পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 17 (Last-Part)
৩ঘন্টাপর…
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো । চোখ মেলল। উঠে বসতে চাইলো। খেয়াল করলো যে ওর হাত ২টা বাধা । কোনো রকমে উঠে বসলো ।
মেরিন : আমি কোথায় ? আমার হাত বাধা কেন?
নীড় : কারন আমি বেধেছি ।
মেরিন নীড়ের দিকে তাকালো।
মেরিন : আপ…
তখন মেরিনের সব মনে পরলো। আর মুহূর্তেই মেরিনের চেহারার রং পাল্টে গেলো ।
নীড় : কুল জান কুল… অনেক রেগে আছো জানি। তাই আগে খেয়ে নাও । সকাল থেকে কিছু খাওনি। অনেক ড্রামা হয়েছে সকাল থেকে । জানি তুমি ঠিক মতো খাবেনা । বাট you have to eat…
নীড় মেরিনের গাল ধরে জোর করে খাওয়াতে লাগলো ।
.
একটুপর…
নীড় : আমি জানি এই মুহুর্তে তোমার রাগ মহাশূন্যের বাইরে চলে গেছে । যাওয়াটাই স্বাভাবিক । কি করেছি ? কেন করেছি সবই বলবো…
মেরিন : যেটা বলবে হতে পারে সেটাই তোমার বলা শেষ কথা…
নীড় : হামম। মেরিন ২১বছর আগে তোমাকে anniversary তে surprise দেয়ার জন্য আমি তোমাদের বাসায় যাই। ১১:৩০ এর দিকে। ঠিক ১২টায় তোমাকে ভালোবেসে wish করবো বলে। ছোয়া ঘুম ছিলো। তখন তুমি নিজের সাথেই কথা বলছিলে। বুঝতে পারলাম যে তুমি আমাকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবেনা । জায়েজ ছিলো তোমার রাগ । তবুও সব শুনে মনটা ভেঙে গেলো । তোমার রুম থেকে বের হয়ে তোমাদের বাসা থেকে বের হচ্ছিলাম । main gate এর ওখানে গেলাম। তখন শুনতে পেলাম…
☆ : মেরিনকে কখনোই আমি নীড়ের কাছে ফিরতে দিবোনা । কখনোই না … নীড় যা করেছে তা ভোলার নয় । আমি মেরিনকে এমন করে নীড়ের থেকে দূরে করে দিবো । নীড় মেরিনের চিহ্নমাত্রও খুজে পাবেনা । আর সেটাই হবে নীড়ের সব থেকে বড় শাস্তি । সব preparation complete … এখন just মেরিন ঘুমালেই ওকে … 😏
নীড় : তখন কথা শুনে সাংঘাতিক অবাক হলাম। তোমার থেকে দূরে থাকা আমার পক্ষে সম্ভবনা । তোমাকে হারানোর ভয় আমাকে ঝিকে ধরলো । খুব সাবধানে লোকটার পিছু নিলাম। কে সেটা দেখার জন্য। লোকটা আবার বাড়ির ভেতরে ঢুকলো। তুমি ঘুমিয়েছো কিনা চেক করলো । এরপর আমি তার চেহারা দেখতে সক্ষম হলাম। আর দেখে পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো । কারন সেটা মমমেঘ ভাইয়া ছিলো…
মেরিন : what?
নীড় : হামম।
মেরিন : তুমি আবার মিথ্যা বলছো নীড়…
নীড় : কসম আল্লাহর… মেঘ ভাইয়াই ছিলো । মেঘ ভাইয়া চায়নি তুমি আমার সাথে থাকো। তুমি ঘুমালেই তোমাকে হেলিকপ্টারে তুলে অনেক দূরে আমার নাগালের বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলো।
মেরিন : কোনোদিনও না। কারন ভাইয়াই আমাকে convince করেছিলো তোমার কাছে ফেরার জন্য। আর তাই তোমাকে চেক করার জন্য আমি পানিতে ঝাপাবার নাটক করেছিলাম। soft corner create হয়েছিলো তোমার জন্য। ভাইয়া বারবার তোমার কাছে ফিরে যেতেই বলেছে ।
নীড় : সব মেঘ খানের ড্রামা ছিলো । সেদিন রাতে হতাশ হয়ে তোমাদের বাসা থেকে বের হলাম। কিছুটা দূরে গেলাম। তখন কেউ পেছন থেকে মিস্টার কপট চৌধুরী বলে ডাক দিলো। ঘুরে দেখলাম মেঘ ভাইয়া…. ভাইয়ার চোখ ছিলো স্থির। আমার দিকে এগিয়ে এলো। monkey cap পরা ছিলো ।
.
