,,,,
তিথিঃ ওমায়া আজ সূর্য কোন দিকে উঠছে,,,
আবিরঃ কেন?
তিথিঃ না মানে মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা আমার তারিফ করছে আজ সকাল সকাল তাই আর কি,,,,
আবিরঃ হু বুজছি,,আচ্ছা আমি একটা কল দিয়ে আসি ওয়েট,,,
তিথিঃ ওকে,,আমি কি বসে থাকবো নাকি বাড়ি চলে যাবো?
আবিরঃ চুপচাপ বসে থাকো আসছি দুই মিনিট,,,,
আবির গাড়ি থেকে নেমে কাকে যেন কল দেয়,,,কয়েক মিনিট কথা বলেই আবার গাড়িতে উঠে,,,,
তিথিঃশেষ??
আবিরঃ কি শেষ?
তিথিঃ কথা বলা আর কি?
আবিরঃ হুম শেষ,,,
তিথিঃ তাহলে চলেন বাড়িতে আমি নাস্তা করবো ক্ষিধে পাইছে আমার অনেক,,,
আবিরঃ সব সময় এতো খাও কেন হ্যাঁ??
তিথিঃ মানে কি??? সকালে বুজি খাবো না.?
আবিরঃ আচ্ছা ওয়েট,,,
তিথিঃ কি?
আবিরঃ ১৫ মিনিট পর খাইও,,,
আবির ড্রাইভ করা শুরু করে,,তিথি ক্ষিধায় পেটে হাত দিয়ে আবিরের দিকে রাগী লুকে তাকিয়ে গালি দিচ্ছে
তিথিঃ(বজ্জাত এনাকন্ডা একটা,,,নিজে তো নিজের পেট শান্তি করছে আমাকে খেতে দিচ্ছে না,,,,ইচ্ছে তো করছে ইচ্ছে মত ধুলাই দেই,,,,)
আবির তিথির দিকে আড় চোখে তাকিয়ে দেখে তিথি আস্তে আস্তে কি যেন বলছে,,,তার আর বুজতে বাকি রইলো না যে তিথি তাকে গালি দিচ্ছে,,,মুচকি হেসে ড্রাইভ করতে থাকে,,,
কিছু ক্ষন পর তারা একটা রেস্টুরেন্টে আসে,,,তিথি আর আবির গাড়ি থেকে নেমে হাটতে থাকে,,,
তিথিঃ আমরা এখানে কেন?
আবিরঃ দেখতে পাবে কেন?
একটু হাটার পর তারা সুইমিং পুল এর পাশে যায় সেখানে একটা টেবিলে নানা রকম খাবার সাজানো রয়েছে,,,একটা টেবিল ছাড়া আর কিছু নাই দেখতে বেশ সুন্দর জায়গা টা,,,তিথির কাছে বেশ সুন্দর এই লাগছে জায়গা টা,,,,আবির চেয়ার টেনে দিয়ে বলে
আবিরঃ বসো,,,
তিথিঃ আমরা এখানে শুধু নাস্তা করতে আসছি???
আবিরঃ না
তিথিঃ তাহলে???
আবিরঃ আজ আমরা সারাদিন ঘুরবো,,,
তিথিঃ হুট করে এই প্লেন?
আবিরঃ মন চাইছে তাই,,বাড়িতে এতো মানুষ আয়োজন এইসব কিছু তে ভালো লাগছে না তাই চাইলাম তোমার সাথে আজকের দিনটা কাটাতে,,,
তিথির কাছে বেশ ভালো লাগে আবিরের কান্ড আজ,,,হুট করে বাহিরে ঘুরতে প্লেন টা যেন তিথির মনে সংকেত দেয় যে আবির শুধু তাকেই ভালোবাসে,,,,
আবির তিথির মুখের কাছে খাবার তুলে ধরে,,,
আবিরঃ হা করো,,,,
তিথিঃ আপনি খাইয়ে দিবেন?
আবিরঃ হুম আমি খাইতে দিতে চাই সমস্যা আছে কি?
তিথিঃ না তো কিসের সমস্যা থাকবে,,,,
আবির তিথিকে খাইয়ে দেয়,,,তারা অইখানে অনেক কথা বলে নিজের মত করে,,আবির তিথিকে খাইয়ে দিতে থাকে আর বলে
আবিরঃ জানো এই রেস্টুরেন্টে দাদাভাই সব সময় আমাদের নিয়ে আসতো,,,
তিথিঃ তাই আপনি আমাকে এনেছেন?
আবিরঃ না আসলে খুব ইচ্ছে করছে তোমাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতে,,,
তিথিঃ তাই বলে রেস্টুরেন্টে?? বাড়িতে ও খাইয়ে দিতে পারতেন,,,
আবিরঃ অইখানে সবাই আছে আর আমার তেমন ভালো ও লাগছে না বাড়িতে,,,
তিথিঃ হুম বুজেছি,,,,
তারা নাস্তা শেষ করে কিছু ক্ষন বসে,,,অনেক টা বেলা হয়ে যায়,,,
তিথিঃ চলেন বাসায় যাই,,,
আবিরঃ না এখন না,,,
তিথিঃ তাহলে??
