পারফেক্ট ভিলেন !! Part- 16
রোজ : ড্যাড…
নীড়ের চোখ তো রাগের চোটে লাল হয়ে আছে ।নীড়কে দেখে রোজ ভয় পেয়ে গেলো। নীড় ওদের দিকে এগিয়ে গেলো।
রোজ : ড…
নীড় হাত দিয়ে ইশারা করে থামিয়ে দিলো ।
নীড় : what is all this অনু…
সেজান : মমমমামা i love রোজ…
“মামা”- কথাটা শুনে রোজ চরম অবাক হলো। তবে সেজানের কথাটা শুনতেই নীড় ঠাস করে সেজানকে থাপ্পর মারলো ।
নীড় : আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করো যে তুমি আমার বোনের ছেলে । তাই কেবল এই থাপ্পরটা খেলে । otherwise জানে মেরে দিতাম। কিন্তু যদি ২য়বার আমার মেয়ের দিকে চোখ তুলেও তাকাও তবে ভুলে যাবো যে তুমি আমার ভাগনে।
বলেই নীড় রোজের হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলো। আর রোজ তো মহাঅবাক । সেজান ওর ফুপাতো ভাই সেটা জেনে। সবকিছু ওর মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে।
.
চৌধুরীবাড়িতে…
নির্বন : মম প্লিজ আমার সাথে কথা বলো। রাগ করে থেকোনা । তোমার রাগ আমি মেনে নিতে পারিনা … মম… প…
তখন রোজের হাত ধরে হনহন করে নীড় বাড়ির ভেতরে ঢুকলো । নীড়কে দেখে যে কেউই বুঝবে যে ও সাংঘাতিক রেগে আছে ।
নীড় : ছোয়া ওপরে যাও ।
রোজ : ড…
নীড় : i said go…
রোজ : হামম।
নীড় : নির্বন তুমিও যাও।
নির্বন : হামম ।
২ভাইবোন ওপরে চলে গেলো ।
নিহাল : কি হয়েছে নীড় ?
নীড় : কি হয়নি বলো… ওই মেঘ খান যে এমন ধরনের খারাপ সেটা জানতামনা ।
নীলিমা : আবার কি করলো মেঘ?
নীড় : মেঘ অনুকে ছোয়ার পিছে লাগিয়ে দিয়েছে । মেরিনের সাথে যা করেছি তার বদলা নেয়ার জন্য।
নিহাল : কি?
নীড় : হ্যা । আর অনুও বাবার কথা মতোই কাজ করলো । ছোয়াকে ফাসিয়েছে। so called love সাব এর ড্রামা করে । bloody…
মেরিন : এমনও তো হতে পারে যে অনু সত্যি সত্যি রোজকে ভালোবাসে ।
কথাটা শুনে নীড় বাঘের মতো চোখ করে মেরিনের দিকে তাকালো।
নীড় : কোনটা নকল ভালোবাসা আর কোনটা আসল ভালোবাসা সেটা তুমি আমাকে চেনাবেনা। got it…
মেরিন : আজব তো … এখানে আসল নকল কোথায় থেকে এলো ?
নীড় : দে… whatever … এই টপি নিয়ে আমি তোমার সাথে কোনো কথা বলতে চাইনা।
বলেই নীড় রুমে চলে গেলো।
মেরিন মনে মনে : oh no… কি হয়ে গেলো ? অনুর সাথে কথা বলতে হবে …
.
মেরিন : হ্যালো অনু।।সেই কখন থেকে ফোন করে যাচ্ছি ধরছোনা কেন?
সেজান : ফুপ…প্পি..
মেরিন : কাদছিস কেন বাবা? কান্না করেনা। থাম বাবা…
সেজান : ফুপ্পি মামা…
মেরিন : আমার সোনাবাচ্চা কান্না করেনা … ফুপ্পি আছি তো… সব ঠিক করে দিবো। শান্ত হও ।
সেজান : ফুপ্পি আমি রোজকে ছারা বাচবোনা।
মেরিন : filmy বকবক আমার ভালো লাগেনা। আর এগুলো কেমন ধরনের কথা?
সেজান : sorry ফুপ্পি…
.
নীড় বসে আছে । মেরিন গিয়ে নীড়ের কাধে হাত রাখলো ।
নীড় : আমি একা থাকতে চাই।
মেরিন : সব আমার জন্য হয়েছে । তাইনা ?
নীড় মেরিনের দিকে তাকালো ।
নীড় : মানে?
