পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 20
নীড় : অধরা চৌধুরী মনি…
মেরিন : …
নীলিমা : বাবুটা কার?
অধরা : তোমার মেয়ের মামনি।
নীলিমা : what? কি বলছিস? তোর বাচ্চা? লজ্জা করেনা তুই এই কথা বলছিস। বিয়ে ছারা…
অধরা : উফফ মামনি… i am marriage ….
নীলিমা : কি আবোল তাবোল বলছিস?
নীড় গিয়ে মেরিনের কাছে থেকে অনুভবকে নিয়ে এলো।
নীড় : মামনি তোমার নাতি। অনুভব খান সেজান ।
নীলিমা : আমার মাথা just ঘুরছে। তুই না বলেছিলি তুই কখনো বিয়ে করবিনা। তাই তো USA তে shift হলি… আর খান? ওর বাবা কে?
অধরা : মেঘ খান…
.
নীলিমা : what? 😱..
নীড় : all was part of the plan… but অনুভব is bonus … আল্লাহ খুশি হয়ে ১টা ফেরেশতা উপহার দিয়েছে আমাদেরকে। কারন আমাদের কাজে কোনো ভুল নেই।
বলেই ২ভাইবোন হাই ফাইভ দিলো। নীলিমা ঠাস করে অধরাকে থাপ্পর দিলো ।
নীলিমা : লজ্জা করছে যে তুই আমার মেয়ে । বাচ্চাটার মা হয়েছিস। অথচ বাচ্চাটার মাথার ওপর থেকে বাবার হাত উঠিয়ে দিলি। মেরে ফেললি?
নীড় : মেরে ফেললাম? মামনি… আমাদের দেহে চৌধুরীদের রক্ত বইছে। খানদের না। কবির ফয়সাল খানের মতো খুনী না আমার বাবা। যে আমরা কাউকে খুন করবো।
মেরিন : oh really ? নির্ঝর নিরব আর আমার ভাইয়াকে খুন করেন নি?
নীড় : না….
মেরিন : মানে?
নীড় : পুরনো প্রেমিকদের কথা পরে গেলো। they all are alive … মেঘকে খান বাড়িতে পাঠানো হয়ে গেছে।
মেরিন : মমমানে আআআমার ভভভাইয়া… ববেচে আছে।
নীড় : yeah baby… আর তোমার ওই ২ আশিকও বেচে আছে।
মেরিন তো টাসকি খেলো ।
নীড় : খুশি জান… যে তোমার আশিকরা বেচে আছে।
নীলিমা : তোরা কি করছিস কি বলছিস কিছুই বুঝতে পারছিনা…
নিহাল : আমি বলছি…
.
নিহাল নিচে নেমে এলো ।
নিহাল : এনারা ২ ভাইবোন মিলে মেঘ আর মেরিনের জীবনটা নিয়ে খুব ভালোভাবেই খেলেছে ।
নিহাল মেরিনের কাছে গিয়ে মেরিনের মাথায় হাত রাখলো ।
নিহাল : কবির অনেক খারাপ । কিন্তু এটা মানতে হবে যে ও ওর ছেলে মেয়েকে ভালো শিক্ষা দিয়েছে। যেটা আমি পারিনি ।
মেরিনের চোখের কোনে পানি চলে এলো ।
নিহাল : no no মামনি… তুমি কান্না করবে কেন? চোখের পানি মানুষকে দুর্বল করে। but you have to be strong ..। এই ২ভাইবোনের কৃতকর্মের শাস্তি দিতে হবেনা?
অধরা : এটা একটু বেশিই ভালোগিরি হচ্ছে না বাবা?
নিহাল : don’t call me বাবা। তোমাদের মতো অমানুষ আমার সন্তান হতে পারেনা। এখন বুঝতে পারছি কেন নীড়-মেরিনের বিয়ের কোন program এই মেরিনের ভাবীকে দেখতে পাইনা। ছিঃ। তোদের বাবা আমি? ভাবতেই ঘৃণা করছে।
নিহাল রুমে চলে গেলো।
নীড় : let it be আপু। বাবার ভুল ১দিন না ১দিন ভাঙবে । যাই হোক । its time for celebration … little angel এসেছে আমাদের বাসায় । মামা হয়েছি আমি। ভাবা যায়?
বলেই নীড় পকেট থেকে টাকা বের করে অনুভবের চারদিকে মেরিনের ওপর ছুরে মারলো ।
.