{{{
মেঘ : তোমার কাছে আমি মেরিনকে ফিরতে দিবোনা ।
নীড় : ভাইয়া… আমি মেরিনকে সত্যিই ভীষন ভালোবাসি। ভীষন… ক্ষমা করে দাও। আমি আর কখনো মেরিনকে কষ্ট দিবোনা । ১টা সুযোগ দাও ।
মেঘ : মিস্টার চৌধুরী আমি মেরিনের মনে এমন বিষ ঢেলে দিবো যে তোমার মুখও দর্শন করবেনা ।
নীড় : ভাইয়া প্লিজ এমন কিছু করোনা।
মেঘ : তোমাকে বরবাদ করার জন্য আমি সব কিছু করতে পারি নীড়। পারলে আটকাও ।
নীড় : ভাইয়া এমন কিছু করোনা যে আমাকে আমার রূপ নিতে বাধ্য হতে হয়। আমি নীড় যদি আমার রূপে ফিরে আসি তাহলে কি কি হতে পারে সেটা তোমার কল্পনারও বাইরে…
মেঘ : তাহলে তো আরও ভালো । ঘৃনার কাহিনী আরও বেরে যাবে । মেরিনকে শেষবার দেখে নিও।
}}}
.
মেরিন : কি সব বলছো তখন থেকে…
নীড় : হামম। এরপর আমি ঘাবড়ে তোমার কাছে গেলাম । খুব সাবধানে, লুকিয়ে । গিয়ে দেখি তুমি ফোনে কথা বলছো । আর তোমার কথা বুঝলাম কিছু ঝামেলা আছে । এরপর তুমি কোনো ভিডিও দেখলে। আবার ফোনে কথা বললে। as usual tension এ পরে কফি খেলে । আর কফি খেয়েই তুমি অজ্ঞান হয়ে গেলো। এরপর ১দল তোমাকে তুলে নিতে এলো ।
ওরা তোমাকে আর ছোয়াকে রুম থেকে তুলে নিতেই আমি আগে তোমার ফোনটা হাতে নিলাম । এরপর ওদের কাছে থেকে তোমাদের ২জনকে ছিনিয়ে নিলাম। ১টা save জায়গায় গেলাম। তোমার ফোনের ভিডিওটা দেখলাম। আমি জানি যে তোমার ফোনে always call recorder on থাকে সেটা প্লে করে শুনলাম it was shocking… এরপর ভিডিও ঘাটাঘাটি করলাম। আমি নির্ঝরের মা-বাবার গায়ে আচরও দেইনি । কিছুই বুঝতে পারছিলামনা । যে ভিডিও বাকী সিন গুলো আসল না নকল । তবে এটা বুঝতে পেরেছিলাম যে তোমাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া সম্ভবনা। কারন মেঘ ভাইয়ার গোপন spy থাকতে পারে । আর ছোয়াকে নিয়ে ভাগাদৌড়ি ঠিক হবেনা। আর মেঘ ভাইয়া যেমনই হোক ছোয়ার ক্ষতি করবেনা। আমি ছোয়াকে খান বাড়িতে রেখে এলাম। এরপর তোমাকে নিয়ে সেই মিনি লঞ্চে গেলাম। মেঘ ভাইয়ার চালটাকে use করলাম। সেদিন সকালে তোমাকে ওই কথা গুলো বলার কারন হলো এই যে… আমি তোমার feelings টা জানতে চেয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম যে তোমার মনে কোথাও আছি কিনা… কিন্তু তুমি… পানিতে ঝাপ দিলে। তবে তোমার চোখের সেই confidence দেখে ঠিকই বুঝেছিলাম যে you can swim… আর তোমার পিছে ঝাপ দিয়েও যখন পেলাম না তখন sure হলাম যে yes you can swim… মেঘের ওপর রাগের জন্য ছোয়াকে আমার কাছে নিয়ে এলাম। আমি জানতাম যে তুমি ফিরবেই। তবে গোপন ক্যামেরার জন্য যে স্বাভাবিক ভাবে ফিরবেনা সেটাও বুঝেছিলাম। হসপিটালে তুমি এলে… তোমার প্রথম ঝলকেই তোমাকে না দেখেই বুঝেছিলাম যে ওটা তুমি… এরপর ভিলেন সেজে যা যা করার আমি করেছি। আমি তোমাকে হারাতে চাইনি… চাইনি তুমি মেঘ ভাইয়ার সাথে কোনো সম্পর্ক রাখো । জানি আমার জন্য তোমার মনে ঘৃণা ভরা। তাই মেঘের ওপরই তোমার আস্থা থাকবে আমাকে ছেরে চলে যাবে… আর হ্যা তবে ডক্টরকে আমিই তোমার ছবি দিয়েছিলাম। আর আমার সব কাজে আমি ২জনের support পেয়েছি। ২বাবার। কবির বাবা আর নিহাল বাবা। মেঘের মুখোশ তো বাবার সামনেও ধরা খেয়েছে। তুমি বাবাদের ওপর রাগ করোনা প্লিজ…
মেরিন: ….