মেরিন : মানে মেরিন আফা আপনার বউ হওয়া সত্বেও আপনি আমাকে বিয়ে করেছেন আর এই নিয়েই তো মেঘ ভাইয়ার সাথে আপনার ঝামেলা হয়েছে ।
নীড় : মোটেও না । তোমার জন্য কিছুই হয়নি। আজকে যা যা হচ্ছে সব কিছুর দায় ভার মিস্টার খানের।
মেরিন : কিন্তু মেঘ ভাইয়া এমন কি করেছে?
নীড় : none of your business …
মেরিন : it is my business … এটা আমার মেয়ের জীবনের ব্যাপার ।
নীড় : তোমার মেয়ের? ভুলে যেওনা ছোয়া আমার আর মেরিনের মেয়ে …
নীড়ের এই কথাটা রোদ শুনে ফেলল। আসলে ও সেজানের ব্যাপারেই কথা বলতে এসেছিলো । আর এসেই এই কথা শুনলো।
রোজ মনে মনে : what??? ড্যাড এটা কি বলছে?
মেরিন : হ্যা রোজ নীড়-মেরিনের মেয়ে । কিন্তু আমি কি কিছুইনা?
রোজ মনে মনে : মেরিন? মমের নামই তো মেরিন…
নীড় : মেরিনের চেহারা নিয়ে আছো সেটা নিয়েই থাকো। মেরিন হওয়ার চেষ্টা করোনা । ভুলে যেওনা জান্নাত কেবল নির্বনের মা ছোয়ার না…
বলেই নীড় গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে গেলো। নীড়কে বের হতে দেখেই রোজ লুকিয়ে গেলো। নীড়ের পর মেরিনও বেরিয়ে গেলো । এরপর নিজের রুমে চলে গেলো।
.
রোজ : কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা… ড্যাড কি বলছিলো? মেরিন… জান্নাত… উফফ । মাথা ব্যাথা করছে । আবার অনু ড্যাডকে মামা ডাকছিলো। ড্যাড ওকে বোনের ছেলে বলছিলো। মাথায় ঢুকছেনা । কাহিনী কি করে জানতে পারবো? দাদুভাই-দীদা… হ্যা ওরাই বলতে পারবে।
রোজ দৌড়ে নিহাল-নীলিমার রুমে গেলো। দেখলো নিহাল রুমে নেই। কেবল নীলিমা রুমে ।
রোজ : দীদা…
নীলিমা :আরে দিদিভাই… ভেতরে আসো …
রোজ ঢুকলো।
রোজ : মেরিন আর জান্নাতের কাহিনি কি?
রোজের কথায় নীলিমা আকাশ থেকে পরলো। রোজ কিভাবে জানলো।
নীলিমা : কককি বলছো কি? কককিসের জজজান্নাত… কিসের মেরিন…. মেরিন মেরিনই । ততততোমাদের মা…
রোজ : ভালো মতো বলবে কি বলবে না?
নীলিমা : আরে বলার মতো কিছু থাকলে তততো বববলবো?
রোজ : ok…
বলেই রোজ ফল কাটার ছুরিটা হাতে নিলো।
নীলিমা : রোজ…
নীলিমা এতো জোরে চিল্লালো যে নির্বনও ওর রুম থেক চলে এলো ।
নির্বন : আপি… কি করছো কি? knife রাখো …
রোজ : না… তুমি বলবে কি বলবে না দীদা…
নীলিমা : পাগলামো করেনা দিদিভাই…
রোজ : বলবে কি বলবেনা? আমি কিন্তু তাহলে নিজেকে শেষ করে দিবো ।
নীলিমা : বলছি… বলছি… তুমি ওটা রাখো ।
রোজ : কসম খেয়ে বলো যে বলবে…
নীলিমা : কসম। বলবো…
রোজ ছুরি রাখলো । নীলিমা রোজ-নির্বনকে সব বলল। সবটা ।সব শুনে ২ভাইবোনের হুস উরে গেলো। বিশ্বাসই করতে পারছেনা । কি বলছে… ওদের নীড়ের ওপর ভীষন রাগ হলো….
রোজ : দীদা তুমি যে আমাদেরকে এগুলো বলেছো সেগুলো আর কাউকে বলোনা… প্লিজ…
.
২দিনপর…
নির্বন : আপু… আসবো?
রোজ :তুই আবার কবে থেকে permission নিস?
