বউ রানী { সিজন ২ }

বউ রানী { সিজন ২ } ——- পর্ব–১১

আব্বাজান এমন ভাবে দৌর দিয়ে চলে
গেলো কেন বুঝতে পারছি আমার রান্না
ওনার পছন্দ হয়ছে তাই বেশি খেয়ে
নিয়েছে। (সোনালী)
আমি:- আরেনা আব্বু তো কম খেয়েছে
তোমার রান্না মনে হয় ওনার পছন্দ হয়নি
তাই তো দৌরে চলে গেছে। যদি তোমার
বিশ্বাষ না হয় তাহলে আব্বু বাথরুম থেকে
বের হলে খেতে বলবে, যদি খায় তাহলে
তোমার রান্না পছন্দ করেছে। আর যদি না
খায় তাহলে পছন্দ করেনি।
সোনালী:- দেখবেন আব্বু এসে আমার
রান্না করা খাবার খাবে আমি আরো
বেশি করে খায়িয়ে প্রমান করবো ওনি
আমার রান্না পছন্দ করেছে। আমিও এইটা
বুঝিয়ে দিব আপনাকে বুঝলেন।
আমি:- হ্যা আমি একদম ঠিক বুঝেছি,
কিছুক্ষন পর আব্বু বাথরুম থেকে
বেরিয়েছে।
সোনালী:- আব্বাজান আপনার নাকি
আমার হাতের রান্না ভালো লাগেনি,
ওনি বলতেছে তাই আপনি নাকি খাবার
রেখে চলে গেছেনন?
আমার দিকে আব্বু রাগি চোখে তাকিয়ে
একটু চোপ থাকার পর বলে,,
আব্বু:- হ্যা রান্না অনেক ভালো হয়ছে।
সোনালী:- তাই তাহলে নেন এই খাবার
গুলা বাকি আছে খেয়ে দেখেন অনেক
আরো অনেক ভালো লাগবে।
আব্বু:- আবার না না আর খেতে পারবোনা
তুমি রেখে দাও সকালে আবার খাবো
বলে এক দৌর রুমের দিকে। সোনালীও
আব্বুর পিছু পিছু খাবার নিয়ে যেতে
লাগলো তখনি আম্মু সোনালীকে ঢাক
দিয়ে বলে,,
আম্মু:- সোনালী তুমি এদিকে আসো
তোমার শ্বশুড় মসাই এখন আর খেতে
পারবেনা।
তুমি এই খাবার গুলা খেয়েছো নাকি
অন্যকে খাওয়াচ্ছো?
সোনালী:- না খায়নি এখুনি খেতেছি
বলে সোনালী কিছুটা খেয়েছে আমি
ফ্রিজ থেকে মিষ্টি আর ঠান্ডা পানি
নিয়ে এসে সামনে দাঁড়িয়ে আছি।
কিছুটা খেয়ে সোনালী জোরে এক
চিৎকার দিয়েছে পানি বলে। সবাই এসে
হাজির সোনালীর কান্নার শব্দ শোনে।
আমি:- এই তো পানি নাও সোনালী পানি
খাচ্ছে আর কান্না করতেছে, নাও মিষ্টি
খাও তাহলে কমে যাবে তখনি সোনালী
সবার সামনে আমার ঠোঠে কিস করে
বসছে। ছারছেনা সবাই যার যার মত করে
চলে গেছে এবার। এদিকে আমার অবস্থা
বারোটা বারতেছে কোন মতে
সোনালীকে ছারিয়ে নিয়েছি। উম্মা
কপালে একটা চুমা দিয়ে বলে,,
সোনালী:- মিষ্টি খাওয়াতে আমার
ঝালটা একদম ছেরে দিয়েছে।
আমি:- হ্যা এদিকে আমার বারোটা বাজে
তুমি যে কবে বুঝবে আচ্ছা সোনালী
আমাকে যখন মিষ্টি খেতে চুমা দাও তখন
তোমার কাছে কেমন কেমন লাগে।
সোনালী:- কেমন কেমন লাগে মানে
আমার তো কিছুই লাগেনা তবে এখন আমার
আর ঝাল লাগছেনা। আজ আপনাকে অনেক
ভালোবাসবো আম্মা আমাকে
ভালোবাসা শিখাই দিয়েছে।
আমি:- তাই তাহলে চলো তারা তারি
রুমে চলে যাই, আমিও তোমাকে আজকে
অনেক ভালোবাসবো বলে সোনালীকে
কোলে নিয়ে নিয়েছি।
সোনালী:- আমাকে কোলে নিলেন কেন
আমি পরে যাবো তো নামান বলছি।
আমি:- পরবেনা আমি তোমাকে
ফেলবোনা সোনালীর গালে একটা কিস
করে ওকে রুমে নিয়ে এসেছি দরজাটা
বন্ধ করেছি। সোনালী আমার কাছে এসে
বলে,,
সোনালী:- আম্মা যেভাবে ভালোবাসতে
বলছে আমি সেই ভাবে ভালোবাসবো?
আমি:- হ্যা কিন্তু কিভাবে বলছে?