নীড় : মাঝে ১বার এই তো কিছুদিন আগে আমার মনে হয়েছিলো যে তুমি মেঘের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছো । তাই আমি তোমাকে ১টা আংটি দিয়েছিলাম। যেটাতে…
মেরিন : মাইক্রোফোন ছিলো…
নীড় : তুমি বুঝেছিলে???
মেরিন : হামম।
নীড় : ওই ১বারই তোমার ওপর নজর রাখার চেষ্টা করেছি । বাকী সব ক্যামরা ক্যামেরা ড্রামা ছিলো ।
মেরিন : ১টা কথা বলি ভাইয়া অমন নয়।
নীড় : অমনই। অনুকে use করে ছোয়াকে ফাসানোর plan করেছে ।
মেরিন : not at all… অনু ছোয়াকে ভালোবাসে…
নীড় : না। বাসেনা… সব ড্রামা। আর মেঘ নিজেই আমাকে ফোন করে বলেছে । শুধু তাই ই না… এতোগুলো বছরে ও হাজারবার দেখা করে ওকে ঘৃণা করার হাজার কারন দিয়েছে।
মেরিন : কিন্তু…
নীড় : আমি যা করেছি তোমার জন্য করেছি… তোমাকে হারাতে চাইনি… কোনভাবেই না। তুমি ঘুমালে তোমাকে দেখতাম। আদর করতাম… বুকের সাথে মিশিয়ে রাখতাম… কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পর আমি ঘুমানোর ভান ধরলে তুমি আমার কাছে আসতে। ভেবেছিলাম তোমাকে বলবো। কিন্তু সাহস হয়নি.. যদি আমাকে ছেরে চলে যাও। তোমাকে ছারা আমি নিজেকে ভাবতেও পারিনা । আবারও আমি ….
.
নীড় মেরিনের হাতের বাধন খুলে ১টা গান দিলো।
নীড় : i have no right to live… তোমার হাতে মরতে আমার কোনো আফসোস নেই। shoot me…
মেরিন : আর কতো ড্রামা করবে নীড়… তুমি জানো যে i can’t shoot you…
নীড় ১টা হাসি দিয়ে বলল : সবসময়ই আমার অভিনয়ের কাছে আমার ভালোবাসা হেরে যায়। আমার কপালই খারাপ। এর আগে তোমার ঘৃণাটাও পাইনি। আর এবারও তোমার ভালোবাসা তো দূরের কথা তোমার হাতে মৃত্যুও পাবোনা….
মেরিন : আমি একটু একা থাকতে চাই…
নীড় : হামম।
নীড় মেরিনের হাত থেকে গানটা নিয়ে ওর কপালে কিস করলো।
নীড় : ১টা শব্দও আজকের মিথ্যা ছিলোনা।
বলেই নীড় চলে গেলো।
.
কিছুক্ষনপর…
মেরিন : ভাইয়া এমন কিছু করবে? নীড় মিথ্যা বলছে না তো…. কিন্তু ওর চোখ দেখে তো অমন মনে হচ্ছিলোনা । কিন্তু নীড়কে বিশ্বাসও করা যায়না.. আমার ভাইয়া কখনোই করতে পারেনা। নীড়ই মিথ্যা বলছে । আমার হাতে মরার খুব শখ না নীড়…. বেশ মেরেই দিবো….
মেরিন খুজতে খুজতে পাশের রুমে গেলো । দেখলো মেরিনের বড় ১টা ছবির দিকে মুখ করে নীড় বসে আছে। নীড়ের পেছন দেখা যাচ্ছো। দরজার পাশে থাকা গানটা দেখলো। হাতে নিলো।
মেরিন : আমার হাতে মরার খুব শখ না নীড় তোমার… এবার মরো। কি ভেবেছে? তোমার মতো লোকের কথায় আমি আমার ভাইয়াকে ভুলো বুঝবো…? তোমাকে গুলি মারতে পারবো না? পিছে ঘোরো… পেছন থেকে মারতে চাইনা। ঘোরো। …
নীড় : …
মেরিন : ঘুরতে বলেছি নীড়…
নীড় : …
মেরিন হেটে নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো। আর গিয়ে অবাক হলো। কারন ওর মুখ দিয়ে…
সেই সাথে ওর বাম হাতটার রগও কাটা। রক্ত বের হচ্ছে । চোখটা মেরিনের সেই বড় ছবিটার দিকে। ওর বুকের ২পাশে ২টা জিনিষ। ২টাই মেরিন তুলল। বুকের বা পাশে মেরিনের ছবি। আর ডান পাশে ১টা চিঠি। যাতে লেখা …
” i love you….
মেঘ সত্যিই দোষী.. তবুও ও তোমার ভাই ক্ষমা করে দিও ওকে। but আমাকে at least ঘৃণা করো। তবুও তো তোমার জিকিরে থাকবো। ”
মৃত্যুর সময় কেউ মিথ্যা বলেনা… আর নীড় সবটাই লিখেছে নিজের রক্ত দিয়ে। মেরিন blank হয়ে গেলো।
.
হসপিটালে…
OT এর বাইরে মেরিন বসে আছে । হয়তো নীড় বাচবেনা। কিছুক্ষনের মধ্যে বাড়ির সবাই এলো।
নিহাল : মামনি… ডডক্টর ককি বলেছে?
মেরিন : বববাবা…
কবির : সব তোমার জন্য হয়েছে মেঘ… সব তোমার জন্য হয়েছে… সব… তোমার জন্য …
মেঘ : মানে?
কবির : কিছুই জানোনা মনে হচ্ছে। ত…
তখন ডক্টর বেরিয়ে এলো।
সেজান : ডক্টর আমার মামা…
ডক্টর : poison বের করে দিয়েছি । প্রচুর bleeding হয়েছে । যারজন্য মিস্টার চৌধুরী… আল্লাহকে ডাকুন।
নীলিমা : আমার ছেলেকে বাচান ডক্টর…
নিহাল : আমি আমার ছেলেকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যাবো।
ডক্টর : নিতে নিতে আপনার ছেলে টিকবে কিনা সেটা ভাবুন… excuse me…
মেরিন বসে পরলো… ও কিছুই বুঝতে পারছেনা। কি থেকে কি হয়ে গেলো? তখনই ইমান এলো মেয়ে নিরালীকে নিয়ে । এরপরই এলো নির্ঝর-নিরব….
মেঘ-ইমান-নির্ঝর-নিরব…. এক কাতারে দারিয়ে আছে… মেরিনের মাথায় কিছু ১টা এলো…
.
৭দিনপর…
নীড়ের জ্ঞান ফিরলো। আর জ্ঞান ফেরারপর as usual ও মেরিনের নাম নিলো। সবাই দেখা টেখা মেলোড্রামা হলো মেরিন ছারা বাকীরা বেরিয়ে গেলো। নীড় মেরিনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। মেরিনের মুডটা বোঝার চেষ্টা করছে ।
মেরিন : আমাদের বিয়ের ২৩-২৪বছর হয়ে গেছে…. তাই এভাবে তাকিয়ে দেখার কিছু নেই।
নীড় : …
মেরিন : জানো বিয়ের এতো বছর পর normal couple রা কি করে জানো? ছেলেমেয়েদের life settle করে। তাদের love story দেখে । বাট আমি-তুমি… you are impossible … এখন তারাতারি progress করো। next week তোমার আমার birthday …. আর আমি চাই এবার আমাদের birthday মহাধুমধাম করে হোক…
নীড় মেরিনের কথার আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছেনা।
মেরিন : এ………তো বছর ধরে ভিলেন ভিলেন plan করে তোমার brain overload হয়ে গেছে। so… চাপ নিওনা rest করো।
নীড় : dddo you ffforgive me….