নির্বন : তখন তো আর জানতাম না যে… তুমি আমি স…
রোজ : মারবো ধরে। ভেতরে আয়…
নির্বন গেলো।
নির্বন : আমার মাথায় কিছু এসেছে।
রোজ : কি?
নির্বন : আমার মনে হয় মেরিন মায়ের গায়েব হওয়ার পিছে মমের হাত আছে। she is a great player…
রোজ : তোমার এটা মনে হচ্ছে?
নির্বন : হামম । মনে হয় মম যেমন pretend করে তেমন না ।
রোজ : উহু আমার কিন্তু সেটা মনে হয়না । আমার কিন্তু অন্যকিছু মনে হয়।
নির্বন : কি
রোজ : আমার মনে হয় যে জান্নাত আর মেরিন ১জনই…
নির্বন : কি?
রোজ : হামম।
নির্বন : এমন মনে হওয়ার কারন?
রোজ : খুব সহজ। দেখ দীদার কাছ থেকে মমের… তোর ভাষায় মেরিন মমের smartness এর কথা শুনেছি। তার attitude এর কথা শুনেছি । দেখ দুনিয়ার সামনে জান্নাত হয়তো মেরিন হয়ে থাকতেই পারে । কিন্তু পরিবারের সামনে না । আর মমের নিজস্ব attitude কিন্তু দেখে এসেছি।
নির্বন : আপি… মেরিন মা is just perfect … classy… আর মম… she is… কি বলে । ২জনের attitude কিন্তু আলাদা। মম drama করে।
রোজ : তুমি বোধহয় মেরিন মায়ের দুষ্টুমির কথাগুলো notice করোনি। ড্রামা কিন্তু মেরিন মাও করতো।
নির্বন : language …?
রোজ : যে ড্যাডের মতো ভিলেন কে মাত দিতে পারে তার কাছে এটা কোনো ব্যাপারই না ।
নির্বন : তোমার কথা ঠিক তো আছে। কিন্তু সত্যি জানবো কি করে?
রোজ : সেটাই তো…
নির্বন : আপি i have an idea… সেজান ভাইয়া…
রোজ : অনু…?
নির্বন : হামম ভাইয়া । দেখো ভাইয়া খান বাড়ির । আর সব গল্পেরই এপিঠ ওপিঠ থাকে। সেজান ভাইয়ার হেল্প নিতে হবে।
রোজ : no way.. ওই culpritটার মুখও দেখতে চাইনা ।liar… ও আমাকে কিছুই জানায়নি…
নির্বন: এই তোমাদের মেয়েদের ১টা দোষ। মেলোড্রামা করো খালি… situation টা বোঝার চেস্টা করো। ড্যাডের জন্য।
রোজ : হামম। কিন্তু ওর হেল্প কি করে নিবো? আমার তো বাসার বাইরে যাওয়াই বন্ধ।
নির্বন : তোমার বন্ধ। আমার তো নয়। কালকে তুমি আমার গাড়ির ডিকিতে বসে পরবে।
.
পরদিন…
নির্বনের plan অনুযায়ী ২জন বের হলো। খান বাড়িতে পৌছালো। সেজান তো দেবদাস হয়ে বসে বসে কাদছে। পরম সুখ থুরি দুঃখে…
রোজ : অনু…
সেজান অবাক হয়ে ঘুরলো । রোজকে দেখে দৌড়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলো। আর ওর গালে কপালে চোখে পাগলের মতো কিস করতে লাগলো ।
সেজান : i just missed you so much…
নির্বন : বলি আমি কি এখন চোখ খুলতে পারি?
তখন ২জনের খেয়াল হলো।
সেজান : তুমি?
নির্বন : এটা বলোনা যে আমাকে চিনোনা। 😒😒।।
সেজান : আরে ১টা মাত্র শালাবাবুকে চিনবো না?
নির্বন : শুধুই কি শালাবাবু? আর কিছু না?
সেজান : আর কি?
রোজ : মামাতো-ফুপাতো ভাইবোন।
সেজান :কককি বববলছো কি?
নির্বন : এই যে খান সাহেব আমরা জানি কাহিনি কি? so drama off করো।
সেজান : রোজ প্লিজ রাগ করোনা । আসলে…
রোজ : আসল নকল বাদ দাও। এখন আরেকটা কথা শোনো। মেরিন আর জান্নাত একজনই আমার ম..
