পারফেক্ট ভিলেন

পারফেক্ট ভিলেন ! Season- 02 !! Part- 21

মেরিন নিহালের সাথে কথা বলল।
হাতের কাজ শেষ করে দেখে অনুভবকে নিয়ে অধরা খেলছে আর কি যেন কাজ করছে । অনুভব খিলখিল করে হাসছে । অধরার কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে তবুও ও অনুভবের সাথে খেলছে। মেরিন ধীর পায়ে অধরার সামনে গেলো ।
মেরিন : ভাবী…
অধরাও চাইলেও মেরিনের সাথে বাজে ব্যাবহার করতে পারেনা। কারন বিয়ের পর থেকে মেরিন ওর ছোটবোনের মতোই ছিলো ।
অধরা : কি চাই?
মেরিন :অনুকে একটু কোলে নেই? একটু খেলা করি?
অধরা : ….
নীলিমা : সোনা চান্দি তো চায়নি। দে না…
অধরা দিলো ।
.
মেরিন অনুভবকে কোলে নিয়ে চোখে মুখে সারাগায়ে অসংখ্য চুমু দিলো । অনুও যেন ফুপুর কাছে গিয়ে অনেক খুশি । যেন কতো বছরের চেনা । দাত ছারা ফোকলা মুখ দিয়ে খিলখিল করে হাসছে। ফুপু ভাতিজা খেলছে । আর হাসছে। আজকে অনেকদিনপর মেরিন হাসছে। মনখুলে হাসছে । আসল অনুকে কোলে নিয়ে মেরিন মুহুর্তের জন্য সব কিছু যেন ভুলে গেছে। মেরিনের হাসি দেখে নীলিমা , অধরার ভালো লাগলো। কিন্তু অধরা সেটা প্রকাশ করলো না । ওদের ২জনের সাথে নীড়েরও ভীষন ভালো লাগলো। নীড় ওপরে দারিয়ে সব দেখছে ।
নীড় মনে মনে : তোমার এই হাসিটা খুব মিস করছিলাম জান… আমি জানি বাবুরা তোমার দুর্বলতা ।
নীলিমা : ওরে বাবারে আমাদের কোলে আসলে তো এতো খুশি হয়না। আর ফুপুর কোলে গিয়ে যেন স্বর্গ পেয়েছে । যেন কতো বছর ধরে চেনে । রক্তের গন্ধ চিনে নিয়েছে ।
মেরিন : আবার জিগায়… রক্ত তো রক্তকে চিনবেই… ভাবি দেখোনা ওর নাকটা পুরাই ভাইয়ার মতো।
অধরা : হামম। আর চোখ ২টা তোমার মতো।
মেরিন : হাসিটা কিন্তু তোমার।
অধরা : আর ঠোট পুরাই মেঘের ম…
অধরার মনে পরে গেলো। তাই হাসি আর কথা ২টাই বন্ধ করে দিলো ।
অধরা : দেখি অনুকে দাও…
মেরিন : আরেকটু রাখি…
অধরা : না।
অধরা অনুকে নিয়ে নিলো ।
অধরা : মনে রেখো দুর্ভাগ্যবশত ওর শরীরে খান বাড়ির রক্ত বইছে। কিন্তু ওকে আমি কখনোই খানদের মতো হতে দিবোনা।
বলেই অধরা চলে গেলো। মেরিনও বাস্তবে ফিরে এলো।
.
রাতে…
মেরিন : ভাবি ভাইয়াকে আজও ভালোবাসে। এটা clear… ভাবি? ভাবি বলা কি ঠিক? সে আমার ভাইয়ার সাথে যা করেছে…. তবুও সে যাই হোক নীড়ের মতো না। নীড়ের ভালোবাসা তো পুরোটাই অভিনয় ছিলো । ভাবি তো তাও ভাইয়াকে সত্যি সত্যি ভালোবেসেছে । কিন্তু শাস্তি ভাবিকে পেতেই হবে। কিন্তু ভাবির শাস্তি ভাইয়া দিবে… সেটা ভাইয়ার অধিকার। ভাইয়া যদি ভাবিকে ক্ষমা করতে চায় তবে করবে আর যদি শাস্তি দিতে চায় তবে দিবে… আমি এতে কিছু বলবোনা। কিন্তু নীড়… কোনোদিন তোমাকে ক্ষমা করবোনা…
.
ওদিকে…
অধরা চুপচাপ একা একা ছাদে বসে আছে। অনু ঘুম। পাশে নীলিমা আছে। তাই ও ছাদে ।
নীড় : আপু…
অধরা : আরে তুই। আয় বস।
নীড় : ধর কফি…
অধরা : thank you…
২ভাইবোন কফি খেতে লাগলো ।
নীড় : আপু ১টা কথা জিজ্ঞেস করি?