মেরিন : birthday তেই জেনে যাবে…
।
৫দিনপর…
22nd july…
নীড়-মেরিনের জন্মদিন। নীড় জানেনা আজকে কি হবে ? কেউ জানেনা কি হবে? মেরিন-নিরালী ছারা।
( কেউ আবার বলোনা যে আল্লাহ ও জানেনা? এটা কেমন কথা… এখন আল্লাহ তো আল্লাহ ই। )
সন্ধ্যায় program শুরু হলো ।
মেঘ-ইমান-নির্ঝর-নিরবকে একসাথে বসানো হয়েছে ।
মেরিন : attention attention attention … আজকে আমার আর আমার villain hero নীড়ের birthday … দিলওয়ালে মুভির কাজলের মতো আমিও একটু দিলওয়ালে হয়ে গেলাম। আমার birthday তে আমি অন্যদের gift দিবো। আর এই gift টা রেডি করতে হেল্প করেছে my dearling নিরালী। would be lawyer ….
ডার্লিং start…
নিরালী : ভিলেন…. আমরা সবাই জানি আজকে এখানে the #Perfect_Villain ১জনই। আর সে হলো নীড় uncle … but its wrong… #Actual_Villain তো অন্যকেউ।
বলেই নিরালী মেঘদের দিকে এগিয়ে গেলো । ওদের পেছন দিয়ে হাটতে হাটতে নির্ঝরের ঘাড়ে হাত রাখলো …
নিরালী : uncle আপনার কাছে ১টা জিনিস শিখতে চাই। hypnotism…
নির্ঝর : মমমানে?
নিরালী : hypnotism মানে hypnotistm। সম্মোহন বিদ্যা। যেটা কাজে লাগিয়ে আপনি মেঘ uncle কে hypnotize করে মেঘ uncle আর নীড় uncle এর মধ্যে গিরিঙ্গি লাগিয়েছেন…
নির্ঝর : what rubbish? মেরিন এভাবে ডাকিয়ে এনে এভাবে অপমান? তাও এতোটুকু পিচ্চি মেয়েকে দিয়ে?
মেরিন : ওই পিচ্চি মেয়েই তোমাকে খুজে পেতে হেল্প করেছে । ওই তো বলেছে যে তোমার এই গুন আছে my dear নির… নির্ঝর… তুমি আমাকে এতোটাই ভালোবাসো , আমাকে নিজের স্ত্রী করার এতোটাই নেশা তোমার যে আজও বিয়ে করোনি । খুজে বেরিয়েছো আমাকে। সেদিন রাতে তুমিই আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার plan করেছিলে । তবে খান বাড়িতে ঢোকার জন্য তুমি ভাইয়াকে hypnotize করেছিলে । আর যখনই নীড়কে দেখলে তখন ভাইয়াকে নীড়ের কাছে খারাপ করে দিলে। যতোবার আমাকে খুজতে ব্যার্থ হয়েছো ততোবার ভাইয়াকে hypnotize করে নীড়কে যা তা শুনিয়েছো। ১দিন বাবা মেঘ ভাইয়াকে অমন করতে দেখেছিলো বলে বাবার কাছেও ভাইয়াকে খারাপ করেছো।
নীড় : কি বলছো কি জান?
মেরিন : হ্যা ঠিকই বলছি । তখন তুমি যখন বললে ভাইয়ার চোখ স্থির ছিলো & monkey cap পরেছিলো। এরপর ১ম ভিলেন কল তোমার ছিলোনা তখনই বুঝেছিলাম যে ঘাপলা আছে । এরপর ভাইয়া মাঝে মাঝে বলতো অনেক সময় খেয়াল থাকে না যে এটা করেছে। but অন্যকেউ বলেছে যে এটা ওটা… এই ৩টা সূত্র ধরে এগিয়ে গরুর রচনা পেয়ে গেলাম। এখন বলে ফেলো চান্দু এসব জঘন্য কাজ কেন করলে?
নির্ঝর : জঘন্য কাজ? যা করেছি বেশ করেছি । নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে়ছি তোমাকে । হামম। অথচ কি হলো? ওই নীড় আমার তুমিকে কেরে নিলো। মেঘের জন্য তুমি নীড়ের কাছে ফিরে যেতে রাজীও হয়ে গেলে। কেন? আমার ভালোবাসা কি তোমার চোখে পরেনি? কতো ভালোবেসেছি তোমায় জানো? অথচ…. 😭😭😭…
নীড় : you…
মেরিন : থামো নীড়…. let him speak …
নির্ঝর : তোমাকে আমি তোমার মেয়ে সহ আপন করতে চেয়েছি… ভালোবাসতে চেয়েছি… সেটা কি আমার অপরাধ ? আজও যদি তুমি বলো যে তুমি আমার বউ হবে তবুও আমি ২বার ভাববোনা। আমি শুধুই তোমাকে চাই….