সেজান : অ্যা এটাও জেনে গেছো ফুপ্পিই ফুপ্পি!!! 😱।
সেজানের কথা শুনে ২ভাইবোন ২জনের দিকে তাকালো। এরপর চোখ ছোট ছোট করে সেজানের দিকে তাকালো।
নির্বন: তারমানে তুমি এটাও জানো…
সেজান : ওই আরকি।
রোজ : আমার তো just doubt হয়েছিলে যে ২জন একজনই । আর তুমি তো দেখি সবই জানো ।
সেজান : তততোমরা জানতেনা!!! damn it….
নির্বন :তোমার এই খোমা দেখে মনে হচ্ছে তুমি আরো কিছু জানো। আপি attack …
সেজান : hey… wait wait… আমি এমনিতেই এখন তোমাদের বলবো। বাট তার আগে পেট পূজা করতে হবে।
নির্বন : i m also ক্ষুধার্ত…
৩জন খাওয়া দাওয়া করলো। এরপর সেজান ভিলেন নিয়ে ঘাপলাটা বলল।
২জন : 😱। what is all this….
রোজ : মামা আর ড্যাডের মধ্যেও ঝামেলা মনে হয় ভিলেনই লাগিয়েছে।
নির্বন : হামম।
রোজ : আর সব কিছুই হয়েছে ড্যাডের জন্য । 😤।
সেজান : হেই খবরদার মামার দোষ দিবেনা । ওই ব্যাটা কফিলের দোষ । কোন ছেলে তার বাবা আর পরিবারের এমন কিছু মেনে নেবে?
রোজ : তবুও ড্যাডের জন্যেই।
সেজান : না ।
রোজ : হ্যা।
সেজান : না ।
রোজ : হ্যা।
নির্বন : চুপ… 📢… এটা ঝগড়ার সময় না। its the time to…
সেজান : disco …
২জন : 😒😤।
সেজান : 😅। ok ok…বুঝেছি ভিলেন খোজার সময়। 😘।
.
১৫দিনপর…
রোজ : ধুর কে ভিলেন?
সেজান: বলেছিলাম না।জানা যাবেনা যে কে ভিলেন?
নির্বন : we are chowdhuri… so nothing is impossible for us…
সেজান : এমন করে বলছো যেন জেনে গেছো।
নির্বন : হামম।
২জন : কে?
নির্বন : hero is the villain…
২জন : মানে?
নির্বন : যখন গল্পটা আমার বাবার তখন নায়কও আমার ড্যাড আর খলনায়কও আমার ড্যাড।
সেজান : না। অনেকবার প্রমান পেয়েছি যে মামা নির্দোষ।
নির্বন: ঘাপলা আছে ।
সেজান : let me think…. idea !!! 😀
.
৩দিনপর…
মেরিন : কি হলো সোনাবাচ্চা কিছুদিন ধরেই দেখছি মন খারাপ।
রোজ : আপনি আমার সামনে থেকে সরুন মিসেস চৌধুরী… just out…
মিসেস চৌধুরী শুনে নির্বন ছারা বাকী সবাই মহাঅবাক হলো।
নীড় : এটা কেমন আচরন ছোয়া। say sorry to your mom…
রোজ : my mom? ড্যাড ওই মহিলা আমার মম নয়। just নির্বনের মা। আমার কেউ না।
নীড় : ছোয়া… ওই তোমার মা ।
রোজ : সৎমা। আর আমার মনে হয় উনি ড্রামা করে তোমাকে ফাসিয়েছে। বাজে মহিলা ।
মনে মনে : sorry mom …
নীড় ঠাস করে রোজকে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : কি করলেন এটা।
নীড় : চুপ… আর তুমি মেয়ে sorry বলো মমকে।
রোজ : no way … আর তোমার কথা কেন শুনবো? তুমি আমার মমকে যে কষ্ট দিয়েছো …. তোমার জন্যেই আমার মা আমাদের সবাইকে ছেরে দূরে চলে গেছে ।
নীড় : মেঘ খান তোমার মাথায় এগুলো ঢুকিয়েছে না ?