অধরা : কর…
নীড় : তুই মেঘ ভাইয়াকে অনেক ভালোবাসিস তাইনারে?
অধরা : …. তুই বুঝি মেরিনকে ভালোবাসিস না?
নীড় : না…
অধরা : মারবো ধরে…
নীড় : আমার জবাব কিন্তু পেলামনা।
অধরা : এখন যে জায়গায় দারিয়ে আছি সেখানে দারিয়ে ভালোবাসা নিয়ে ভাবার সময় নেই।
নীড় : আর কিছুদিনের মধ্যেই তো কবির ফয়সাল খানকে জেলে ঢোকানো হবে । ফাসি হবে। তখন ?
অধরা ; তখন আর কি? প্রতিশোধ পূরন হবে…. কিন্তু মেঘ-মেরিনকি আমাদের ক্ষমা করবে? আমরা জানি আমরা ঠিক করেছি। তবুও কি ওরা ক্ষমা করতে পারবে?
নীড় : কেন পারবেনা কেন? দেখ আপু মেঘ ভাইয়া আর মেরিনকে যতোদূর চিনি আমার মনে হয় যখন কবির ফয়সাল খানের অপরাধ প্রমানিত হবে তখন ওরা আমাদের বুঝবে।
অধরা : না রে আমার মনে হয়না। মেঘ অনেক ভালো। কিন্তু রেগে গেলে খুবই ভয়ংকর। সবথেকে ভয়ংকর ও তখন হয় যখন মেরিনের ওপর কোনো আঘাত আসে । ওর সাথে যা করেছি তার জন্য হয়তো আমাকে ক্ষমা করে দিবে। কিন্তু মেরিনের সাথে হওয়া অন্যায়ের জন্য কোনোদিনও মেঘ কাউকে ক্ষমা করবেনা । ১টা সুযোগ পেলে সব ধ্বংস করে দিবে।
নীড় : তুই কি মেঘ ভাইয়াকে ছারা থাকতে পারবি?
অধরা : থাকতে হবে…
নীড় : হবেনা। আমার কাছে এর জন্যেও plan আছে।
অধরা : মানে?
নীড় : মানে যদি মেঘ ভাইয়া তোকে ক্ষমা না করে, তোর থেকে দূরে যেতে চায় তাহলে আমরা অনুকে নিয়ে blackmail করবো?
অধরা : কি?
নীড় : হামম। দেখ কোনো বাচ্চা মা ছারা থাকতে পারেনা।
অধরা : তোর কথা শুনে মাথা ঘুরছে। বুঝতে পারছিনা।
নীড় : আচ্ছা… বাদদে… বুঝতে হবেনা…
অধরা : আর মেরিন…
নীড় : মেরিন? একটু tuff…. but i will handle her…
অধরা : কিভাবে?
নীড় : বাবা হয়ে… 🙈🙊🙉…
অধরা: হারামী…
নীড় : দেখো মেরিন নিজের বাচ্চার বাবাকে তো আর মারবেনা… 😁…
অধরা : তুই ধীরে ধীরে পুরাই ভিলেন হয়ে যাচ্ছিস।
নীড় : হামম। দেখ আপু না তুই মেঘ ভাইয়াকে ছারতে পারবি আর না আমি মেরিনকে। আর না ওই ২ভাইবোন আমাদের সাথে থাকবে । তো ভিলেন তো হতেই হবে।
.
কিছুদিনপর…
মেরিন মনে মনে : এভাবে হাতে হাত দিয়ে বসে থাকলে হবেনা। কিছু তো করতে হবে । কিন্তু কি করবো? কিছু করতে গেলেই তো নীড় যদি ওই ছবি গুলো লিক করে? damn it… লোকটা এতো নিচু মনের মানুষ… যদি same ধরনের ছবি আমিও ওর তুলতে পারতাম… সেটাও তো সম্ভব না। মোবাইল লাগবে , অজ্ঞান করার মেডিসিন লাগবে । না আছে আমার কাছে টাকা আর না মোবাইল…. নীড়ের ফোন তো লক।
তখন মেরিনের চোখ আয়নায় গেলো । নিজেকে দেখলো । নাকে diamond এর নাকফুল , কানে ছোট কানেরদুল ,গলায় চেন । আর হাতে চুরি।
মেরিন মনে মনে : এগুলো বিক্রি করলে টাকা পাওয়া যাবে । কিন্তু ধরা খেতে হবে । কিন্তু নাকফুলটা বিক্রি করলে ধরা খাওয়ার সুযোগটা কম। ছিঃ ছিঃ… নাকফুল বিক্রি করবো? কেন করবোনা? যখন এই বিয়েটারই কোনো মানে নেই… তখন এই গুলে মেনেই বা কি লাভ? নাকফুলটাই বিক্রি করবো। কিন্তু বাইরে তো বের হওয়া যাবেনা … কারন আমাকে তো বেরই হতে দেয়না। কি করি কি করি ? next month তো আমার final exam… তখন তো বের হতে পারবো। কিন্তু আমাকে কি পরীক্ষা দিতে দিবে নীড় ? না পরীক্ষা আমাকে দিতেই হবে । যে করেই হোক । যেভাবেই হোক । তবে তখন যদি নাকফুলটা না দেখতে পায় তবে সন্দেহ করবে। তাই আগেই এটা খুলতে হবে।
.
পরদিন…
নীড় খেয়াল করলো যে মেরিনের নাকে নাকফুল নেই ।
নীড় : এই মেয়ে…
মেরিন : কি?
নীড় : নাকফুল কোথায়?
মেরিন : কি?
নীড় : তোমার নাকের নাকফুল কোথায়?
মেরিন তারাতারি নাকে হাত দিলো।
নীড় : নাকফুল হারিয়ে গেছে কোনো তাল নেই?
মেরিন : তাল থাকার কোনো কারন নেই।
নীড় : 😠।
মেরিন : ভালোই হয়েছে ওটা পরেছে । এখন হাতে কানে গলার গুলোও খুলে রাখবো।
নীড় : এগুলো কারা খুলে রাখে জানো?
মেরিন : বিধবারা… আপনি আমার কাছে মৃত । আমি নিজেকে বিধবাই মনে করি….
নীড় মেরিনকে ঠাস করে থাপ্পর মেরে বেরিয়ে গেলো।
.
রাতে…
নীড় ১ডজন নাকফুল নিয়ে এলো। রুমে গেলো । দেখলো মেরিন সত্যি সবকিছু খুলে রেখে দিয়েছে। বারান্দায় বিছানা করছে। নীড়ের মেজাজ গরম হয়ে গেলো । নীড় গিয়ে মেরিনের চুলের মুঠি ধরলো।
নীড় : এগুলো খুলেছো কোনো সাহসে?
মেরিন : আমার সাহস আপনি ভালোমতোই জানেন…
নীড় : আমাকে সাহস দেখিওনা। তোমারই ক্ষতি… কাউকে মুখও দেখাতে পারবেনা… আর তোমার মা-বাবা-ভাইয়ের কি হবে সেটাতো বুঝতেই পারছো। চুপচাপ ওগুলো পরে নাও। সেই সাথে নাকফুল এনেছি । ওখান থেকে ১টা পরে নাও । বেশি কথা বলতে আমার ভালো লাগেনা…
বলেই নীড় washroom এ গেলো ।
মেরিন মনে মনে : এমন react এর কারন বুঝলামনা । কিন্তু যখন শিয়ালের মৃত্যু আসে তখন সে শহরের দিকেই ছোটে।
.
২দিনপর…
সবাই খেতে বসেছে । মেরিন বেরে দিচ্ছে ।
মেরিন : ববাবা আমি কিছু বলতে চাই।
নিহাল : মামনি… বলো… কেউ তোমার স্বামী না হলেও আমি ঠিকই তোমার বাবা
মেরিন : বাবা আর ১২দিনপর থেকে আমার final exam শুরু… আমি এটা দিতে চাই…
নীড় : oh really ? তুমি চাইলেই কি হবে?
মেরিন : প্লিজ দিতে দিননা। দরকার হলে আপনি অনেক অনেক security দিয়েন। যেন আমি পালাতে না পারি।
নীড় : তোমার পিছে টাকা খরচ করার মতো টাকা আমার নেই।
নিহাল : তুমি পরীক্ষা দিবে মামনি…
নীড় : কিন্তু বাবা…
নিহাল : যদি মামনিকে exam না দিতে দাও তাহলে আমার মরা মুখ দেখবে।
নীড় : ok fine… দিবে ও exam… happy?
মেরিন মনে মনে : ধন্যবাদ আল্লাহ। শুরুটা যখন ভালো তখন আশা করছি আগেও ভালো হবে। নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন আপনার সর্বনাশে ডঙ্কা বেজে গেছে।
.
পরীক্ষার আগের দিন…
নীড় মেরিনকে কলম টলম সহ সব দিলো। মেরিন প্রথমে অবাক হলেও পরে সেগুলোকে ভালোমতো দেখে বুঝতে পারলো যে কলমে মাইক্রোচিপ লাগানো।
মেরিন মনে মনে : এতো ভয় মিস্টার powerful চৌধুরী… security এর ব্যাবস্থা তো করেছেনই আবার মাইক্রোচিপ? ভালো খুবই ভালো। যেহেতু আমি বের হতে পারবোনা। আর দোলাকে সাহায্যের জন্য বলতেও পারবোনা । তখন তো চিঠিই লিখতে হবে ।
মেরিন ১টা কাগজে লিখলো।

দোলা,
আমি অনেক বিপদে আছি। নীড় আমাকে ভালোবেসেনা বদলা নেয়ার জন্য বিয়ে করেছে। সবকিছু বিস্তারিত বলার সুযোগ নেই । শুধু এতোটুকু জেনে রাখ যে নীড় আমাকে ভীষন torture করে । তোকে আমার জন্য ১টা কাজ করতে হবে । আমি তোকে ২টা নাকফুল দিচ্ছি। সেটা বিক্রি করে তুই ২টা android mobile কিনবি। আর কিনবি অনেকটা অজ্ঞান করার মেডিসিন । আর এগুলো তুই আমাকে last পরীক্ষার দিন দিবি। দেয়া মানে তুই ওগুলো washroom এ রেখে আসবি। তুই বের হলে আমি গিয়ে নিয়ে আসবো। আর হ্যা চিঠিটা পরে normal behave করিস। আমার কলম গুলোতেও মাইক্রোচিপ লাগানো । আর হ্যা ভালো থাকিস।
“।
পরদিন মেরিন খুব সাবধানে দোলাকে কাগজটা দিয়ে দিলো ।
.
৩-৪দিনপর…
মেরিনের মনটা ভীষন খারাপ। ভীষন কান্না পাচ্ছে। কারন রাত ১২টা বাজলেই নীড়-মেরিনের বিয়ের ১বছর পূরন হবে । বৃষ্টি পরছে…
মেরিন ভিজছে আর নিরবে কান্না করছে। কারন ও তো সত্যিই নীড়কে ভীষন ভালোবেসেছিলো। মেরিন কান্না না করার অনেক চেষ্টা করছে । কিন্তু কান্না থামছেইনা…
মেরিন : কি করে এতো নিখুত অভিনয় করলে তুমি? যদি ভালোবেসে ১টা বার সত্যিটা বলতে তাহলে …
ধন্যবাদ আল্লাহ আজকে বৃষ্টি দেয়ার জন্য …. না হলে চোখের পানি ওই মানুষরূপী পশুটা দেখে নিতো । কেন আল্লাহ কেন … এমন করলে… কি এমন ভুলের শাস্তি দিলে আমাকে ….
তখন নীড় এসে মেরিনকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো । নীড়কে অনুভব করে মেরিন নীড়কে ধাক্কা মেরে সরালো। এরপর ঘুরে ঠাস করে নীড়কে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : don’t you you dare to touch me…
নীড় বাকা হেসে মেরিনের সামনে গেলো । মেরিনের চুলের মুঠি ধরে সামনে টেনে
বলল : থাপ্পর খেতে খেতে কোনো কথাই তুমি ভালোভাবে বোঝোনা। তুমি এখন আমার গোলাম । উঠতে বললে উঠবে বসতে বললে বসবে। বাচতে বললে বাচবে মরতে বললে মরবে । এখন romance করতে বলবো তাই করবে…
.
শেষ পরীক্ষার দিন…
মেরিন জিনিসগুলো নিয়ে নিলো। এরপর রাতে নীড়ের খাবারে মেডিসিন মিশিয়ে দিলো । নীড় অজ্ঞান হয়ে রুমে পরে আছে । মেরিন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নীড়ের তেমন ছবিই তুলল যেমন ছবি নীড় মেরিনের তুলেছিলো ।
মেরিন : জান… count down শুরু হয়ে গেছে ।
.
পরদিন থেকে মেরিন investigation এ নেমে পরলো।
নীড় : তোমার সাহস কিভাবে হয় …
মেরিন : সাহসের কি দেখেছেন এখন থেকে দেখবেন…
নীড় : কালকে থেকে বাড়ি থেকে বের হবেনা।
মেরিন: কারো বাবার ক্ষমতা নেই আমাকে আটকানোর। মেরে ফেললেও আমি বের হবো। আর আমি যতোদূর জানি আপনি বাবাকে জানে মারবেননা। আমার জানের পরোয়া আমি করিনা।
নীড় : তোমার জান না মান যাবে।
মেরিন : আমার গেলে আপনারও যাবে।
নীড় : মানে?
মেরিন : let me show you…
মেরিন নীড়কে ছবিগুলো দেখালো । নীড় তো just shocked…
মেরিন : ছবিগুলো সুন্দরনা জান…
নীড় : ….
মেরিন : যদি পারেন তো এবার আটকান আমাকে….
মেরিন নিজের action দেখানো শুরু করলো। নীড় কোন ভাবেই মেরিনকে আটকাতে পারছেনা। মেরিন খান সম্রাজ্ঞ নীড়ের কাছে থেকে ছিনিয়ে নিলো।
অধরা : কি করবি এখন?
নীড় : কবির ফয়সাল খানকে arrest ….
.
চলবে…