আবিরঃ আমরা এখন সাগর পাড়ে যাবো,,,তুমি আমি অইখানে কিছু টা সময় পাড় করবো,, যাবে আমার সাথে?
তিথিঃ আপনার সাথে সব জায়গায় যেতে রাজি,,,,
আবির তিথি অনেক টা সময় এক সাথে পাড় করে তারপর তারা বীচ পাড়ে চলে যায়,,
এইদিকে,,
মায়রা রাগে বসে আছে বাগানে,,খুব কষ্ট হচ্ছে তার যাকে এতো টা বছর ভালোবেসে এসেছে সে আজ কিনা অন্যের হাত ধরে চলে গেছে,,,মায়রা দেখতে সুন্দর অনেক সব দিকে সে ধরতে গেলে পারফেক্ট একটা ছেলের জন্য কিন্তু তার পাগলামি শুধু একটাই আবির,,,আবিরকে সে চায় আবির তার জিদ হয়ে আছে,,,,
তিশা বাগানে এসে দেখে মায়রা চুপচাপ বসে আছে,,,মায়রার কাছে এসে বসে,,,
তিশাঃ একা বসে আছো যে?
মায়রাঃ না এমনি,,,তুমি এখানে?
তিশাঃ এমনি এসেছি,,,বসবো কি একটু তোমার কাছে?
মায়রাঃ হ্যাঁ বসতে পারো,,,
তিশাঃ একটা কথা বলি যদি মাইন্ড না করো তাহলে,,,
মায়রাঃ হ্যাঁ করো,,,,
তিশাঃ আচ্ছা না থাক,,অন্য একদিন জিজ্ঞেস করবো,,,
মায়রাঃ এখন করো,,
তিশাঃ সময় হোক তাহলে করবো,,,,
তিশা কিছু ক্ষন মায়রার সাথে এমনি গল্প করতে থাকে,,,
এইদিকে নেহাল আর আকাশ আসে তারা এসেই উড়াই ফেলে,, হইচই করছে তারা অনেক
নেহালঃ ভাই তুই তো বিয়ে করছি আর আবির ও তো করে ফেলছে এইবার আমার জন্য তো একটা খুজ,,,আর কত দিন সিঙ্গেল থাকবো আমি,,,
আকাশঃ হারামি তুই আজীবন সিঙ্গেল এই থাকবি,,,
নেহালঃ হ্যাঁ তোরা বউ নিয়ে হানিমুন করবি বাচ্চার বাপ হবি আর আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো??
আমানঃ না দেখবি না আমাদের বাচ্চা গুলোর দায়িত্ব নিবি আমরা হানিমুন করবো,,,,
নেহালঃহারামি মজা নিস??আমার প্রতি তো দয়া দেখা,,,
সবাই মজা নিচ্ছে নেহাল এর,,,,তিশা আসে তাকে পরিচয় করে দেয় সবার সাথে,,,,
আকাশঃ এই আমান আবির কই রে??দেখছি না যে?
আমানঃ সে সকালে বের হইছে যে এখনও ফিরে নাই মেবি রাতে ফিরবে,,,,
নেহালঃ আ বুজলাম কিন্তু আবিরের বউ কই তাকে তো ডাক আমি তাকে দেখি নাই,,,
আকাশঃ হ্যাঁ ভাবি কই তাকে তো ডাক,,,
আমানঃ আবির তিথিকে নিয়েই বের হইছে,,,
নেহালঃ বাহা এখানে রোমাঞ্চ করতে পারছে না বিদায় বাহিরে গেছে,,,
সবাই হাসতে থাকে,,পিছন থেকে এইসব মায়রা শুনে মুখ টা কালো করে ফেলে,,,চুপচাপ হেটে যেতে লাগে যে নেহাল মায়রাকে দেখে যেন হুশ হারিয়ে ফেলে,,মায়রা দেখতে বেশ সুন্দর তাকে দেখেই যেন বেহালের ননে ঘন্টা বাজা শুরু হয়ে যায় হা করে তাকিয়ে থাকে মায়রার দিকে,,,
আমানঃ অই নেহাল এর বাচ্চা হা করে দেখছিস কি??
নেহালঃ পরী
আমানঃ পরী পাইলি কই তুই আবার??
নেহাল হাত দিয়ে দেখিয়ে দেয় মায়রার দিকে,,,আমান মায়রাকে দেখে নেহালের পিঠে ঠাস করে একটা চড় দিয়ে বলে
আমানঃ অই টা পরী না ভাই অইটা আস্তা একটা পেত্নী ডাইনি,,,, ওই মেয়ের পাল্লায় পড়া মানে সুইসাইড করা বুজলি,,,
আকাশঃ কে এই মেয়ে??
নেহালঃ চুপ থাক হারামি,,,একটা মেয়েকে ভালো লেগেছে কোথায় সেট করে দিবি ভাইটাকে,,,,তা না উল্টো বিদায় দিচ্ছিস,,,
তিশা চলে যায়,,
আমান নেহাল আর আকাশ কে সব কিছু খুলে বলে,,,,
আকাশঃ ও আল্লাহ এই মেয়ে তো দেখি অনেক ডেঞ্জারাস,,,
নেহালঃদোষের তো কিছু দেখছি না আমি,,,
আকাশঃ নেহাল এতো কিছু শুনার পর ও তুই এইটা বলবি,,,,
নেহালঃ দেখ সে এতো বছর একজন কে ভালোবেসেছে হুট করে সে বিয়ে করে ফেলছে এইটা যে কেউ মেনে নিতে পারবে না,,,আমি দোষের কিছু দেখছি না,,,
আমানঃ ভাই মাথা গেছে বুজছি,,আয় রেস্ট করবি,,,
নেহালঃ তোরা যা আমি আসছি,,,
আকাশঃ অই কই যাস তুই??
নেহাল কারো কথায় পাত্তা না দিয়ে মায়রার কাছে যায়,,,মায়রা জুস খাচ্ছে
নেহালঃ হাই,,,
মায়রাঃ হ্যালো
নেহালঃ কেমন আছেন?
মায়রাঃ কে আপনি??
নেহালঃ আমি নেহাল আবিরের ফ্রেন্ড,,,
মায়রাঃ অহ আচ্ছা,,,
নেহাল মায়রার সাথে টুকটাক কথা বলতে থাকে,,,,
এইদিকে আমান আকাশকে বলে
আমানঃ নেহাল একটা সাইকোর পিছনে পড়ছে,,,
আকাশঃ অই মেয়ে যদি সাইকো হয় তাহলে নেহাল সাইকোর বাপ তা তো জানিস,,,
আমানঃ আরে নেহাল অযথা তার সময় নষ্ট করবে দেখিস,,,
আকাশঃ করতে দে,,
এইদিকে,,,
আবির তিথি বীচ পাড়ে বসে আছে বিকাল হয়ে আসে মুহূর্ত টা আসলেই অনেক সুন্দর কাটছে,,,সাগরের ঢেউ যেন দ্রুত গতিতে বেড়েই যাচ্ছে,,,,তিথির খুব ভালো লাগছে এই বিকালটা,,,
তিথিঃ পানিতে নামবেন?
আবিরঃ তুমি নামবে??
তিথিঃ হুম খুব ইচ্ছে করছে চলুন
আবিরঃ ওকে
তারা দুইজন জুতা হাতে নিয়ে পানিতে নামে,,আবির তিথির হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে যাতে তিথি বেশি দূর না যায়,,,তিথির হাত ধরে অনেক টুকু হাটতে থাকে দুইজন,,,,বিকাল টাইম টা আসলেই অনেক সুন্দর মুহূর্ত সাগর পাড়ে,,,,
অনেক টুকু সময় দুইজন এইভাবে পাড় করে,,তারপর একটা বেঞ্চে বসে,,
আবিরঃ ডাবের পানি খাবা??
তিথিঃ হুম,,
আবিরঃ তুমি এখানে বসো আমি নিয়ে আসি কেমন,,,
আবির ডাবের পানি আনতে যায়,,
এইদিকে তিথি তাকিয়ে আছে একটা কাফেল এর দিকে তাকিয়ে আছে,,,মেয়েটি ছেলেটির ঘাড়ে মাথা রাখে হাতে হাত রেখে,,,তাদের দেখে তিথির কাছে খুব ভালো লাগে,,,
আবির ডাব নিয়ে এসে তিথির দিকে এগিয়ে দেয়,,,
আবিরঃ নাও,,,
তিথিঃ আপনি খাবেন না??
আবিরঃ না তুমি খাও,,
তিথিঃ আপনি না খেলে আমিও খাবো না,,,
আবিরঃ আচ্ছা আমি নিয়ে আসি তাহলে আর একটা,,,
তিথিঃ না একটা ডাব দুইজন খাবো,,,
আবিরঃ পাগল নাকি,,,
তিথিঃ হুম,,,না খাইলে আমি খাবো না হুম,,,
আবিরঃ আচ্ছা,, সব সময় জিদ ধরো যে
তিথিঃ ভালো লাগে তাই,,,
তিথি একটু গিয়ে আবিরের দিকে এগিয়ে দেয় তারপর আবির খায়,,,এক ডাব দুইজন খেতে লাগে,,,,তিথি আবিরের হাতে ডাব টা দিয়ে আবিরের হাতটা টেনে নেয়,,,,আবির কিছু টা অবাক তিথির এমন কান্ডতে,,,আবিরের ঘাড়ে মাথা রাখে হাতটা ধরে রেখে,,,,
সত্যি মুহূর্ত টা অসাধারণ,,,বিকাল টাইম সাগর পাড়ে শীতল বাতাসে তিথির চুল গুলো এলো মেলো হচ্ছে,,,,আবিরের হাতটি ধরে তার ঘাড়ে মাথা রেখে চুপটি করে সাগরের ঢেউ দেখছে, আর আবির ও যে এই মুহূর্ত টা উপভোগ করছে মনের আনন্দে,,,,,
চলবে,,,,,