রোজ : না। মামা কিছুই বলেনি… সত্যি বেশিদিন চাপা থাকেনা। তুমি আমার মার সাথে কি করেছো সেটা দুনিয়া জানে । তুমি হচ্ছো ১টা বাজে অসভ্য characterless লোক। আমার মা যেতে না যেতেই অন্য ১টা মেয়েকে বিয়ে করেছো । আবার তাকে আমার মা সাজিয়ে রেখেছো। তুমি ১টা বাজে লোক… মেয়েবাজ…
মনে মনে : sorry sorry dad…
মেরিন : রোজ। তোমার issue আমার সাথে । তো যা বলার আমাকে বলো। ড্যাডকে কেন বকছো? তোমার ড্যাড মোটেও বাজে লক নয়। আর তোমার লজ্জা করেনা নিজের বাবাকে মেয়েবাজ বলছো । কি জানো তোমার বাবার সম্পর্কে? নীড় মেরিনকেই ভালোবাসতো ,বাসে আর ভবিষৎেও বাসবে। নীড়ের মনে কোথাও জান্নাত নেই । বুঝেছো?
রোজ : হ্যাহ চোরের সাক্ষী মাতব্বর। আর তার থেকেও বড় আমার আর আমার ড্যাডের মধ্যে কথা হচ্ছে আপনি নাক গলাচ্ছেন কেন? আপনার কোনো অধিকার নেই।
রোজ মেরিনকে অনেক কথা শোনাতে লাগলো । মেরিনের চোখে পানি টলমল করছে । মরে যেতে ইচ্ছা করছে । না নীড়ের পক্ষে আর মেনে নেয়া সম্ভবনা ।
নীড় : enough is enough …
সবাই কেপে উঠলো ।
নীড় : যেই মা ছোট থেকে বড় করলো আজকে কেবল জান্নাত নামের জন্য সে সৎমা হয়ে গেলো? মায়ের ভালোবাসা মূল্যহীন হয়ে গেলো? for your kind information she is not jannat…. she is “the মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী” …. হ্যা ও জান্নাত না ও আমার মেরিন…. নীড়ের মেরিন… জান্নাত-মেরিন একজনই। আর আমি সব মেনে নিতে পারি কিন্তু আমার মেরিনকে নিয়ে কোনো বাজে কথা না।
নীড়ের কথায় সবাই অবাক হলো। তবে সবথেকে বেশি অবাক হলো মেরিন।
মেরিন অবাক হয়ে নীড়ের দিকে তাকালো । নীড় ১বার মেরিনের চোখের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো। মেরিনের চোখে চোখ রাখার সাহস ওর নেই। মেরিন ১দৃষ্টিতে তাকিয়েই আছে। ২০-২১ বছর ধরে যে ভয়ংকর রাগটাকে কবর দিয়ে রেখেছে সেই রাগটা পলকেই হুরহুর করে মাথায় উঠে যাচ্ছে … চোখ ভয়ংকর লাল হয়ে গেছে। রাগের চোটে কাপছে মেরিন। রোজ,নির্বন,নিহাল, নীলিমা বড় বড় ঢোক গিলছে।
.
নীড় পকেটে হাত দিয়ে মেরিনের দিকে এগিয়ে গেলো। ওর চোখে চোখ রেখে
বলল : হামমম এবারও i am the #Perfect_Villain …
বলেই পকেট থেকে ১টা injection বের করে মেরিনকে push করলো। এতো দ্রুত ঘটলো যে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব হয়ে গেলো। মেরিন অজ্ঞান হয়ে গেলো । নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিলো। এরপর বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো ।
.
((( অনেকেই বলছো যে #আজব_প্রেমের_কাহিনী বা
#না_বললেও_ভালোকিন্তুবাসি এর সিজন ২ দিতে । আসলে এই ২টা গল্প একটু অন্যরকম । পরীর গল্পটা just ছোটোবেলার কিছু program এর থেকে inspire হয়ে লেখা । আর মোহনার গল্পটা ওইটার ১টা অন্যকারন আছে। তাই হুট করে চাইলেই ওই ধরনের লেখা সম্ভব না। তবে আমি ভাবছি এদের সিজন ২ এর concept … but ভেবেই পাচ্ছিনা। 😔😔😔। তবে promise করছি যে দিবো ।
আর next গল্পের কথা। কালকে থেকেই নতুন গল্প পাবে। আসলে #ঘৃণার_মেরিন ৩টাই মাথায় চলে এসেছে। আবার ঘৃণার মেরিন ভাবতে না ভাবতেই মেরিন & মোহনা ২জনকে নিয়ে
#Best_Friend নামের ১টা গল্প মাথায় এসেছে । তো সম্ভব হলে ২টাই দিতাম। কিন্তু ২টা দিলে একটু ঝামেলা হয় । তাই ঘৃণার মেরিনটাই আগে দিবো। কারন এটার জন্য সবথেকে বেশি request ছিলো।
😊😊😊)))
চলবে…