নীড় : take them… আমার ভাগনে বাড়িতে আশার খুশিতে তোমাকে gift করলাম।
মেরিন টাকা গুলো উঠিয়ে সেগুলো সালাম করলো ।
মেরিন : আপনি বোধহয় ভুলে গেছেন যে যার আপনি মামা তার আমি ফুপি।
অধরা : অনু কেবল আমার সন্তান । তোমার ভাইয়ের না।
মেরিন : তাহলে অনুভব চৌধুরী সেজান রাখা দরকার ছিল। খান দেয়া ঠিক হয়নি।
নীড় : mind your own business …
মেরিন : তো মিস্টার চৌধুরী মামা হওয়াতে আপনি অনেক খুশি । তাইনা?
নীড় : obviously …
মেরিন : তাই আপনি আমাকে gift করলেন । টাকাটা তো আমি নিতে পারবোনা। আমার ভাতিজার নজর উতরানোর টাকা তো আমি নিতে পারিনা ।
নীড় : তুমি তো কখনো ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলোনা। যা বলার বলে ফেলো ।
মেরিন : আপনার যেমন মামা হওয়ার খুশি লাগছে তেমনি আমারও ফুপি হওয়ার খুশি আছে । যদি আজকে আমার পাওয়ার থাকতো তাহলে আজকে আমার কাছে যে যা চাইতো তাই দিতাম।
নীড় : ও তার মানে টাকা?
মেরিন : no my জান… মেরিন বন্যার হাত দান নেয়ার জন্য না দান দেয়ার জন্য । আমার তো অন্য কিছু চাই।
অধরা : u just shut up … ok?
মেরিন : awwe… চৌধুরী বাড়ির রক্ত এতোটা ভীতু। চৌধুরীদের কাছে এখন সম্রাজ্ঞ থেকে লুট করা টাকাও আছে । তাও মানুষকে কিছু দেয়ার মন নেই। জন্মগত ধনী নাতো । তাই আভিজাত্য নেই।
নীড় : এই?
মেরিন : চিল্লালে সত্যি বদলায়না। মেরিন বন্যা খানকে কিছু দেয়ার সাধ্য নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের নেই ।
নীড় : কি চাও just tell me…
মেরিন : আমি আমাদের বাসায় যেতে চাই। আম্মু, বাবা, ভাইয়ার সাথে দেখা করতে চাই। কথা দিচ্ছি রাতের মধ্যে চলে আসবো।
নীড় : ok… go… কিন্তু ১টা টাকাও দিবোনা। আর না গাড়ি। পায়ে হেটে যাবে।
মেরিন : thanks my জান…
.
নীড় নির্ঝর আর নিরবকে ১টা করে রিয়াল বুলেট আর বাকী গুলো রাবার বুলেট মেরেছিলো। আর মেঘকেও মারেনি । মেঘের মৃত্যুকে হাতিয়ার বানিয়ে নীড় কেবল খান সম্রাজ্ঞ নিজের হাতে নিতে চেয়েছিলো । সেই সাথে অনুভব হওয়ার অপেক্ষাও ছিলো। আজকে অধরা বাসায় এলো আর ওদিকে মেঘ বাসায় পাঠালো। কারো জীবন নেয়া অধরা-নীড়ের উদ্দেশ্য ছিলোনা। ওরা কেবল খান পরিবারকে কষ্ট দিতে চেয়েছিলো ।
.
যাইহোক মেরিন খান বাড়িতে গেলো। মা-বাবা-ভাই এর সাথে দেখা হলো। কিছুটা মেলোড্রামা হলো। হওয়াটাই স্বাভাবিক।
কবির : i am sorry … আমার জন্য তোমাদের সাথে হলো। sorry বাচ্চারা।
মেঘ : don’t be বাবা। we trust you…
মেরিন : বাবা তোমার কাছে আমার কিছু জানার আছে। i trust you…. but i want to know the truth …
মেঘ : হ্যা বাবা আমিও। বলবে?
কবির : অবশ্যই বলবো।
কনিকা : বলবে অবশ্যই বলবে । কিন্তু এভাবেনা। ২ ছেলেমেয়ের মাথায় হাত রেখে সত্য বলবে। কারন আমি ১টা মেয়ে। i also trust you… কিছু তো আছে। কারন তুমি নিজে থেকে আমাকে past টা বলোনি।
কবির মেঘ আর মেরিনের মাথায় হাত রেখে
বলল : আমি আমার ২নয়নের মনি, কলিজার টুকরার মাথায় হাত রেখে বলছি একটুকুও মিথ্যা কথা বলবোনা।
.
কবির : আজ থেকে ৩৫বছর আগে… আমি নিহাল আর কফিল … ৩জন বন্ধু ছিলাম। আমি নিহাল ছিলাম best friend … ও আমার ওপর নিজের জান দিতো। অনেক ভালোবাসতো আমায় । নিজের জীবনের চেয়েও বেশি । ১দিন আমি কোলকাতা থেকে কেবল বাসায় ফিরলাম। মা রান্না ঘরে ছিলো আর বাবা পেপার পরছিলো। আমি কেবল পা রাখলাম ঠিক তখনই নিহাল পুলিশ নিয়ে এলো। বলল আমি শমসের কাকা আর কাকীমাকে খুন করেছি । আর ওর বোন নিশাকে রেপ করে খুন করেছি। ওর এটা মনে হওয়ার কারন হলো এই যে নিশার লাশের পাশে লেখা ছিলো kol- … সেই সাথে আমার bracelet ও নাকি ওর হাতের মুঠোয় ছিলো। i was totally shocked… নিহাল আমার কোনো কথা শুনলোনা । পুলিশ আমাকে arrest করে নিয়ে গেলো। i was innocent …. সব প্রমানও ছিলো। তাইজন্য আমি মুক্তি পেয়ে যাই। কিন্তু নিহাল এটা মনে করে যে আমার বাবার টাকার জন্য নাকি আমি মুক্তি পেয়েছি । কারন তখন ওদের আর্থিক অবস্থা এমন ছিলোনা । নিহালের সাথে কথা বলতে গেলে ও আরো ক্ষেপে যায়। ১দিন বাসায় বসে ভাবছিলাম যে কিভাবে নিহালকে বিশ্বাস করাবো যে আমি কিছুই করিনি। তখনই হঠাৎ নিহাল revolver নিয়ে হাজির। আমরা ৩জন তো shocked… নিহাল আর revolver ? অনেক অবাক হলাম । কারন একে তো ওর রাগ খুব কম । তারওপর ও ওটা পেলো কোথায়? কিছু বলে আর বুঝে ওঠার আগে আমার heart বরাবর shoot করলো। বাবা আমাকে বাচাতে আমার সামনে চলে এলো । বাবা আর আমার হাইট একই ছিলো। যে কারনে বাবার বুকের বা পাশেই লাগলো। সামনে এসে পরায় heart এ লাগেনি। স্বাভাবিক ভাবেই আমি কান্নায় ভেঙে পরি । মার ও heart attack হয়। ২জনই মারা যায়। নিহালের চোখে পানি ছিলো । আমিও ওর ওপর রাগ করি। ২জন ২জনের best friend থেকে ১ঝটকায় best enemy হয়ে যাই ।
মেরিন : বাবা shoot করেছে?
কবির : হ্যা । যদি আমার চোখের সামনে গুলি না করতো তাহলে হয়তো বিশ্বাস করতাম না । কারন নিহালের দূরদৃষ্টি ছোটবেলা থেকেই কম ।
মেরিন : আচ্ছা কফিল না কি যেন বললে সে কোথায়?
কবির : যেদিন আমি কোলকাতা যাচ্ছিলাম সেদিন ও নেপাল যাচ্ছিলো।
মেরিন: বাবা কি জানতোনা যে তুমি কোলকাতা গিয়েছো?
কবির : না। কারন সে…
তখনই ওখানে নীড় হাজির হলো।
.
আর নীড় এসেই সোজা মেরিনের চুলের মুঠি ধরলো।
মেরিন ; আহ…
মেঘ আর কবির তেরে গেলে মেরিন বাধা দিলো।
নীড় : শেষ মেলোড্রামা? বাসায় যেতে হবেনা? কাজ গুলো কে করবে বাসার…
কবির : নীড় তোমার অভিযোগ আমার ওপর না… আমার মেয়েটাকে আর কষ্ট দিওনা।
মেঘ : যেদিন বাজী ঘুরে যাবে সেদিন তোর জীবনের শেষ দিন হবে।
নীড় বাকা হেসে মেরিনের চুলের মুঠি আরো শক্ত করে ধরলো ।
নীড় : oh really… পরেরটা পরে দেখা যাবে । তবে এখন তোমাদের প্রানভ্রোমরার কষ্ট দেখে তোমাদের যে করুন অবস্থা its amazing …. আরো সহ্য করো guys…. bye…
নীড় মেরিনকে নিয়ে গেলো।
.
হ্যা কফিলই সব করেছে । খুন & রেপ সবই কফিল করেছে । নিহালের সামনে revolver কফিলই গোপনে রেখেছিলো । এমনকি গুলিটাও পেছন থেকে কফিলই চালিয়েছে । কারন কফিলও জানতো নিহালের সমস্যাটার কথা । আর এটাও জানতো যে নিহাল কখনোই কবিরকে মারতে পারবেনা । তাই
কফিল গুলি করেছে । নিহালের গুলি তো লেগেছিলো দেয়ালে। কবিরও আর case টেস কিছু করেনি।
নীড় এটা জানেনা যে কবিরের মা-বাবাও মরেছে ।
.
রাতে….
মেরিন তো বারান্দায় বিছানা করে ঘুমায় । মেরিন বসে বসে ভাবছে।
মেরিন : ঘাপলা আছে । আমি damn sure যে ওই কফিল নামের লোকটাই কিছু করেছে । যদি নীড়কে বলি ও বিশ্বাস করবেনা । kol- লেখা ছিলো । KOFIL লিখতেও তো এভাবেই লিখে । আবার KABIR বা Kobir লেখার সময়ও kol- … যেটা দিয়ে F অথবা B-b ২টারই শুরু বোঝায় । এটা যদি কফিল লিখে থাকে আর বাবাকে ফাসাতে চায় তবে ও তো পুরো নামটাই লিখবে । অর্ধেক নাম তো আর থাকবেনা । উফ আর ভাবতে পারছিনা। ভীষন মাথা ব্যাথা করছে । কালকে নিহাল বাবার সাথে কথা বলতে হবে ।
মেরিন ঘুমিয়ে পরলো ।
.
একটুপর…
মেরিন ঘুমে বেহুশ॥ তখন ওখানে নীড় এলো। এসে মেরিনের কপালে কিস করলো ।
নীড় : আমার হাজার মিথ্যার মধ্যে তোমার প্রতি আমার ভালোবাসাই একমাত্র সত্য। লন্ডনে লুকিয়ে আপুর বিয়েতে যখন ছোট ১৭বছরের মেরিনকে দেখেছিলাম তখনই ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার ভালোবাসার থেকেও আমার বাবা অনেক ওপরে… i have to hurt you… কিন্তু তোমাকে ভালোবেসে বলা প্রতিটা কথা সত্য । সত্যি তোমার হাসি আমার দুর্বলতা… তোমার কান্না আমার ভয়। তুমি যদি আর ৫টা মেয়ের মতো কান্নাকাটি করতে তবে হয়তো আমি ভালোবাসার কাছে হেরে যেতাম। তোমার বাবাকে জেলে পাঠানোর পরও তোমাকে আমার কাছেই থাকতে হবে। যতোদিন আমি বেচে আছি ততোদিন তোমাকে আমার কাছেই থাকতে হবে । জোর করেই রাখবো তোমাকে নিজের কাছে। ছারবোনা তোমাকে। তুমি ঘৃণা করবে আর আমি ঘৃণার আড়ালে তোমাকে ভালোবাসবো ।
নীড় রুমে গিয়ে নিচে শুয়ে পরলো। কারন যেদিন থেকে মেরিন বারান্দায় ঘুমায় সেদিন থেকে নীড়ও নিচে ঘুমায়। মেরিনকে যখন মারে টারে তখন নিজেকেও আঘাত করে। নীড় মেরিনকে সত্যি ভালোবাসে । কিন্তু প্রতিশোধের নেশায় অন্ধ হয়ে গেছে ।
.
সকালে…
মেরিন উঠে গেলো । দেখে অধরা অনুভবকে ছাদে সকালের রোদ দেখাতে নিয়ে যাচ্ছে। অনুভবকে দেখে মেরিনের মনটা ভালো হয়ে গেলো।
মেরিন : আমাক চাদের কনাটা । একদম ভাইয়ার মতো হয়েছে । তবে আজকে বাবার সাথে কথা বলতে হবে…
.
((( আপনারা নায়কের শাস্তি চান। আমিও চাই। আর ভেবেই রেখেছি শাস্তি। কিন্ত নায়কের শাস্তি দেখলে আবার আপনারা heart attack করেন। #সুখ_সত্যি_মরীচিকা গল্পে যখন নীড়কে শাস্তি দেয়া হয়েছিলো তখন অনেকেই বলেছিলো যে মেরিন বেশি করতেছে ।
আরেকটা টপিক…
ভিলেন নীড়…
গল্পের নাম যখন #Perfect_Vilain তো ভিলেনটাও তো তেমনই হওয়া উচিত ।
আগে অনেকেই বলেছেন যে আমার সব গল্পই একইরকম হয়। comedy type… যদিও ঘৃণার মেরিনে মনে হয়না comedy ছিলো। অন্য গুলো comedy ছিলো সেটা জানি। because i hate sadness..
নায়ক নায়িকার নাম…
যদি নামের কথা বলি কেউ বলো নীড়-মেরিন চাই … actually বেশিরভাগই বলো নীড়-মেরিন চাই… কেউ কেউ বলো নতুন নাম । এই নাম নিয়ে দ্বন্দের জন্য ২টা করে গল্প দিলাম । তবে এখন #না_বললেও_ভালোকিন্তুবাসি গল্প শেষ হলে ১টা করেই just লিখবো আগের মতো ।
)))
চলবে…
Comments