সোনালী:- ভালো বাসতেছি পেছন থেকে
আমাকে জড়িয়ে ধরে সোনালী বলে
আপনি আমার এই দুই পায়ের উপর শুয়ে
থাকবেন আমি আপনার কপালে একটু পর পর
চুমা দিতাম এর পর কি যেন একটা করতে
বলছে মনে নেয় আমার। আপনার
মোবাইলটা দিয়ে আম্মাকে একটা ফোন
করেনন তো।
আমি:- কেন ফোন করবো কেন?
সোনালী:- পরে কি করতে বলছে ঐ
কথাটা জিজ্ঞেসা করবো।
আমি:- থাক লাগবেনা এখন তুমি ঘুমাও
আমার ঘুম পাচ্ছে সোনালী আমার বুকের
উপর শুয়ে আছে দুজনে গল্প করতে করতে
ঘুমিয়ে গেছি সকালে ঘুম থেকে উঠে
ফ্রেস হয়ে নাস্তা করতে এসেছি।
আব্বু:- সোহরাব আজকে কিছু মহিলা আসবে
তাদের মাঝে যাকে ভালো লাগে
তাকে সোনালীর জন্য রেখে দিস।
আমি:- আমার আজকে একটু কলেজে যেতে
হবে অনেক দিন ধরে যায়না তাই আজকে
যেতে হবে। আপনাদের যেইটা ভালো
মনে হয় সেইটা করেন তবে আমি মনি করি
সোনালীর জন্য এসবের কোন কিছু দরকার
নেয়।
ভাবি:- হ্যা আব্বু সোনালী আগের চাইতে
অনেকটা পরিবর্তন হয়ছে। রাতের কথা
এখন কিছুটা কম বলে। তখনি সোনালী
দেখি সোনালী শিড়ি দিয়ে নামতেছে
আর মোবাইলে কথা বলতেছে,,
সোনালী:- আম্মা আপনি যেই
ভালোবাসাটা শিখাই দিয়েছেন সেইটা
আমি ভূলে গেছি এখন আপনি আমাকে বলে
দেন।
আমি:- সোনালী কে ফোন করেছে?
সোনালী:- আম্মা ফোন করেছে আপনার
মোবাইলে।
আমি:- মোবাইলটা আমার আমি
দেখতেছি।
সোনালী:- আম্মা এক কাজ করেন আপনার
জামাইর কাছে বলে দেন কি করে
ভালোবাসতে হয় আমি ওনার কাছ থেকে
পরে শিখে নিব বলে আমার কাছে
মোবাইলটা দিয়ে দিয়েছে।
আমি:- আমি জানি আমার শিখতে হবেনা
তুমি শিখ ওর কাছে মোবাইল দিয়ে আমি
বাসা থেকে বেড়িয়ে যেতেছি,,
আব্বু:- ঐ দেখ # বউ_রানী অনেক পরিবর্তন
বলে সবাই হাসতেছে,,। আমি বাসা
থেকে বাহির হয়ে বাইক নিয়ে সোজা
কলেজে চলে এসেছি তখনি মনে পরেছে
আজকে তো সোনালীকে না বলে চলে
এসেছি হায় হায় এইটা আমি কি করলাম।
যাক যা হবে পরে হবে এখন কলেজের হাল
ছাল দেখি কি অবস্থা ভীতরে ঢুকে
বাইকটা রেখে ক্লাসে গেছি। রবি
কবিতা ওরা আমাকে দেখে কেও কোন
কথা বলছেনা। আমি ইচ্ছে রবিকে
জিজ্ঞেস করেছি কেমন আছিস বরি?
রবি:- দোস্ত এমন একটা বাশ দিবি ঢেকে
নিয়ে বুঝতে পারিনি। তবে কি ছিলো
খাবারে তোদের সবার পেটে সমস্যা
হয়ছে জানিস।
আমি:- দোস্ত আমি জানিনা, আরো কিছু
বলে রবি কবিতা সবাইতে ম্যানেজ
করেছি। দুইটা ক্লাস করে বাহিরে এসে
দেখি সোনালী আমার বাইকটার কাছে
বসে আছে সাথে ভাবিও। তারা তারি
করে কাছে যেতেই ভাবি বলে,,
ভাবি:- সোহরাব তুমি এমন কেন ভাই
নিজের বউ কেমন তা তুমি জানো তাও না
বলে চলে এসেছো, সাড়া বাড়ী কান্না
করে মাথায় তুলেছে। এখন তুমি তোমার
বউ সামলাও আমি যাই তোমার ভাইয়া
কখন ধরে ডাক্তারের কাছে বসে আছে
আমার জন্য।
আমি:- সরি ডিয়ার ভাবি ভূল হয়ছে আর
এমন হবেনা।
তুমি যাও আমি সোনালীকে দেখে
রাখবো। ভাবি চলে গেছে আমি
সোনালীর দিকে তাকিয়ে আছি কান্না
করে চোখ লাল করে নিয়েছে। আমার
দিকে একবারও তাকায়নি, কি হলো
কান্না করেছো কেন?