নীড় : তোকে তো আমি…
সেজান : মামা আজকের মতো শুভ দিনে এই গিরগিটকে তুমি কিছু করোনা। রকি….
রকি : জী স্যার… he is all yours…
রকি নির্ঝরকে নিয়ে গেলো।
.
নিহাল : মেঘ আর সেজান জানতে যে জান্নাতই মেরিন?
মেঘ-সেজান : 😅।
কনিকা : সবাই সব জানতো কেবল আমরা ২মা ছারা…
নীলিমা : হামমম।😩
রোজ-নির্বন : আর আমরাও।😭
ইমান : স্টপ স্টপ … ড্রামা বন্ধ। সব ভালো যার শেষ ভালো।
মেরিন : তবে ১টা কথা.. নির্ঝরকে পাওয়ার পেছনে কিন্তু নিরালীর অবদান। ও না থাকলে হতোনা। a big hand for her…
নিরালী : আন্টি you are my idle …
নির্বন বারবার নিরালীর দিকে তাকাচ্ছে ।
মেরিন : yeah my doll..
সেজান : ১মিনিট… শশুড়মামা এবার কি আমাকে মেয়ে দিবে?
নীড় : না… 😉..
সেজান : তুলে নিয়ে যাবো। 😒😒😒।
সবাই : 😂।
.
রাতে…
নীড় : জান… sorry… আমার সেই ভুলের জন্য… এতো কিছু…
মেরিন : তোমার ভুল কেবল এটা ছিলো যে তুমি বাবার বিষয়টা আমাকে জানাওনি।
নীড় : তবে ১টা জিনিষ ভালোই হয়েছে।
মেরিন : কি?
নীড় : সবাই সবার নাতি-নাতনীকে লাভস্টোরি শোনায় আর আমরা hatestory শোনাবো। 😎
মেরিন : 😂।
নীড় : আচ্ছা আমাদের generation এ আমিই ভিলেন… বাচ্চাদের generation এও আমিই ভিলেন । তাহলে নাতি-নাতনিদেরটা বাদ যাবে কেন? ওদের সময়েও আমিই ভিলেন হবো। হ্যাট্রিক হয়ে যাবে। 😎।
মেরিন : shut up…
নীড় : i love you…
মেরিন : i love u too… ও হ্যা মনে পরেছে। তোমার ছেলে কি করেছে জানো?
নীড় : কি?
মেরিন সব বলল।
নীড় : what?
মেরিন : তোমার ছেলে তো এটাই স্বাভাবিক।
নীড় : huh…
.
কিছুদিনপর…
নির্বন : dad…. ইমান uncle এখনই নিরালীর বিয়ে কেন দিচ্ছে?
নীড় : কেন কি হয়েছে?
নির্বন : আরে ওর বয়সই কতো? এখনো ২০ বছরই হয়নি।
নীড় : তো ? এই বয়সে অনেকেরই বিয়ে হয়।
নির্বন : ইশ আপির তো এখনও হলোনা। আপি তো কতো বড়…
রোজ : ওই ছাগল আমাকে টানোস কেন? কি ভাইরে বাবা।
নির্বন : sorry আপু i didn’t mean that… মম।
মেরিন : বলেছিনা don’t call me মম। নিরালীর বিয়ে নিয়ে তোমার মাথা ব্যাথা কেন? তুমি তো আর নিরালীকে না দীপাকে ভালোবাসো।
নির্বন : মোটেওনা আমি নিরালীকে ভালোবাসি। সেদিন কেবল দীপাকে দিয়ে acting করিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ২-৩দিন পর সব বলে দিবো । বলাই হলোনা। কাহিনী হয়ে গেলো।
সেজান : তাহলে এখন বলে দাও শা…লা…
নির্বন ঘুরে দেখে খান বাড়ি আর ইমানের family দারিয়ে আছে।
মেরিন : এই গাধা কানে ধরে নিল ডাইন করে নিরালী পর্যন্ত যাবি…
নির্বন : মম…
মেরিন : না হলে কালই নিরালীর বিয়ে দিবো।
নির্বন গেলো। sorry torry বলল।
.
নির্বন : আচ্ছা তবে বিয়েটা কাদের?
সেজান : জানতে চাও?
নির্বন :হামম।
সেজান দৌড়ে গিয়ে রোজকে কোলে তুলে নিলো।
বলল : আমাদের….
💖💖💖….
সবাই : 😂😂😂