সোনালী:- আমি বাড়ীতে যাবো আমার
বাড়ীর জন্য পরান পরতেছে।
আমি:- কি পরতাছে পরান মানে কি?
সোনালী:- পরান মানে পরান আমি
ভাবিকে দেখতে মন চাচ্ছে।
আমি:- আচ্ছা তার জন্য কান্না করেছো?
সোনালী:- না তার জন্য নয় আপনি আমাকে
না বলে চলে এসেছে আমাকে মিষ্টি না
খায়িয়ে আসছেন কেন? রাতে আমি
আপনাকে ভালোবাসতে পারিনি বলে
আপনি আমার সাথে রাগ করেছেন। আমি
না হয় ভালোবাসা কি বুঝিনা কিন্তু
আপনি তো বুঝেন তাহলে আপনি আমাকে
শিখিয়ে দিলে হয় কি করে
ভালোবাসতে হবে।
আমি:- তোমাকে রাতে শিখালে সকালে
সবাইকে বলে দাও আমার তো তখন ফাটে
মান ইজ্জত বলতে কিছু থাকেনা। তখনি
রবি সহ সবাই এসেছে সোনালী সাথে
ওরা সবাই কথা বলতেছে, তবে সোনালীর
কাছে তেমন ভালো লাগছেনা।
রবি:- ভাবি আমাদের কলেজে আজ প্রথম
এসেছে ভালো করে মেহমান দ্বারি
করতে হবে, এই চল সবাই ক্যান্টিনে যাই
আজকে ক্যান্টিনে পার্টি হবে।
সোনালী:- বুঝতে পারছি কেন পার্টি
দিতে চাচ্ছেন ঐ দিন আমি আপনাদের
সবাইকে জামাল গোডা খায়িয়েছি। এখন
আমাকে খাওয়াতে চাচ্ছেন তাইনা। আমি
কিছু খাবোনা এই যে মুখে আঙ্গোল
দিয়েছি আর আঙ্গোল সরাবোনা।
রবি সহ সবাই কি জামাল গোডা বলে
সবাই এক সাথে চিৎকার দিয়েছে তবেরে
আজকে পাইছি।
আমি:- সোনালী তোমাকে এই কথা বলতে
কে বলছে এখন তো ওরা এইটার প্রতিশুধ
নিবে আজকে নয়ত কাল। সবার কাছে
ক্ষমা চাচ্ছি ওর হয়ে আসলে গ্রামের
মেয়ে তো তাই একটু সহজ সরল প্লিজ
তোরা ওকে ক্ষমা করে দে। সবার কাছ
থেকে সরি বলে সোনালীকে নিয়ে
কলেজ থেকে বেড়িয়ে এসেছি। আচ্ছা
সোনালী তুমি কবে বুঝবে কোথায় কোন
কথা বলতে হবে, তখনি বাইকটা নিয়ে
জ্যামে পরে গেলাম রাস্থায়।
সোনালী:- আমি তো সব কিছু বুঝি আপনি
কিছুই বুঝেন না! রাতে এখন তো রোজ আম
আপনাকে অনেক আদর করি আপনার বুকের
উপর ঘুমায় আমি আপনাকে কিস করি।
সোনালী কথা গুলা মাঝ রাস্তায় জ্যামে
বসে আছি তখন বলতেছে। আর সবাই
সোনালীর দিকে নয় আমার দিকে
তাকিয়ে আছে আশে পাশের জ্যামে
থাকা মানুষ গুলা।
আমি:- সোনালী অনেক হয়ছে এবার একটু চুপ
করো কখন ধরে কানের কাছে নন স্টপ শুরু
করেছো।
সোনালী:- এই যে চুপ করেছি, আচ্ছা চলেন
আমর কিছু খেলনা কিনে নেয় ঐ দেখেন
কত সুন্দর খেলনার জিনিস।
আমি:- ঠিক আছে জ্যাম থেকে ছারা
পেয়ে সোজা খেলনা কিনতে মার্কেটে
চলে গেলাম। দোকানে ঢুকে সব আচরন
বাচ্ছাদের মত করতেছে, যেইটা ভালো
লাগছে সেইটা কিনতেছে। আমি ওর
সাথে সাথে হাটতেছি এমন সময় একজন
আমাকে পেছন থেকে কালার ধরেছে
আমি তাকিয়ে পুরাই অবাক আরে তুমি
এতদিন পর কোথায় থেকে আসলে?
হ্যা আমি তো তোমার কি খবর বিয়ে
করেছো বলে?
আমি:- (যার সাথে কথা বলছি সে হচ্ছে
প্রিয়া আমাকে অনেক লাভ করত তবে ওর
বাবা জোর করে ওর বিয়ে দিয়েছে ওর
কাজিনের সাথে। যদিও আমি কোন সময়
পছন্দ করিনি ওকে।) হ্যা করেছি এই তো
আমার বউ সোনালী বলে পেছনে তাকিয়ে
দেখি সোনালী নেয়। আরে মেয়েটা
গেলো কোথায়?

চলবে,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *